এ কিসের কলরব
আনন্দবাজারের'সম্পাদক সমীপেষু'তে প্রাক্তন পুলিশকমিশনা্র নিরূপম সেনের স্মৃতিচারণায় জানা গেলঃ
১৯৬৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ সেনকে বামপন্থী ছাত্ররা দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখার খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান এবং দেখেন, এক ছাত্র নেতা উপাচার্যকে ক্রমাগত লাথি কষিয়ে চলেছে। এতদসত্ত্বেও উপাচার্য মি.সেন নিরপমবুকে দেখে বলেন, "তোমরা কেন এসেছো? "আমি তো তোমাদের ডাকিনি, তোমরা চলে যাও [ উল্লেখ্য নিরুপমবাবু মি. সেনের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। ] অন্য অধ্যাপকরাও তাঁদের চলে যেতে বলেন। ফলে নিরূপমবাবু সঙ্গী পুলিশ অফিসারদের নিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন।পরে শোনেন, ঐ ছাত্রনেতা তারপরও আথি মারতে মারতে উপ্চার্যকে বলতে থাকে, " আর কত লাথি খেলে পুলিশ ডাকবি বল্?" এভাবে আরও ঘন্টা দুয়েক ক্রমাগত লাথি কষিয়ে ছাত্রনেতাটি নিজেই ক্লান্ত হয়ে রণে ভঙ্গ দেয়।পুলিশ ডাকার দরকার পড়েনি।
অথচ যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিৎবাবু সেই প্রগতিশীল [বামপন্থী মানেই প্রগতিশীল, যেন প্রগতিশীলতার যাবতীয় স্বত্ত্ব ওদের কেনা] ছাত্রদের ঘেরাও থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে কি না রাতদুপুরে পুলিশ ডেকে বসলেন। সোনার টুকরো ছেলেদের আন্দোলনের চেয়ে তাঁর ইগোটা কি বেশি দামি? পিতৃতুল্য শিক্ষকদের তথা উপাচার্যদের তো ছাত্রদের লাথি খাওয়ার মহান ঐতিহ্য রয়েইছে, সেকথা তিনি ভুলে গেলেন কেমন করে?না হয় তারা একট মেয়েকে ড্রাগের নেশার ঘোরে রাতদুপুরে নির্যাতন করেছে, তাই বলে দেশের সেরা মেধাবী তথা প্রগতিশীল বামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়তে হবে? তাও সেই কমিটিতে তাদের পছন্দমতো লোক রাখা হবে না? এ ভারি অন্যায় অভিজিৎবাবু।যঅই আপনি সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম মেনে কমিটি গড়ুন, আপনার বোঝা উচিত,বামপন্থী মেধাবীদের অপরাধ ধরতে নেই, ওরা যা-ই করুক ওরা প্রগতিশীল, ওদের সাতখুন মাপ, বিরুদ্ধাচরণ করলেই আপনি প্রতিক্রিয়াশীল, সরকারের দালাল।
তাই আসুন, সস্তায় প্রগতিশীল হই, নিজের ছেলেমেয়েকেও বলি, যে শিক্ষক বামপন্থায় আস্থা রাখে না, তাকে ঘেরাও করো, লাথি কষাও, রাস্তা্য নেমে আওয়াজ তোলো, " হোক কলরব" সে আওয়াজ বিশ্বের দরবারে পোঁছে যাক খবর-পিয়াসী মিডিয়ার হাত ধরে।
১৯৬৯ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য সত্যেন্দ্রনাথ সেনকে বামপন্থী ছাত্ররা দীর্ঘক্ষণ ঘেরাও করে রাখার খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান এবং দেখেন, এক ছাত্র নেতা উপাচার্যকে ক্রমাগত লাথি কষিয়ে চলেছে। এতদসত্ত্বেও উপাচার্য মি.সেন নিরপমবুকে দেখে বলেন, "তোমরা কেন এসেছো? "আমি তো তোমাদের ডাকিনি, তোমরা চলে যাও [ উল্লেখ্য নিরুপমবাবু মি. সেনের প্রাক্তন ছাত্র ছিলেন। ] অন্য অধ্যাপকরাও তাঁদের চলে যেতে বলেন। ফলে নিরূপমবাবু সঙ্গী পুলিশ অফিসারদের নিয়ে সেখান থেকে চলে আসেন।পরে শোনেন, ঐ ছাত্রনেতা তারপরও আথি মারতে মারতে উপ্চার্যকে বলতে থাকে, " আর কত লাথি খেলে পুলিশ ডাকবি বল্?" এভাবে আরও ঘন্টা দুয়েক ক্রমাগত লাথি কষিয়ে ছাত্রনেতাটি নিজেই ক্লান্ত হয়ে রণে ভঙ্গ দেয়।পুলিশ ডাকার দরকার পড়েনি।
অথচ যাদবপুরের উপাচার্য অভিজিৎবাবু সেই প্রগতিশীল [বামপন্থী মানেই প্রগতিশীল, যেন প্রগতিশীলতার যাবতীয় স্বত্ত্ব ওদের কেনা] ছাত্রদের ঘেরাও থেকে মুক্ত হওয়ার জন্যে কি না রাতদুপুরে পুলিশ ডেকে বসলেন। সোনার টুকরো ছেলেদের আন্দোলনের চেয়ে তাঁর ইগোটা কি বেশি দামি? পিতৃতুল্য শিক্ষকদের তথা উপাচার্যদের তো ছাত্রদের লাথি খাওয়ার মহান ঐতিহ্য রয়েইছে, সেকথা তিনি ভুলে গেলেন কেমন করে?না হয় তারা একট মেয়েকে ড্রাগের নেশার ঘোরে রাতদুপুরে নির্যাতন করেছে, তাই বলে দেশের সেরা মেধাবী তথা প্রগতিশীল বামপন্থী ছাত্রদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গড়তে হবে? তাও সেই কমিটিতে তাদের পছন্দমতো লোক রাখা হবে না? এ ভারি অন্যায় অভিজিৎবাবু।যঅই আপনি সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম মেনে কমিটি গড়ুন, আপনার বোঝা উচিত,বামপন্থী মেধাবীদের অপরাধ ধরতে নেই, ওরা যা-ই করুক ওরা প্রগতিশীল, ওদের সাতখুন মাপ, বিরুদ্ধাচরণ করলেই আপনি প্রতিক্রিয়াশীল, সরকারের দালাল।
তাই আসুন, সস্তায় প্রগতিশীল হই, নিজের ছেলেমেয়েকেও বলি, যে শিক্ষক বামপন্থায় আস্থা রাখে না, তাকে ঘেরাও করো, লাথি কষাও, রাস্তা্য নেমে আওয়াজ তোলো, " হোক কলরব" সে আওয়াজ বিশ্বের দরবারে পোঁছে যাক খবর-পিয়াসী মিডিয়ার হাত ধরে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ডাঃ প্রবীর আচার্য নয়ন ২৫/১০/২০১৪আদর্শ যেখানে নিভৃতে কাঁদে সেখানে সবাই আদর্শ খুঁজে....খুব ভালো লেগেছে
-
স্বপন রোজারিও(১) ০৪/১০/২০১৪এতো সুন্দর লেখার জন্য শুভেচ্ছা।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ০১/১০/২০১৪চরম ক্ষোভের আস্ফোলন..............