ভেলকি(তৃতীয় পর্ব)
পড়ন্ত বিকেল।বারান্দায় বসে আকাশ দেখছিলো রাত্রি।হঠাৎ শুভ্রর ফোন.....
👤কি করছো, রাত্রি?
💗কিছু না।তোমার কন্ঠ এরকম লাগছে কেন?
👤সকাল থেকে প্রচন্ড জ্বর।
💗কি বলছো, দুপুরে তোমার সাথে কথা হলো তখনতো বলোনি....
👤ভাবলাম ঠিক হয়ে যাবে।তুমি টেনশন করবে, তাই বলিনি।
💗এটা কোন কথা হলো।ঔষধ খেয়েছো?
👤হুম, তোমাকে খুব মিস করছি, রাত্রি।মনে হচ্ছে তোমাকে এক পলক দেখলে আমি সুস্থ হয়ে যাবো।আমার কাছে একটু আসবে রাত্রি, প্লীজ।শুধু কপালে একটু হাত রেখে চলে যাবে।
💗কিন্তুু শুভ্র, একটু পরেইতো সন্ধা হয়ে যাবে।তাছাড়া তোমার মেছের ছেলেরা কি ভাববে?
👤অন্যের ভাবনা দিয়ে তুমি কি করবে।তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষের কাছে আসবে।তুমি ছাড়া এখানে আমার আর কে আছে বলো?
💗বুঝলাম, কিন্তু আমার খুব ইতস্ত লাগছে।আমি না হয় কাল সকালে আসি.....
শুভ্র একটু সময় নিয়ে ভেজা কন্ঠে বললো....
👤ঠিক আছে, কাল একটা ফুলের তোড়া নিয়ে এসো... ।যদি মরে যাই, লাশের উপর দিও।
💗কি যা তা বলছো, এভাবে বলতে নেই।কেন বুঝনা... আমি একটা মেয়ে।
👤ঠিক আছে আর বলতে হবে না।ভেবেছিলাম এই শহরে আমি একা নই, আমার পাশে আরও একজন আছে।সত্যিই আমার নিজেকে খুব একা আর অসহায় মনে হচ্ছে।ঠিক আছে রাখছি।
লাইন কাটলো শুভ্র।সাথেই সাথেই রাত্রির কলব্যাক...
💗এত রাগ কেন তোমার... হু, আমি আসছি এখনি।
বিছানায় সটান শুয়ে আছে শুভ্র।রাত্রি পাশে বসে কপালে হাত রাখলো।তারপর বিহ্বল কন্ঠে বললো....
💗কই তোমার গায়ে তো একটু জ্বরও নেই।
👤তুমি আসছো শুনেই আমার সব জ্বর পালিয়ে গেছে।
💗তুমি আমার সাথে মিথ্যে বলছো না তো?
শুভ্র চোখে মুখে নিদারুন এক হতাশার চিত্র ফুটিয়ে বললো...
👤তুমি এই কথাটা বলতে পারলে রাত্রি? আমার বুকের ভেতরে লাগলো।তুমি প্রমান চাওতো... এই দেখ...
শুভ্র বালিশের নিচ থেকে কয়েক পাতা ঔষধ বের করে দেখালো।নিজের কপালে আঙ্গুল ঘষে কষ্টটা বুঝাতে চেষ্টা করলো শুভ্র।বললো...
👤রাত্রি, আমি জানি তুমি আমাকে অবিশ্বাস করো না।তুমি আমাকে অবিশ্বাস করলে আমি বাচবো না রাত্রি।জ্বরটা কমেছে কিন্তু সমস্ত শরীরে কি চলছে সে টা আমি বুঝতেছি।আর তুমি কিনা......
💗আই এম সরি শুভ্র, আসলে আমি অনেক কষ্ট করে বের হয়েছি তো....
👤আমি জানতাম, তুমি না এসে থাকতে পারবা না।আর তোমার আসাটা সত্যিই খুব প্রয়োজন ছিলো।তুমিতো জানো আমি আবেগী, কল্পনা বিলাসী।তোমাকে অন্তরের গহীন থেকে মিস করছিলাম।তুমি না এলে সত্যিই আমার খারাপ কিছু হয়ে যেত।
💗তুমি এমন পাগল কেন, শুভ্র।
👤হ্যা আমি পাগল, তুমি আমাকে পাগল করে দিয়েছো।আমি এক মুহূর্তও ভালো থাকতে পারিনা তোমাকে ছাড়া।চুম্বকের মত আমি আকর্ষিত তোমার প্রতি।তুমি কেন দূরে থাকো? আমার আষ্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে থাকো না, রাত্রি।
আবেগী কথাগুলো বলতে বলতে রাত্রিকে দু'হাতে খুব কাছে টেনে নিলো শুভ্র।তারপর আবদ্ধ করে নিলো বাহু বন্ধনে।রাত্রি কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলো না।শরীরটা আবেশে কেপে উঠলো।কম্পমান ঠোটেঁ রাত্রি বললো...
💗ছাড়ো শুভ্র, কেউ চলে আসবে।
শুভ্র শুনলো না।আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রাত্রিকে।রাত্রির শরীরের ফুলেল ঘ্রানে মাতোয়া হয়ে উঠলো শুভ্র।রাত্রির খোলা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে গলায়, চিবুকে ঠোটের পরশ বুলালো।রাত্রি নিজেকে ব্যর্থ চেষ্টা করলো কয়েকবার।তারপর দু'চোখ বন্ধ করে লতার মত লুটিয়ে পড়লো শুভ্রর বুকে।রাত্রির শরীরের কোমল ষ্পর্শে যৌবনের দুর্নিবার ঢেউগুলো উথাল পাথাল করে উঠলো শুভ্রর।শুভ্র পাগলের মত রাত্রির মুখাবয়বে ঠোট বুলালো।বাগানের নিষিদ্ধ ফুলের পাপড়ি গুলোতে আঙ্গুলের পরশ দিলো।রাত্রি দু হস্তবন্ধনীর বাধ তৈরী করলেও ভালোবাসার উন্মাদ খেলায় হেরে গেল ও।নিদারুন উন্মাদনার ঢেউয়ে যখন সর্বস্ব ভাঙ্গার উপক্রম, তখন এক ঝাকিতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো রাত্রি।দু চোখ বেয়ে ঝর্নার মত নেমে এলো অশ্রুধারা।কান্না মেখে রাত্রি বললো....
💗এটা তুমি কি করলে শুভ্র....
👤আমাকে ক্ষমা করো রাত্রি।আমি আসলে এটা করতে চাইনি।কিভাবে যেন হয়ে গেল।আমি অন্যায় করেছি।আমাকে শাস্তি দাও....
বলতে বলতে উঠে গিয়ে দেয়ালে হাত চাপড়ালো শুভ্র।মাথা ঠুকতে যাবে, তখন রাত্রি বাধা দিয়ে বললো....
💗তুমি কি সব সময় পাগলামী করে জিততে চাও।আমার ভালো লাগে না এত পাগলামী।
শুভ্রকে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিলো রাত্রি।তারপর বললো..
💗তুমি রেস্ট নাও, আমি যাই।
👤রাত্রি, আগে বলো ... আমাকে ক্ষমা করেছো।তা না হলে যে আমি নিজেকে ক্ষমতা করতে পারবো না।
💗ঠিক আছে, আমি কিছু মনে করিনি।এবার হলো....
👤ঠিক আছে, সোনা।সাবধানে যেও।না হলে আমি রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে আসি?
💗না, আমি পারবো।তুমি কিছু খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিও।
👤আচ্ছা
💗বাই
👤বাই বাই।
(চলবে)
👤কি করছো, রাত্রি?
💗কিছু না।তোমার কন্ঠ এরকম লাগছে কেন?
👤সকাল থেকে প্রচন্ড জ্বর।
💗কি বলছো, দুপুরে তোমার সাথে কথা হলো তখনতো বলোনি....
👤ভাবলাম ঠিক হয়ে যাবে।তুমি টেনশন করবে, তাই বলিনি।
💗এটা কোন কথা হলো।ঔষধ খেয়েছো?
👤হুম, তোমাকে খুব মিস করছি, রাত্রি।মনে হচ্ছে তোমাকে এক পলক দেখলে আমি সুস্থ হয়ে যাবো।আমার কাছে একটু আসবে রাত্রি, প্লীজ।শুধু কপালে একটু হাত রেখে চলে যাবে।
💗কিন্তুু শুভ্র, একটু পরেইতো সন্ধা হয়ে যাবে।তাছাড়া তোমার মেছের ছেলেরা কি ভাববে?
👤অন্যের ভাবনা দিয়ে তুমি কি করবে।তুমি তোমার ভালোবাসার মানুষের কাছে আসবে।তুমি ছাড়া এখানে আমার আর কে আছে বলো?
💗বুঝলাম, কিন্তু আমার খুব ইতস্ত লাগছে।আমি না হয় কাল সকালে আসি.....
শুভ্র একটু সময় নিয়ে ভেজা কন্ঠে বললো....
👤ঠিক আছে, কাল একটা ফুলের তোড়া নিয়ে এসো... ।যদি মরে যাই, লাশের উপর দিও।
💗কি যা তা বলছো, এভাবে বলতে নেই।কেন বুঝনা... আমি একটা মেয়ে।
👤ঠিক আছে আর বলতে হবে না।ভেবেছিলাম এই শহরে আমি একা নই, আমার পাশে আরও একজন আছে।সত্যিই আমার নিজেকে খুব একা আর অসহায় মনে হচ্ছে।ঠিক আছে রাখছি।
লাইন কাটলো শুভ্র।সাথেই সাথেই রাত্রির কলব্যাক...
💗এত রাগ কেন তোমার... হু, আমি আসছি এখনি।
বিছানায় সটান শুয়ে আছে শুভ্র।রাত্রি পাশে বসে কপালে হাত রাখলো।তারপর বিহ্বল কন্ঠে বললো....
💗কই তোমার গায়ে তো একটু জ্বরও নেই।
👤তুমি আসছো শুনেই আমার সব জ্বর পালিয়ে গেছে।
💗তুমি আমার সাথে মিথ্যে বলছো না তো?
শুভ্র চোখে মুখে নিদারুন এক হতাশার চিত্র ফুটিয়ে বললো...
👤তুমি এই কথাটা বলতে পারলে রাত্রি? আমার বুকের ভেতরে লাগলো।তুমি প্রমান চাওতো... এই দেখ...
শুভ্র বালিশের নিচ থেকে কয়েক পাতা ঔষধ বের করে দেখালো।নিজের কপালে আঙ্গুল ঘষে কষ্টটা বুঝাতে চেষ্টা করলো শুভ্র।বললো...
👤রাত্রি, আমি জানি তুমি আমাকে অবিশ্বাস করো না।তুমি আমাকে অবিশ্বাস করলে আমি বাচবো না রাত্রি।জ্বরটা কমেছে কিন্তু সমস্ত শরীরে কি চলছে সে টা আমি বুঝতেছি।আর তুমি কিনা......
💗আই এম সরি শুভ্র, আসলে আমি অনেক কষ্ট করে বের হয়েছি তো....
👤আমি জানতাম, তুমি না এসে থাকতে পারবা না।আর তোমার আসাটা সত্যিই খুব প্রয়োজন ছিলো।তুমিতো জানো আমি আবেগী, কল্পনা বিলাসী।তোমাকে অন্তরের গহীন থেকে মিস করছিলাম।তুমি না এলে সত্যিই আমার খারাপ কিছু হয়ে যেত।
💗তুমি এমন পাগল কেন, শুভ্র।
👤হ্যা আমি পাগল, তুমি আমাকে পাগল করে দিয়েছো।আমি এক মুহূর্তও ভালো থাকতে পারিনা তোমাকে ছাড়া।চুম্বকের মত আমি আকর্ষিত তোমার প্রতি।তুমি কেন দূরে থাকো? আমার আষ্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে থাকো না, রাত্রি।
আবেগী কথাগুলো বলতে বলতে রাত্রিকে দু'হাতে খুব কাছে টেনে নিলো শুভ্র।তারপর আবদ্ধ করে নিলো বাহু বন্ধনে।রাত্রি কিছু বলতে গিয়েও বলতে পারলো না।শরীরটা আবেশে কেপে উঠলো।কম্পমান ঠোটেঁ রাত্রি বললো...
💗ছাড়ো শুভ্র, কেউ চলে আসবে।
শুভ্র শুনলো না।আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো রাত্রিকে।রাত্রির শরীরের ফুলেল ঘ্রানে মাতোয়া হয়ে উঠলো শুভ্র।রাত্রির খোলা চুলগুলো সরিয়ে দিয়ে গলায়, চিবুকে ঠোটের পরশ বুলালো।রাত্রি নিজেকে ব্যর্থ চেষ্টা করলো কয়েকবার।তারপর দু'চোখ বন্ধ করে লতার মত লুটিয়ে পড়লো শুভ্রর বুকে।রাত্রির শরীরের কোমল ষ্পর্শে যৌবনের দুর্নিবার ঢেউগুলো উথাল পাথাল করে উঠলো শুভ্রর।শুভ্র পাগলের মত রাত্রির মুখাবয়বে ঠোট বুলালো।বাগানের নিষিদ্ধ ফুলের পাপড়ি গুলোতে আঙ্গুলের পরশ দিলো।রাত্রি দু হস্তবন্ধনীর বাধ তৈরী করলেও ভালোবাসার উন্মাদ খেলায় হেরে গেল ও।নিদারুন উন্মাদনার ঢেউয়ে যখন সর্বস্ব ভাঙ্গার উপক্রম, তখন এক ঝাকিতে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলো রাত্রি।দু চোখ বেয়ে ঝর্নার মত নেমে এলো অশ্রুধারা।কান্না মেখে রাত্রি বললো....
💗এটা তুমি কি করলে শুভ্র....
👤আমাকে ক্ষমা করো রাত্রি।আমি আসলে এটা করতে চাইনি।কিভাবে যেন হয়ে গেল।আমি অন্যায় করেছি।আমাকে শাস্তি দাও....
বলতে বলতে উঠে গিয়ে দেয়ালে হাত চাপড়ালো শুভ্র।মাথা ঠুকতে যাবে, তখন রাত্রি বাধা দিয়ে বললো....
💗তুমি কি সব সময় পাগলামী করে জিততে চাও।আমার ভালো লাগে না এত পাগলামী।
শুভ্রকে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিলো রাত্রি।তারপর বললো..
💗তুমি রেস্ট নাও, আমি যাই।
👤রাত্রি, আগে বলো ... আমাকে ক্ষমা করেছো।তা না হলে যে আমি নিজেকে ক্ষমতা করতে পারবো না।
💗ঠিক আছে, আমি কিছু মনে করিনি।এবার হলো....
👤ঠিক আছে, সোনা।সাবধানে যেও।না হলে আমি রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে আসি?
💗না, আমি পারবো।তুমি কিছু খেয়ে ঔষধ খেয়ে নিও।
👤আচ্ছা
💗বাই
👤বাই বাই।
(চলবে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ০৪/০৬/২০১৮দারুণ ......
-
শিবশঙ্কর ০৪/০৬/২০১৮ভাল লাগলো
-
পবিত্র চক্রবর্তী ০৪/০৬/২০১৮ভালো লাগলো
-
আব্দুল হক ০৩/০৬/২০১৮ধন্যবাদ!