পালক ঝরে যায় অবিরত
পাখি তোমার ওজন কত?
একটানা কত ক্ষণ উড়তে পারো আকাশে?
পালক ঝরে যায় অবিরত,
ইচ্ছেরা ডানা মেলে,মেঘের ফাঁকে সূর্য হাসে,
কিছুটা রোদ্দুর মেখে নেয় ডানা,
তুমি কি জানো ঝরা পালকের ঠিকানা ?
একটানা একমুখী যাত্রা,
সাইবেরিয়া থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা,
এলোমেলো বাতাসের মাত্রা
দিকভুল বার বার,ধ্রুবতারা ঢেকে দেয় জোছনা,
সূর্যও কি মেঘে আছে ঢেকে?
দিক-বেলা দেখে নাও, কিছুটা থেমে থেকে ..
একটানা কত ক্ষণ উড়তে পারো আকাশে?
পালক ঝরে যায় অবিরত,
ইচ্ছেরা ডানা মেলে,মেঘের ফাঁকে সূর্য হাসে,
কিছুটা রোদ্দুর মেখে নেয় ডানা,
তুমি কি জানো ঝরা পালকের ঠিকানা ?
একটানা একমুখী যাত্রা,
সাইবেরিয়া থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা,
এলোমেলো বাতাসের মাত্রা
দিকভুল বার বার,ধ্রুবতারা ঢেকে দেয় জোছনা,
সূর্যও কি মেঘে আছে ঢেকে?
দিক-বেলা দেখে নাও, কিছুটা থেমে থেকে ..
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অজাততশত্রু ০৪/০৫/২০১৪
-
কবি মোঃ ইকবাল ০৪/০৫/২০১৪কবিতা আমার খুব ভালো লেগেছে।
-
নীরব রাজ ০৪/০৫/২০১৪প্রুশ্নগুলো চমৎকার !!
-
মহিউদ্দিন ০৪/০৫/২০১৪শেষ পরযন্ত পাখির ওজনটা কিন্তু যান্তে পারলাম না।
-
এস,বি, (পিটুল) ০৩/০৫/২০১৪আপনার lekha আমরা নিয়োমিত চাই কবি
-
এস,বি, (পিটুল) ০২/০৫/২০১৪Khub valo laglo.
চারপাশের প্রকৃতি, মানুষ ও অনুভূতির বহুবিধ ধারার মধ্য দিয়ে জন্ম থেকে মৃত্যুর দিকে, শৈশব থেকে কৈশোর বা কৈশোর থেকে যৌবন বা যৌবন থেকে বার্ধক্যের দিকে, কাল থেকে মহাকালের দিকে যে অপ্রতিরোধ্য 'একমুখী যাত্রা' তার অনবদ্য কাব্যিক উপস্থাপনায় মুগ্ধ না হয়ে যাই কোথায়! অসাধারণ। অনুভবময়।
আয়তনের মতই ওজনের সাথেও উড়তে পারার ক্ষমতার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক তো এক বৈজ্ঞানিক সত্য। এখানে আমাদের যে স্বপ্ন-রূপী পাখির কথা ইঙ্গিত করা হয়েছে তার সাথেও কি অনন্য উপমাত্মক সাদৃশ্য! কল্পনার বিস্তৃত আকাশ জুড়ে ইচ্ছে-ডানা মেলে উড়তে থাকে আমাদের মনের স্বপ্ন-পক্ষী। উড়ে চলার সেই 'একমুখী যাত্রা'-পথে কোন পিছু ফেরার সুযোগ নেই। সময়ের সাথে সাথেই সে যে শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। অপূর্ণ স্বপ্নের পালক গুলো একে একে খসে পড়তে থাকে এই যাত্রাপথেই। তবু বাধা-বিঘ্নে ভরা দুঃখ-যন্ত্রণার মেঘের ফাঁকেই তো থাকে আশা-ভরসা-সম্ভাবনার সূর্য কিরণ। তাই গায়ে মেখেই যেন স্বপ্ন-পাখী আবার উড়তে থাকে নতুন উদ্যমে। এই অন্তহীন সুদীর্ঘ পথ চলাতেই যুঝতে হয় অজানা অচেনা পরিস্থিতিগুলোর 'এলোমেলো বাতাসের' ঝাপটা, যার অননুমেয় মাত্রা মাঝে মাঝে দিক ভুল করিয়ে দেয় বৈ কি! আমাদের আদর্শ, আমাদের লক্ষ্যের ধ্রবতারা মাঝে মাঝে রমণীয়, লোভনীয় সব আয়োজনের মায়াবী জ্যোত্স্না আলোয় ঢাকা পড়েও যায়। দিনের শেষে বিভ্রান্তি হয়ে যায়, ক্ষণিকের দিশাহারা পথচলায় আমাদের আশা-ভরসার রশ্মিগুলোও শেষ হয়ে যায়নি তো? বিভ্রান্তিতে আরো বেশি দিশাহারা না হয়ে, স্থান-কাল-পাত্র বুঝে একটু থেমে, একটু আত্ম বিশ্লেষণ করে, একটু পরিস্থিতিটা যাচাই করে নিয়ে আবার এগিয়ে চলাতেই হতে পারে সফল মোকাবিলা। সেখানেই জীবনের জয়গান।
এই কবিতার আক্ষরিক অর্থের গভীরে যে জীবন সিক্ষার বার্তা দিয়েছেন, অনুচ্চারিত অথচ সুস্পষ্টভাবে তা অতুলনীয়।
আমার ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার আজকের স্বচ্ছ ও অনুভবময় কবিতাটি। এ কবিতা শুধুই অনুভব করা যায়। গালে হাত দিয়ে ভাবা যায়। আর ভেবে নিয়ে নিজেদের বোধশক্তিকে আর একটু শানও দেওয়া যায়। অনেক অনেক শুভেচ্ছা আপনাকে। আমার ভক্তিপুর্ণ শ্রদ্ধা জানবেন। ভালো থাকবেন।