শঠতাপূর্ণ দেশপ্রেমিক
আমাদের দেশে দুই রকম শঠতাপূর্ণ দেশপ্রেমিক আছে। এক হচ্ছে পাকিস্তান প্রেমি কিছু জামায়েত-ই ইসলামী (বর্তমান প্রজন্ম যারা জামাত করেছে তাদেরকে রেহাই দিচ্ছি) আর দ্বিতীয় হচ্ছে ভারত প্রেমি কিছু ধর্মান্দ হিন্দু লোক (আমি পুরা সম্প্রদায়কে ইঙ্গিত করছি না।)। শঠতাপূর্ণ দেশ প্রেম বলছি কারণ জামাতিরা মনে প্রাণে যেমন বাংলাদেশের গৌরবে উজ্জিবিত হতে চায় না। আবার সামাজিক সৌজন্যবোধের খাতিরেও আমি এরা কখনো বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস অথবা ২১ শে ফেব্রুয়ারীর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের দৃষ্টান্ত রাখেনি। কিন্তু তারাও মুখে মুখে দেশ ও স্বাভৌমপ্রীতির ধামাঢোল বাজায়।
পাশাপাশি কিছু ধর্মান্দ হিন্দু লোক আছে যারা এদেশের কাদা মাটিতে মানুষ হয়েও মনটা পরে থাকে ভারতে। আমার প্রিয় হিন্দু বন্ধুদের ভুল বোঝার কোন কারনই নেই। কারণ দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে অসংখ্য হিন্দু ভাইয়েরা প্রাণ বির্জন করেছেন। শুধু তাই না বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিল হিন্দধর্মাবলম্বীরা। এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবি যিনি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন তিনিও সনাতনধর্মালম্বী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
একটা উদাহরণ দিয়েই শেষ করতে চাই । ১৯ মার্চ। বাংলাদেশ-ভারত যখন ম্যাচ চলছিল। আমার জানামতে দেশের প্রায় সব লোকই আবাল-বৃদ্ধ,ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বাংলার টাইগারদের সাথে হেসেছে,নেচেছে আবার কেদেছেও। টিভিতে ইউনিভারসিটির ছেলেমেয়েদের চিৎকার আমার এখনো কানে বাজে। "আমরা ফাইনাল খে--ল--ব--ই ..."। কিন্তু আমার এক সহকর্মীর কথা বলছি। যিনি আমাদের আনন্দে আনন্দিত হতে পারেনি।
আমাদে অফিসে সেদিন খেলা দেখার ব্যবস্থা ছিল। ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পতনে আমরা যখন চিৎকার চেচামেচি করছিলাম তখন তার মনের কষ্ট আর মনের ভিতর চাপা থাকে নি। তার মুখটিতে বিরক্তির কালিমা লেপিত হয়ছিল। আমাদের উল্লাস তার কাছে অসহ্য লেগেছে। তাই টিভি রুম থেকে বের হয়ে নিজের ডেক্সে গিয়ে আপন কজকর্মে ব্যস্ত থেকেছে। আবার যখন আমাদে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে ঠিক তখনই তার মুখে শীতের সকালের মিষ্টি রোদের কিরণ বিচ্ছুরিত হয়েছে। এটা আমাদের কম্য হতে পারে না। কোন কারণে আমরা টিভি রুমের বাইরে গেলে ফিরে এসে প্রশ্ন করতাম "উইকেট কয়টা পরছে?" আর তার প্রশ্নটা এরকম ছিল "উইকেট পরছে না-কি?"। আমার ধারণা তার অভিব্যক্তি সবাইকে আহত করছে কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেনি। কারণ এর প্রতিবাদের ভাষা কি হতে পারে তা হয়তো কারও জানা ছিল না। কিন্তু তার কাছেও তো দেশপ্রেমের কৌশল শিখতে হয়। আমি শুধু এই টাইপের যারা আছে তাদের কবি আব্দুল হাকিমের লেখা সেই চারণটি মনে করিয়ে দিতে চাই। "যে জন বঙ্গেতে বসত করে হিংসে বঙ্গবাণী/সেজন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
পাশাপাশি কিছু ধর্মান্দ হিন্দু লোক আছে যারা এদেশের কাদা মাটিতে মানুষ হয়েও মনটা পরে থাকে ভারতে। আমার প্রিয় হিন্দু বন্ধুদের ভুল বোঝার কোন কারনই নেই। কারণ দেশ প্রেমে উজ্জীবিত হয়ে অসংখ্য হিন্দু ভাইয়েরা প্রাণ বির্জন করেছেন। শুধু তাই না বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ছিল হিন্দধর্মাবলম্বীরা। এবং বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবি যিনি প্রথম উত্থাপন করেছিলেন তিনিও সনাতনধর্মালম্বী ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত।
একটা উদাহরণ দিয়েই শেষ করতে চাই । ১৯ মার্চ। বাংলাদেশ-ভারত যখন ম্যাচ চলছিল। আমার জানামতে দেশের প্রায় সব লোকই আবাল-বৃদ্ধ,ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে বাংলার টাইগারদের সাথে হেসেছে,নেচেছে আবার কেদেছেও। টিভিতে ইউনিভারসিটির ছেলেমেয়েদের চিৎকার আমার এখনো কানে বাজে। "আমরা ফাইনাল খে--ল--ব--ই ..."। কিন্তু আমার এক সহকর্মীর কথা বলছি। যিনি আমাদের আনন্দে আনন্দিত হতে পারেনি।
আমাদে অফিসে সেদিন খেলা দেখার ব্যবস্থা ছিল। ভারতের দ্বিতীয় উইকেট পতনে আমরা যখন চিৎকার চেচামেচি করছিলাম তখন তার মনের কষ্ট আর মনের ভিতর চাপা থাকে নি। তার মুখটিতে বিরক্তির কালিমা লেপিত হয়ছিল। আমাদের উল্লাস তার কাছে অসহ্য লেগেছে। তাই টিভি রুম থেকে বের হয়ে নিজের ডেক্সে গিয়ে আপন কজকর্মে ব্যস্ত থেকেছে। আবার যখন আমাদে কপালে দুঃশ্চিন্তার ভাজ পড়েছে ঠিক তখনই তার মুখে শীতের সকালের মিষ্টি রোদের কিরণ বিচ্ছুরিত হয়েছে। এটা আমাদের কম্য হতে পারে না। কোন কারণে আমরা টিভি রুমের বাইরে গেলে ফিরে এসে প্রশ্ন করতাম "উইকেট কয়টা পরছে?" আর তার প্রশ্নটা এরকম ছিল "উইকেট পরছে না-কি?"। আমার ধারণা তার অভিব্যক্তি সবাইকে আহত করছে কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারেনি। কারণ এর প্রতিবাদের ভাষা কি হতে পারে তা হয়তো কারও জানা ছিল না। কিন্তু তার কাছেও তো দেশপ্রেমের কৌশল শিখতে হয়। আমি শুধু এই টাইপের যারা আছে তাদের কবি আব্দুল হাকিমের লেখা সেই চারণটি মনে করিয়ে দিতে চাই। "যে জন বঙ্গেতে বসত করে হিংসে বঙ্গবাণী/সেজন কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০৪/০৪/২০১৫ভালো বলেছেন।
-
সৈয়দ আলি আকবর, ২৩/০৩/২০১৫আপনার লেখা অনেক সুন্দর হয়েছে
-
সবুজ আহমেদ কক্স ২২/০৩/২০১৫হ সত্য কথা '
দারুন লিখেছেন -
পরিতোষ ভৌমিক ২০/০৩/২০১৫জননী জন্মভূমিশ্চঃ স্বর্গাদপী গরিয়শী..................