মুসলমানদের জন্য ইসলামী সিমকার্ড
গ্রিসের এক ইঞ্জিনিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য একটি মোবাইল ফোনের সিমকার্ড আবিষ্কার করেছেন, যা দিয়ে তারা দৈনন্দিন জীবনে ধর্মসংক্রান্ত আচার-অনুশাসন সহজে মেনে চলতে পারেন।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস আফ্রিকা এবং এশিয়া মহাদেশে। এই দুইটি মহাদেশে মুঠোফোনের চলও বাড়ছে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি। ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিশ্বের অর্ধেক মোবাইল ফোন সংক্রান্ত চুক্তি 25 November স্বাক্ষরিত হয়েছে এশিয়ায়। কিন্তু এশিয়া ও আফ্রিকায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনগুলি স্মার্টফোন নয়, বরং পুরনো মুঠোফোন।
ইয়ানিস হাৎসোপুলোস একজন ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার, যার বাস গ্রিসের থেসালোনিকিতে। তিনি যে ‘ইসলামী সিমকার্ড’-টি উদ্ভাবন করেছেন, তা স্মার্টফোন কিংবা পুরনো মডেলের মুঠোফোন, দু'টোতেই ব্যবহার করা যাবে। 'ব্যবহারকারী এই মুঠোফোন দিয়ে মক্কা শরীফ কোন দিকে, তা নির্ধারণ করতে পারবেন। এই মুঠোফোন মুসলিমকে দিনে পাঁচবার নামাজ পড়ার সময় মনে করিয়ে দেবে রিংটোন বাজিয়ে। এমনকি নামাজ পড়ার সময় ফোন নিজে থেকেই ‘মিউট’ হয়ে যাবে” বলেছেন হাৎসোপুলোস।
ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য মুঠোফোনে নানা ধরনের বিশেষ ‘ফাংশন’-এর ধারণাটা বিশেষ নতুন নয়: সাধারণত সর্বাধুনিক স্মার্টফোনেই এসব ফাংশন পাওয়া যায়। সে তুলনায় ইসলামী সিমকার্ড তথাকথিত দ্বিতীয় প্রজন্মের পুরনো মুঠোফোনেও ব্যবহার করা চলে। অন্যান্য সিমকার্ড কিংবা অ্যাপ-এর থেকে ইসলামী সিমকার্ড এখানেই এগিয়ে। আবার নামাজের সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘মিউট’ হয়ে যাওয়ার বৈশিষ্টটাও মসজিদের ইমামদের ভালো লাগার কথা, কেননা নামাজের মাঝখানে হঠাৎ ফোন বাজায় তারাই বিরক্ত হন সবচেয়ে বেশি।
হাৎসোপুলোসের মাথায় ইসলামী সিম-কার্ডের ধারণাটা আসে ২০০৯ সালে, যখন তিনি স্পেনের বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে অংশগ্রহণ করছিলেন। এলজি সংস্থা সেই কংগ্রেসে একটি মোবাইল পেশ করে, যাতে মুসলিমদের জন্য বিশেষ ফাংশন ছিল। তা থেকেই হাৎসোপুলোসের মাথায় আইডিয়া আসে: এই সব ফাংশন একটি সহজ সিমকার্ডে দিতে পারলে মুসলমানরা যেকোনো মুঠোফোনে সেই সিমকার্ড ঢুকিয়ে ফোনটিকে একটি ‘ইসলামী মুঠোফোনে’ পরিণত করতে পারবেন।
হাৎসোপুলোস আপাতত দু'টি আইডিয়া নিয়ে কাজ করছেন। প্রথমত, রমজান মাসে এই ইসলামী মুঠোফোন রোজা শুরু করার এবং ইফতার করার সময় জানান দিতে পারবে রিংটোন বাজিয়ে। দ্বিতীয়ত, ইসলামী সিমকার্ডের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফাংশনগুলিকে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে, ‘‘যাতে তরুণ মুসলিমদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়া যায়।”
**************************************
আবু সাহেদ সরকার
সাধারণ সম্পাদক- পল্লীকথা সাহিত্য পরিষদ, গাইবান্ধা।
নির্বাহী সহ-সম্পাদক, মাসিক পল্লীকথা, গাইবান্ধা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
স্বপ্নীল মিহান ২৬/০৯/২০১৪ভালো উদ্যোগ।
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২৫/০৯/২০১৪ইনফরমেশনটি দেয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ হাৎসোপুলোস কে।