পুরস্কার
আজ নীল এর স্কুলে স্পোর্টস ডে । সব ইভেন্টের হিট আগেই হয়ে গেছে । আজ শুধু ফাইনাল হবে । তারপর কালচারাল প্রোগ্রাম আর প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশন । দুটো ইভেন্টে নীল নাম দিয়েছিল , দুটোতেই হিটে উঠেছে । খুব খুশী নীল , আর ওর খুশী ছড়িয়ে গেছে বাড়ির সবার মনে । ছোট্ট দুটো হাতে মাকে জড়িয়ে ধরে নীল বলেছে , মা, তুমি হ্যাপী তো ? আমি ফাইনালেও একটা কিছু হবো মা, তোমার জন্য প্রাইজ আনবো ! নীলের মা আত্রেয়ীর বুক ভরে অঠে আনন্দে , গর্বে । ছেলের মুখচুম্বন করে বলে , হ্যাঁ সোনা , আমি খুউব খুশী ।
তাড়াতাড়ি ঘরের সব কাজ মিটিয়ে আত্রেয়ী ছেলের স্কুলে এসেছে । একটু পরেই স্পোর্টস শুরু হবে । গার্জেনদের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখা চেয়ারগুলোর একটায় জায়গা পেয়ে বসে পড়ে । পরিচিতজনেদের সঙ্গে টুকটাক গল্প করলেও মন পড়ে থাকে অ্যানাউন্সমেন্টের দিকেই । একটু পরেই প্যারেড শুরু হয়ে যায় । তারপর একে একে বিভিন্ন ইভেন্ট হতে থাকে । আত্রেয়ী অধীর আগ্রহে বসে স্পোর্টস দেখতে থাকে ।
একটু পরেই , ঐ যে , ১০০ মিটার দৌড়ে প্রতিযোগী হিসাবে নীলের নাম ঘোষিত হচ্ছে । টান টান উত্তেজনা নিয়ে আত্রেয়ী তাকিয়ে থাকে , ঐ তো ইন্সট্রাকটর এর বাঁশীর আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে নীল ছুটতে শুরু করে দিয়েছে ! সবার আগে দৌড়ে আসছে তার আদরের নীল ! উত্তেজনায় সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় আত্রেয়ী যাতে ফিনিশিং লাইনটা ঠিক মতো দেখা যায় ! এ কি ! পাশের বাচ্ছাটা নীলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসছে ! একটুর জন্য নীল বুঝি ফার্স্ট হতে পারলো না !
হঠাৎ , এ কি হলো !! অন্য বাচ্চাটা হোঁচট খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলো যে !! কি হল ওর ? "মাগো" বলে চিৎকার করে উঠেছে বাচ্ছাটা ! আর নীল ? থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে , তারপর থতমত ভাবটা কাটিয়ে উঠে বন্ধুর কাছে দৌড়ে গিয়ে ওকে তোলার চেষ্টা করছে । অন্য সব প্রতিযোগীরা ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে গেছে , দৌড় শেষ । স্যার- ম্যাডাম রাও দৌড়ে যাচ্ছেন পড়ে যাওয়া বাচ্চাটার দিকে । বাইরে থেকে এক ভদ্রমহিলাও দৌড়চ্ছেন মাঠের দিকে, সম্ভবত ঐ বাচ্ছার মা ।
আত্রেয়ী আস্তে আস্তে চেয়ারে বসে পড়লো । অতি দ্রুত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে পর পর সাজাতে চেষ্টা করলো । হঠাৎ খেয়াল হল , নীল দৌড়টা শেষ করেনি ! মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখলো , একজন স্যার আহত বাচ্ছাটাকে কোলে করে অফিসরুমে নিয়ে যাচ্ছেন , ফার্স্ট এড বক্স , আইস অখানেই আছে । আর নীলের হাত ধরে হেড ম্যাডাম এদিকেই আসছেন । আত্রেয়ী উঠে দাঁড়ালো । হেড ম্যাম তার হাত ধরে বললেন , উই আর প্রাইড অফ ইওর চাইল্ড ! নীল আজ নিজের দৌড়ের কথা চিন্তা না করে ওর বন্ধুর কথা ভেবেছে ,একজন সত্যিকারের মানুষের মতো কাজ করেছে ।
নীলকেও অনেক আদর করলেন হেড ম্যাডাম । অন্য গার্জেনরাও নীলের প্রশংসা করতে লাগলেন । ঐ বাচ্ছাটির মা-ও এসে আত্রেয়ীর হাত জড়িয়ে ধরলেন । পুত্রগর্বে আত্রেয়ীর বুক ভরে উঠলো , চোখের কোণে জল চিকচিক করছে ! সবাই চলে যেতে নীলকে আত্রেয়ী বুকে জড়িয়ে ধরলো । নীল বলল , মা, তুমি কি রাগ করেছো আমি প্রাইজ আনতে পারিনি বলে ?
না রে সোনা, নীলকে চুমু খেতে খেতে আত্রেয়ী বলে উঠলো , তুই তো আমায় সেরা প্রাইজ এনে দিয়েছিস ! মানবিকতা আর মনুষ্যত্বের পুরস্কার ! আমি আজ খুব খুশী , খুউব...।।
তাড়াতাড়ি ঘরের সব কাজ মিটিয়ে আত্রেয়ী ছেলের স্কুলে এসেছে । একটু পরেই স্পোর্টস শুরু হবে । গার্জেনদের জন্য নির্দিষ্ট করে রাখা চেয়ারগুলোর একটায় জায়গা পেয়ে বসে পড়ে । পরিচিতজনেদের সঙ্গে টুকটাক গল্প করলেও মন পড়ে থাকে অ্যানাউন্সমেন্টের দিকেই । একটু পরেই প্যারেড শুরু হয়ে যায় । তারপর একে একে বিভিন্ন ইভেন্ট হতে থাকে । আত্রেয়ী অধীর আগ্রহে বসে স্পোর্টস দেখতে থাকে ।
একটু পরেই , ঐ যে , ১০০ মিটার দৌড়ে প্রতিযোগী হিসাবে নীলের নাম ঘোষিত হচ্ছে । টান টান উত্তেজনা নিয়ে আত্রেয়ী তাকিয়ে থাকে , ঐ তো ইন্সট্রাকটর এর বাঁশীর আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে নীল ছুটতে শুরু করে দিয়েছে ! সবার আগে দৌড়ে আসছে তার আদরের নীল ! উত্তেজনায় সিট ছেড়ে উঠে দাঁড়ায় আত্রেয়ী যাতে ফিনিশিং লাইনটা ঠিক মতো দেখা যায় ! এ কি ! পাশের বাচ্ছাটা নীলকে পিছনে ফেলে এগিয়ে আসছে ! একটুর জন্য নীল বুঝি ফার্স্ট হতে পারলো না !
হঠাৎ , এ কি হলো !! অন্য বাচ্চাটা হোঁচট খেয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে গেলো যে !! কি হল ওর ? "মাগো" বলে চিৎকার করে উঠেছে বাচ্ছাটা ! আর নীল ? থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছে , তারপর থতমত ভাবটা কাটিয়ে উঠে বন্ধুর কাছে দৌড়ে গিয়ে ওকে তোলার চেষ্টা করছে । অন্য সব প্রতিযোগীরা ফিনিশিং লাইনে পৌঁছে গেছে , দৌড় শেষ । স্যার- ম্যাডাম রাও দৌড়ে যাচ্ছেন পড়ে যাওয়া বাচ্চাটার দিকে । বাইরে থেকে এক ভদ্রমহিলাও দৌড়চ্ছেন মাঠের দিকে, সম্ভবত ঐ বাচ্ছার মা ।
আত্রেয়ী আস্তে আস্তে চেয়ারে বসে পড়লো । অতি দ্রুত ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোকে পর পর সাজাতে চেষ্টা করলো । হঠাৎ খেয়াল হল , নীল দৌড়টা শেষ করেনি ! মাঠের দিকে তাকিয়ে দেখলো , একজন স্যার আহত বাচ্ছাটাকে কোলে করে অফিসরুমে নিয়ে যাচ্ছেন , ফার্স্ট এড বক্স , আইস অখানেই আছে । আর নীলের হাত ধরে হেড ম্যাডাম এদিকেই আসছেন । আত্রেয়ী উঠে দাঁড়ালো । হেড ম্যাম তার হাত ধরে বললেন , উই আর প্রাইড অফ ইওর চাইল্ড ! নীল আজ নিজের দৌড়ের কথা চিন্তা না করে ওর বন্ধুর কথা ভেবেছে ,একজন সত্যিকারের মানুষের মতো কাজ করেছে ।
নীলকেও অনেক আদর করলেন হেড ম্যাডাম । অন্য গার্জেনরাও নীলের প্রশংসা করতে লাগলেন । ঐ বাচ্ছাটির মা-ও এসে আত্রেয়ীর হাত জড়িয়ে ধরলেন । পুত্রগর্বে আত্রেয়ীর বুক ভরে উঠলো , চোখের কোণে জল চিকচিক করছে ! সবাই চলে যেতে নীলকে আত্রেয়ী বুকে জড়িয়ে ধরলো । নীল বলল , মা, তুমি কি রাগ করেছো আমি প্রাইজ আনতে পারিনি বলে ?
না রে সোনা, নীলকে চুমু খেতে খেতে আত্রেয়ী বলে উঠলো , তুই তো আমায় সেরা প্রাইজ এনে দিয়েছিস ! মানবিকতা আর মনুষ্যত্বের পুরস্কার ! আমি আজ খুব খুশী , খুউব...।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ২৯/০৪/২০১৬অসাধারন
-
মাহাবুব ১৭/০৩/২০১৬ভালো হয়েছে কবিতাটা কবি।
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ১৬/০৩/২০১৬দারুণ লাগল ।
-
অভিষেক মিত্র ১৬/০৩/২০১৬ভালো।