আশাহত
মাঠের পাশে দুই বন্ধু আড্ডা দিচ্ছি। এমন সময় গার্লফ্রেন্ডের ফোন। রিসিভ করলাম।
“কি ব্যাপার জান? কি হইছে?”
“না, মানে, বাসায় কেউ নাই। আমি একা। খুব ভয় লাগছে। তুমি কি একটু আসবা?” ওর কথায় তো মনের ভিতর আউড়াথাউড়া নাচ শুরু হইয়া গেল। উৎসাহিত হইয়া বন্ধুরে বললাম, “দোস্ত, আমার জানু বাসায় একা। আমায় যাইতে বলছে।”
আমার যাবতীয় উৎসাহে পানি ঢাইলা সে বলল, “দোস্ত, এই ভুল করিস না। আমারেও একবার এইভাবে ডাইকা নিয়া জামাকাপড় ধোয়াইছে। এগুলা মাইয়া গো ট্রিকস।”
মাথায় গেল চিন্তা ঢু্ইকা। ওর কথাটা ফালাইয়া দেওয়ার মত না। একটু ট্রিকস খাটাইলাম। দিলাম গার্লফ্রেন্ডরে ফোন।
“জানু, আমার মেসের বুয়াটার আজ পরের শিফ্টে কাজ নাই। তোমার বাসায় কি কোন কাজ পইড়া আছে? থাকলে কও। তারে পাঠাইয়া দেই। সে রান্না, কাপড় ধোয়া সবকিছুতেই বিশেষজ্ঞ। তোমার একটু হেল্প হইব।”
গার্লফ্রেন্ড তো আমার কথা শুইনা ব্যাপক অভিমান করল। সে বলল,“আমি বললাম তোমারে আসতে, আর তুমি কাজের লোকের প্রস্তাব দাও?”
“না, মানে, তোমার যদি কোন কাজ পড়ে থাকে, তাইলে একটু সহায়তা হইত।”
“না, আমার কোন কাজের দরকার নাই। আমাদের ফিক্সড কাজের লোক আছে। সে সময়মত এসে সব করে দিয়ে যায়। এখন তুমি কি আসবা?”
“হ, জান, আইতেছি।” ফোনটা রেখে সব রাগ গিয়ে পড়ল বন্ধুর ওপর। গর্বভরে বললাম,
“দেখছস্, বেটা, দেখছস্, আমার গার্লফ্রেন্ড কোন লেভেলের! ব্যাটা তুই তোর গার্লফ্রেন্ডের সাথে আইছস আমার গার্লফ্রেন্ডের তুলনা দিতে। তোর কারণে আমি আমার জানুরে সন্দেহ করলাম। শুন্, তোর মধ্যে এমনিতেই একটা ছাগল ছাগল ভাব আছে। তাই তোর সাথে এমন জিএফই জুটব। আমি তোর মত ছাগল না যে , আমার এমন জিএফ জুটব।”
সে চুপ করে রইল। আমি বীরদর্পে শ্বশুরবাড়ি মানে জিএফের বাড়ি গেলাম। তার কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে ঘামে ভেজা ক্লান্ত শরীরে বেরিয়ে এলাম। ওহ্, যথেষ্ট হয়েছে!
বাইরে এসেই দেখি গেটের সামনে আমার সেই বন্ধু দাঁড়িয়ে আছে। সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। হাসতে হাসতে বলল,
“কি দোস্ত! ভালই তো মজা মারলা?”
আমি হাউমাউ করে কেঁদে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
“ভাইরে, আমি আর নাইরে!”
“কেন, কি হইছে?”
“ভাই, প্রথমে সে আমারে তার বেডরুমে নিয়া বসাইল। খুশি খুশি মনে বসলাম। কিছুক্ষণ পরেই সে খুশি উইড়া গেল। সে কি ভয়ানক দুর্গন্ধ! জিজ্ঞেস করাতে সে বলল এই দুর্গন্ধ নাকি তাদের টয়লেট থেকে আসতেছে। জিজ্ঞেস করলাম, হারপিক ইউজ করে কি না! সে বলল তাদের ফ্যামিলির কেউ নীল রং পছন্দ করে না, তাই তারা হারপিক ইউজ করে না। গন্ধ হইলেই পানি মারে। তাতেই নাকি কাজ হয়। ওর বাবা বাসায় থাকলে সেই পানি মারার কাজ করে। আমি তো মনে মনে এই মেন্টাল ফ্যামিলিরে গালির পর গালি দিতে লাগলাম।এই গন্ধে আবার বসে থাকাও যায় না। তাই ভাবলাম,এত কষ্ট করে আসছি, দুই বালতি পানি মেরে গন্ধ দূর করে তারপর জিএফের সাথে সময় কাটাব। গেলাম টয়লেটে। বহু বছর পর আবার বমি করলাম। তারপর আমি একে একে সাত বালতি পানি মারছি, গন্ধের কিছুই আসে যায় নাই। তারপরে আর দুই বালতি মাইরা আমি আর পারতেছিলাম না। রুমে আইসা ওর খাটে শুইলাম। সে বলল, জান, বাসার সবাই চলে আসতেছে, তুমি আজ যাও। তাই বের হইয়া আসলাম ভাই। আমার শরীরে আর দেয় না।”
তারপর বন্ধু একটি রিকশা ডেকে আমায় নিয়ে মেসে ফিরে এল।
“কি ব্যাপার জান? কি হইছে?”
“না, মানে, বাসায় কেউ নাই। আমি একা। খুব ভয় লাগছে। তুমি কি একটু আসবা?” ওর কথায় তো মনের ভিতর আউড়াথাউড়া নাচ শুরু হইয়া গেল। উৎসাহিত হইয়া বন্ধুরে বললাম, “দোস্ত, আমার জানু বাসায় একা। আমায় যাইতে বলছে।”
আমার যাবতীয় উৎসাহে পানি ঢাইলা সে বলল, “দোস্ত, এই ভুল করিস না। আমারেও একবার এইভাবে ডাইকা নিয়া জামাকাপড় ধোয়াইছে। এগুলা মাইয়া গো ট্রিকস।”
মাথায় গেল চিন্তা ঢু্ইকা। ওর কথাটা ফালাইয়া দেওয়ার মত না। একটু ট্রিকস খাটাইলাম। দিলাম গার্লফ্রেন্ডরে ফোন।
“জানু, আমার মেসের বুয়াটার আজ পরের শিফ্টে কাজ নাই। তোমার বাসায় কি কোন কাজ পইড়া আছে? থাকলে কও। তারে পাঠাইয়া দেই। সে রান্না, কাপড় ধোয়া সবকিছুতেই বিশেষজ্ঞ। তোমার একটু হেল্প হইব।”
গার্লফ্রেন্ড তো আমার কথা শুইনা ব্যাপক অভিমান করল। সে বলল,“আমি বললাম তোমারে আসতে, আর তুমি কাজের লোকের প্রস্তাব দাও?”
“না, মানে, তোমার যদি কোন কাজ পড়ে থাকে, তাইলে একটু সহায়তা হইত।”
“না, আমার কোন কাজের দরকার নাই। আমাদের ফিক্সড কাজের লোক আছে। সে সময়মত এসে সব করে দিয়ে যায়। এখন তুমি কি আসবা?”
“হ, জান, আইতেছি।” ফোনটা রেখে সব রাগ গিয়ে পড়ল বন্ধুর ওপর। গর্বভরে বললাম,
“দেখছস্, বেটা, দেখছস্, আমার গার্লফ্রেন্ড কোন লেভেলের! ব্যাটা তুই তোর গার্লফ্রেন্ডের সাথে আইছস আমার গার্লফ্রেন্ডের তুলনা দিতে। তোর কারণে আমি আমার জানুরে সন্দেহ করলাম। শুন্, তোর মধ্যে এমনিতেই একটা ছাগল ছাগল ভাব আছে। তাই তোর সাথে এমন জিএফই জুটব। আমি তোর মত ছাগল না যে , আমার এমন জিএফ জুটব।”
সে চুপ করে রইল। আমি বীরদর্পে শ্বশুরবাড়ি মানে জিএফের বাড়ি গেলাম। তার কিছুক্ষণ পর সেখান থেকে ঘামে ভেজা ক্লান্ত শরীরে বেরিয়ে এলাম। ওহ্, যথেষ্ট হয়েছে!
বাইরে এসেই দেখি গেটের সামনে আমার সেই বন্ধু দাঁড়িয়ে আছে। সে আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি মুচকি হাসছে। হাসতে হাসতে বলল,
“কি দোস্ত! ভালই তো মজা মারলা?”
আমি হাউমাউ করে কেঁদে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
“ভাইরে, আমি আর নাইরে!”
“কেন, কি হইছে?”
“ভাই, প্রথমে সে আমারে তার বেডরুমে নিয়া বসাইল। খুশি খুশি মনে বসলাম। কিছুক্ষণ পরেই সে খুশি উইড়া গেল। সে কি ভয়ানক দুর্গন্ধ! জিজ্ঞেস করাতে সে বলল এই দুর্গন্ধ নাকি তাদের টয়লেট থেকে আসতেছে। জিজ্ঞেস করলাম, হারপিক ইউজ করে কি না! সে বলল তাদের ফ্যামিলির কেউ নীল রং পছন্দ করে না, তাই তারা হারপিক ইউজ করে না। গন্ধ হইলেই পানি মারে। তাতেই নাকি কাজ হয়। ওর বাবা বাসায় থাকলে সেই পানি মারার কাজ করে। আমি তো মনে মনে এই মেন্টাল ফ্যামিলিরে গালির পর গালি দিতে লাগলাম।এই গন্ধে আবার বসে থাকাও যায় না। তাই ভাবলাম,এত কষ্ট করে আসছি, দুই বালতি পানি মেরে গন্ধ দূর করে তারপর জিএফের সাথে সময় কাটাব। গেলাম টয়লেটে। বহু বছর পর আবার বমি করলাম। তারপর আমি একে একে সাত বালতি পানি মারছি, গন্ধের কিছুই আসে যায় নাই। তারপরে আর দুই বালতি মাইরা আমি আর পারতেছিলাম না। রুমে আইসা ওর খাটে শুইলাম। সে বলল, জান, বাসার সবাই চলে আসতেছে, তুমি আজ যাও। তাই বের হইয়া আসলাম ভাই। আমার শরীরে আর দেয় না।”
তারপর বন্ধু একটি রিকশা ডেকে আমায় নিয়ে মেসে ফিরে এল।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কলামিষ্ট নিজাম গাজী ০১/০১/২০২১চমৎকার একটি গল্প। বেশ ভালো লেগেছে প্রিয়।
-
সাইদুর রহমান ০৫/০৮/২০১৯বেশ ভালো লিখেছেন।
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১৬/০৬/২০১৯এক্কেবারে দারুন কইছ দোস্ত ।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৬/২০১৯রম্য!
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১১/০৬/২০১৯ভালো লাগলো।