নারী দিবসের কিছু কথা
আজ বিশ্ব নারী দিবস । ২০১৭ তে নারী দিবসের প্রতিপাদ্য
“BE BOLD FOR CHANGE.
BE BOLD. BE THE CHANGE”.
বিশ্ব নারী দিবস উদযাপনের পিছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস । ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা।সেই মিছিলেও ছিলো সরকারের লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন । ১৯০৮ খ্রীস্টাব্দে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয় । এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
এর পর থেকে বিশ্বের একেক প্রান্তে নারী দিবস ভিন্ন ভিন্ন আংগিকে পালিত হলেও তা মূলত এখনো নারীদের অধিকার আন্দোলনের অন্যতম একটি দিন হিসেবে পালিত হয় । যদিও একটা দিনের মাধ্যমে নারীমুক্তি সম্ভব নয় । কারণ যে মজুরী বৈষম্য আর কর্ম পরিবেশের জন্য ১৮৫৭ সালে আন্দোলন হয়েছিলো সেই অবস্থার আজও পরিবর্তন খুব একটা হয় নাই । এখনো নারী শ্রমিকরা পুরুষ সহকর্মীর থেকে বেতন ও মজুরিতে পিছিয়ে । এছাড়া কর্ম পরিবেশে এখনো অনেক নারী কে হতে হয় মানসিক ও যৌন নির্যাতনের স্বীকার । নির্দিষ্ট করে বললে , আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চাকা গার্মেন্ট সেক্টর যার মূল চালিকা শক্তি হলো নারী শ্রমিক । অথচ তাদের কর্ম ক্ষেত্রে তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ।
নারী আন্দোলনের চেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুতবপূর্ণ হলো নারী জগরণ । আমরা কোন অংশে কম না , কারও থেকে পিছিয়ে নেই তবু আমরা অবহেলিত । নিজের ঘরেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতিত ।
আমরাই সুস্থ ও সুষ্ঠু সমাজের মূল । সেই আমরাই যদি অঙ্কুরেই ঘুণে ধরা থাকি তবে ক্ষয় হতে থাকা সমাজটার ধ্বংস অবিসম্ভাবী । একটা সুস্থ , সুন্দর আগামীর প্রয়োজনে হলেও আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে । শোষণ আর অন্যায়ের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে গড়তে হবে সমতার অনন্য উদাহরণ । আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হোক পরিবর্তনের সাহসী সিদ্ধান্ত। পরিবর্তনটা শুরু হোক নিজের ঘর থেকে ... সবাইকে বিশ্ব নারীদিবসের শুভেচ্ছা ।
“BE BOLD FOR CHANGE.
BE BOLD. BE THE CHANGE”.
বিশ্ব নারী দিবস উদযাপনের পিছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস । ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরিবৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা।সেই মিছিলেও ছিলো সরকারের লেঠেল বাহিনীর দমন-পীড়ন । ১৯০৮ খ্রীস্টাব্দে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হয় । এরপর ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন। ১৭টি দেশ থেকে ১০০ জন নারী প্রতিনিধি এতে যোগ দিয়েছিলেন। এ সম্মেলনে ক্লারা প্রতি বৎসর ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেন। সিদ্ধান্ত হয়ঃ ১৯১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে নারীদের সম-অধিকার দিবস হিসেবে দিনটি পালিত হবে।অতঃপর ১৯৭৫ সালে খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
এর পর থেকে বিশ্বের একেক প্রান্তে নারী দিবস ভিন্ন ভিন্ন আংগিকে পালিত হলেও তা মূলত এখনো নারীদের অধিকার আন্দোলনের অন্যতম একটি দিন হিসেবে পালিত হয় । যদিও একটা দিনের মাধ্যমে নারীমুক্তি সম্ভব নয় । কারণ যে মজুরী বৈষম্য আর কর্ম পরিবেশের জন্য ১৮৫৭ সালে আন্দোলন হয়েছিলো সেই অবস্থার আজও পরিবর্তন খুব একটা হয় নাই । এখনো নারী শ্রমিকরা পুরুষ সহকর্মীর থেকে বেতন ও মজুরিতে পিছিয়ে । এছাড়া কর্ম পরিবেশে এখনো অনেক নারী কে হতে হয় মানসিক ও যৌন নির্যাতনের স্বীকার । নির্দিষ্ট করে বললে , আমাদের অর্থনীতির অন্যতম চাকা গার্মেন্ট সেক্টর যার মূল চালিকা শক্তি হলো নারী শ্রমিক । অথচ তাদের কর্ম ক্ষেত্রে তারাই সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ।
নারী আন্দোলনের চেয়ে সবচেয়ে বেশি গুরুতবপূর্ণ হলো নারী জগরণ । আমরা কোন অংশে কম না , কারও থেকে পিছিয়ে নেই তবু আমরা অবহেলিত । নিজের ঘরেই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক নারী মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতিত ।
আমরাই সুস্থ ও সুষ্ঠু সমাজের মূল । সেই আমরাই যদি অঙ্কুরেই ঘুণে ধরা থাকি তবে ক্ষয় হতে থাকা সমাজটার ধ্বংস অবিসম্ভাবী । একটা সুস্থ , সুন্দর আগামীর প্রয়োজনে হলেও আমাদের উঠে দাঁড়াতে হবে । শোষণ আর অন্যায়ের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়ে গড়তে হবে সমতার অনন্য উদাহরণ । আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ হোক পরিবর্তনের সাহসী সিদ্ধান্ত। পরিবর্তনটা শুরু হোক নিজের ঘর থেকে ... সবাইকে বিশ্ব নারীদিবসের শুভেচ্ছা ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১০/০৩/২০১৭
-
মোনালিসা ০৯/০৩/২০১৭ভাল হয়েছে
-
আব্দুল হক ০৮/০৩/২০১৭সত্য কথা , মোবারকবাদ!
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৮/০৩/২০১৭দারুণ !!!
অনেক ধন্যবাদ।।
শুভেচ্ছা রইলো।