সাংবাদিকতা এবং আমাদের সমাজ
ঘটনা-১
সেদিন বিকেলে এক দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একজন স্থানীয় সরকারদলীয় নেতা এসে পাশের দোকানে নামলেন। সাথে আমাদের সাংবাদিক নেতা জহির ভাই(ছদ্মনাম), মানে আমাদের স্থানীয় প্রেসক্লাবের শীর্ষ পদস্থদের একজন। আমি ছোটখাট সাংবাদিকতা করি তাই তাকে ভালভাবে চিনতে পারলাম। নেতা আমার দিকে না তাকালেও জহির ভাই তাকাচ্ছিলেন বারবার। আমার যতটুকু মনে হল জহির ভাই আমাকে দেখে একটু বিব্রত বোধ করছিলেন। এর কারণ হিসেবে আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি একবার এক ক্রাইম রিপোর্ট নিয়ে জহির ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম সেটির ভালোমন্দ বিষয় আলোচনার জন্য। প্রতিবেদনটি ছিল নেতার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট ভাইয়ের অবৈধভাবে সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর। প্রতিবেদনটি দেখে জহির ভাই বলেছিলেন, আমি এ ব্যপারটি অনেক আগেই শুনেছি, সময়-সুযোগ হলেই ব্যবস্থা নেব। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার জাহির ভাইয়ের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি। আমি নেতার কাছে গিয়ে সালাম দিতেই জহির ভাই মুখ ঘুরিয়ে সড়ে দাঁড়ালেন। এরপর নেতা আমাকে সহ আশেরপাশের আরও দুই তিনজনকে চা খাইয়ে বিদায় হলেন। এই গেল সরকার দলীয় নেতার সাথে একজন সাংবাদিকের সম্পর্ক।
ঘটনা-২
এর কিছুদিন পর একদিন আমি আমার এক ব্যক্তিগত কাজে জহির ভাইয়ের বাসায় বাসায় গেলাম। তখন রাত প্রায় দশটা। আমার আশে-পাশের সাংবাদিকদের থেকে প্রায়ই শুনতাম জহির ভাইয়ের নাকি অনেক বড় বড় জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনেক বড় বড় লোকদের সাথে উঠাবসা করেন। ওনি চাইলেই নাকি কাউকে সাংবাদিক বানিয়ে দিতে পারেন। সব মিলিয়ে ওনি একজন ব্যস্ত মানুষ। আমাকে দেখে প্রথমে একটু ভ্রু কুচকালেও ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা তুলতেই ওনি খুশি।
গেষ্ট রুমে বসে চা খাচ্ছিলাম আর কথা বলছিলাম। এমন সময় কলিংবেল এর শব্দ দরজা খুলতেই ভিতরে ঢুকলেন একজন বিরোধীদলীয় উচ্চপদস্থ নেতা। ওনাকে দেখেই আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। সেদিন সকাল এগারটার সময় আমার ফোনে একটি কল আসে। ফোনটি আমাকে এই নেতাই করেছিলেন,
সেদিন বিকেলে এক দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম একজন স্থানীয় সরকারদলীয় নেতা এসে পাশের দোকানে নামলেন। সাথে আমাদের সাংবাদিক নেতা জহির ভাই(ছদ্মনাম), মানে আমাদের স্থানীয় প্রেসক্লাবের শীর্ষ পদস্থদের একজন। আমি ছোটখাট সাংবাদিকতা করি তাই তাকে ভালভাবে চিনতে পারলাম। নেতা আমার দিকে না তাকালেও জহির ভাই তাকাচ্ছিলেন বারবার। আমার যতটুকু মনে হল জহির ভাই আমাকে দেখে একটু বিব্রত বোধ করছিলেন। এর কারণ হিসেবে আমার যতটুকু মনে পড়ে আমি একবার এক ক্রাইম রিপোর্ট নিয়ে জহির ভাইয়ের কাছে গিয়েছিলাম সেটির ভালোমন্দ বিষয় আলোচনার জন্য। প্রতিবেদনটি ছিল নেতার দ্বিতীয় স্ত্রীর ছোট ভাইয়ের অবৈধভাবে সরকারি বিদ্যুৎ ব্যবহারের উপর। প্রতিবেদনটি দেখে জহির ভাই বলেছিলেন, আমি এ ব্যপারটি অনেক আগেই শুনেছি, সময়-সুযোগ হলেই ব্যবস্থা নেব। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার জাহির ভাইয়ের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার হয়নি। আমি নেতার কাছে গিয়ে সালাম দিতেই জহির ভাই মুখ ঘুরিয়ে সড়ে দাঁড়ালেন। এরপর নেতা আমাকে সহ আশেরপাশের আরও দুই তিনজনকে চা খাইয়ে বিদায় হলেন। এই গেল সরকার দলীয় নেতার সাথে একজন সাংবাদিকের সম্পর্ক।
ঘটনা-২
এর কিছুদিন পর একদিন আমি আমার এক ব্যক্তিগত কাজে জহির ভাইয়ের বাসায় বাসায় গেলাম। তখন রাত প্রায় দশটা। আমার আশে-পাশের সাংবাদিকদের থেকে প্রায়ই শুনতাম জহির ভাইয়ের নাকি অনেক বড় বড় জাতীয় দৈনিক পত্রিকা এবং এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অনেক বড় বড় লোকদের সাথে উঠাবসা করেন। ওনি চাইলেই নাকি কাউকে সাংবাদিক বানিয়ে দিতে পারেন। সব মিলিয়ে ওনি একজন ব্যস্ত মানুষ। আমাকে দেখে প্রথমে একটু ভ্রু কুচকালেও ব্যবসায়িক বিষয় নিয়ে আলোচনা তুলতেই ওনি খুশি।
গেষ্ট রুমে বসে চা খাচ্ছিলাম আর কথা বলছিলাম। এমন সময় কলিংবেল এর শব্দ দরজা খুলতেই ভিতরে ঢুকলেন একজন বিরোধীদলীয় উচ্চপদস্থ নেতা। ওনাকে দেখেই আমার একটি ঘটনা মনে পড়ে গেল। সেদিন সকাল এগারটার সময় আমার ফোনে একটি কল আসে। ফোনটি আমাকে এই নেতাই করেছিলেন,
-হ্যালো, আসাদ(ছদ্মনাম) ভাই বলছেন।
-জ্বি, বলছি। আপনি কে?
-আমি, সালাম(ছদ্মনাম) । আজ বিকালে আমাদের একটি সংবাদ সম্মেলন আছে আপনি কি আসতে পারবেন?
-আমার ক্যামেরাটাতে একটু সমস্যা আছে, চেষ্টা করে দেখবো যদি কোন ব্যবস্থা করতে পারি তাহলে আসবো।
তার পর আমি এ বিষয়ে জহির ভাইয়ের কাছে ক্যামেরা ধার চাইতে গেলে ওনি বলেছিলেন, দেশের যা পরিস্থিতি এমন সময় এসব থেকে দূরে থাকাই ভালো। এরপর আমার আর ওই প্রোগ্রামে যাওয়া হয়নি।
সালাম ভাই ঘরে প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের উভয়কে সালাম দিয়ে বসলেন। এরপর সাথে করে আনা একখন্ড কাগজে লেখা একটি নোটিশের কপি জহির ভাইয়ের হাতে দিয়ে বললেন, সভাপতি সাহেব (বিরোধী দলের উপজেলা কমিটির) আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিটি সংবাদ আকারে প্রকাশ করার ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আর খরচ যা হয় ওনি আপনার মোবাইলে পাঠিয়ে দিবেন। তখন রাত প্রায় সাড়ে দশটা। পরবর্তীতে সংবাদটি ছাপা হয়েছিলো কিনা তা আমি আর খোঁজ নিতে পারিনি।
এখন পাঠকদের নিকট বিবেচনায় দায়, সাংবাদিক নেতা জহির ভাই আমাদের সমাজের জন্য কতটা উপকারী?
সালাম ভাই ঘরে প্রবেশ করে প্রথমেই আমাদের উভয়কে সালাম দিয়ে বসলেন। এরপর সাথে করে আনা একখন্ড কাগজে লেখা একটি নোটিশের কপি জহির ভাইয়ের হাতে দিয়ে বললেন, সভাপতি সাহেব (বিরোধী দলের উপজেলা কমিটির) আপনাকে সালাম জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিটি সংবাদ আকারে প্রকাশ করার ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আর খরচ যা হয় ওনি আপনার মোবাইলে পাঠিয়ে দিবেন। তখন রাত প্রায় সাড়ে দশটা। পরবর্তীতে সংবাদটি ছাপা হয়েছিলো কিনা তা আমি আর খোঁজ নিতে পারিনি।
এখন পাঠকদের নিকট বিবেচনায় দায়, সাংবাদিক নেতা জহির ভাই আমাদের সমাজের জন্য কতটা উপকারী?
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১১/০৫/২০১৬লিখুন সমাজ সংস্কারক বিষয়ে!
-
সৈয়দ আলি আকবর, ১১/০৩/২০১৬একমত
-
এম. আশিকুর রহমান ০২/০৩/২০১৬ভাবনা জাগানিয়া।
-
আসাদুজ্জামান নূর ০১/০৩/২০১৬awsome
-
pradip kumar ray ২৬/০২/২০১৬আপনাদের কাছে যা ওপার বাংলা বা ভারত, সে সম্পর্কে খোলাখুলি লিখুন না,
-
রাকিব চৌধুরী ২৩/০২/২০১৬বিষয়টা অনেক ভাবার
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ২৩/০২/২০১৬ভাবার বিষয় বটে ।
-
প্রদীপ কুমার রায় ২৩/০২/২০১৬এ ব্ড় কঠিন প্রশ্ন। সব দেশে, সব সমইয় এদের আনাগোনা। আমাদের এখানে ও এক ই চিত্র। মন্তব্য করা মুসকিল।
-
এস, এম, আরশাদ ইমাম ২২/০২/২০১৬৪৯%।রাজনীতির বোলচাল বুঝা যাবে। তবে ধান্দাবাজীও পরিস্কার রূপে প্রতিভাত হবে।