একজন বেকার যুবকের আত্মকথা
##(বিঃদ্রঃ গল্পের সকল চরিত্র কাল্পনিক তবে বাস্তবতা থেকে অনুপ্রাণিত)
সম্রাট নামটা কে রেখেছিল এখনো জানি না। অনেকবার ভেবেছিলাম আম্মাকে জিজ্ঞেস করব, কিন্তু বাসায় ঢুকলেই মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মনে হয়, এই বুঝি বাবা এসে চাকরির কথা জানতে চাইবে। তবে বাবা, আমার চিন্তাভাবনার মত ছোট মনের মানুষ নন। তিনি আমার বয়স টা পার করে এসেছেন এবং এই বয়সটার কথা ভুলে যান নি। আমাকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন নিজের মত করে চলার। তবে নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী লাগে। এখনো একটা চাকরি খুজে পেলাম না; অবশ্য খুব যে চেষ্টা করছি তাও না। বেকার বন্ধুদের সাথে থেকে থেকে এখনো প্রচন্ডভাবে চাকরির অভাবটা অনুভব করতে পারি নি। শুধু বাসায় থাকলে ই সেই বোধটা জাগ্রত হয়। বিশেষ করে বাবার কাছে হাতখরচের টাকা চাইবার সময়। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার সব বন্ধুদেরই চাকরি হয়ে যাবে, রোজগার শুরু করে বিয়েশাদি করে নিজের গতি করে ফেলবে, আর শুধু আমি একা বেকার পড়ে থাকব। আর ভালোবাসার মানুষটাকেও একসময় হারাতে হবে। ইদানীং চাকরিওয়ালা কোন বন্ধুকে দেখলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, যদিও তারা আমার প্রতি খুবই আন্তরিক আর আমাকে ছাড়া তাদের আড্ডা জমে না। শুধু এই কারনেই এখনো এই বন্ধুগুলিকে ছাড়তে পারছি না। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে অনেক দূরে কোথাও গিয়ে পরে থাকি। কেউ যেন আমাকে খুজে না পায়। সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তা করবে, নানান যায়গায় আমার খোজ করবে। তারপর একদিন ফিরে আসব। আর তখন নিতিও চাকরির জন্য আমাকে পেরা দিবে না। তবে চাইলেই সব কিছু মনের মত করে পাওয়া যায় না।
আজকাল আমাকে নেশা আর রাজনীতির দিকে টানতে চাচ্ছে অনেকে। সবাই কি মনে করে আমাকে নিয়ে! বেকার বলে পচে গেছি! বন্ধুবান্ধবের সঙ্গ ভালো লাগে বলে না করতে পারি না। তবে রাজনীতির মাঠে এই পিছন পিছন ঘুরে করে ভাইভাই করতে একদম ভালোলাগে না। জ্বী হুজুর ধরনের স্বভাব হলে তো কবেই যেকোন একটা চাকরিতে ঢুকে যেতাম। নেশা কিছুক্ষন সব হতাশা ভুলিয়ে দেয় বলে এটাকে মন থেকে না করতে পারি না। এই বন্ধুগুলাও কেমন আজব কিসিমের। দুইটাকা ধার চাইলে সব গুলার গলা শুকিয়ে যায়; কিন্তু গাজা চাইলে মাগনা খাওয়ায়। কসবা যাওয়ার সময় সেধে নিয়ে যায়, আর ঘুরতে গেলে আমায় ভুলে যায়। প্রকৃতপক্ষে এদের আমাকে দরকার নেই, এদের দরকার সঙ্গ। আর বেকার মানুষের সঙ্গের চাইতে নেশাখোরদের কাছে আর কি ভালো হতে পারে! চাকরি বাকরির কথা মুখে বললেও, এরা আসলে মন থেকে চায় আমি যেন বেকার ই থাকি। আর মেয়েরা নাকি ছেলেদের ভবিষ্যৎ ভালো বুঝতে পারে। নিতিও বোধহয় ভালো করে আমার ভবিষ্যৎ বুঝে গেছে।আগে ওর বাসায় বিয়েশাদির কথা উঠলে আমাকে ফোন দিয়ে খুব কান্নাকাটি করত। আর এখন খুব খুব স্বাভাবিক ভাবে জানায় আমাকে। তবে আমার প্রতি তার ভালোবাসাটা এখনো অস্বীকার করতে পারছে না বলেই হয়তো বিয়ে গুলি ভেঙে যাচ্ছে। না হয় ওর মত সুন্দরী মেয়ের বিয়ে হওয়া একটা 'হ্যা' বলার ব্যাপার মাত্র। মাঝেমাঝে চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করে। বলতে ইচ্ছা করে, নিতি, তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না। সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও তুমি যেও না। একটা কিছু আমি ব্যবস্থা করে নিব। ঠিক এই মুহূর্ত গুলিকে সহ্য করতে পারি না। ছুটে যাই নেশাতে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে। গাজা খেয়ে কাদি। এই কান্নার রহস্য কেউ বুঝে না। হয়ত এইসব মোহগ্রস্ত মুহূর্তে সবাই ই ডুবে যেতে চায়।।
সম্রাট নামটা কে রেখেছিল এখনো জানি না। অনেকবার ভেবেছিলাম আম্মাকে জিজ্ঞেস করব, কিন্তু বাসায় ঢুকলেই মন মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। মনে হয়, এই বুঝি বাবা এসে চাকরির কথা জানতে চাইবে। তবে বাবা, আমার চিন্তাভাবনার মত ছোট মনের মানুষ নন। তিনি আমার বয়স টা পার করে এসেছেন এবং এই বয়সটার কথা ভুলে যান নি। আমাকে যথেষ্ট সুযোগ দিয়েছেন নিজের মত করে চলার। তবে নিজের কাছেই নিজেকে অপরাধী লাগে। এখনো একটা চাকরি খুজে পেলাম না; অবশ্য খুব যে চেষ্টা করছি তাও না। বেকার বন্ধুদের সাথে থেকে থেকে এখনো প্রচন্ডভাবে চাকরির অভাবটা অনুভব করতে পারি নি। শুধু বাসায় থাকলে ই সেই বোধটা জাগ্রত হয়। বিশেষ করে বাবার কাছে হাতখরচের টাকা চাইবার সময়। মাঝে মাঝে মনে হয়, আমার সব বন্ধুদেরই চাকরি হয়ে যাবে, রোজগার শুরু করে বিয়েশাদি করে নিজের গতি করে ফেলবে, আর শুধু আমি একা বেকার পড়ে থাকব। আর ভালোবাসার মানুষটাকেও একসময় হারাতে হবে। ইদানীং চাকরিওয়ালা কোন বন্ধুকে দেখলে মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, যদিও তারা আমার প্রতি খুবই আন্তরিক আর আমাকে ছাড়া তাদের আড্ডা জমে না। শুধু এই কারনেই এখনো এই বন্ধুগুলিকে ছাড়তে পারছি না। মাঝে মাঝে খুব ইচ্ছা করে অনেক দূরে কোথাও গিয়ে পরে থাকি। কেউ যেন আমাকে খুজে না পায়। সবাই আমাকে নিয়ে চিন্তা করবে, নানান যায়গায় আমার খোজ করবে। তারপর একদিন ফিরে আসব। আর তখন নিতিও চাকরির জন্য আমাকে পেরা দিবে না। তবে চাইলেই সব কিছু মনের মত করে পাওয়া যায় না।
আজকাল আমাকে নেশা আর রাজনীতির দিকে টানতে চাচ্ছে অনেকে। সবাই কি মনে করে আমাকে নিয়ে! বেকার বলে পচে গেছি! বন্ধুবান্ধবের সঙ্গ ভালো লাগে বলে না করতে পারি না। তবে রাজনীতির মাঠে এই পিছন পিছন ঘুরে করে ভাইভাই করতে একদম ভালোলাগে না। জ্বী হুজুর ধরনের স্বভাব হলে তো কবেই যেকোন একটা চাকরিতে ঢুকে যেতাম। নেশা কিছুক্ষন সব হতাশা ভুলিয়ে দেয় বলে এটাকে মন থেকে না করতে পারি না। এই বন্ধুগুলাও কেমন আজব কিসিমের। দুইটাকা ধার চাইলে সব গুলার গলা শুকিয়ে যায়; কিন্তু গাজা চাইলে মাগনা খাওয়ায়। কসবা যাওয়ার সময় সেধে নিয়ে যায়, আর ঘুরতে গেলে আমায় ভুলে যায়। প্রকৃতপক্ষে এদের আমাকে দরকার নেই, এদের দরকার সঙ্গ। আর বেকার মানুষের সঙ্গের চাইতে নেশাখোরদের কাছে আর কি ভালো হতে পারে! চাকরি বাকরির কথা মুখে বললেও, এরা আসলে মন থেকে চায় আমি যেন বেকার ই থাকি। আর মেয়েরা নাকি ছেলেদের ভবিষ্যৎ ভালো বুঝতে পারে। নিতিও বোধহয় ভালো করে আমার ভবিষ্যৎ বুঝে গেছে।আগে ওর বাসায় বিয়েশাদির কথা উঠলে আমাকে ফোন দিয়ে খুব কান্নাকাটি করত। আর এখন খুব খুব স্বাভাবিক ভাবে জানায় আমাকে। তবে আমার প্রতি তার ভালোবাসাটা এখনো অস্বীকার করতে পারছে না বলেই হয়তো বিয়ে গুলি ভেঙে যাচ্ছে। না হয় ওর মত সুন্দরী মেয়ের বিয়ে হওয়া একটা 'হ্যা' বলার ব্যাপার মাত্র। মাঝেমাঝে চিৎকার করে কাদতে ইচ্ছা করে। বলতে ইচ্ছা করে, নিতি, তোমাকে ছাড়া আমার চলবে না। সবাই আমাকে ছেড়ে চলে গেলেও তুমি যেও না। একটা কিছু আমি ব্যবস্থা করে নিব। ঠিক এই মুহূর্ত গুলিকে সহ্য করতে পারি না। ছুটে যাই নেশাতে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে। গাজা খেয়ে কাদি। এই কান্নার রহস্য কেউ বুঝে না। হয়ত এইসব মোহগ্রস্ত মুহূর্তে সবাই ই ডুবে যেতে চায়।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মুক্তপুরুষ ০৪/১০/২০১৭ভালোবাসা রেখে গেলাম
-
Tanju H ০৩/১০/২০১৭শুভ কামনা রইল।।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ০৩/১০/২০১৭ভাল লাগা রইলো
-
সায়ন্ত গোস্বামী ০৩/১০/২০১৭Valo chinta vabna
-
আজাদ আলী ০৩/১০/২০১৭Kalpnik holeo Bastab. Valo laglo amake
-
ফয়জুল মহী ০৩/১০/২০১৭ভালো লাগা রহিল