নীতিন ভাল নেই(তৃতীয় পর্ব)
হাসান মিয়া মানুষটা যে কেমন তা তার পরিবারের লোকেরাও ঠিকমত জানে না। কখনো তার আচরণ দেখলে মনে হয়, তার মত শান্ত ভালমানুষ আর দুইটি নেই, কখনো আবার চিৎকার করে সারা বাড়ি মাথায় তোলেন। মাসের মধ্যে দুইবার তার এই ভাব হয়। যখন তিনি রাগী ভাবে থাকেন, তখন যেকোন কথাতেই রেগে যান। এই যেমন ধরা যাক্, তাকে প্রশ্ন করা হলো, “দুপুরে কি খাবেন?” তিনি চোখ লাল করে প্রশ্নকর্তার দিকে এমনভাবে তাকাবেন যে মনে হবে তাকে মরার উপায় চয়েস করতে বলা হইছে। তারপর ষাঁড়ের মত চিৎকার করে বলবেন, “দুপুরে লোকে কি খায়? দুপুরে কি কেউ বিষ খায়? খায় না তো? দুপুরে লোকে যেটা খায় আমিও সেটাই খাব। আজাইরা পেচালের জায়গা পাওনা। আমি সব বুঝি। তোমরা সব কয়টা ফাঁকিবাজ.................................................।” এই একই কথা তাকে শান্তভাবে জিজ্ঞেস করলে তিনি উত্তর দিতেন, “দুপুরে কি খাব? আচ্ছা, বেশ আজ একটু ইন্টারেস্টিং টাইপ কিছু একটা হলে ভাল হয়। যেমন ধর, সবজি বিরিয়ানী আর মাটন রেজালা। খাবার মধ্যে একটা গবেষণা গবেষণা ভাব থাকবে!”
এই স্বভাব হাসান মিয়ার আজকের না। বলা যায় ছেলেবেলা থেকেই উনি এমন। কিন্তু এমন উদ্ভট স্বভাবের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও জীবনে তাকে সফলই বলা চলে। ঢাকা শহরে রমরমা ব্যবসা, অত্যাধুনিক বাড়ি আর বিদেশ পড়ুয়া দুই ছেলে এক মেয়ে সবই তার আছে।(চলবে)
এই স্বভাব হাসান মিয়ার আজকের না। বলা যায় ছেলেবেলা থেকেই উনি এমন। কিন্তু এমন উদ্ভট স্বভাবের মানুষ হওয়া সত্ত্বেও জীবনে তাকে সফলই বলা চলে। ঢাকা শহরে রমরমা ব্যবসা, অত্যাধুনিক বাড়ি আর বিদেশ পড়ুয়া দুই ছেলে এক মেয়ে সবই তার আছে।(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১২/০৯/২০১৮অসাধারণ ভাল লাগল।
-
রুমা চৌধুরী ১১/০৯/২০১৮তিনটে অংশ ই পড়লাম । পরবর্তী অংশের জন্য অপেক্ষা করছি।