শোধ (১ম পর্ব)
বিছানায় শুয়ে শুয়ে মেঘার ছবির অ্যালবামের একেকটা ছবির উপর হাত বুলাচ্ছে সারা। ফোঁটা ফোঁটা চোখের জল অ্যালবামর উপর পরছে। কিছুক্ষন পর চোখ মুছে নিলো সারা। না, এভাবে ভেঙে পরলে চলবে না। আজ সে একটা বড় কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। যেভাবেই হোক তাকে সফল হতেই হবে।
চোখ মুছে উঠে দাড়ায় সারা। কাগজের দিকে তাকিয়ে সব পরিকল্পনা আবার দেখে নেয়। বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়। যাওয়ার আগে মেঘার রুমের দরজা খুলে একবার তাকায়। মেয়টা বিপরীত দিকে ফিরে ঘুমোচ্ছে। কিছুক্ষন আগে ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে। চোখের কোন থেকে অশ্রুর ফোঁটা দুটো মুছে ফেলে বেড়িয়ে পরে সারা।
রিক্সা থেকে নেমে গেটের সামনে থমকে দাড়ায় সারা। পরক্ষনেই পা চালিয়ে ভিতরে ডুকে। দুটো ভবন পেরিয়ে আবার থমকে দাড়ায়। ওয়াশ রুমে গিয়ে নাকে-মুখে পানি দেয়। এর পর বেড়িয়ে সোজা হাটতে থাকে আবিরের সেলের দিকে। দুই পাশে নানান রকম মানুষ। সবাই মানসিক রোগী। কেউ নাচছে, কেউ গাইছে, কেউ নিজের চুল ছিড়ছে, কেউ বা আবার একা একা নানান প্রলাপ বকছে।
আবিরের সেলের দিকে যাওয়ার আগে সারা ডাক্তারের রুমে যায়।
--আসতে পারি?
--ও আপনি! আসুন।
ভিতরে এসে বসলো সারা। ডাক্তারের কাছে প্রশ্ন করল আবিরের বর্তমান পরিস্তিতি সম্পর্কে।
--দেখুন আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এমনকি আবিরকে আলাদা ভাবে রেখে চিকিৎসা করছি। তবে ভেঙে পরবেন না। আল্লাহতালাহ্-কে ডাকুন, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
--আমি কি আবিরের সাথে একটু দেখা করতে পারি?
--অবশ্যই। চলুন আমি নিয়ে যাচ্ছি।
ডাক্তারের সাথে আবিরের সেলে যায় সারা। আবির একা একা প্রলাপ বকছে। কাউকে চিনছে না। মুখ থেকে ব্রুম ব্রুম শব্দ করে গাড়ি চালাচ্ছে। আবার পরক্ষনেই মন খারাপ কর বসে আছে। পিছন থেকে সারা আবিরের কাধে হাত রাখে। এক ঝটকায় আবির হাতটা সরিয়ে ফেলে দৌড়ে বিছনার তলায় পালায়। সারা হাত বাড়িয়ে বলল-আমি সারা, বেড়িয়ে আসো আবির।
--না না!! আমাকে মেরোনা। প্লিজ!! মেঘাকে মেরো না!! প্লিজ! মেঘাকে মেরোনা!... প্রলাপ বকতে বকতে অজ্ঞান হয়ে যায়।
সারা চোখ মুছতে মুছতে সেল থেকে বেড়িয়ে যায়।
না, কোন ভাবেই ভেঙে পরলে চলবে না। তাকে মানসিক ভাবে অনেক শক্ত থাকতে হবে। কারন আজ যে সে একটা বড় কাজ করতে যাচ্ছে। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে কাজটা তো হবেই না, উল্টো বিপদের সম্ভবনা প্রবল। তাই খুব সাবধানে পরিকল্পনা মোতাবেকে ধিরে ধিরে আগাতে হবে।
'হে আল্লাহ্, আমাকে শক্তি দিন' বলে চোখ মুছে পা বাড়ায় সারা।
চলবে.................
চোখ মুছে উঠে দাড়ায় সারা। কাগজের দিকে তাকিয়ে সব পরিকল্পনা আবার দেখে নেয়। বাথরুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়। যাওয়ার আগে মেঘার রুমের দরজা খুলে একবার তাকায়। মেয়টা বিপরীত দিকে ফিরে ঘুমোচ্ছে। কিছুক্ষন আগে ঘুমের ওষুধ দেয়া হয়েছে। চোখের কোন থেকে অশ্রুর ফোঁটা দুটো মুছে ফেলে বেড়িয়ে পরে সারা।
রিক্সা থেকে নেমে গেটের সামনে থমকে দাড়ায় সারা। পরক্ষনেই পা চালিয়ে ভিতরে ডুকে। দুটো ভবন পেরিয়ে আবার থমকে দাড়ায়। ওয়াশ রুমে গিয়ে নাকে-মুখে পানি দেয়। এর পর বেড়িয়ে সোজা হাটতে থাকে আবিরের সেলের দিকে। দুই পাশে নানান রকম মানুষ। সবাই মানসিক রোগী। কেউ নাচছে, কেউ গাইছে, কেউ নিজের চুল ছিড়ছে, কেউ বা আবার একা একা নানান প্রলাপ বকছে।
আবিরের সেলের দিকে যাওয়ার আগে সারা ডাক্তারের রুমে যায়।
--আসতে পারি?
--ও আপনি! আসুন।
ভিতরে এসে বসলো সারা। ডাক্তারের কাছে প্রশ্ন করল আবিরের বর্তমান পরিস্তিতি সম্পর্কে।
--দেখুন আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। এমনকি আবিরকে আলাদা ভাবে রেখে চিকিৎসা করছি। তবে ভেঙে পরবেন না। আল্লাহতালাহ্-কে ডাকুন, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে।
--আমি কি আবিরের সাথে একটু দেখা করতে পারি?
--অবশ্যই। চলুন আমি নিয়ে যাচ্ছি।
ডাক্তারের সাথে আবিরের সেলে যায় সারা। আবির একা একা প্রলাপ বকছে। কাউকে চিনছে না। মুখ থেকে ব্রুম ব্রুম শব্দ করে গাড়ি চালাচ্ছে। আবার পরক্ষনেই মন খারাপ কর বসে আছে। পিছন থেকে সারা আবিরের কাধে হাত রাখে। এক ঝটকায় আবির হাতটা সরিয়ে ফেলে দৌড়ে বিছনার তলায় পালায়। সারা হাত বাড়িয়ে বলল-আমি সারা, বেড়িয়ে আসো আবির।
--না না!! আমাকে মেরোনা। প্লিজ!! মেঘাকে মেরো না!! প্লিজ! মেঘাকে মেরোনা!... প্রলাপ বকতে বকতে অজ্ঞান হয়ে যায়।
সারা চোখ মুছতে মুছতে সেল থেকে বেড়িয়ে যায়।
না, কোন ভাবেই ভেঙে পরলে চলবে না। তাকে মানসিক ভাবে অনেক শক্ত থাকতে হবে। কারন আজ যে সে একটা বড় কাজ করতে যাচ্ছে। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লে কাজটা তো হবেই না, উল্টো বিপদের সম্ভবনা প্রবল। তাই খুব সাবধানে পরিকল্পনা মোতাবেকে ধিরে ধিরে আগাতে হবে।
'হে আল্লাহ্, আমাকে শক্তি দিন' বলে চোখ মুছে পা বাড়ায় সারা।
চলবে.................
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।