কবি অথবা কয়েকটি মৃত মশা
সুদীপ; সংক্ষেপে দীপ। কাছের মানুষরা দীপ বলেই ডাকে। 'সু'টা আর কেউ উচ্চারণ করতে চায় না। হয়তো সুদীপ বলতে একটু বেশি পরিশ্রম হয় বলেই তারা শ্রম বাঁচিয়ে দীপ উচ্চারণ করে। কাছের মানুষের অনেক তাড়া, তাদের সময়ের অনেক মূল্য। তাই তারা তিন অক্ষরের একটা নাম উচ্চারণেও সময় বাঁচায়, শ্রম বাঁচায়। কিন্তু সুদীপের এটা ভাল লাগে না। তার নাম থেকে 'সু' বাদ দেওয়া তার কাছে অপমানজনক লাগে।
সুদীপ; মাথা ভর্তি চড়ুই পাখির বাসার মত একঝাক চুলের এলেমেলো সজ্জা। চেহারার প্রতি প্রচণ্ডরকম অযত্নশীল। চোখের নিচে নিদ্রাহীনতার স্পষ্ট ছাপ, আর শরীরে অধিকাংশ সময় ঘামের দুর্গন্ধ। পোশাক আশাক মলিন, নোংরা। আর দুই পা চাষাদের মত ধুলাতে মাখা। প্রথম দর্শনে সুদীপকে স্টেশনের বখাটে যুবক, খ্যাপাটে অথবা পাগলও ধরে নিতে পারে কেউ কেউ। কিন্তু মাধবনগর বাসীর কাছে সুদীপ একটা আলাদা নামে পরিচিত- পাগলা কবি দীপ। তার সংক্ষিপ্ত নামের আগে 'পাগলা কবি' উপাধিটাও সুদীপের পছন্দ হয় না। খুব বিরক্ত লাগে তার এটা শুনতে। মাঝে মাঝে ঘৃণাও লাগে।
সুদীপ; একজন আত্মবিসর্জনকারী কবিতা প্রেমিক, জাদুকর বাগ্মী, বজ্র কণ্ঠ আবৃত্তিকার। মাধবনগরে যেকোন কালচারাল প্রোগ্রামে ডাক পড়ে পাগলা কবি দীপের। হয় তাকে উপস্থাপনা করতে হয়, নয়তো কবিতা আবৃত্তি। সুদীপ কখনো না করে না। এতে দু চার পয়সা তার হাতে আসে, আর তার খ্যাতিও বেড়ে যায়। একটা প্রোগ্রামে অংশ নেয়া মানে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে অসংখ্য অচেনা মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। সুদীপ বিষয়টা খুব উপভোগ করে, যখন দেখে মাধব নগরের অলিতে গলিতে প্রায় সবাই তাকে চেনে। সে তার নিজেকে ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসে। নিজের সৃষ্টিকে বাতাসে বাতাসে ভাসিয়ে দিতে ভালোবাসে।
সুদীপ; একজন সম্ভাবনাময় তরুণ কবি। যদিও তার কবিতা খুব বেশি মানুষ পড়ে না, এবং সর্বোচ্চ বিভাগীয় দৈনিক পর্যন্ত যায়, কিন্তু তবুও আমরা সুদীপকে নিয়ে আশাবাদী। কেননা তার রক্তমজ্জায় খেলা করে কবিতা। সে যদি কবিতার সঙ্গে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা না করে তবে অবশ্যই একদিন না একদিন সেরাদের সারিতে চলে যাবে।
আমাদের সুদীপ হয়তো একদিন অনেক বড় কবি হবে, শামসুর রাহমান আল মাহমুদ অথবা নির্মলেন্দুর মত, অথবা তাঁদের চেয়েও বড়। কিন্তু আপাতত ছিঁচকে কবি, পাগলা কবি দীপকে নিয়েই আমরা গল্প শুরু করি। আমাদের গল্পের নায়ক তরুণ কবি (নায়কোচিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক) সুদীপ।
[চলবে. . . .]
সুদীপ; মাথা ভর্তি চড়ুই পাখির বাসার মত একঝাক চুলের এলেমেলো সজ্জা। চেহারার প্রতি প্রচণ্ডরকম অযত্নশীল। চোখের নিচে নিদ্রাহীনতার স্পষ্ট ছাপ, আর শরীরে অধিকাংশ সময় ঘামের দুর্গন্ধ। পোশাক আশাক মলিন, নোংরা। আর দুই পা চাষাদের মত ধুলাতে মাখা। প্রথম দর্শনে সুদীপকে স্টেশনের বখাটে যুবক, খ্যাপাটে অথবা পাগলও ধরে নিতে পারে কেউ কেউ। কিন্তু মাধবনগর বাসীর কাছে সুদীপ একটা আলাদা নামে পরিচিত- পাগলা কবি দীপ। তার সংক্ষিপ্ত নামের আগে 'পাগলা কবি' উপাধিটাও সুদীপের পছন্দ হয় না। খুব বিরক্ত লাগে তার এটা শুনতে। মাঝে মাঝে ঘৃণাও লাগে।
সুদীপ; একজন আত্মবিসর্জনকারী কবিতা প্রেমিক, জাদুকর বাগ্মী, বজ্র কণ্ঠ আবৃত্তিকার। মাধবনগরে যেকোন কালচারাল প্রোগ্রামে ডাক পড়ে পাগলা কবি দীপের। হয় তাকে উপস্থাপনা করতে হয়, নয়তো কবিতা আবৃত্তি। সুদীপ কখনো না করে না। এতে দু চার পয়সা তার হাতে আসে, আর তার খ্যাতিও বেড়ে যায়। একটা প্রোগ্রামে অংশ নেয়া মানে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে অসংখ্য অচেনা মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া। সুদীপ বিষয়টা খুব উপভোগ করে, যখন দেখে মাধব নগরের অলিতে গলিতে প্রায় সবাই তাকে চেনে। সে তার নিজেকে ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসে। নিজের সৃষ্টিকে বাতাসে বাতাসে ভাসিয়ে দিতে ভালোবাসে।
সুদীপ; একজন সম্ভাবনাময় তরুণ কবি। যদিও তার কবিতা খুব বেশি মানুষ পড়ে না, এবং সর্বোচ্চ বিভাগীয় দৈনিক পর্যন্ত যায়, কিন্তু তবুও আমরা সুদীপকে নিয়ে আশাবাদী। কেননা তার রক্তমজ্জায় খেলা করে কবিতা। সে যদি কবিতার সঙ্গে কখনো বিশ্বাসঘাতকতা না করে তবে অবশ্যই একদিন না একদিন সেরাদের সারিতে চলে যাবে।
আমাদের সুদীপ হয়তো একদিন অনেক বড় কবি হবে, শামসুর রাহমান আল মাহমুদ অথবা নির্মলেন্দুর মত, অথবা তাঁদের চেয়েও বড়। কিন্তু আপাতত ছিঁচকে কবি, পাগলা কবি দীপকে নিয়েই আমরা গল্প শুরু করি। আমাদের গল্পের নায়ক তরুণ কবি (নায়কোচিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক) সুদীপ।
[চলবে. . . .]
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রাসেল আল মাসুদ ২১/১০/২০১৩মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নাজমুন নাহার
-
রাসেল আল মাসুদ ২১/১০/২০১৩অনেক ধন্যবাদ সাখাওয়াত্
-
নাজমুন নাহার ১৬/১০/২০১৩চলুক । ভাল লাগছে ।
-
সাখাওয়াতুল আলম চৌধুরী. ১৬/১০/২০১৩সুন্দর সহজ সাবলীল ভাষার চমৎকার একটি গল্প।খুবই ভালো লাগছে।অপেক্ষায় আছি পরবর্তী পর্বের জন্য।শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
-
রাসেল আল মাসুদ ১৬/১০/২০১৩ধন্যবাদ সুমন ভাই
-
suman ১৬/১০/২০১৩চমতকার বিষয়বস্তু ...চলছেও সাবলীলভাবে ...