শুভ জন্মদিন প্রিয়
ছেলেটি বেসম্ভব দুষ্টূ প্রকৃতির। ভীষণ চঞ্চল। তবে স্বভাবটি মনকাড়া। পুঁচকে এই ছেলের অভিধানে ভয় বলে কিছুই নেই। গ্রামের খুবই দরিদ্র পরিবারে জন্ম হলেও স্কুলে বরাবরই মেধার পরিচয় দেয়। তার বাবার তিন ছেলে আর চার মেয়ের মধ্যে প্রথম সন্তান জন্ম নেওয়ার পর তার পরপর চার সন্তান মারা যায়। এরপর জন্ম হয় এই ছেলেটির। এমনিতেই তাদের বাড়ির অবস্থা ভালো ছিল না তার উপর মাত্র আট বছর বয়সে বাবা মারা গেল। ভীষণ বিপদে পড়ে গেল তার পুরো পরিবার। অর্থ ছাড়া মায়ের মুখে খাবার জোটবে কোথা থেকে তাই কচি বয়সেই স্কুল ছাড়তে হল তাকে। বাবার কর্মস্থলে গিয়ে বেত হাতে বসতে হল ! নিজের পড়াশোনা না হলেও ছোট ছোট আর সকল বাচ্চাগুলোকে পড়ানোর দায়ীত্ব নিতে হল ।
তার এক চাচা ছিলেন এক গানের দলের ওস্তাদ। চাচার প্রভাবে সে ভিড়ে পড়ল সেই গানের দলে। এখানে তার বেশ সুনাম হল। তার লেখা ও সুর করা গানগুলো শ্রোতা দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেল। শুধু তাই নয়, তার কণ্ঠস্বরও ছিল খুব মিষ্টি আর ভরাট তাই তার গানে সবাই মুগ্ধ হত। কয়েক দিনের মধ্যেই গানের দলের ওস্তাদ হল এই কম বয়সী ছেলে। সংসারের অভাব অনটনের জন্য অর্থ রোজগার করতে হলেও কিন্তু তার পড়ার আগ্রহ কমেনি। এখনও তার খুব ইচ্ছা স্কুলে পড়ার।
অবশেষে গানের দল ছেড়ে আবারও স্কুলে ভর্তি হল। স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা তাকে বেশ পছন্দ করতেন। স্কুলে সে ছিল বেশ চটপটে স্বভাবের। লেখাপড়াতেও ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করত। কিন্তু তার দুঃখ যেন আর শেষ হয় না। লেখাপড়া করার মতো টাকা কোথায় তার ? ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তাকে আবার রোজগারের জন্য কাজে নামতে হল। এবার যোগ দিল কবিগানের দলে। কবিগানের দলে মুখে মুখে কবিতা বানিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের শোনাতে হত তাকে। এখানেও বেশ নাম করলো সে।
কিন্তু এই কাজেও তেমন রোজগার নেই। নিজের পেট তো চালাতেই হবে, সংসারেও টাকা পাঠাতে হবে। এরপর রেলওয়ের একজন গার্ডের খানসামা বা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করল কিছুদিন। তারপর সেই কাজ ছেড়ে আরেকটু বেশি বেতনের আশায় এক চা-রুটির দোকানে রুটি বানানোর কাজ নিল। কী পরিশ্রমের কাজ আর কত কষ্ট তা প্রকাশ করার মত ভাষা আমার জানা নেই। বেতন মাত্র ১ টাকা !
পুরো শৈশব-কৈশোর এভাবেই দুঃখের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। যে বয়সে আর সকল ছেলেদের সাথে স্কুলে পড়ার কথা ছিল, বন্ধুদের সাথে নিয়ে হৈ-হুল্লড় করে বেড়ানোর কথা ছিল সে বয়সে দু বেলা খাবার জুটাবার আশায় বারবার এভাবে তাকে ছুটে পড়তে হয়েছিল কঠিন বাস্তবতার দিকে।
লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে, তাকে নিয়ে লেখার কি শেষ আছে ! বুকে হাত রেখে বলছি পৃথিবীর মাত্র যে কজন মানুষের আগমণের পর আমার জন্ম হয়েছে বলে খোদার কাছে বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এঁদের মধ্যে এই দুঃখী, চঞ্চল, সংগ্রামী ছেলেটিও একজন। আজ ওঁর জন্মদিন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
তার এক চাচা ছিলেন এক গানের দলের ওস্তাদ। চাচার প্রভাবে সে ভিড়ে পড়ল সেই গানের দলে। এখানে তার বেশ সুনাম হল। তার লেখা ও সুর করা গানগুলো শ্রোতা দর্শকদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেল। শুধু তাই নয়, তার কণ্ঠস্বরও ছিল খুব মিষ্টি আর ভরাট তাই তার গানে সবাই মুগ্ধ হত। কয়েক দিনের মধ্যেই গানের দলের ওস্তাদ হল এই কম বয়সী ছেলে। সংসারের অভাব অনটনের জন্য অর্থ রোজগার করতে হলেও কিন্তু তার পড়ার আগ্রহ কমেনি। এখনও তার খুব ইচ্ছা স্কুলে পড়ার।
অবশেষে গানের দল ছেড়ে আবারও স্কুলে ভর্তি হল। স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকরা তাকে বেশ পছন্দ করতেন। স্কুলে সে ছিল বেশ চটপটে স্বভাবের। লেখাপড়াতেও ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করত। কিন্তু তার দুঃখ যেন আর শেষ হয় না। লেখাপড়া করার মতো টাকা কোথায় তার ? ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ার পর তাকে আবার রোজগারের জন্য কাজে নামতে হল। এবার যোগ দিল কবিগানের দলে। কবিগানের দলে মুখে মুখে কবিতা বানিয়ে দর্শক-শ্রোতাদের শোনাতে হত তাকে। এখানেও বেশ নাম করলো সে।
কিন্তু এই কাজেও তেমন রোজগার নেই। নিজের পেট তো চালাতেই হবে, সংসারেও টাকা পাঠাতে হবে। এরপর রেলওয়ের একজন গার্ডের খানসামা বা গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করল কিছুদিন। তারপর সেই কাজ ছেড়ে আরেকটু বেশি বেতনের আশায় এক চা-রুটির দোকানে রুটি বানানোর কাজ নিল। কী পরিশ্রমের কাজ আর কত কষ্ট তা প্রকাশ করার মত ভাষা আমার জানা নেই। বেতন মাত্র ১ টাকা !
পুরো শৈশব-কৈশোর এভাবেই দুঃখের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। যে বয়সে আর সকল ছেলেদের সাথে স্কুলে পড়ার কথা ছিল, বন্ধুদের সাথে নিয়ে হৈ-হুল্লড় করে বেড়ানোর কথা ছিল সে বয়সে দু বেলা খাবার জুটাবার আশায় বারবার এভাবে তাকে ছুটে পড়তে হয়েছিল কঠিন বাস্তবতার দিকে।
লেখা বড় হয়ে যাচ্ছে, তাকে নিয়ে লেখার কি শেষ আছে ! বুকে হাত রেখে বলছি পৃথিবীর মাত্র যে কজন মানুষের আগমণের পর আমার জন্ম হয়েছে বলে খোদার কাছে বারবার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি এঁদের মধ্যে এই দুঃখী, চঞ্চল, সংগ্রামী ছেলেটিও একজন। আজ ওঁর জন্মদিন। তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সমরেশ সুবোধ পড়্যা ৩১/০৭/২০১৫বেশ ভালো লাগলো।
-
এমএসএস রেহমান ২৬/০৫/২০১৫অল্প লেখাতে সব কিভাবে ফুটিয়ে তুললেন। হু খুব ভাল লাগলো।