প্রতিশোধের আগুন
কলেজের শুরুতেই প্রেম। বন্ধু-বান্ধবি সবার কাছেই এক কথা, জুড়ি তো নয় যেন রাধাকৃষ্ণ। সমস্ত কলেজে তাদের একটাই ছিল পরিচয়... রাজেশ্বরী। তবে রাজের ঈশ্বরী হয়ে ওঠা কলেজের সাথেই শেষ হয়। রাজ ঈশ্বরী'কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি গুলো খুবতাড়াতাড়ি ভুলে যায়। সম্পর্ক টা নদীর পাড়ের মতই ভাঙতে ভাঙতে এক সময় পথ পরিবর্তন করে। অনেক গুলো দিন, কয়েকটা বছর... নিজেকে সামলে নিতে সময় লাগে ঈশ্বরীর। একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি পায়। কিন্তু প্রথম ভালোবাসার প্রথম প্রতারণা টা তার মনের সুপ্ত থেকে যায়। মাঝে মাঝে রাতের নিস্তব্ধ অন্ধকারে রাগে অভিমানে বার বার আঘাত করত তাকে। সব ঠিক চললেও কোথাও যেন কষ্ট ছিলই। কষ্ট হেরে যাওয়ার। কষ্ট প্রতারিত হওয়ার। প্রয়োজন ছিল একটা প্রতিশোধের। হয়ত মনের জ্বালাটা মেটানো যেত। তবে সে সুযোগ হয়ে ওঠেনি ঈশ্বরী'র। তবে চাকরীস্থলে অর্ক এর সাথে নতুন পরিচয় হয়েছে তার। কাজের ফাঁকে একে অপরের সুখ দুঃখের ভাব বিনিময় এক মাত্র তার সাথেই। ঈশ্বরী বুঝেছিল ভালোবাসার নির্দিষ্ট দুতিনটি শব্দ না বললেও তার প্রতি তার সহকর্মীর এ যে ভালোবাসা ছাড়া আর কিছুই নয়। অপেক্ষা ছিল শুধু তার প্রেম নিবেদনের।
বেশিদিনে অপেক্ষা করতে হয়নি ঈশ্বরী-কে। চাকরির প্রায় ৬ মাস হতে চলেছে আজ ঈশ্বরী'র জন্মদিন। অর্ক এর শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর সাথে প্রেম নিবেদন। এই মুহূর্তটার জন্যই তো অপেক্ষা ছিল ঈশ্বরী'র। সে অর্ককে জানিয়ে দেয় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার মতানুসারে, তারই পছন্দে। আর ঈশ্বরী'র তার প্রতি কোনও ভালোবাসা নেই। সে যেটা ভালোবাসা ভেবেছিল সেটা খুব বেশি জোর বন্ধুত্ব বা সহমর্মিতা।
অর্ক কথা না বাড়িয়ে চলে যায়। অশান্ত এক খুশিতে ঈশ্বরী'র মনটা যেন তৃপ্ত হয়। আজ সে পেরেছে তার প্রতারণার প্রতিশোধ নিতে। আজ সে খুব খুশি। এই দিনটার জন্যই তো এত অপেক্ষা করেছে সে। বাড়ি ফেরে ঈশ্বরী... রাত আসে, আসে আঁধার। সাথে প্রতিদিনের নিস্তব্ধতা। কিন্তু রাত যত বাড়ে ঈশ্বরী'র কষ্ট গুলোও যেন আর বেড়ে ওঠে। বুঝতে পারে, একটা চরম ভুল হয়ে গেছে। যে ভুলের ক্ষমা নেই। আবার অনেক দিন অনেক রাতের পর নিস্তব্ধতা ভঙ্গ হয়। অঝোরে কাঁদতে থাকে ঈশ্বরী।
রাত্রি শেষ। নুতুন একটা আশা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি অফিসে আসে ঈশ্বরী। আবার একটা অপেক্ষা। না যার অপেক্ষা সে নেই। দুপুর ১২ টা, ঈশ্বরী অফিস এর ম্যানেজারের কাছে গিয়ে জানতে পারে, গতকাল অফিস শেষে অর্ক এসেছিল... resign দিয়েছে গতকালই। নির্বাক ঈশ্বরী। প্রতিশোধের আগুনে জ্বালাতে চেয়েছিল... এখন হয়ত শুধু জ্বলতেই হবে।
বেশিদিনে অপেক্ষা করতে হয়নি ঈশ্বরী-কে। চাকরির প্রায় ৬ মাস হতে চলেছে আজ ঈশ্বরী'র জন্মদিন। অর্ক এর শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছা আর সাথে প্রেম নিবেদন। এই মুহূর্তটার জন্যই তো অপেক্ষা ছিল ঈশ্বরী'র। সে অর্ককে জানিয়ে দেয় তার বিয়ে ঠিক হয়েছে তার মতানুসারে, তারই পছন্দে। আর ঈশ্বরী'র তার প্রতি কোনও ভালোবাসা নেই। সে যেটা ভালোবাসা ভেবেছিল সেটা খুব বেশি জোর বন্ধুত্ব বা সহমর্মিতা।
অর্ক কথা না বাড়িয়ে চলে যায়। অশান্ত এক খুশিতে ঈশ্বরী'র মনটা যেন তৃপ্ত হয়। আজ সে পেরেছে তার প্রতারণার প্রতিশোধ নিতে। আজ সে খুব খুশি। এই দিনটার জন্যই তো এত অপেক্ষা করেছে সে। বাড়ি ফেরে ঈশ্বরী... রাত আসে, আসে আঁধার। সাথে প্রতিদিনের নিস্তব্ধতা। কিন্তু রাত যত বাড়ে ঈশ্বরী'র কষ্ট গুলোও যেন আর বেড়ে ওঠে। বুঝতে পারে, একটা চরম ভুল হয়ে গেছে। যে ভুলের ক্ষমা নেই। আবার অনেক দিন অনেক রাতের পর নিস্তব্ধতা ভঙ্গ হয়। অঝোরে কাঁদতে থাকে ঈশ্বরী।
রাত্রি শেষ। নুতুন একটা আশা নিয়ে খুব তাড়াতাড়ি অফিসে আসে ঈশ্বরী। আবার একটা অপেক্ষা। না যার অপেক্ষা সে নেই। দুপুর ১২ টা, ঈশ্বরী অফিস এর ম্যানেজারের কাছে গিয়ে জানতে পারে, গতকাল অফিস শেষে অর্ক এসেছিল... resign দিয়েছে গতকালই। নির্বাক ঈশ্বরী। প্রতিশোধের আগুনে জ্বালাতে চেয়েছিল... এখন হয়ত শুধু জ্বলতেই হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ন্যান্সি দেওয়ান ০৯/০৮/২০১৮Khub valo legeche.
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৭/০৮/২০১৮অসাধারণ রচনা!ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন ...
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৭/০৮/২০১৮দারুণ