রূপ
]ঘড়িতে সকাল ৯ টা, হঠাৎ রূপসার ফোনের টোন বেঁজে উঠলো।
.কি গো আসছ তো?
হ্যাঁ বাবু, আমি আসছি।
.কতদিন পরে আজ প্রথম দেখবো তোমায়। ইস কি যে আনন্দ লাগছে না।
আচ্ছা কোথায় দেখা করবে?
.বালুরঘাটের ফুলটুসি রোডের পাশে গীতাঞ্জলী পার্কে।
আচ্ছা আমি ঠিক সময় মত পৌঁছে যাব।
ফোনটি কেটে গেল...................
---------------------------------
। রূপ ।
----------------------------------
বছর খানেক আগের কথা সোসাল মিডিয়ার জগতে হঠাৎ করেই একদিন যোগাযোগ হয়ে গেল রূপসা আর দীপের। হালকা পরিচয় তারপর প্রেম তারপর ভালোবাসা, রূপসা প্রথম বর্ষে ইংরাজীর ছাত্র আর দীপ ইঞ্জিয়ারিং পড়ছে। দুজনেরই খুব ভাব, কিন্তু দীপ যতবারই রূপসাকে দেখা করতে বলেছে ততবারই রূপসা বারন করেছে। ফেসবুকে তার কোন ছবি ছিল না তাই দীপের মনে রূপসাকে দেখার কৌতুহল দিনের পর দিন বেড়েই যেতে লাগলো। অন্যদিকে রূপসাও যেন দীপকে দেখতে চায় কিন্তু মুখ ফুটে বলে না। তারা পরস্পরে থাকতো বালুরঘাট আর কলকাতায় তাই সহজে দুজনে দেখা করবে তার উপায়ও নেই সেরকম। একদিন কথায় কথায় দীপ জিজ্ঞাসা করেছিল তুমি কি আমাকে সত্যি ভালবাস? অবাক হয়ে রূপসা উওর দিয়েছিল কেন তোমার কি মনে হয় না? না তা নয় যদি তুমি আমাকে সত্যিই ভালবাস, তবে আমার সামনে আসোনা কেন? কথাটির উওরে রূপসা বলেছিল আরে দেখা হবে পাগল আমাদের ঠিক দেখা হবে আর সেদিন তুমি আমাকে দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যাবে। দীপ এ কথার পরিবর্তে বলেছিলে নাহ তোমাকে একবার পেলে চোখের আড়াল হতে দেব না। আজ দীপের জন্মদিন রূপসা যখন বললো তোমার কি উপহার চাই? তার উওরে দীপ বলেছিল যদি সত্যি আমাকে কিছু উপহার দিতে চাও তবে একবার তোমার মুখটা আমাকে দেখিও, প্লিজ। রূপসা দীপ কে তার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে তাই আজ আর দীপের কথা ফেলতে পারেনি, তাদের পরিচয়ের একবছর পর তারা প্রথম দেখা করবে আজ। দীপের মনে আজ জোয়ারের স্রোত বইছে। আর রূপসার মনে কেমন যেন একটা ভয় ডানা মেলে উঠছে। ভয়ের কারনটা সে নিজেও বুঝছে। অবশেষে ঘড়িতে সময় বিকেল ৫ টা... গীতাঞ্জলী পার্কে এসে উপস্থিত হলো দীপ, কিন্তু রূপসা কোথায়, কথা ছিল রূপসা আজ তার দেওয়া সাদা কুর্তিটা পড়ে আসবে। ভাবতে ভাবতেই উত্তরের ফাঁকা বেঞ্চের দিকে তার নজর গেল। একটি মেয়ে পাশ ঘুরে বসে আছে, হ্যাঁ ওই তো রূপসা। আমার নিজের পছন্দ করে কিনে দেওয়া কুর্তিটা পরে বসে আছে। কিন্তু মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে কেন? সবে বাজার থেকে নিয়ে আসা টাটকা গোলাপটি হাতে নিয়ে খুব উৎসাহের সঙ্গে রূপসার দিকে এগোলো সে, সামনে গিয়ে পিঠে হাতটা দিতেই মুখ ঘুরিয়ে তাকাল রূপসা, দীপের চোখটা যেন নরক হয়ে গেল এ আমি কাকে দেখছি এর আধেক মুখ যে পোড়া। সে বিশ্বাস করতে পারছিল না, সে এতদিন এরকম একটা মেয়ের সাথে রিলেশনে আছে।নিজের প্রতি নিজের একটা ঘৃণা তৈরি হলো তার। মুখ ফিরিয়ে দৌঁড়ে পালালো সে... আর তার হাতের গোলাপটা বনের মাঝে অচিরেই মড়ে পচলো...
--------------------------------------------------
। যেদিন আমাকে প্রথম দেখবে ।
। সেদিন তুমি পালিয়ে যাবে ।
---------------------------------------------------
সৌরভ তালুকদার....~~
(কল্পনার ওপর ভিত্তি করে লিখা)
.কি গো আসছ তো?
হ্যাঁ বাবু, আমি আসছি।
.কতদিন পরে আজ প্রথম দেখবো তোমায়। ইস কি যে আনন্দ লাগছে না।
আচ্ছা কোথায় দেখা করবে?
.বালুরঘাটের ফুলটুসি রোডের পাশে গীতাঞ্জলী পার্কে।
আচ্ছা আমি ঠিক সময় মত পৌঁছে যাব।
ফোনটি কেটে গেল...................
---------------------------------
। রূপ ।
----------------------------------
বছর খানেক আগের কথা সোসাল মিডিয়ার জগতে হঠাৎ করেই একদিন যোগাযোগ হয়ে গেল রূপসা আর দীপের। হালকা পরিচয় তারপর প্রেম তারপর ভালোবাসা, রূপসা প্রথম বর্ষে ইংরাজীর ছাত্র আর দীপ ইঞ্জিয়ারিং পড়ছে। দুজনেরই খুব ভাব, কিন্তু দীপ যতবারই রূপসাকে দেখা করতে বলেছে ততবারই রূপসা বারন করেছে। ফেসবুকে তার কোন ছবি ছিল না তাই দীপের মনে রূপসাকে দেখার কৌতুহল দিনের পর দিন বেড়েই যেতে লাগলো। অন্যদিকে রূপসাও যেন দীপকে দেখতে চায় কিন্তু মুখ ফুটে বলে না। তারা পরস্পরে থাকতো বালুরঘাট আর কলকাতায় তাই সহজে দুজনে দেখা করবে তার উপায়ও নেই সেরকম। একদিন কথায় কথায় দীপ জিজ্ঞাসা করেছিল তুমি কি আমাকে সত্যি ভালবাস? অবাক হয়ে রূপসা উওর দিয়েছিল কেন তোমার কি মনে হয় না? না তা নয় যদি তুমি আমাকে সত্যিই ভালবাস, তবে আমার সামনে আসোনা কেন? কথাটির উওরে রূপসা বলেছিল আরে দেখা হবে পাগল আমাদের ঠিক দেখা হবে আর সেদিন তুমি আমাকে দেখে দৌঁড়ে পালিয়ে যাবে। দীপ এ কথার পরিবর্তে বলেছিলে নাহ তোমাকে একবার পেলে চোখের আড়াল হতে দেব না। আজ দীপের জন্মদিন রূপসা যখন বললো তোমার কি উপহার চাই? তার উওরে দীপ বলেছিল যদি সত্যি আমাকে কিছু উপহার দিতে চাও তবে একবার তোমার মুখটা আমাকে দেখিও, প্লিজ। রূপসা দীপ কে তার নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে তাই আজ আর দীপের কথা ফেলতে পারেনি, তাদের পরিচয়ের একবছর পর তারা প্রথম দেখা করবে আজ। দীপের মনে আজ জোয়ারের স্রোত বইছে। আর রূপসার মনে কেমন যেন একটা ভয় ডানা মেলে উঠছে। ভয়ের কারনটা সে নিজেও বুঝছে। অবশেষে ঘড়িতে সময় বিকেল ৫ টা... গীতাঞ্জলী পার্কে এসে উপস্থিত হলো দীপ, কিন্তু রূপসা কোথায়, কথা ছিল রূপসা আজ তার দেওয়া সাদা কুর্তিটা পড়ে আসবে। ভাবতে ভাবতেই উত্তরের ফাঁকা বেঞ্চের দিকে তার নজর গেল। একটি মেয়ে পাশ ঘুরে বসে আছে, হ্যাঁ ওই তো রূপসা। আমার নিজের পছন্দ করে কিনে দেওয়া কুর্তিটা পরে বসে আছে। কিন্তু মুখ ঘুরিয়ে বসে আছে কেন? সবে বাজার থেকে নিয়ে আসা টাটকা গোলাপটি হাতে নিয়ে খুব উৎসাহের সঙ্গে রূপসার দিকে এগোলো সে, সামনে গিয়ে পিঠে হাতটা দিতেই মুখ ঘুরিয়ে তাকাল রূপসা, দীপের চোখটা যেন নরক হয়ে গেল এ আমি কাকে দেখছি এর আধেক মুখ যে পোড়া। সে বিশ্বাস করতে পারছিল না, সে এতদিন এরকম একটা মেয়ের সাথে রিলেশনে আছে।নিজের প্রতি নিজের একটা ঘৃণা তৈরি হলো তার। মুখ ফিরিয়ে দৌঁড়ে পালালো সে... আর তার হাতের গোলাপটা বনের মাঝে অচিরেই মড়ে পচলো...
--------------------------------------------------
। যেদিন আমাকে প্রথম দেখবে ।
। সেদিন তুমি পালিয়ে যাবে ।
---------------------------------------------------
সৌরভ তালুকদার....~~
(কল্পনার ওপর ভিত্তি করে লিখা)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৪/০৭/২০১৭Better.
-
জয়শ্রী রায় মৈত্র ৩০/০৬/২০১৭fb=face book (social media) & fb=fake book (u.s.media) . খুব সুন্দর লিখেছেন , আরও লিখুন । শুভকামনা রইল ।
-
ফয়জুল মহী ২৮/০৬/২০১৭নিপুণ
-
মো: মাসুদুর রহমান ২১/০৬/২০১৭রিলেশন কখনো ভালোবাসা হতে পারে না। এটা চোখের মোহ ব্যথিত কিছুই নয়...
-
Tanju H ২০/০৬/২০১৭ভালো।
-
মৌমিতা ২০/০৬/২০১৭ভাল
-
নির্জন ১৯/০৬/২০১৭এখন প্রায়শ এরকম হয়।