নৃশংসতা এবং আজকের সমাজ
মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। দয়া-মায়া, স্নেহ-ভালোবাসা, আবেগ অনুভূতি সবকিছু মিলিয়ে একজন পরিপূর্ণ মানুষ। সেই মানুষ যখন নৃশংস হয়ে উঠে, সমাজ তাকে বর্বর বলে আখ্যায়িত করে। নৃশংসতা পৃথিবীর শুরু থেকেই চলে আসছে। এর কতিপয় ঘটনার দিকে দৃষ্টি ফেরালে দেখা যায় প্রতিটি নৃশংস ঘটনার পেছনের ইতিহাস কোন না ভাবে ঐ নৃশংসতাকে অনুপ্রাণিত করেছে। ক্ষমাশীলতার পাশাপাশি মানুষের অন্যতম একটি বৈশিষ্ট হলো প্রতিশোধ পরায়নতা। আর সেখানে তার প্রতিহিংসা ও অমানবিকতা যোগ হয়ে নৃশংসতায় রুপ নেয়। সে নৃশংসতার ধরণও আবার ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। সেটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নির্ভর করে তার পিছনের ঘটনার তীব্রতা এবং ঐ ব্যক্তির মানবিক মূল্যবোধের উপর। আজকের সমাজে যেসব নৃশংসতা ঘটছে তার জন্য আমরা সবসময় নৃসংশ ব্যক্তির উপর দোষারোপ করি এবং তার শাস্তি প্রদানের অর্থাৎ প্রতিশোধ গ্রহনের জন্য তীব্রতর আন্দোলন শুরু করি। কিন্তু আমরা পুরোপুরি ভূলে যাই যে, ঐ নৃশংস ঘটনার পেছনেও কোন না কোন প্রতিশোধ গ্রহনের স্পৃহা রয়েছে। আর তার সাথে যে অমানবিকতা যোগ হয়ে নৃশংসতার সূত্রপাত ঘটিয়েছে সেও আমাদের সমাজ থেকেই সৃষ্ট। আজকের দিনের নৃশংসতার প্রধান কারণ গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে অর্থ-সম্পত্তির লোভ এবং প্রেম-বিরহ। এসব ঘটনার পিছনের দিকে ফিরে তাকালে দেখা যাবে যে ব্যক্তি অর্থের কিংবা প্রাচুর্যের লোভে নৃশংসতার ঘটনা ঘটিয়েছে, সে কোন না কোনভাবে অর্থাভাবে মানসিকভাবে চরম আঘাতপ্রাপ্ত অথবা কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা/দুর্ঘটনা তার আর্থিক লালসাকে চরম রুপে পরিণত করেছে। দ্বিতীয়ত, প্রেম-ভালোবাসার কথা বলে মানুষের সাথে প্রতারণা আজকের সমাজের বড় একটি অংশকে গ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে। যা ১২ বছর বয়সী কিশোর/কিশোরী থেকে শুরু করে পঞ্চাশ বছরের বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকেও ছাড়িয়ে গেছে। এসব সম্পর্ক অধিকাংশ ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী হয়না এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কুফল বয়ে আনে। যার ফলস্বরুপ গভীর হতাশার জন্ম দেয় এবং একসময় ঐ ব্যক্তির মানসিকতায় আঘাত হানে এবং একসময় তা হিংস্রতা ও নৃশংসতায় রুপ নেয়।
পরিশেষে, নৃশংসতা কোন সমাধান নয়। আমাদের সমাজকে রক্ষার্থে আমাদের সবাইকে সবসময় মনে রাখতে হবে, নৃশংসতা, বর্বরতা কোন সভ্য সমাজের মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। আসুন সবাই মিলে সমাজকে কলুষতা মুক্ত রাখতে প্রচেষ্টা চালাই এবং বর্বরতা রুখে দেই।
----সাইফুল ইসলাম
এডমিন,
বিডলুকস্ টুয়েন্টিফোর ডটকম
পরিশেষে, নৃশংসতা কোন সমাধান নয়। আমাদের সমাজকে রক্ষার্থে আমাদের সবাইকে সবসময় মনে রাখতে হবে, নৃশংসতা, বর্বরতা কোন সভ্য সমাজের মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। আসুন সবাই মিলে সমাজকে কলুষতা মুক্ত রাখতে প্রচেষ্টা চালাই এবং বর্বরতা রুখে দেই।
----সাইফুল ইসলাম
এডমিন,
বিডলুকস্ টুয়েন্টিফোর ডটকম
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আনিসা নাসরীন ৩১/১০/২০১৬সচেতনতা বাড়াতে হবে। পরিবারকে আরো সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।