সীমাবদ্ধতা
সুশীলবাবু আজ খুব খুশী । কয়েকদিন হল সস্ত্রীক ছেলের বিশাল বাংলো বাড়ীতে বেড়াতে এসেছেন । গ্রামের high school এর headmaster হিসাবে অবসর গ্রহণ করেছেন বছর দশেক হল । ছাত্ররা তাঁকে যেমন ভয় পেতো তাঁর কড়া descipline এর জন্য, ঠিক তেমনই ভালোওবাসতো । এখনও কত কৃতী ছাত্র তাঁর বাড়িতে এসে প্রণাম করে করে যায় ।
আজ ছেলের promotion উপলক্ষ্যে একটা বিশাল party আছে বাড়িতে । সকাল থেকেই বাংলোর lawn সাজানো হচ্ছে । একধারে তৈরী হয়েছে bar counter । আদর্শবাদী সুশীলবাবু এসব পছন্দ না করলেও বোঝেন আজকের এই globalization এর যুগে corporate দুনিয়ার party তে এটা অপরিহার্জ্য । তাই দেখেও দেখেন না সুশীলবাবু । ছেলের অনুরোধে অভ্যাসের ধুতি-পাঞ্জাবি ছেরে অনভ্যাসের coat-pant এই নিজেকে সাজিয়েছেন । বউমাকে make-over করাতে আসা make-over specialist তাঁর স্ত্রীকেও make-over করিয়ে দিয়ে গেছে , এতদিনের পুরনো স্ত্রীকে তাই কেমন যেন অচেনা লাগছে ! Party বেশ জমে উঠেছে, লাল-নীল আলোয় আর music এর সুরের আবেশে চারিদিক বেশ সুন্দর লাগছিল ! বউমাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে তার permission নিয়ে আদরের নাতিকে নিয়ে একটা ধারের table এ বসে chicken lollipop আর soft drinks খাচ্ছিলেন । হঠাৎই চোখে পড়লো dance corner এ একজন অচেনা মানুষ বউমাকে প্রায় কোলে তুলে নিতে চাইছে , বউমা আপত্তি জানাচ্ছে প্রবলভাবে , কিন্তু অবাক কাণ্ড , ছেলে পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে সেই মানুষকে encourage করছে !! নাতিও ব্যাপারটা দেখতে পেয়ে দৌড়ে গেল , “আমার mummy কে ছেড়ে দাও !” তিনিও বলে উঠলেন, “কি হচ্ছে কি ? এ কি অসভ্যতা ?” অবাক কাণ্ড !! ছেলে বাবাকে ধমকে উঠলো, “ এখানে এসেছো কেন ? Manners জানো না ? Don’t cross your limit ! Stay inside your limitations ! Behave yourself ! ”
স্তব্ধ হয়ে গেলেন সুশীলবাবু ! British আমলে English শেখা high school এর head master তাঁর কৃতী ছেলের বলা ইংরাজী শব্দগুলোর মানে যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না ! চোখ বেয়ে নীরবে অশ্রু ঝরে পড়ে, মনে পড়ে ছোটবেলায় এই ছেলেরই হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছেন, তার পায়ে ব্যাথা হলে কাঁধে বসিয়ে হেঁটেছেন কত পথ, শিখিয়েছেন A,B,C,D , how to make a sentence ! ইস্... যদি তাঁকে ইংরাজী না শেখাতেন ! তাহলে হয়ত এত লোকের সামনে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ‘পুরষ্কার’ স্বরূপ তার বাবাকে manners শেখাতো না ! তার নিজস্ব মাপকাঠিতে মাপতে বসতো না বাবার limitations ! হায়, ছেলে আজ ‘কৃতী’ হয়েছে কিন্তু ‘মানুষ’ হয়নি ! তাই মানুষের সবচেয়ে বড় ঈশ্বর মা-বাবাকে অপমান করে office এর boss কে খুশী করতে চায় ! ছোট্ট নাতিটা কি বুঝলো কে জানে ! দাদুন-এর চোখের জল তার ছোট্ট দুটি হাত দিয়ে মুছিয়ে দিতে দিতে বললো , “ কেঁদো না দাদুন, daddy তোমায় বকেছে তো ! আমি বড় হয়ে daddy কে ঠিক বকে দেবো !”
আজ ছেলের promotion উপলক্ষ্যে একটা বিশাল party আছে বাড়িতে । সকাল থেকেই বাংলোর lawn সাজানো হচ্ছে । একধারে তৈরী হয়েছে bar counter । আদর্শবাদী সুশীলবাবু এসব পছন্দ না করলেও বোঝেন আজকের এই globalization এর যুগে corporate দুনিয়ার party তে এটা অপরিহার্জ্য । তাই দেখেও দেখেন না সুশীলবাবু । ছেলের অনুরোধে অভ্যাসের ধুতি-পাঞ্জাবি ছেরে অনভ্যাসের coat-pant এই নিজেকে সাজিয়েছেন । বউমাকে make-over করাতে আসা make-over specialist তাঁর স্ত্রীকেও make-over করিয়ে দিয়ে গেছে , এতদিনের পুরনো স্ত্রীকে তাই কেমন যেন অচেনা লাগছে ! Party বেশ জমে উঠেছে, লাল-নীল আলোয় আর music এর সুরের আবেশে চারিদিক বেশ সুন্দর লাগছিল ! বউমাকে বুঝিয়ে সুজিয়ে তার permission নিয়ে আদরের নাতিকে নিয়ে একটা ধারের table এ বসে chicken lollipop আর soft drinks খাচ্ছিলেন । হঠাৎই চোখে পড়লো dance corner এ একজন অচেনা মানুষ বউমাকে প্রায় কোলে তুলে নিতে চাইছে , বউমা আপত্তি জানাচ্ছে প্রবলভাবে , কিন্তু অবাক কাণ্ড , ছেলে পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে সেই মানুষকে encourage করছে !! নাতিও ব্যাপারটা দেখতে পেয়ে দৌড়ে গেল , “আমার mummy কে ছেড়ে দাও !” তিনিও বলে উঠলেন, “কি হচ্ছে কি ? এ কি অসভ্যতা ?” অবাক কাণ্ড !! ছেলে বাবাকে ধমকে উঠলো, “ এখানে এসেছো কেন ? Manners জানো না ? Don’t cross your limit ! Stay inside your limitations ! Behave yourself ! ”
স্তব্ধ হয়ে গেলেন সুশীলবাবু ! British আমলে English শেখা high school এর head master তাঁর কৃতী ছেলের বলা ইংরাজী শব্দগুলোর মানে যেন ঠিক বুঝে উঠতে পারছেন না ! চোখ বেয়ে নীরবে অশ্রু ঝরে পড়ে, মনে পড়ে ছোটবেলায় এই ছেলেরই হাত ধরে হাঁটতে শিখিয়েছেন, তার পায়ে ব্যাথা হলে কাঁধে বসিয়ে হেঁটেছেন কত পথ, শিখিয়েছেন A,B,C,D , how to make a sentence ! ইস্... যদি তাঁকে ইংরাজী না শেখাতেন ! তাহলে হয়ত এত লোকের সামনে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার ‘পুরষ্কার’ স্বরূপ তার বাবাকে manners শেখাতো না ! তার নিজস্ব মাপকাঠিতে মাপতে বসতো না বাবার limitations ! হায়, ছেলে আজ ‘কৃতী’ হয়েছে কিন্তু ‘মানুষ’ হয়নি ! তাই মানুষের সবচেয়ে বড় ঈশ্বর মা-বাবাকে অপমান করে office এর boss কে খুশী করতে চায় ! ছোট্ট নাতিটা কি বুঝলো কে জানে ! দাদুন-এর চোখের জল তার ছোট্ট দুটি হাত দিয়ে মুছিয়ে দিতে দিতে বললো , “ কেঁদো না দাদুন, daddy তোমায় বকেছে তো ! আমি বড় হয়ে daddy কে ঠিক বকে দেবো !”
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ১৬/১২/২০১৫ভীষণ ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে এই গল্প। শুভেচ্ছা জানাই।
-
শান্তনু ব্যানার্জ্জী ১৫/১২/২০১৫ভাল লাগল, তবে ইংরেজীর ব্যাবহার অনেক বেশী হয়ে গেছে।
-
শাহানাজ সুলতানা (শাহানাজ) ১২/১২/২০১৫ভালো লেগেছে
-
হাসান কাবীর ১১/১২/২০১৫মোটা দাগে আমার ভালো লেগেছে, "কেদোনা দাদুন ড্যাডি তোমায় বকেছেতো ! আমি বড় হয়ে ড্যাডিকে বকে দেবো" আরো লিখুন। শুভেচ্ছা।
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১১/১২/২০১৫বেশ ভাল লাগল লেখা, আর বাকী বিষয়ে তো নীচে মন্তব্য রয়েছেই ।
-
দেবব্রত সান্যাল ২৩/১১/২০১৫বাংলা লেখায় এত ইংরেজী লিখবেন না। এতে ভাষার দুর্বলতা প্রকাশ পায়। ইংরেজী বানানেও ভুল আছে। retire (অবসর ) , discipline (শৃঙ্খলা ) । বাংলা বানানের ভুল গুলো ও শুদ্ধ করুন।
লেখাতেও আরও পরিপক্বতা (maturity) আশা করছি।