শোধ (৪র্থ পর্ব)
আকাশের অবস্থা ভালো নয়। যে কোন সময় মুশল ধারায় বৃষ্টি নামবে। সারা এমন একটা দিনের অপেক্ষাই করছিলো। আজিমের মৃত্যুর পর নওশাদ আরও সতর্ক হয়ে গেছে, তাই যা কিছু করতে হবে খুব সবাধানে করতে হবে।
মেঘার রুমে গিয়ে দেখে মেঘা ঘুমাচ্ছে। মাথায় হাত বুলিয়ে বোরকা পরে বেড়িয়ে যায় সারা।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরছে। বৃষ্টি আরও একটু জোরে নামার অপেক্ষায় আছে সারা। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর নামে মুশল ধারায় বৃষ্টি। সারা দৌড়ে গিয়ে নওশাদের রুমের সামনে দাড়ায়।
----বাসায় কেউ আছেন?
কিছুক্ষন দরজা ধাক্কানোর পর নওশাদ দরজা খুলে।
--কাউকে খুজছেন?
---না, আসলে আমি ছাতা নিয়ে বের হইনি, এদিকে বৃষ্টি নেমেছে, তাই অপনাদের বাসার সামনে দাড়িয়েছিলাম। কিন্তু ভিজে গেছি বলে ডাক দিলাম।
---আসুন ভিতরে আসুন।
---ভিতরে....!
---ভিজে যাবেন তো, সমস্যা নেই ভিতরে আসুন।
সারা ভিতরে প্রবেশ করে। বোরকা পরা বিধায় নওশাদ ওকে চেনেনী।
সামনে নওশাদ, পিছনে ঘরে ডুকলো সারা।
হঠাৎই সারা একটা রুমাল নওশাদের নাকে মুখে চেপে ধরল।
মুহুর্তেই নওশাদ অজ্ঞানের মত হয়ে পড়লো। নওশাদের অল্প অল্প জ্ঞান আছে ঠিকই তবে শরীরের শক্তি ক্রমশ কমে আসছে।
সারা বোরকার হিজাব খুলে ফেলল। নওশাদ কিছু একটা সারাকে বলার চেষ্টা করেও বলতে পারেনী, তার আগের জ্ঞান হারালো।
অনেক কষ্টে নওশাদ কে টেনে তুলল সারা। নওশাদের ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে দড়ি বের করে একটা চেয়ারের সাথে শক্ত করে বাধলো।
এবার কয়েক জগ জল ওর নাকে মুখে ছুড়ে দিলো। কিছুক্ষন পর কিছুটা জ্ঞান ফিরলো। এবার ওর মুখটা একটা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিলো।
---যন্ত্রনা কাকে বলে আজ তোকে শেখাবো!
এই বলেই নওশাদের মুখে এসিড ছুড়ে মারলো। চোখ মুখ ঝলসে অজ্ঞান নওশাদও অত্মচিৎকার দিয়ে উঠলো। কিন্তু সেই চিৎকার বাইরের বৃষ্টির শব্দের সাথে পেরে উঠেনি।
সারা হাসছে- অট্টহাসি, কিন্তু তার চোখে জল। এবার ব্যাগ থেকে মরিচের গুড়া ও লবন বের করে ছিটিয়ে ছিলো নওশাদের মুখে। হাত পা বাধা নওশাদের প্রতিটা অত্মচিৎকার সারার জন্য যেন খুশির সুর।
এর পর ওর দুই হাতের প্রতিটা আঙ্গুল প্লাস দিয়ে থেতলে দেয়। মাথায় উপুর্যপুরি আঘাত করে ফেলে ফেলে রেখে চলে যায়।
আজ সারা ও মেঘার খুশির দিন। দুই বোন মা-বাবার ছবি নিয়ে জড়াজড়ি করে কান্না করছে।
---তোকে আমি প্লাষ্টিক সার্জারী করাবো বোন।
--আপু! কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবে?
---ভাবিস না। আব্বু ব্যাংকে কিছু টাকা রেখে গেছে। আরও যদি দরকার পরে তবে এই বাড়িটি বিক্রি করে দেব।
হঠাৎ কলিং বেল বাজছে! সারা দরজা খুলে দিলো। পাঁচ জন পুলিশ।
--আপনিই মিস সারা?
--হ্যা।
--নওশাদকে খুনের দায়ে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হলো। নওশাদ মৃত্যুর আগে আপনার নাম বলে গিয়েছে।
--ওকে!
এক মহিলা পুলিশ সারার হাতে হাতকরা পড়ালো।
---আমি কি এক মিনিট সময় পেতে পারি?
---কেন?
---বোনের সাথে একটু দেখা করব।
ইন্সপেক্টেরের অনুমতিতে সবাই ওকে নিয়ে মেঘার রুমে যায়। মেঘার বিভৎস চেহারা দেখে সবাই আৎকে ওঠে! মেঘা কাঁদছে।
---কাদিস না বোন। ডাক্তারের সাথে আমার কথা বলা আছে। কালই তারা তোকে নিয়ে যাবে।
আসিরে...ভালো থাকিস।
চলবে.......
মেঘার রুমে গিয়ে দেখে মেঘা ঘুমাচ্ছে। মাথায় হাত বুলিয়ে বোরকা পরে বেড়িয়ে যায় সারা।
গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি পরছে। বৃষ্টি আরও একটু জোরে নামার অপেক্ষায় আছে সারা। কিছুক্ষন অপেক্ষা করার পর নামে মুশল ধারায় বৃষ্টি। সারা দৌড়ে গিয়ে নওশাদের রুমের সামনে দাড়ায়।
----বাসায় কেউ আছেন?
কিছুক্ষন দরজা ধাক্কানোর পর নওশাদ দরজা খুলে।
--কাউকে খুজছেন?
---না, আসলে আমি ছাতা নিয়ে বের হইনি, এদিকে বৃষ্টি নেমেছে, তাই অপনাদের বাসার সামনে দাড়িয়েছিলাম। কিন্তু ভিজে গেছি বলে ডাক দিলাম।
---আসুন ভিতরে আসুন।
---ভিতরে....!
---ভিজে যাবেন তো, সমস্যা নেই ভিতরে আসুন।
সারা ভিতরে প্রবেশ করে। বোরকা পরা বিধায় নওশাদ ওকে চেনেনী।
সামনে নওশাদ, পিছনে ঘরে ডুকলো সারা।
হঠাৎই সারা একটা রুমাল নওশাদের নাকে মুখে চেপে ধরল।
মুহুর্তেই নওশাদ অজ্ঞানের মত হয়ে পড়লো। নওশাদের অল্প অল্প জ্ঞান আছে ঠিকই তবে শরীরের শক্তি ক্রমশ কমে আসছে।
সারা বোরকার হিজাব খুলে ফেলল। নওশাদ কিছু একটা সারাকে বলার চেষ্টা করেও বলতে পারেনী, তার আগের জ্ঞান হারালো।
অনেক কষ্টে নওশাদ কে টেনে তুলল সারা। নওশাদের ঘর তন্ন তন্ন করে খুঁজে দড়ি বের করে একটা চেয়ারের সাথে শক্ত করে বাধলো।
এবার কয়েক জগ জল ওর নাকে মুখে ছুড়ে দিলো। কিছুক্ষন পর কিছুটা জ্ঞান ফিরলো। এবার ওর মুখটা একটা তোয়ালে দিয়ে মুছে নিলো।
---যন্ত্রনা কাকে বলে আজ তোকে শেখাবো!
এই বলেই নওশাদের মুখে এসিড ছুড়ে মারলো। চোখ মুখ ঝলসে অজ্ঞান নওশাদও অত্মচিৎকার দিয়ে উঠলো। কিন্তু সেই চিৎকার বাইরের বৃষ্টির শব্দের সাথে পেরে উঠেনি।
সারা হাসছে- অট্টহাসি, কিন্তু তার চোখে জল। এবার ব্যাগ থেকে মরিচের গুড়া ও লবন বের করে ছিটিয়ে ছিলো নওশাদের মুখে। হাত পা বাধা নওশাদের প্রতিটা অত্মচিৎকার সারার জন্য যেন খুশির সুর।
এর পর ওর দুই হাতের প্রতিটা আঙ্গুল প্লাস দিয়ে থেতলে দেয়। মাথায় উপুর্যপুরি আঘাত করে ফেলে ফেলে রেখে চলে যায়।
আজ সারা ও মেঘার খুশির দিন। দুই বোন মা-বাবার ছবি নিয়ে জড়াজড়ি করে কান্না করছে।
---তোকে আমি প্লাষ্টিক সার্জারী করাবো বোন।
--আপু! কিন্তু এত টাকা কোথায় পাবে?
---ভাবিস না। আব্বু ব্যাংকে কিছু টাকা রেখে গেছে। আরও যদি দরকার পরে তবে এই বাড়িটি বিক্রি করে দেব।
হঠাৎ কলিং বেল বাজছে! সারা দরজা খুলে দিলো। পাঁচ জন পুলিশ।
--আপনিই মিস সারা?
--হ্যা।
--নওশাদকে খুনের দায়ে আপনাকে গ্রেপ্তার করা হলো। নওশাদ মৃত্যুর আগে আপনার নাম বলে গিয়েছে।
--ওকে!
এক মহিলা পুলিশ সারার হাতে হাতকরা পড়ালো।
---আমি কি এক মিনিট সময় পেতে পারি?
---কেন?
---বোনের সাথে একটু দেখা করব।
ইন্সপেক্টেরের অনুমতিতে সবাই ওকে নিয়ে মেঘার রুমে যায়। মেঘার বিভৎস চেহারা দেখে সবাই আৎকে ওঠে! মেঘা কাঁদছে।
---কাদিস না বোন। ডাক্তারের সাথে আমার কথা বলা আছে। কালই তারা তোকে নিয়ে যাবে।
আসিরে...ভালো থাকিস।
চলবে.......
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
আলোকিত অন্ধকার ০৯/০৮/২০১৪বাপরে !!!!!!!!১
-
শিমুল শুভ্র ০৯/০৮/২০১৪আগের ধাপ গুলো মিস করলাম ।সময় করে পড়ে নিব।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ০৭/০৮/২০১৪সুন্দর ভাবনা।