আমাদের ১৪ই ফেব্রুয়ারি
১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস সবাই জানে কিন্তু একজন বাঙ্গালী হিসেবে কতজন জানেন আজকের দিনটি আমাদের বাঙ্গালীর শিক্ষাজীবনে কতটা তাৎপর্য পূর্ণ ? আজ স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস।
আমরা বাঙ্গালীরা তো আবার মাথার গোপন কোটরে বুদ্ধি নিয়ে চলি তাই হয়তো দেখা যাবে আমার এই লেখাটা ফেসবুকে প্রকাশ হলে কতজন বলবেন “আরে ভাই জানি এইসব, কিন্তু ইতিহাস অত মনে রেখে কি হয় ?” আবার কেও কেও হয়তো এক কাঠি সরেস জবাব দিবেন জানলেই কি? তোমার মত সবার কাছে জাহির করার ইচ্ছে নাই। সময় বদলে গেছে তাই দিবস পালনের তরিকাও বদলে গেছে । যেহেতু এটা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস , আর জয়নাল-জাফর-দিপালীরা তো এই বিশ্বের মাঝেই ছিলো।
আরে!!!!!!!!! এতক্ষন ছিল ভালোবাসা দিবস কে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস করার পাঁয়তারা । এখন দেখি আবার চরিত্র হাজির ! আচ্ছা ভাই, এরা কি কাউকে ভালোবেসে মরেছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ । তারা ভালোবেসে মরেছে কিন্তু আমাদের মত কুলাঙ্গার শিক্ষিত জাতির ভবিষৎ কে ভালোবেসে।
১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। আর ক্ষমতা তে এসেই তিনি রাজনিতী নিষিদ্ধ,গণতন্ত্র রহিত করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তার স্বৈরশাসনের মাঝে অন্যতম পদক্ষেপ ছিলো ডঃ মজিদ খানের নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করা। এই বিতর্কিত শিক্ষানিতীর মাধ্যমে মূলত শিক্ষা কে আলু পটলের মত বিক্রী করার পাঁয়তারা ছিলো। টাকা যার শিক্ষা তার।এই শিক্ষা কমিশনের প্রতিবাদে রাজপথে নামে তখনকার কয়েকটি রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন।মূলত শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।
প্রথমে ১১ই জানুয়ারি ১৯৮৩ সালে মূলত শিক্ষা আন্দোলন শুরু হয়।কিন্তু শেষ মুহুর্তে মূল সরকার দলের চাপের মুখে আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচী প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলো পুনরায় স্বৈরাচার শাসক এরশাদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বিপুল ছাত্র সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে শিক্ষাভবনের অভিমুখে রওনা হয়।শিক্ষা ভবনের সামনে এবং শিশু একাডেমির ভিতরে পুলিশ গুলি চালালে জাফর,জয়নাল ও শিশু একাডেমীর ছোট্ট দিপালী সহ আরো অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পুলিশ অনেক লাশ গুম করে ফেলায় সঠিক হিসাব প্রকাশ করা হয়নি।
পুঁজিবাদ অর্থনিতী সব কিছু নিয়েই ব্যবসা করে তাই আমাদের অনুভূতি নিয়ে ব্যবসা করলেও কোন দোষ নেই।
আজকের দিনটি আমরা যেভাবেই পালন করি না কেন তবু কিছুটা কৃতজ্ঞতা থাক সেই অতীত কান্ডারীদের জন্য যারা আমাদের সর্বস্তরের সবাইকে আজকে ‘valentine’ শব্দটির অর্থ শিখতে এবং শিক্ষা কে সর্বস্তরের সবার কাছে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
-সাবিরা শাওন
আমরা বাঙ্গালীরা তো আবার মাথার গোপন কোটরে বুদ্ধি নিয়ে চলি তাই হয়তো দেখা যাবে আমার এই লেখাটা ফেসবুকে প্রকাশ হলে কতজন বলবেন “আরে ভাই জানি এইসব, কিন্তু ইতিহাস অত মনে রেখে কি হয় ?” আবার কেও কেও হয়তো এক কাঠি সরেস জবাব দিবেন জানলেই কি? তোমার মত সবার কাছে জাহির করার ইচ্ছে নাই। সময় বদলে গেছে তাই দিবস পালনের তরিকাও বদলে গেছে । যেহেতু এটা বিশ্ব ভালোবাসা দিবস , আর জয়নাল-জাফর-দিপালীরা তো এই বিশ্বের মাঝেই ছিলো।
আরে!!!!!!!!! এতক্ষন ছিল ভালোবাসা দিবস কে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস করার পাঁয়তারা । এখন দেখি আবার চরিত্র হাজির ! আচ্ছা ভাই, এরা কি কাউকে ভালোবেসে মরেছে?
উত্তরঃ হ্যাঁ । তারা ভালোবেসে মরেছে কিন্তু আমাদের মত কুলাঙ্গার শিক্ষিত জাতির ভবিষৎ কে ভালোবেসে।
১৯৮২ সালের ২৪শে মার্চ রক্তপাতহীন সামরিক অভ্যুত্থানে হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। আর ক্ষমতা তে এসেই তিনি রাজনিতী নিষিদ্ধ,গণতন্ত্র রহিত করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তার স্বৈরশাসনের মাঝে অন্যতম পদক্ষেপ ছিলো ডঃ মজিদ খানের নেতৃত্বে শিক্ষা কমিশন গঠন করা। এই বিতর্কিত শিক্ষানিতীর মাধ্যমে মূলত শিক্ষা কে আলু পটলের মত বিক্রী করার পাঁয়তারা ছিলো। টাকা যার শিক্ষা তার।এই শিক্ষা কমিশনের প্রতিবাদে রাজপথে নামে তখনকার কয়েকটি রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠন।মূলত শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই শুরু হয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।
প্রথমে ১১ই জানুয়ারি ১৯৮৩ সালে মূলত শিক্ষা আন্দোলন শুরু হয়।কিন্তু শেষ মুহুর্তে মূল সরকার দলের চাপের মুখে আন্দোলনের নেতাকর্মীরা কর্মসূচী প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছাত্র ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলো পুনরায় স্বৈরাচার শাসক এরশাদের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বিপুল ছাত্র সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে শিক্ষাভবনের অভিমুখে রওনা হয়।শিক্ষা ভবনের সামনে এবং শিশু একাডেমির ভিতরে পুলিশ গুলি চালালে জাফর,জয়নাল ও শিশু একাডেমীর ছোট্ট দিপালী সহ আরো অনেকে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পুলিশ অনেক লাশ গুম করে ফেলায় সঠিক হিসাব প্রকাশ করা হয়নি।
পুঁজিবাদ অর্থনিতী সব কিছু নিয়েই ব্যবসা করে তাই আমাদের অনুভূতি নিয়ে ব্যবসা করলেও কোন দোষ নেই।
আজকের দিনটি আমরা যেভাবেই পালন করি না কেন তবু কিছুটা কৃতজ্ঞতা থাক সেই অতীত কান্ডারীদের জন্য যারা আমাদের সর্বস্তরের সবাইকে আজকে ‘valentine’ শব্দটির অর্থ শিখতে এবং শিক্ষা কে সর্বস্তরের সবার কাছে পৌঁছে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
-সাবিরা শাওন
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাবিরা শাওন ০৬/০৩/২০১৭আপনাকেও ধন্যবাদ । আসলে আমরা কেন জানি না নিজেদের অস্তিত্ত্ব কে ভুলে যাচ্ছি ।
-
সোহান শরীফ ১৮/০২/২০১৭ভালো লাগল লেখাটা। পুরোপুরি সাবলীল ভাষায় লেখা। সবার উচিত একবার হলেও পড়া।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৮/০২/২০১৭বাঙালি ইতিহাসবিস্মৃত জাতি।
ধন্যবাদ আপনাকে। -
দীপঙ্কর বেরা ১৮/০২/২০১৭জানলাম
-
মোনালিসা ১৮/০২/২০১৭যথাযথ......বলেছেন......জনাব।
-
এস এম আলমগীর হোসেন ১৮/০২/২০১৭আমাদের হয়তো তাদের জন্য একটা দিবস পালন করা উচিত কিন্তু ভালবাসা দিবসের সাথে তাদের মিশিয়ে তাদের আত্মাকে কলংকিত করার পক্ষে হয়তো আমার মত অনেকেই না বলবেে। তাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রইল।
-
এস এম আলমগীর হোসেন ১৮/০২/২০১৭আমাদের হয়তো তাদের জন্য একটা দিবস পালন করা উচিত কিন্তু ভালবাসা দিবসের সাথে তাদের মিশিয়ে তাদের আত্মাকে কলংকিত করার পক্ষে হয়তো আমার মত অনেকেই। তাদের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা রইল।
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১৮/০২/২০১৭দারুণ লেখনী!!!!
-
অনাদী রহমান ১৮/০২/২০১৭সাবিরা আপনাকে অভিনন্দন,
দিনটি মনে রাখার জন্য, সবাইকে সচেতন করার জন্য,
ভাল লিখেছেন।