শোধ (৩য় পর্ব)
টেবিলে বসে পেপার পড়ছিলো সারা। হঠাৎ শেষ পৃষ্ঠার একটা নিউজে চোখ আটকে যায়। "রাজধানীতে নেশা করাকে কেন্দ্র করে যুবক খুন" শিরনামের খবরের বিস্তারিত পড়তে গিয়ে আনন্দে চিৎকার দিয়ে ওঠে। মেঘাকে ডাকতে ডাকতে মেঘার রুমে যায় সারা।
--মেঘা, এই দেখ, পেপারের নিউজ টা দেখ।
--কি লিখেছে?
--শুনবি কি লিখছে? শোন তাহলে-"রাজধানীতে নেশা করাকে কেন্দ্র করে আজিম নামক এক যুবককে নির্মম ভাবে খুন করা হয়। আজিমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার মুখমন্ডল এসিডে ঝলসে দেয়া হয়ে, কেটে নেয়া হয়েছে জিহ্বা ও দুই পায়ের রগ। গত দুই দিন মৃত্যুযন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজিমের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে নেশা সক্রান্ত বিরোধের জেরে আজিমকে খুন করা হয়।
আনন্দে মেঘার দুচোখ থেকে জল গড়িয়ে পরে। মেঘার বিভৎস চেহারায়ও যেন একটা ঝিলিক ফুটে ওঠে। দু'বোন জড়াজড়ি করে কাঁদতে থাকে, সুখের কান্না।
এখন টার্গেট নওশাদ।
নওশাদ কে মারতে পারলেই মিশন সফল।
এবার নতুন পরিকল্পনা করতে হবে।
---আপু, আপু, কোথায় তুই? এদিকে আয়!
মেঘার ডাক শুনে সারা দৌড়ে মেঘার রুমে যায়।
--কি হয়েছে বোন?
--আচ্ছা আপু, আমি কি দেখতে খুব খারাপ হয়ে গেছি? আমার রুমের আয়নাটা সরিয়ে ফেলেছিস যে!
মেঘার প্রশ্ন শুনে হতবম্ভ হয়ে যায় সারা। মেঘাকে কি জবাব দেবে? কিভাবে আয়না দেখতে দিবে? মেঘার বিভৎস মুখ দেখে তো প্রতিনিয়ত সারাই কেঁদে ওঠে, আর মেঘা নিজে এই মুখ দেখলে কি করবে! ওর তো বাঁচার আশাই শেষ হয়ে যাবে।
সারা কোন উত্তর না দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে যায়।
কিছুক্ষন পর মেঘার রুম থেকে বিকট চিৎকার শোনা যায়। সারা দৌড়ে মেঘার রুমে যায়। জানালার কাঁচে নিজের অস্পষ্ট চেহারা দেখে ভয়ে চিৎকার দেয় মেঘা।
সারা গেলে সারাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার কান্না করতে থাকে।
---শান্ত হ লক্ষ্যি বোন আমার, শান্ত হ।
--আপু, আমি তো কোন অপরাধ করিনি, তাহলে আমার এই অবস্থা কেন?
--তুই শান্ত হ বোন। আইন ওদের ছেড়ে দিলেও আমি ওদের ক্ষমা করবোনা। আজিমের মত নওশাধের অবস্থাও একই হবে।
--আপু আবির কেমন আছে?
--চিন্তা করিস না, ডাক্তার বলেছে আবির ভালো হয়ে যাবে। এখন শুয়ে পর লক্ষ্যি বোন।
মেঘাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে। নিজের রুমে আসে সারা। এবার নাওশাদ কিলিং মিশন।
নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে। কিন্তু মাথায় কিছু আসছে না। কিছুক্ষন নিজের রুমে পায়চারি করে। আবার টেবিলে বসে। এরকমভাবে অনেকক্ষন চেষ্টা করে দুটো প্লান ঠিক করে। প্লান এ ব্যার্থ হলে প্লান বি।
ড্রয়ার খুলে নতুন ড্রেস বেড় করতে যায় সারা। ড্রেস খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ একটা লাল শাড়ি চোখে পরে। শাড়িটি মেঘার বিয়ের জন্য কেনা হয়েছিলো। শাড়িটাকে জড়িয়ে ধরে বসে পরে সারা। আবার সেদিনের সবকিছু মনে পরে যায়। মনে পরে যায় বাবা মায়ের কথাও, যাদেরকেও বাঁচতে দেয়নী ওই দুটো জানোয়ার!
চলবে..............
--মেঘা, এই দেখ, পেপারের নিউজ টা দেখ।
--কি লিখেছে?
--শুনবি কি লিখছে? শোন তাহলে-"রাজধানীতে নেশা করাকে কেন্দ্র করে আজিম নামক এক যুবককে নির্মম ভাবে খুন করা হয়। আজিমের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া তার মুখমন্ডল এসিডে ঝলসে দেয়া হয়ে, কেটে নেয়া হয়েছে জিহ্বা ও দুই পায়ের রগ। গত দুই দিন মৃত্যুযন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে গতকাল রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজিমের মৃত্যু হয়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে নেশা সক্রান্ত বিরোধের জেরে আজিমকে খুন করা হয়।
আনন্দে মেঘার দুচোখ থেকে জল গড়িয়ে পরে। মেঘার বিভৎস চেহারায়ও যেন একটা ঝিলিক ফুটে ওঠে। দু'বোন জড়াজড়ি করে কাঁদতে থাকে, সুখের কান্না।
এখন টার্গেট নওশাদ।
নওশাদ কে মারতে পারলেই মিশন সফল।
এবার নতুন পরিকল্পনা করতে হবে।
---আপু, আপু, কোথায় তুই? এদিকে আয়!
মেঘার ডাক শুনে সারা দৌড়ে মেঘার রুমে যায়।
--কি হয়েছে বোন?
--আচ্ছা আপু, আমি কি দেখতে খুব খারাপ হয়ে গেছি? আমার রুমের আয়নাটা সরিয়ে ফেলেছিস যে!
মেঘার প্রশ্ন শুনে হতবম্ভ হয়ে যায় সারা। মেঘাকে কি জবাব দেবে? কিভাবে আয়না দেখতে দিবে? মেঘার বিভৎস মুখ দেখে তো প্রতিনিয়ত সারাই কেঁদে ওঠে, আর মেঘা নিজে এই মুখ দেখলে কি করবে! ওর তো বাঁচার আশাই শেষ হয়ে যাবে।
সারা কোন উত্তর না দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে যায়।
কিছুক্ষন পর মেঘার রুম থেকে বিকট চিৎকার শোনা যায়। সারা দৌড়ে মেঘার রুমে যায়। জানালার কাঁচে নিজের অস্পষ্ট চেহারা দেখে ভয়ে চিৎকার দেয় মেঘা।
সারা গেলে সারাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার কান্না করতে থাকে।
---শান্ত হ লক্ষ্যি বোন আমার, শান্ত হ।
--আপু, আমি তো কোন অপরাধ করিনি, তাহলে আমার এই অবস্থা কেন?
--তুই শান্ত হ বোন। আইন ওদের ছেড়ে দিলেও আমি ওদের ক্ষমা করবোনা। আজিমের মত নওশাধের অবস্থাও একই হবে।
--আপু আবির কেমন আছে?
--চিন্তা করিস না, ডাক্তার বলেছে আবির ভালো হয়ে যাবে। এখন শুয়ে পর লক্ষ্যি বোন।
মেঘাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে। নিজের রুমে আসে সারা। এবার নাওশাদ কিলিং মিশন।
নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে। কিন্তু মাথায় কিছু আসছে না। কিছুক্ষন নিজের রুমে পায়চারি করে। আবার টেবিলে বসে। এরকমভাবে অনেকক্ষন চেষ্টা করে দুটো প্লান ঠিক করে। প্লান এ ব্যার্থ হলে প্লান বি।
ড্রয়ার খুলে নতুন ড্রেস বেড় করতে যায় সারা। ড্রেস খুঁজতে খুঁজতে হঠাৎ একটা লাল শাড়ি চোখে পরে। শাড়িটি মেঘার বিয়ের জন্য কেনা হয়েছিলো। শাড়িটাকে জড়িয়ে ধরে বসে পরে সারা। আবার সেদিনের সবকিছু মনে পরে যায়। মনে পরে যায় বাবা মায়ের কথাও, যাদেরকেও বাঁচতে দেয়নী ওই দুটো জানোয়ার!
চলবে..............
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
উদ্বাস্তু নিশাচর ১৪/০৮/২০১৪ভালো লাগলো
-
রফছান খাঁন ০৭/০৮/২০১৪অপেক্ষায়...।
-
মঞ্জুর হোসেন মৃদুল ০৬/০৮/২০১৪চলুক