জীবনের শেষ লেখা
বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে যখনি রাস্তায় বের হয় তখনি মনের মধ্যে আচমকা একটা ভয় মিশ্রিত যন্ত্রণা করে ওঠে ।
যুদ্ধে যাওয়ার আগে সন্তান যেমন তার মা বাবার কাছে, ভাই যেমন তার বোনের কাছে, কিংবা একজন বাবা তার পরিবারের কাছে শেষ বিদায় চেয়ে নেয় তেমনি আজকাল যখন বাইরে বের হয় তখনি মন চায় পরিবারের কাছে আমার বিদায় চেয়ে নিই।। এটাই হয়ত আমার শেষ যাত্রা । আর হয়ত দেখা হবে না আমার পরিবারের অমায়িক, চক্ষু শীতল করা চেহারাগুলো ।
ঈদের পর থেকে ঘটে যাওয়া ট্রেন এক্সিডেন্ট, লঞ্চ ডুবি আর প্রতিদিনের রুটিন মাফিক রোড এক্সিডেন্ট আমাদের সবার মনেই হয়ত একই ধরনের ভাবনার উদয় করে । বাংলাদেশের যোগাযোগ মাধ্যম আর একটা যুদ্ধক্ষেত্রর মাঝে যেন কোন পার্থক্য নেই।। উভয় যায়গাতেই মৃত্যু যেন নিত্য সঙ্গী । যে কোন সময়ে যে কোন কিছুর একটা ধাক্কা আমার প্রাণ নিয়ে যাওয়ার জন্য যেন সদা প্রস্তুত ।
প্রতিদিন যে হারে মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে সে মৃত্যুর হার একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের মৃত্যুর হারের প্রায় কাছাকাছি ।
কিন্তু যুদ্ধের মৃত্যু বন্ধ করতে সরকার জনগণ সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকে আর যাত্রা পথের মৃত্যু উপভোগ করতে আমরা যেন বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থার নাট্যমঞ্চের শিহরিত দর্শক ।
একটা এক্সিডেন্ট
কতগুলো লাশ
আমাদের আহ !
কতগুলো আহত
আমাদের ইশ। !
তারপর সবকিছু আবার শান্ত ।
অতপর আর একটা এক্সিডেন্ট
না জানি সেটা আমার আপনারই ঘটে ।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দ্যশ্যে রওনা দিচ্ছি ।
যদি সড়ক দুর্ঘটনা মারা যায়, যদি এটাই আমার শেষ লেখা হয় তবে এটুকু অন্তত -
মরার আগে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা জানাচ্ছি আর অবিলম্বে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের দাবী জানাচ্ছি ।
যুদ্ধে যাওয়ার আগে সন্তান যেমন তার মা বাবার কাছে, ভাই যেমন তার বোনের কাছে, কিংবা একজন বাবা তার পরিবারের কাছে শেষ বিদায় চেয়ে নেয় তেমনি আজকাল যখন বাইরে বের হয় তখনি মন চায় পরিবারের কাছে আমার বিদায় চেয়ে নিই।। এটাই হয়ত আমার শেষ যাত্রা । আর হয়ত দেখা হবে না আমার পরিবারের অমায়িক, চক্ষু শীতল করা চেহারাগুলো ।
ঈদের পর থেকে ঘটে যাওয়া ট্রেন এক্সিডেন্ট, লঞ্চ ডুবি আর প্রতিদিনের রুটিন মাফিক রোড এক্সিডেন্ট আমাদের সবার মনেই হয়ত একই ধরনের ভাবনার উদয় করে । বাংলাদেশের যোগাযোগ মাধ্যম আর একটা যুদ্ধক্ষেত্রর মাঝে যেন কোন পার্থক্য নেই।। উভয় যায়গাতেই মৃত্যু যেন নিত্য সঙ্গী । যে কোন সময়ে যে কোন কিছুর একটা ধাক্কা আমার প্রাণ নিয়ে যাওয়ার জন্য যেন সদা প্রস্তুত ।
প্রতিদিন যে হারে মানুষ দুর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে সে মৃত্যুর হার একটা যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের মৃত্যুর হারের প্রায় কাছাকাছি ।
কিন্তু যুদ্ধের মৃত্যু বন্ধ করতে সরকার জনগণ সবাই উদগ্রীব হয়ে থাকে আর যাত্রা পথের মৃত্যু উপভোগ করতে আমরা যেন বাংলাদেশের যোগাযোগব্যবস্থার নাট্যমঞ্চের শিহরিত দর্শক ।
একটা এক্সিডেন্ট
কতগুলো লাশ
আমাদের আহ !
কতগুলো আহত
আমাদের ইশ। !
তারপর সবকিছু আবার শান্ত ।
অতপর আর একটা এক্সিডেন্ট
না জানি সেটা আমার আপনারই ঘটে ।
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দ্যশ্যে রওনা দিচ্ছি ।
যদি সড়ক দুর্ঘটনা মারা যায়, যদি এটাই আমার শেষ লেখা হয় তবে এটুকু অন্তত -
মরার আগে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার প্রতি প্রচন্ড ঘৃণা জানাচ্ছি আর অবিলম্বে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের দাবী জানাচ্ছি ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইসমাইল জসীম ০৭/০৮/২০১৪আমাদের অবহলে আর অধ্যর্যের কারণেই নিয়মিত দুর্ঘটনা হচ্ছে। আমাদের জনগনের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে। তাহলেই দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে।