কৃত্রিম হাত ফিরিয়ে দেবে অনুভূতি
দুর্ঘটনা বা অন্য কারণে অঙ্গহানি মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া অত্যন্ত কঠিন হয়৷ এমনকি হাত না থাকা সত্ত্বেও হাতের ব্যথা অনুভব করেন কেউ কেউ৷ বিজ্ঞানীরা এবার এমন কৃত্রিম হাত তৈরির পথে এগোচ্ছেন, যা অনুভূতি জাগিয়ে তুলতে সক্ষম৷
কৃত্রিম হাতের যে প্রোটোটাইপ তৈরি হয়েছে, তার মধ্যে ইলেকট্রোড বসানো হয়েছে৷ হাতের যে স্নায়ু অবশিষ্ট রয়েছে, তার মধ্যে তিনটির সঙ্গে যুক্ত সেই ইলেকট্রোড৷ কৃত্রিম হাতের ১৬টি জায়গায় রয়েছে বিশেষ সেন্সর৷ সেই হাত দিয়ে ধীরে ধীরে কিছু ধরা যায়, গাছ থেকে ফল পাড়া যায়৷ এই রোবট হাত পরে কোনো কিছু ছুঁলে তা কিছুটা অনুভবও করা যায়৷ আসলে হাত কাটা গেলে মস্তিষ্কের যে অংশ সুপ্ত হয়ে পড়ে, সেই অংশকে আবার জাগিয়ে তোলাই গোটা উদ্যোগের মূলমন্ত্র৷
তবে এখনো সেটি পরে স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করা সম্ভব নয়৷ গবেষণাগারে বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানে সেটি পরিয়ে পরীক্ষা চালানো যায়৷ সঙ্গে থাকে বিশেষ একটি যন্ত্র, যার কাজ শরীরের কৃত্রিম ও স্বাভাবিক অংশের মধ্যে ইলেকট্রিক সংকেত চালাচালি করা৷
বিজ্ঞানীরা দুই ব্যক্তির শরীরে এমন কৃত্রিম হাত লাগিয়ে দেখেছেন৷ দু'জনেই কারখানার দুর্ঘটনায় হাত হারিয়েছেন৷ বহুকাল পর হাতের অনুভূতি পেয়ে তারা অভিভূত৷ তাদেরই একজন ইগর স্পেটিচ৷ এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কৃত্রিম হাত দিয়ে কিছু ধরার অনুভূতি প্রায় স্বাভাবিক৷ তবে গবেষকরা যখন সেই হাতে বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করেন, তখন কখনো তা তুলোর মতো লাগে, কখনো বা স্যান্ডপেপারের মতো৷ তবে সবচেয়ে বড় কথা হলো, কৃত্রিম হাত পরে দু'জনেরই হাতের ‘ফ্যান্টম পেন' বা ভৌতিক ব্যথা দূর হয়ে গেছে৷
গবেষণায় এমন সাফল্য সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের মনে আরও উৎসাহ যোগাচ্ছে৷ তবে চূড়ান্ত সাফল্য পেতে আরও অনেক বছরের গবেষণা লাগবে বলে তারা মনে করছেন৷ তাদের লক্ষ্য এমন কৃত্রিম হাত তৈরি করা, যা মানুষ সর্বক্ষণ পরে থাকতে পারবে৷ হাতের স্বাভাবিক অনুভূতিও আবার ফিরে আসবে৷ অর্থাৎ মানুষ ভুলেই যাবে যে সে কৃত্রিম হাত পরে আছে৷
এই মুহূর্তে প্রস্থেটিক বা কৃত্রিম হাত নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে৷ সেই হাতের উপর শরীর বা মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তা সব সময় চোখে চোখে রাখতে হয়৷ অনেক কসরত করে সামান্য কাজ সারতে হয়৷ ফলে অনেকেই সেই হাত ত্যাগ করেন৷
***********************************
আবু সাহেদ সরকার
পাঠকচক্র বিষয়ক সম্পাদক, গাইবান্ধা জেলা সমকাল সুহৃদ সমাবেশ।
নির্বাহী সহ-সম্পাদক, মাসিক পল্লীকথা, গাইবান্ধা।
সাধারণ সম্পাদক, পল্লীকথা সাহিত্য পরিষদ, গাইবান্ধা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ৩০/১০/২০১৪গুড তথ্যটি ভালো লাগলো। শুভেচ্ছা রইলো।
-
মেহেদী হাসান (নয়ন) ১৭/১০/২০১৪অনেক ভাল হবে
-
অ ১৬/১০/২০১৪হুম অনেক তথ্যবহুল । ভালো লাগল ।
-
আবু সাহেদ সরকার ১৬/১০/২০১৪আশাকরি সবার ভালো লাগবে।