স্টিশনের মেয়েটি
মধ্যারাত পেরিয়ে গেছে। রেল স্টিশনের প্লাটফর্মের এককোনে বসা একটা ষোড়শী তন্নী। হাতে সদ্য পরা মেহেদির আল্পনা, পরনে লাল শাড়ি।
মেয়েটি কাঁদছে। চারপাশের উৎসুক অনেক মুখ আড়ালে আবডালে মেয়েটিকে লক্ষ করছে। কেউবা আবার ফাঁদ পেতে ঘুঘু ধরার ধান্দায়।
মেয়েটি কাঁদছেই, নিশব্দে। স্বপ্ন ভঙ্গের কান্নারা নিশব্দের হয়। কিছুক্ষন পর পর চোখ মুছছে। তবুও দু-চোখে বাধ ভাঙা অশ্রুরা আছড়ে পরছে ক্ষনে ক্ষনে।
মেয়েটি দ্রুতি। আজ ছিলো দ্রুতির বিয়ে । চারিদিকে খুশির জোয়ার। উৎসবে মাতয়ারা ছিলো সারা বাড়ি। অথচ ও সবাইকে কাঁদিয়ে চলে পালিয়ে এল বাড়ি থেকে! যে ভালোবাসার টানে আজ সে ঘরছাড়া সেই ভালোবাসাই তাকে করলো কলঙ্কিত! কিন্তু দ্রুতি তো এটা চায়নি! ও তো চেয়েছিলো ভালোবাস অম্রকানন। যেখানে থাকবে শুধু দুজনের রাজত্ব! যার টানে বাবা-মার সাথের আজন্ম বন্ধন ছিন্ন করে উড়াল দিয়েছিলো মুক্ত বিহঙ্গের মত! কিন্তু যার হাত ধরার জন্য সরল বিশ্বাসে সব ছাড়লো সেই অভ্রর নাগাল গত ৯ ঘন্টাও পায়নি। আর বিশ্বাসের সলিল সমাধিতে অঙ্কুরিত হলো কলঙ্কের বীজ।
রাত আরও গভীর হয়েছে। হায়নার মত এগিয়ে আসছে কিছু চোখ। মুহুর্তেই কেরে খাবে সব। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যত, পেছনে লালসার চোখ নিয়ে এগিয়ে আসছে হায়নার দল, দ্রুতি উঠে দাড়ালো। দৌড়ে গিয়ে ধারালো একটা রেললাইনের পাশে। হুইসেল বাজিয়ে যে লাইন ধরে এগিয়ে আসছে রাতের শেষ ট্রেনটি। অথচ পিছনে লালসার চোখগুলো তখনও জ্বলজ্বল!
মেয়েটি কাঁদছে। চারপাশের উৎসুক অনেক মুখ আড়ালে আবডালে মেয়েটিকে লক্ষ করছে। কেউবা আবার ফাঁদ পেতে ঘুঘু ধরার ধান্দায়।
মেয়েটি কাঁদছেই, নিশব্দে। স্বপ্ন ভঙ্গের কান্নারা নিশব্দের হয়। কিছুক্ষন পর পর চোখ মুছছে। তবুও দু-চোখে বাধ ভাঙা অশ্রুরা আছড়ে পরছে ক্ষনে ক্ষনে।
মেয়েটি দ্রুতি। আজ ছিলো দ্রুতির বিয়ে । চারিদিকে খুশির জোয়ার। উৎসবে মাতয়ারা ছিলো সারা বাড়ি। অথচ ও সবাইকে কাঁদিয়ে চলে পালিয়ে এল বাড়ি থেকে! যে ভালোবাসার টানে আজ সে ঘরছাড়া সেই ভালোবাসাই তাকে করলো কলঙ্কিত! কিন্তু দ্রুতি তো এটা চায়নি! ও তো চেয়েছিলো ভালোবাস অম্রকানন। যেখানে থাকবে শুধু দুজনের রাজত্ব! যার টানে বাবা-মার সাথের আজন্ম বন্ধন ছিন্ন করে উড়াল দিয়েছিলো মুক্ত বিহঙ্গের মত! কিন্তু যার হাত ধরার জন্য সরল বিশ্বাসে সব ছাড়লো সেই অভ্রর নাগাল গত ৯ ঘন্টাও পায়নি। আর বিশ্বাসের সলিল সমাধিতে অঙ্কুরিত হলো কলঙ্কের বীজ।
রাত আরও গভীর হয়েছে। হায়নার মত এগিয়ে আসছে কিছু চোখ। মুহুর্তেই কেরে খাবে সব। সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যত, পেছনে লালসার চোখ নিয়ে এগিয়ে আসছে হায়নার দল, দ্রুতি উঠে দাড়ালো। দৌড়ে গিয়ে ধারালো একটা রেললাইনের পাশে। হুইসেল বাজিয়ে যে লাইন ধরে এগিয়ে আসছে রাতের শেষ ট্রেনটি। অথচ পিছনে লালসার চোখগুলো তখনও জ্বলজ্বল!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ফারুক আজিজ ২৬/০৭/২০১৪অসম
-
সহিদুল হক ২৪/০৭/২০১৪সুন্দর গল্প।
শুভেচ্ছা। -
রুখসানা কাজল ২৩/০৭/২০১৪নারীর কোন স্বদেশ নেই। আছে কেবল অনুশাসন।খুব ভাল গল্প।
-
কবি মোঃ ইকবাল ২১/০৭/২০১৪বেশ ভালো লাগলো গল্পটি।
-
আবু সঈদ আহমেদ ২১/০৭/২০১৪ভালো লাগল। যথেষ্ট প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে লেখা।
-
অনিক সেনগুপ্ত ২১/০৭/২০১৪বুদ্ধিদিপ্ত বর্ণনা