অন্তর্দহন
এতটুকু সময়ে কম দেখিনি। সম্মুখীন হয়েছি অনেক কন্টকাকীর্ণ পথের। ঢুকেছি অনেক বাধার জালে। কিন্তু মন কখনও বিগড়ে যায়নি। মনকে সবসময় সাহসের জালে আটকে রেখেছি। ফন্দি এটেছি বিভিন্ন কৌশলের। বীরের বেশে পেড়িয়েছি বহুত কন্টকময় পথ। গ্রামের সেই বন্দিশালায় পড়ার মুহুর্তেও মনকে জানালা দিয়ে বাতাসের নিমন্ত্রণে মিশতে দিয়েছি।। সুযোগ দিয়েছি বাধন গড়ার। অাসলে ঠিক তাই হয়েছে। বাধন গড়েছে তবে আমার দিক থেকে ভাসাই রেখেছি। জন্মেছিলুম স্বাধীনতার সেই লোমহর্ষক বন্যার অনেক পর। সে বন্যা আমার নিজ দর্পনে দেখিনি। তবে মায়ের মুখের শোনা কথা পুষেছি অন্তরে। আর আজ সরল রেখায় বক্রব্যাথা আমার হৃদয়ের মাঝে শোরগোল বাধাচ্ছে। তবে সে শোরগোল কাউকে সঁপে দেবার নয়। মনের মাঝে বারবার শেলের আগাধ হানছে। ধ্বংস করছে ছিড়ছে বুক, ঝড়ছে নয়নাশ্রু। কি যে হয়েছে কোন উত্তর খুজে পাচ্ছিনা।
তবে প্রশ্ন আছে। এ কেন? ক্লাস সিক্স থেকে জীবনটা ছিল প্রাইভেটময়। সূর্যকে ফাকি দিয়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হতাম। মনটা বেশ প্রফুল্ল থাকত। তখন বয়স তেমন একটা বেশী না হলেও বটগাছের তলায় যাওয়া শিখেছি। গোলাপ ফুলকে পছন্দ করতে শিখেছি। ভালবাসতে শিখেছি আপন হৃদয়ে। সময়টা দুর্বার গতিতে মিতালীর আভাসে ভালই চলত। জীবনের মধ্যে কারও অঙ্কুরোদগম ঘটতেছে। আমিও সে সূচনালগ্নকে ভালবাসার আস্তরণে বেড়ে উঠতে দিয়েছি। আস্তে আস্তে বড় হয়ে পাপঁড়ি ছড়াতে লাগলো। আমিও সে পাপঁড়ির মাঝে নিজেকে জড়িয়ে নিলাম। জীবনের নয়া অতিথীকে স্বাগত জানাতে ভালই লাগল। এভাবে চলতে লাগল বেশ সুদীর্ঘ সময়। মুহুর্তগুলো আস্তে আস্তে মধুময় হতে লাগল। একেক দিনকে মনে হতে লাগল স্বল্প সময়। পৃথিবীর সব কিছুই তখন ভাল লাগতে শুরু করল। মনে হয় সবাই আপন কুটিরের অধিবাসী। তাইতো কবিতার ছন্দে বলে বেড়াই....
নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটলে
সব কিছু হয় রঙ্গিন
জীবনে তখন বেজে ওঠে ঢেউ
হয়ে যায় সৌখিন
তাই এহেন মুহুর্ত আমার জন্য আনন্দের বান নিয়ে আসল। আমিও সে বানে সাতার কেটে সময়গুলো ভালই অতিবাহিত করতে লাগলাম। সময়ের চলন্ত মশাল ধরে সামনে এগুতে থাকি। গোলাপ দিন দিন তার রঙ্গিন পাপঁড়ির মায়াবী সতেজ পাতার আকর্ষণের বাধনে অাটকাতে লাগলো। তবে সে মুহুর্তটাও ছিল আকর্ষণে আটকে যাবার। কিন্তু অামার মতে ব্যক্তিগত একটু ভিন্নতা রেখেছি। অবশ্য বুঝতে দেইনি। মনে ঘাটতি থাকলেও উপস্থিত ভালবাসা পাপঁড়ি তার সতেজতা ফিরে পেত। পরে এমন একটা সময় আসতে লাগলো যে, পাপঁড়ি ঝরে যাবার উপক্রম হতে চলছে। সে সতেজতা হারিয়ে শিকড় বিহীন তরুর মত ঢলে পড়তে শুরু করল কিন্তু আমি পড়িনি। আমি বিগড়ে যাইনি। আমি মনকে পাষাণ করে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু আজ একি! পিপাসার তৃষ্ণায় শত শত মাইল অতিক্রম করে গঞ্জ ছেড়ে এসেছি শহুরে হতে। গোলাপের পাপঁড়ি খুবই পরিচিত। তবে এ পাপঁড়ি কেন জানি আলাদা রং ছড়ায়। তাই অল্প সময়ে, অল্প পরিচয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি সহস্র পথের চৌমাথায়। তবে ভাবিনি যে, এ পাপঁড়ি শিকলবিহীন পা বাধা, অনে্যর বাগানে সুবাস ছড়ায়।
তবে প্রশ্ন আছে। এ কেন? ক্লাস সিক্স থেকে জীবনটা ছিল প্রাইভেটময়। সূর্যকে ফাকি দিয়ে ঘুম থেকে জাগ্রত হতাম। মনটা বেশ প্রফুল্ল থাকত। তখন বয়স তেমন একটা বেশী না হলেও বটগাছের তলায় যাওয়া শিখেছি। গোলাপ ফুলকে পছন্দ করতে শিখেছি। ভালবাসতে শিখেছি আপন হৃদয়ে। সময়টা দুর্বার গতিতে মিতালীর আভাসে ভালই চলত। জীবনের মধ্যে কারও অঙ্কুরোদগম ঘটতেছে। আমিও সে সূচনালগ্নকে ভালবাসার আস্তরণে বেড়ে উঠতে দিয়েছি। আস্তে আস্তে বড় হয়ে পাপঁড়ি ছড়াতে লাগলো। আমিও সে পাপঁড়ির মাঝে নিজেকে জড়িয়ে নিলাম। জীবনের নয়া অতিথীকে স্বাগত জানাতে ভালই লাগল। এভাবে চলতে লাগল বেশ সুদীর্ঘ সময়। মুহুর্তগুলো আস্তে আস্তে মধুময় হতে লাগল। একেক দিনকে মনে হতে লাগল স্বল্প সময়। পৃথিবীর সব কিছুই তখন ভাল লাগতে শুরু করল। মনে হয় সবাই আপন কুটিরের অধিবাসী। তাইতো কবিতার ছন্দে বলে বেড়াই....
নতুন দিগন্তের উন্মেষ ঘটলে
সব কিছু হয় রঙ্গিন
জীবনে তখন বেজে ওঠে ঢেউ
হয়ে যায় সৌখিন
তাই এহেন মুহুর্ত আমার জন্য আনন্দের বান নিয়ে আসল। আমিও সে বানে সাতার কেটে সময়গুলো ভালই অতিবাহিত করতে লাগলাম। সময়ের চলন্ত মশাল ধরে সামনে এগুতে থাকি। গোলাপ দিন দিন তার রঙ্গিন পাপঁড়ির মায়াবী সতেজ পাতার আকর্ষণের বাধনে অাটকাতে লাগলো। তবে সে মুহুর্তটাও ছিল আকর্ষণে আটকে যাবার। কিন্তু অামার মতে ব্যক্তিগত একটু ভিন্নতা রেখেছি। অবশ্য বুঝতে দেইনি। মনে ঘাটতি থাকলেও উপস্থিত ভালবাসা পাপঁড়ি তার সতেজতা ফিরে পেত। পরে এমন একটা সময় আসতে লাগলো যে, পাপঁড়ি ঝরে যাবার উপক্রম হতে চলছে। সে সতেজতা হারিয়ে শিকড় বিহীন তরুর মত ঢলে পড়তে শুরু করল কিন্তু আমি পড়িনি। আমি বিগড়ে যাইনি। আমি মনকে পাষাণ করে রাখতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু আজ একি! পিপাসার তৃষ্ণায় শত শত মাইল অতিক্রম করে গঞ্জ ছেড়ে এসেছি শহুরে হতে। গোলাপের পাপঁড়ি খুবই পরিচিত। তবে এ পাপঁড়ি কেন জানি আলাদা রং ছড়ায়। তাই অল্প সময়ে, অল্প পরিচয়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছি সহস্র পথের চৌমাথায়। তবে ভাবিনি যে, এ পাপঁড়ি শিকলবিহীন পা বাধা, অনে্যর বাগানে সুবাস ছড়ায়।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সবুজ আহমেদ কক্স ১৯/০১/২০১৫
-
অ ০৬/০১/২০১৫সুন্দর লেখা ।
ভাল থাকবেন । -
মল্লিকা রায় ০৫/০১/২০১৫আপনার লেখাটি পড়লাম খুব ভালো লাগলো,রেখে গেলাম শুভেচ্ছা।
আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল ।