তৃপ্তি
মানিব্যাগের মুমুর্ষ আবস্থা চলছে। গত দু-মাস যাবৎ টিউশন নেই।
পকেটে হাত দিলাম, সর্বসাকুল্য তেয়াত্তর টাকা আছে। চলতে হবে আরও ১৩ দিন।
জামাটা গায়ে জড়িয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলাম। উদ্দেশহীন পথ চলা। ফোনে দুটো মিসকল। কেয়া দিয়েছ। ব্যাক করিনি। টাকা নেই। জিপি থেকে ধার করা ১০ টাকার ৮.১৩ টাকা আছে। খোয়ানো যাবে না। তাহলে আর চলতে পারবো না। মেয়েটার সাথে ঝগড়া হয়েছে আজ ৪ দিন। ইদানিং ও ফোন খুলে আমাকে ফোন দেয় না, আমি ফোন দিলেই ওয়টিং পাই! আমি কয়েক বার ফোন দিয়েছিলাম আগে, ও ধরেনী। এখন মিসকল দিচ্ছে। কিন্তু আমার ফোনে ব্যালেন্স নেই।
ফোনটা আবার বাজছে। ডাইরেক্ট না মিসকল কনফার্ম হলাম। ফোনটা ধরলাম।
-- হ্যা ভালোইতো! আজকাল ফোন ব্যাকও করো না।
-- ফোনে ব্যালান্স নেই।
-- ও! আমি মিস দিয়েছিতো, ব্যালেন্স তো থাকবেই না।
-- কিছু বলবা?
-- আমি পরিক্ষা দিতে যাচ্ছি।
-- ও! আজ তোমার পরিক্ষা বুঝি! বলোনিতো!
-- এখন তো বললাম!
-- ও? সাথে কে যায়?
-- বেয়াই! আমরা গাড়িতে। আর শোন ফোন দিবা না। আমি ফ্রি হয়ে ফোন দিব।
- ওকে! Wish U all the best!
ফোনটা কেটে গেল। যা বোঝার বুঝে নিয়েছি। না কিছু বলব না, কারন আমার ভাগ্য সম্পর্কে আমার খুব ভালো অভিজ্ঞতা আছে। তাই এটা স্বাভাবিক ঘটনা মাত্র।
সামনে পা চালালাম। হাটতে হাটতে কলেজের সামনে এলাম। কলেজ বন্ধ। তার উপর আজ শুক্রবার। কৃষ্ণচুড়া গাছটার নিচে বসলাম। ফোন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত চালিয়ে শুনতে ছিলাম। দুটো ৭-৮ বছরের বাচ্চা মেয়ে এলো। ছেড়া জামা, মাথায় রুক্ষ-শুষ্ক চুল। দেখেই বোঝা যায়। তেলের স্পর্শ পরেনী অনেক দিন।
--ভাইজানা মোগো দুইডা পয়সা দেন। মোরা কাইল রাইত থেইক্কা কিচ্ছু খাইনাই।
--তোরা দুই বুইন?
-- না, বান্ধবী।
-- আশ্চর্য হলাম। জিজ্ঞেস করলাম তোদের মা-বাবা?
--মোর মা-বাপ কেডা জানিনা। তয় মুই অর মার দারে বড় অইছি। অর বাপ নাই মা পাগল।
ভালো করে দেখলাম আসলেই দুজন অভুক্ত। বললাম চল।
ওদের নিয়ে তরুন-দার দোকানে গেলাম। গিয়ে দুজনকে নাস্তা করালাম ভরপেট। তৃপ্তি সহ খেলোও পেটপুরে। শেষে ওদের মায়ের জন্য নাস্তা কিনে দিলাম।
ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মনটা ভরে গেল। ওদের তৃপ্তির হাসিটা আমার মনের তৃপ্তিকে ভরিয়ে দিল। বিল একানব্বই টাকা। সাথে থাকা টাকাটা দিয়ে বাকি টাকাটা বাকি রেখে বেরিয়ে আসছিলাম। ফোনটা বেজে উঠলো। কেয়ার ফোন। কেটে দিলাম। এখন আর এই ফোনের মধ্যে কোন তৃপ্তি নেই। আমার সকল তৃপ্তি মেয়ে দুটোর হাসিমুখের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে।
পকেটে হাত দিলাম, সর্বসাকুল্য তেয়াত্তর টাকা আছে। চলতে হবে আরও ১৩ দিন।
জামাটা গায়ে জড়িয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলাম। উদ্দেশহীন পথ চলা। ফোনে দুটো মিসকল। কেয়া দিয়েছ। ব্যাক করিনি। টাকা নেই। জিপি থেকে ধার করা ১০ টাকার ৮.১৩ টাকা আছে। খোয়ানো যাবে না। তাহলে আর চলতে পারবো না। মেয়েটার সাথে ঝগড়া হয়েছে আজ ৪ দিন। ইদানিং ও ফোন খুলে আমাকে ফোন দেয় না, আমি ফোন দিলেই ওয়টিং পাই! আমি কয়েক বার ফোন দিয়েছিলাম আগে, ও ধরেনী। এখন মিসকল দিচ্ছে। কিন্তু আমার ফোনে ব্যালেন্স নেই।
ফোনটা আবার বাজছে। ডাইরেক্ট না মিসকল কনফার্ম হলাম। ফোনটা ধরলাম।
-- হ্যা ভালোইতো! আজকাল ফোন ব্যাকও করো না।
-- ফোনে ব্যালান্স নেই।
-- ও! আমি মিস দিয়েছিতো, ব্যালেন্স তো থাকবেই না।
-- কিছু বলবা?
-- আমি পরিক্ষা দিতে যাচ্ছি।
-- ও! আজ তোমার পরিক্ষা বুঝি! বলোনিতো!
-- এখন তো বললাম!
-- ও? সাথে কে যায়?
-- বেয়াই! আমরা গাড়িতে। আর শোন ফোন দিবা না। আমি ফ্রি হয়ে ফোন দিব।
- ওকে! Wish U all the best!
ফোনটা কেটে গেল। যা বোঝার বুঝে নিয়েছি। না কিছু বলব না, কারন আমার ভাগ্য সম্পর্কে আমার খুব ভালো অভিজ্ঞতা আছে। তাই এটা স্বাভাবিক ঘটনা মাত্র।
সামনে পা চালালাম। হাটতে হাটতে কলেজের সামনে এলাম। কলেজ বন্ধ। তার উপর আজ শুক্রবার। কৃষ্ণচুড়া গাছটার নিচে বসলাম। ফোন থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত চালিয়ে শুনতে ছিলাম। দুটো ৭-৮ বছরের বাচ্চা মেয়ে এলো। ছেড়া জামা, মাথায় রুক্ষ-শুষ্ক চুল। দেখেই বোঝা যায়। তেলের স্পর্শ পরেনী অনেক দিন।
--ভাইজানা মোগো দুইডা পয়সা দেন। মোরা কাইল রাইত থেইক্কা কিচ্ছু খাইনাই।
--তোরা দুই বুইন?
-- না, বান্ধবী।
-- আশ্চর্য হলাম। জিজ্ঞেস করলাম তোদের মা-বাবা?
--মোর মা-বাপ কেডা জানিনা। তয় মুই অর মার দারে বড় অইছি। অর বাপ নাই মা পাগল।
ভালো করে দেখলাম আসলেই দুজন অভুক্ত। বললাম চল।
ওদের নিয়ে তরুন-দার দোকানে গেলাম। গিয়ে দুজনকে নাস্তা করালাম ভরপেট। তৃপ্তি সহ খেলোও পেটপুরে। শেষে ওদের মায়ের জন্য নাস্তা কিনে দিলাম।
ওদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমার মনটা ভরে গেল। ওদের তৃপ্তির হাসিটা আমার মনের তৃপ্তিকে ভরিয়ে দিল। বিল একানব্বই টাকা। সাথে থাকা টাকাটা দিয়ে বাকি টাকাটা বাকি রেখে বেরিয়ে আসছিলাম। ফোনটা বেজে উঠলো। কেয়ার ফোন। কেটে দিলাম। এখন আর এই ফোনের মধ্যে কোন তৃপ্তি নেই। আমার সকল তৃপ্তি মেয়ে দুটোর হাসিমুখের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মল্লিকা রায় ১৯/০৭/২০১৪আমিও এমন করেছিলাম অথচ সে এখন আমায় দেখলে পেছন ঘুড়ে যায়-----
-
মুহাম্মদ দিদারুল আলম ১৯/০৭/২০১৪ভালো লেখেছেন....