ঘোড়ায় চড়া
রাত দুপুরে চমকে গিয়ে
বসলাম আমি উঠে,
খোকন সোনার বায়না যখন
চড়বে ঘোড়ার পিঠে।
চার বছরের সোনামণির
বায়নার কেমন শ্রী,
গত রাতে বলে কি-না
খাবে এখন বিড়ি।
গালে-পেটে চুমু দিয়ে
বললাম বাবা ভাবো,
এমন গভীর আঁধার রাতে
ঘোড়া কোথায় পাবো?
চকলেট,ললি, সন্দেস আছে
কোনটা খাবে বলো,
তবু যদি লক্ষ্যি বাবা
ঘোড়ার কথা ভোলো!
চকলেট ললি খাই না আমি
তোর বাপের মাথা খাই,
রাত্রি এখন যয়টা বাজুক
ঘোড়ায় চড়া চাই।
কাঁথা বালিশ ছুঁড়লো খুবই
থামতো যদি তাও,
গাজী-কালুর নামে দিতাম
লাল মোরগের ছাও।
বললাম বাবা কেউ জেগে নেই
এখন অনেক রাত,
কাল সকালে গরুর পিঠে
চড়াবো নির্ঘাত।
মা বুঝালো সোনা, যাদু
ঘোড়া যে নেই ঘরে,
অমনি ছেলে গানের সুরে
চেঁচায় গলা ছেড়ে।
বউটা ভেজায় রেগে গিয়ে
বলল কিছু করো,
ঘোড়ার মতো তাও-বা যদি
কিছু আনতে পারো।
রাত দুপুরে ঘরের মধ্যে
খুঁজে বেড়াই ঘোড়া,
বুদ্ধির জোরে এনে দিলাম
বসার একটি মোড়া।
মায়ের মত মেজাজ পাঁকা
মারলো মুখে ছুঁড়ে,
স্বাভাবমতে দাড়িয়ে ছিলাম-
আমি একটু দূরে।
এত্তটুকু ছেলে তবু
বদের কেমন শেষ!
মায়ের সকল গুনাগুণে
ফটোকপি বেশ।
বুদ্ধি ঘেটে অবশেষে
ধরে বললাম হুলো,
ছোট্ট বয়সে এমন থাকে
সকল ঘোড়াগুলো।
ঘোড়া দেখে সোনার ছেলে
হলো বুঝি খুশি,
বললো বাবা তবে আমি-
পিঠে চড়ে বসি।
হুলো বিড়াল পালিয়ে গেল
ধরলো যখন লেজ,
ভাবছি অদম এট্টু ছোঁড়ার
গলায় কেমন তেজ!
বললাম বাবা আর কাঁদে না
একটু থামো তাও,
আস্তো ঘোড়া নাও মিলিলে
আনবো ঘোড়ার ছাও।
নিজের মাথার কর্মগুণে
বুদ্ধি গেল খেলে,
সোনামণির কান্না থামবে
কেমন ঘোড়া পেলে।
পাশের বাড়ির মুন্সি কাকার
অনেক ছাগল ভেড়া,
একটা ছাগাল এনে মিটাই
ছেলের ঘোড়ায় চড়া।
যেমন ভাবনা তেমন-ই কাজ
কিছুতে নাই দেরি,
গোয়াল ঘেটে হাতে নিলাম
রাম ছাগলের দঁড়ি।
মুন্সি কাকা শুয়ে ছিল
গোয়াল ঘরের পাশে,
চুরি করার অনভ্যাসে
দিলাম জোরে কেঁশে।
মুন্সি কাকা লুঙ্গি খোলে,
লুঙ্গি আবার পরে,
ফ্যাস ফ্যাসিয়ে বলল-
বেটা এত রাতে কে রে!
মুন্সি কাকার মস্তো কুকুর
আসল আমায় তেড়ে,
চাগিয়ে কাপড় দিলাম ভাগা
গায়ের যত্তো জোড়ে।
বৌটা আমার দুঃখে কাঁদে
“কপাল খুবই পোড়া,
তা-না হলে কেমনে ঝুটে
আমি ছাগার চোরা।”
ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করি
পাঁজি ছোঁড়ার মাকে,
ঘোড়ার পিঠে মানুষ পড়ে
কে শিখালো তাকে?
রাজার ছেলে চাঁদে যাবে
পঙ্খিরাজে চড়ে,
এই কথা সে সন্ধ্যারাতে
রোজ-ই বই-এ পড়ে।
চমকিও না ছড়া পড়ে
বন্ধু-সুধি সবে,
খোকন আমার হয় নি আজও,
তবে ভবিষ্যতে হবে।
বসলাম আমি উঠে,
খোকন সোনার বায়না যখন
চড়বে ঘোড়ার পিঠে।
চার বছরের সোনামণির
বায়নার কেমন শ্রী,
গত রাতে বলে কি-না
খাবে এখন বিড়ি।
গালে-পেটে চুমু দিয়ে
বললাম বাবা ভাবো,
এমন গভীর আঁধার রাতে
ঘোড়া কোথায় পাবো?
চকলেট,ললি, সন্দেস আছে
কোনটা খাবে বলো,
তবু যদি লক্ষ্যি বাবা
ঘোড়ার কথা ভোলো!
চকলেট ললি খাই না আমি
তোর বাপের মাথা খাই,
রাত্রি এখন যয়টা বাজুক
ঘোড়ায় চড়া চাই।
কাঁথা বালিশ ছুঁড়লো খুবই
থামতো যদি তাও,
গাজী-কালুর নামে দিতাম
লাল মোরগের ছাও।
বললাম বাবা কেউ জেগে নেই
এখন অনেক রাত,
কাল সকালে গরুর পিঠে
চড়াবো নির্ঘাত।
মা বুঝালো সোনা, যাদু
ঘোড়া যে নেই ঘরে,
অমনি ছেলে গানের সুরে
চেঁচায় গলা ছেড়ে।
বউটা ভেজায় রেগে গিয়ে
বলল কিছু করো,
ঘোড়ার মতো তাও-বা যদি
কিছু আনতে পারো।
রাত দুপুরে ঘরের মধ্যে
খুঁজে বেড়াই ঘোড়া,
বুদ্ধির জোরে এনে দিলাম
বসার একটি মোড়া।
মায়ের মত মেজাজ পাঁকা
মারলো মুখে ছুঁড়ে,
স্বাভাবমতে দাড়িয়ে ছিলাম-
আমি একটু দূরে।
এত্তটুকু ছেলে তবু
বদের কেমন শেষ!
মায়ের সকল গুনাগুণে
ফটোকপি বেশ।
বুদ্ধি ঘেটে অবশেষে
ধরে বললাম হুলো,
ছোট্ট বয়সে এমন থাকে
সকল ঘোড়াগুলো।
ঘোড়া দেখে সোনার ছেলে
হলো বুঝি খুশি,
বললো বাবা তবে আমি-
পিঠে চড়ে বসি।
হুলো বিড়াল পালিয়ে গেল
ধরলো যখন লেজ,
ভাবছি অদম এট্টু ছোঁড়ার
গলায় কেমন তেজ!
বললাম বাবা আর কাঁদে না
একটু থামো তাও,
আস্তো ঘোড়া নাও মিলিলে
আনবো ঘোড়ার ছাও।
নিজের মাথার কর্মগুণে
বুদ্ধি গেল খেলে,
সোনামণির কান্না থামবে
কেমন ঘোড়া পেলে।
পাশের বাড়ির মুন্সি কাকার
অনেক ছাগল ভেড়া,
একটা ছাগাল এনে মিটাই
ছেলের ঘোড়ায় চড়া।
যেমন ভাবনা তেমন-ই কাজ
কিছুতে নাই দেরি,
গোয়াল ঘেটে হাতে নিলাম
রাম ছাগলের দঁড়ি।
মুন্সি কাকা শুয়ে ছিল
গোয়াল ঘরের পাশে,
চুরি করার অনভ্যাসে
দিলাম জোরে কেঁশে।
মুন্সি কাকা লুঙ্গি খোলে,
লুঙ্গি আবার পরে,
ফ্যাস ফ্যাসিয়ে বলল-
বেটা এত রাতে কে রে!
মুন্সি কাকার মস্তো কুকুর
আসল আমায় তেড়ে,
চাগিয়ে কাপড় দিলাম ভাগা
গায়ের যত্তো জোড়ে।
বৌটা আমার দুঃখে কাঁদে
“কপাল খুবই পোড়া,
তা-না হলে কেমনে ঝুটে
আমি ছাগার চোরা।”
ধমক দিয়ে জিজ্ঞেস করি
পাঁজি ছোঁড়ার মাকে,
ঘোড়ার পিঠে মানুষ পড়ে
কে শিখালো তাকে?
রাজার ছেলে চাঁদে যাবে
পঙ্খিরাজে চড়ে,
এই কথা সে সন্ধ্যারাতে
রোজ-ই বই-এ পড়ে।
চমকিও না ছড়া পড়ে
বন্ধু-সুধি সবে,
খোকন আমার হয় নি আজও,
তবে ভবিষ্যতে হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সৈয়দ আলি আকবর, ২৮/০২/২০১৬অনেক সুন্দর
-
নূরুজ্জামান নাঈম ২১/১১/২০১৫ঘোড়া তবে কিনতে হবে
গড়তে হবে শালা,
ছাও হইলে বাড়বে না হয়
ঘুম পাড়ানোর জ্বালা।......... বেশতো। -
মোবারক হোসেন ১০/০৬/২০১৫দম আছে আপনার।
-
রইস উদ্দিন খান আকাশ ২০/০৪/২০১৫বেশ মজার ছড়া। চমৎকার হয়েছে
-
বদরুজ্জামান ১৮/০৪/২০১৫ভাল লাগলো
-
আনন্দ মোহন বিশ্বাস ১৬/০৪/২০১৫সত্যি সুন্দর
-
স্বপন রোজারিও(১) ১৬/০৪/২০১৫চমৎকার।
-
তন্ময় কুন্ডু ১৬/০৪/২০১৫অসম্ভব সুন্দর কবিতা।