পথ দেখাবে জুতা
কোথাও যাবেন কিন্তু রাস্তা চেনেন না; কোনো চিন্তা নেই, আপনাকে রাস্তা দেখিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাবে জুতা! চলার পথে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি 'বুদ্ধিমান' এ জুতা অতিক্রান্ত দূরত্বও পরিমাপ করবে।পথ দেখাবে জুতা!
'লে চল' (চল যাই) জুতা- এএফপি
জুতাটির নাম দেয়া হয়েছে 'লে চল' (চল যাই)। বিশেষ ধরনের এ জুতা তৈরি করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ক্রিস্পিয়ান লরেন্স ও অনিরুদ্ধ শর্মা। ২০১১ সালে ছোট্ট একটি অ্যাপার্টমেন্টে 'ডুসার' নামে একটি প্রতিষ্ঠানও চালু করেন তারা। আসছে সেপ্টেম্বরেই বিশেষ এ জুতা বাজারে পাওয়া যাবে।
গ্লোবাল পজিসনিং সিস্টেম (জিএসপি) প্রযুক্তির মাধ্যমে কাজ করবে এ জুতা। জুতার সুকতলায় লাগানো ব্লুটুথের সঙ্গে স্মার্টফোনের বিশেষ অ্যাপস সংযুক্ত থাকবে। আর স্মার্ট ফোনের অ্যাপসের মাধ্যমে গুগল ম্যাপ থেকে নির্দেশনা নিয়ে তা জানাবে বিশেষ এ জুতা।
ধরা যাক, আপনি যে স্থানে আছেন সেখান থেকে আপনার গন্তব্য ডান দিকে। তাহলে ডান পায়ের জুতাটিতে কম্পন (ভাইব্রেশন) হবে। এটি অনেকটা মোবাইলের ভাইব্রেশনের মতো।
একইসঙ্গে যে ফোনের সঙ্গে জুতাটির ব্লু-টুথে সংযোগ থাকবে সেই ফোন থেকে বেশি দূরে চলে গেলেও জুতাটি সংকেত দেবে। ফলে মোবাইল ফোন হারানোর ঝুঁকিও কমবে এতে।
পথ দেখাবে জুতা!
ক্রিস্পিয়ান লরেন্স ও অনিরুদ্ধ শর্মা-সংগৃহীত
অনিরুদ্ধ ও লরেন্স বলছেন, এ জুতা বিশেষ করে অন্ধ ও বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পিছিয়ে থাকাদের রাস্তা চিনতে সাহায্য করবে। জুতাটি কীভাবে অন্ধদের কাজে আসতে পারে সে বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন হায়দরাবাদের এল ভি প্রসাদ আই ইনস্টিটিউটের বিশেষেজ্ঞরা।
এছাড়া এ জুতা ছোটদের পায়ে থাকলে তারা কোথায় যায় তাও জানা যাবে সহজেই।
বিরক্তিবোধ হলে জুতার ওই বিশেষ সুকতলা খুলেও রাখা যাবে। তখন এটি সাধারণ জুতার মতোই ব্যবহার করা যাবে। আবার সাধারণ জুতায়ও সেই সুকতলা ব্যবহার করা যাবে। এজন্য অবশ্য আলাদাভাবে সুকতলা বাজারজাত করার চিন্তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স জানান, এরইমধ্যে ২৫ হাজার জুতার অগ্রিম চাহিদাপত্র পেয়েছেন তারা। প্রতিটি জুতা ১ শ' থেকে দেড়শ' ডলারে কেনা যাবে।
তবে জুতাটি ব্যবহারে কিছু ঝামেলাও রয়েছে। যেমন- চলার সময় এর ব্লুটুথ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে। এ ধরনের কিছু সমস্যা কাটিয়ে ওঠতে কাজ করে যাচ্ছেন লরেন্স ও অনিরুদ্ধ। সূত্র: এনডিটিভি ও এএফপি
**************************************
আবু সাহেদ সরকার
নির্বাহী সহ-সম্পাদক, মাসিক পল্লীকথা, গাইবান্ধা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আমিনুল ইসলাম সৈকত ২২/০৬/২০২১Darun
-
একনিষ্ঠ অনুগত ১০/০৯/২০১৪ভালো উদ্ভাবন।। তবে আপাতত সাধারনের কোন উপকারে আসবে না, কেননা দিক নির্দেশনা এবং পথ চেনা দুটোই এখন স্মার্টফোনের দ্বারা সম্ভব।
-
আবু সাহেদ সরকার ১০/০৯/২০১৪ভালো লাগলে অবশ্যই মন্তব্যে লিখবেন।