শোধ (২য় পর্ব)
সন্ধ্যা নেমে গেছে অনেক আগেই। গলিটা বেশ চিপা। গলির মাথায় একটা পরিত্যাক্ত বাড়ি। নেশাখোড়দের নিরাপদ আড্ডাখানা। এ রাস্তা ধরে সচরাচর কেউ চলাচল করে না। আর মেয়েরা তো মনের ভুলেও না। কিন্তু সারা রিস্কটা নিলো। সব কিছু খুব সবাধানে করতে হবে। সুনসান রাস্তা। পায়ে পায়ে বিপদ। একটু এদিক সেদিক হলেই নিশ্চিত বিপদের সম্ভবনা। উড়নাটা ভালো করে টেনে ঘোমটা দিয়ে নিলো যাতে চেহারা না দেখা যায়। সামনে এগিয়ে দেখে আজিম নেশাগ্রস্থ অবস্থায় একটা দেয়ালের সাথে হেলান দেয়া। বাকি তিনজন নেশায় বুঁদ হয়ে শুয়ে আছে। সারা আজিমের একটু সামনে গিয়ে হাতের চুড়ি ঝাকা দিলো।
আজিম এখানে মেয়ে দেখে চমকে উঠলো। যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! চোখ ডলে ভালোমত দেখলো যে ভুল দেখেছে কিনা। না ভুল দেখেনি। সারা পাশ ফিরে তাকিয়ে থাকায় আর ঘোমটা টানা থাকায় আজিম সারাকে চিনতে পারেনী।
হাতের ইশারায় আজিমকে ডাক দিলো। আজিম উঠে গিয়ে সারার পিছু পিছু আসতে লাগলো। সব কিছুই পরিকল্পনা মতই এগোচ্ছে।
কিছুদুর যাওয়ার পর আজিম সারার হাত টেনে ধরল। সারা ঘুরে দাড়াতেই আজিম সারাকে দেখে চমকে উঠলো।
--সারা তু....
--হ্যা আমি।
বলেই একটা ইট দিয়ে আজিমের মাথায় আঘাত করলো সারা। আজিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। না সারা আজিম বা ওদের কাউকেই এত সহজে মারবে না। ওদের তিল তিল করে যন্ত্রনা দিয়ে মারবে। ব্যাগ থেকে একটা বোতল বের করলো সারা। মেঘার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। বোতলের সবটুকুই তরলই ঢেলে দিলো আজিমের চোখ-মুখে। মুহুর্তেই জ্বলসে গেল আজিমের মুখ। অজ্ঞান আজিম চিৎকারও দিতে পারেনী। ব্যাগ থেকে ছুড়ি বের করলো সারা। গ্লোভস পরে আজিমের জিহ্বা টেনে বের করে অগ্রভাগ কেঁটে ফেললো। এর পর পায়ের গোড়ালীর উপর থেকে দুই পায়ের রগ কেঁটে দিলো। শেষে উঠে দাড়িয়ে চোখ মুছে নিলো। মুখের উপর থুথু ফেলে ওখান থেকে চলে এলো সারা।
বাথরুমের বাথট্যাপ ছেড়ে তার নিচে বসে আছে সারা। চোখের জল লুকিয়ে মনে প্রথম মিশন সফল করার তৃপ্তি। অনেকক্ষন এভাবে কাটিয়ে চেঞ্জ করে বের হয়। বেড়িয়ে ডাইনিংয়ে গিয়ে একটা প্লেটে খাবার নেয়। মেঘার রুমে গিয়ে মেঘাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করে। মেঘা যতক্ষন সজাগ থাকে ততক্ষন যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকে, তাই ওকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়।
--মেঘা, মেঘা, ওঠ বোন। কিছু মুখে দে।
অনেকক্ষন ডাকাডাকির পর মেঘা জেগে ওঠে। জেগে ওঠেই সারাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে।
সারাও মেঘাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
--মেঘা, বোন আমার, কাঁদিস না। আমার প্রথম মিশন সফল। আজিমকে আমি এমন যন্ত্রনা দিয়েছি যে ও মুত্যুর আগে প্রতিটা মুহুর্তে যন্ত্রনায় নিজের মৃত্যু কামনা করবে। একটু হাস বোন। একটু হাস। নে, কিছু খেয়ে নে লক্ষ্যি বোন আমার।
মেঘা কাদতে কাদতে সারার হাতের খাবার মুখে পুরে নেয়।
চলবে...........
আজিম এখানে মেয়ে দেখে চমকে উঠলো। যেন মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি! চোখ ডলে ভালোমত দেখলো যে ভুল দেখেছে কিনা। না ভুল দেখেনি। সারা পাশ ফিরে তাকিয়ে থাকায় আর ঘোমটা টানা থাকায় আজিম সারাকে চিনতে পারেনী।
হাতের ইশারায় আজিমকে ডাক দিলো। আজিম উঠে গিয়ে সারার পিছু পিছু আসতে লাগলো। সব কিছুই পরিকল্পনা মতই এগোচ্ছে।
কিছুদুর যাওয়ার পর আজিম সারার হাত টেনে ধরল। সারা ঘুরে দাড়াতেই আজিম সারাকে দেখে চমকে উঠলো।
--সারা তু....
--হ্যা আমি।
বলেই একটা ইট দিয়ে আজিমের মাথায় আঘাত করলো সারা। আজিম মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। না সারা আজিম বা ওদের কাউকেই এত সহজে মারবে না। ওদের তিল তিল করে যন্ত্রনা দিয়ে মারবে। ব্যাগ থেকে একটা বোতল বের করলো সারা। মেঘার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। বোতলের সবটুকুই তরলই ঢেলে দিলো আজিমের চোখ-মুখে। মুহুর্তেই জ্বলসে গেল আজিমের মুখ। অজ্ঞান আজিম চিৎকারও দিতে পারেনী। ব্যাগ থেকে ছুড়ি বের করলো সারা। গ্লোভস পরে আজিমের জিহ্বা টেনে বের করে অগ্রভাগ কেঁটে ফেললো। এর পর পায়ের গোড়ালীর উপর থেকে দুই পায়ের রগ কেঁটে দিলো। শেষে উঠে দাড়িয়ে চোখ মুছে নিলো। মুখের উপর থুথু ফেলে ওখান থেকে চলে এলো সারা।
বাথরুমের বাথট্যাপ ছেড়ে তার নিচে বসে আছে সারা। চোখের জল লুকিয়ে মনে প্রথম মিশন সফল করার তৃপ্তি। অনেকক্ষন এভাবে কাটিয়ে চেঞ্জ করে বের হয়। বেড়িয়ে ডাইনিংয়ে গিয়ে একটা প্লেটে খাবার নেয়। মেঘার রুমে গিয়ে মেঘাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করে। মেঘা যতক্ষন সজাগ থাকে ততক্ষন যন্ত্রনায় চিৎকার করতে থাকে, তাই ওকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়।
--মেঘা, মেঘা, ওঠ বোন। কিছু মুখে দে।
অনেকক্ষন ডাকাডাকির পর মেঘা জেগে ওঠে। জেগে ওঠেই সারাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে।
সারাও মেঘাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে।
--মেঘা, বোন আমার, কাঁদিস না। আমার প্রথম মিশন সফল। আজিমকে আমি এমন যন্ত্রনা দিয়েছি যে ও মুত্যুর আগে প্রতিটা মুহুর্তে যন্ত্রনায় নিজের মৃত্যু কামনা করবে। একটু হাস বোন। একটু হাস। নে, কিছু খেয়ে নে লক্ষ্যি বোন আমার।
মেঘা কাদতে কাদতে সারার হাতের খাবার মুখে পুরে নেয়।
চলবে...........
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
প্রসেনজিৎ রায় ০৬/০৮/২০১৪অশেষ কৃতজ্ঞতা কবি।
-
রামবল্লভ দাস ০৬/০৮/২০১৪ভালো ; তবে আরও ভালো হতে পারত ।।
-
আবু আফজাল মোহাঃ সালেহ ০৫/০৮/২০১৪মোটামুটি।