www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

হৃদপিন্ড হাতে কিছুক্ষন

মেডিকেল কলেজ এর কারিকুলামে প্রতিটি পরীক্ষার ৫০ শতাংশ লিখিত আর বাকী ৫০ শতাংশ মৌখিক ।

আর অবশ্য ই প্রতিটা অংশে ৬০ ভাগ নম্পর পেলেই তা পাশ বলে ধরে নেয়া হয় । তো প্রথম টার্ম পরীক্ষায় আমি গেলাম মৌখিক পরীক্ষার হলে । আমি একা ।সামনে বিভাগীয় প্রধান আর তার পাশে পাচঁজন লেকচারার । লটারীর মাধ্যমে আমার পড়লো Heart . আমি হার্ট হাতে নিয়ে বলতে শুরু করলাম এর কোথায় কী আছে । এরপর শুরু হল প্রশ্নবান ।

আমার গ্রুপের ম্যাডাম বাদে বাকী সবাই আমাকে স্মরনকালের শ্রেষ্ঠ ধোলাই দিতে লাগলেন । এখানে লক্ষনীয় যে আমার গ্রুপের ম্যাডাম আমাকে তেমন প্রশ্ন করবেন না ।এক কথায় পাশ করানোর চেষ্টা যাকে বলে ।

যখনি কোন প্রশ্নে আটকে যাবো তখনি কাতর চোখে তাকাবো ক্লাশ টিচারের দিকে । তিনি ফিসফিস করে বলে দেবেন উত্তর ।অথবা আকার ইঙ্গীতে বুঝিয়ে দেবেন কী বলতে হবে । এটা ই মেডিকেল এর মজা ।তবে বাকী সময়টাতে ক্লাস টিচার রা অত্যন্ত এ্যাগ্রেসিভ থাকেন । কান ধরে দাড় করানো ,এক পা এ দাড় করানো মেডিকেল এর কমন শাস্তি ।

আমার সময় শেষ হয়ে এসেছে , ম্যাডাম ফিসফিস করে বলছেন "সৌম্য বিটা সেল থেকে ইনসুলিন নির্গত হয়"
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ৬৭১ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২৩/০৯/২০১৩

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ওয়াহিদ ২৪/০৯/২০১৩
    Last Line :P
  • সহিদুল হক ২৩/০৯/২০১৩
    নিজের হৃৎপিন্ডটা যদি হাতে নিয়ে দেখা যেত !আসলে এটা কেবল মেডিকেলের ক্ষেত্রেই হয় না সব ক্লাস টিচারই এরকম। কারণ তা্ঁর ছাত্র কম মার্কস পেলে সেটা তাঁরও ফা্ঁকিবাজি বলে গণ্য হয়।
  • Înšigniã Āvî ২৩/০৯/২০১৩
    নতুন কিছু জানলাম
  • সৌম্য মজুমদার ২৩/০৯/২০১৩
    হ্যা সত্যি ই
  • এখন চোখের রেটিনা পরীক্ষা করে ডায়াবেটিস এর মাত্রা নির্ধারণ করা হচ্ছে-এটা খুব ভালো রেজাল্ট দেয়।
    খুব ভালো, এমন অভিজ্ঞতা প্রায় সবারই কম বেশি আছে
 
Quantcast