যুদ্ধ চাই
সকালে পেপারটা খুলতেই অখিলেশ বাবুর চোখটা কেমন বড়ো হয়ে এলো, পাশে পঞ্চানন বাবু বসে ছিলেন, সে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে অখিলেশে বাবুর কাছে জানতে চাইলো কি হয়েছে রে? তোর চোখ দুটো, ভরা আমাবস্যায় চাঁদ দেখেছে মনে হচ্ছে? অখিলেশ বাবু পেপারটা পঞ্চানন বাবুর হাতে দিয়েই উচ্চস্বরে বললেন এই হচ্ছে আমাদের দেশ। "ভরা বাজারে একটি নাবালিকাকে ধর্সন করলো তিন যুবক"। পাশে বসে ছিল চন্দন বাবু, সে এতক্ষন ধরে সব শুনছিলেন, এখন একটি উটকো হাসি দিয়ে বললেন, যাই হোক না হোক আমরা কিন্তু বেশ স্বাধীন, সকাল বিকাল পেট ভরে খাচ্ছি আর আড্ডা মেরে জীবন যাপন করছি।কথাটি মোটেও ভালো চোখে নিল না পঞ্চানন বাবু, তিনি চায়ের কাপটি ধপ করে টেবিলে রেখে দিয়ে বললেন একেই আপনি স্বাধীনতা বলেন? সেখানে হাজারটা মানুষের সামনে একটি জীবন নিয়ে খেলা করা হলো,একটি লোকো কিছু বললোনা, মেয়েটির কি কোন স্বাধীনতা নেই, ঈজ্জত কি বাজারে কিনতে পাওয়া যায়?। চন্দন বাবু এবার একটু আড়চোখে পঞ্চানন বাবুর দিকে তাঁকিয়ে বললেন বাঙালীর এই একটা দোষ, আপনিও তো সেই হাজারটা মানুষের মধ্যে একটি মানুষ হয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে শো দেখছিলেন আপনি পারলেন না, সেই ভীরের থেকে নিজেকে আলাদা করে ছেলেগুলোর গালে সপাটে দুটো চড় মেরে তাদের বুঝিয়ে দিতে তাদের জায়গাটা ঠিক কোথায়? এই আপনারা আপনারাই হলেন এইসব ছেলে- মেয়েদের জন্মদাতা, এখন এখানে বসে ডাইলগ মারছেন? পঞ্চানন বাবু চুপসে গেলেন।কারন সে জানতো সেখানে গিয়ে যদি সে কারো গায়ে একটু আচড়ও কাটতো তবে আজ সকালের পেপারে তার ছবিটি আগে বেরোতো।
চন্দন বাবু বললেন আমি দেখতে পারছি খুব তারাতারি আবার যুদ্ধ হবে,ভন্ড পুলিশকে তার পোশাখের দাম দিতে হবে, এই স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে আবারো যুদ্ধ হবে, কাটা তারগুলো মাটিতে মিলিয়ে দিতে আবার যু....। কথাটি থামিয়ে দিয়ে অখিলেশ বাবু বললেন এই কলির যুগে যুদ্ধ করবে কে মশাই? যারা গোটাদিন ফেসবুকে বাবু আর সোনার ধর্ম পালন করছে তারা নাকি যারা ঘুষ নিয়ে জীবন যাপন করছে তারা? এবার অখিলেশ বাবু বললেন 'প্রতিটা মানুষই সময়ের দাস হয়' রে পঞ্চানন। যে মানুষগুলি আজ ঘুষ নিয়ে অন্যায় কে পশ্রয় দিচ্ছে কাল যখন তাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে অন্যায় হবে তখন তারা যুদ্ধ করবে, যে মেয়েটিকে ছেলেটি চোখে হারায়, সেই মেয়েটিকে যখন এই স্বাধীনতা গ্রাস করবে তখন সে যুদ্ধ করবে, যে কৃষক গুলো আজ ফসলের দাম না পেয়ে না খেয়ে মরছে কাল তারা হাতে অস্ত্র তুলে নেবেই। যুদ্ধ হবেই.... হ্যা আমরা যুদ্ধ চাই....
___________________________________
। ।
। "এই স্বাধীনতার নিপাত চাই ।
। বেইমান শাসকের ধ্বংস চাই। ।
। পতাকার অর্থ চাই.. ।
। আমরা যুদ্ধ চাই..." ।
।__________________________________।
চন্দন বাবু বললেন আমি দেখতে পারছি খুব তারাতারি আবার যুদ্ধ হবে,ভন্ড পুলিশকে তার পোশাখের দাম দিতে হবে, এই স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে আবারো যুদ্ধ হবে, কাটা তারগুলো মাটিতে মিলিয়ে দিতে আবার যু....। কথাটি থামিয়ে দিয়ে অখিলেশ বাবু বললেন এই কলির যুগে যুদ্ধ করবে কে মশাই? যারা গোটাদিন ফেসবুকে বাবু আর সোনার ধর্ম পালন করছে তারা নাকি যারা ঘুষ নিয়ে জীবন যাপন করছে তারা? এবার অখিলেশ বাবু বললেন 'প্রতিটা মানুষই সময়ের দাস হয়' রে পঞ্চানন। যে মানুষগুলি আজ ঘুষ নিয়ে অন্যায় কে পশ্রয় দিচ্ছে কাল যখন তাদের ছেলে-মেয়ের সঙ্গে অন্যায় হবে তখন তারা যুদ্ধ করবে, যে মেয়েটিকে ছেলেটি চোখে হারায়, সেই মেয়েটিকে যখন এই স্বাধীনতা গ্রাস করবে তখন সে যুদ্ধ করবে, যে কৃষক গুলো আজ ফসলের দাম না পেয়ে না খেয়ে মরছে কাল তারা হাতে অস্ত্র তুলে নেবেই। যুদ্ধ হবেই.... হ্যা আমরা যুদ্ধ চাই....
___________________________________
। ।
। "এই স্বাধীনতার নিপাত চাই ।
। বেইমান শাসকের ধ্বংস চাই। ।
। পতাকার অর্থ চাই.. ।
। আমরা যুদ্ধ চাই..." ।
।__________________________________।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আব্দুল হক ১৮/০৮/২০১৭আপনার সুন্দর স্পষ্ট কথার জন্য ধন্যবাদ!!
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৮/০৮/২০১৭ভাল লিখেছেন সমসাময়িক লেখা!