হঠাৎ বিকেল
সেদিন বৃষ্টিভেজা এক বিকেলে হঠাৎ ওর দেখা পেলাম..! পেরিয়ে গেছে কয়েকটা বছর,কতগুলো স্মৃতি হঠাত মাথায় আঘাত করলো..!
-প্রকৃতি? নাহ্...ডাকতে গিয়েও ডাকার ইচ্ছে হলোনা..
ক্যাম্পাসের দিনগুলো মনে পড়ে গেলো,
কিছুই ছিলোনা ওর সাথে আমার,তারপরেও কিছু একটা যেন ছিলো..!
ওর প্রতিটা কথা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনে যেতাম,ওর জ্ঞানী জ্ঞানী কথাবার্তার জন্য অনেকের কাছে ও বিরক্তিকর বস্তু হয়েছিলো, কিন্তু আমি জানতাম ওদের হিংসা হয় প্রকৃতির এত বুদ্ধিবৃত্তিক কথার ধরন দেখে..আমার কিছু ক্লোজ ফ্রেন্ডও ওর সাথে সুবিধা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে..!
ওর সাথে পরিচয়ের আগেও আমি অনেক মেয়ে দেখতাম,কিন্তু ওর সাথে পরিচয়ের পর কেন যেন মনে হচ্ছে এখানেই পরিপূর্ণতা আছে,অর্থাৎ আমি যাকে খুজছিলাম,আমার কনশাস এবং সাব-কনশাস মাইন্ড যাকে খুজছিলো ওই সে..!
জানিনা ওর কথামত সত্যিই কেউ ওর পাস্ট ছিলোনা নাকি কেউ ছিলো,নাকি ওর ভেতরে অন্য কেউ ছিলো,আমি একজনের কাছে বাধা থাকার পরেও কেন ওর প্রতি এতটা উইক হয়েছিলাম..
আচ্ছা ও কি ভুলে গেছে?
সেইসব টুকরো স্মৃতিগুলো?
ট্যুরের বাসে ও যখন জানালার দৃশ্য আর ফোনে ব্যস্ত ছিলো,আমি তখন ওর হাতের চুড়িগুলো নিয়ে খেলছিলাম..
নৌকো থেকে স্লিপ করে যখন ও পড়ে যেতে ধরলো তখন ওর সম্মান বাঁচানোর একমাত্র বিশ্বাসের উপকরণ ছিলো আমার হাত..!
তারপর সেদিন ওর সংকট মুহূর্তে মেডিকেল সেন্টার গিয়ে ওর বিশ্বাস এর বিন্দুমাত্র ফাটল ধরতে দেইনি,সেটা ছিলো আমার জীবনের একটা মোটা দাগে স্মরণীয় দিন..!
সেদিন প্রথম আমি কাউকে ওভাবে কাঁদতে দেখেছিলাম,রিকশায় ওর হাত ধরে বলেছিলাম আমার উপর বিশ্বাস রাখতে,ও শক্ত করে ধরে ছিলো,জানিনা কেন অচেনা অজানা কাউকে এত তাড়াতাড়ি ও আপন করে নিলো..!
ক্যাম্পাসের টং দোকান থেকে ওর হাতে যখন হুট করে একটা ব্রেসলেট পড়ে দেখতে বললাম কেমন লাগে, পরে এতটাই মানালো যে আর খুলতে দিলামনা..!
আমি ওর কথা না শুনলে ওর রাস্তাঘাটে হুট করে দাঁড়িয়ে পড়া,ওর ক্যাম্পাসে আসার আগে স্টপেজে ওয়েট করা আর সারাটাদিন ঘুরে শেষ বেলায় ওর গাড়িতে ওঠা পর্যন্ত ওর একাকিত্বের সঙ্গী হওয়া, ওর বাচ্চামিকে সায় দেয়া অভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো..!
আরো অনেক অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো বর্ণনা করা এত সংক্ষিপ্ত শব্দে সম্ভব নয়..!
কিন্তু কি জানেন? এতকিছুর পরেও আমাদের মধ্যে কিছুই ছিলোনা,ওর ভাষায় প্যারালাল লাইন কখনো ছেদ করেনা,ওর ভাষায় এই সম্পর্কের কোনো নাম নেই,
তবে নিয়তির লিখা আমার ক্ষেত্রে সবসময়ই বিপক্ষে যায়,ওর স্ট্যাটাসের সাথে এই ক্যাম্পাস যায় না..! ও চলে গেলো অন্য ক্যাম্পাসে..তারপর আমার কাছেও এতজনের ক্যাম্পাস ফাকা ফাকা মনে হতে লাগলো,ডিসিশান নিয়ে চলে গেলাম আমিও ক্যাম্পাস ছেড়ে..!
ওই স্মৃতিগুলো নিয়ে ওখানে থাকাটা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো,ওকে বলেছিলাম ও যেমন আমার ফোন থেকে ওর সাথে কনভার্সেশন গুলো ডিলেট করে দিত তেমনি আমাকেও ডিলেট করে দিতে ওর লাইফ থেকে,এটাতে খুব রাগ করতো ও..জানিনা শেষমেষ এটাই হয়তো হয়েছিলো..
আজ হঠাত এতদিন পর হুট করে ওকে দেখে পুরোনো আবেগ গুলো আকাশ ভেঙে আসছিলো..! আমি কোনোমত সামলে রুমে আসলাম,ইতিমধ্যেই ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজে চলে এসেছি,রিপোর্ট হাতে..জীবনের এই মুহূর্তে এসে কিছু আবেগের বৈধতার খুবই প্রয়োজন বোধ করছি...!
-প্রকৃতি? নাহ্...ডাকতে গিয়েও ডাকার ইচ্ছে হলোনা..
ক্যাম্পাসের দিনগুলো মনে পড়ে গেলো,
কিছুই ছিলোনা ওর সাথে আমার,তারপরেও কিছু একটা যেন ছিলো..!
ওর প্রতিটা কথা আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনে যেতাম,ওর জ্ঞানী জ্ঞানী কথাবার্তার জন্য অনেকের কাছে ও বিরক্তিকর বস্তু হয়েছিলো, কিন্তু আমি জানতাম ওদের হিংসা হয় প্রকৃতির এত বুদ্ধিবৃত্তিক কথার ধরন দেখে..আমার কিছু ক্লোজ ফ্রেন্ডও ওর সাথে সুবিধা করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে..!
ওর সাথে পরিচয়ের আগেও আমি অনেক মেয়ে দেখতাম,কিন্তু ওর সাথে পরিচয়ের পর কেন যেন মনে হচ্ছে এখানেই পরিপূর্ণতা আছে,অর্থাৎ আমি যাকে খুজছিলাম,আমার কনশাস এবং সাব-কনশাস মাইন্ড যাকে খুজছিলো ওই সে..!
জানিনা ওর কথামত সত্যিই কেউ ওর পাস্ট ছিলোনা নাকি কেউ ছিলো,নাকি ওর ভেতরে অন্য কেউ ছিলো,আমি একজনের কাছে বাধা থাকার পরেও কেন ওর প্রতি এতটা উইক হয়েছিলাম..
আচ্ছা ও কি ভুলে গেছে?
সেইসব টুকরো স্মৃতিগুলো?
ট্যুরের বাসে ও যখন জানালার দৃশ্য আর ফোনে ব্যস্ত ছিলো,আমি তখন ওর হাতের চুড়িগুলো নিয়ে খেলছিলাম..
নৌকো থেকে স্লিপ করে যখন ও পড়ে যেতে ধরলো তখন ওর সম্মান বাঁচানোর একমাত্র বিশ্বাসের উপকরণ ছিলো আমার হাত..!
তারপর সেদিন ওর সংকট মুহূর্তে মেডিকেল সেন্টার গিয়ে ওর বিশ্বাস এর বিন্দুমাত্র ফাটল ধরতে দেইনি,সেটা ছিলো আমার জীবনের একটা মোটা দাগে স্মরণীয় দিন..!
সেদিন প্রথম আমি কাউকে ওভাবে কাঁদতে দেখেছিলাম,রিকশায় ওর হাত ধরে বলেছিলাম আমার উপর বিশ্বাস রাখতে,ও শক্ত করে ধরে ছিলো,জানিনা কেন অচেনা অজানা কাউকে এত তাড়াতাড়ি ও আপন করে নিলো..!
ক্যাম্পাসের টং দোকান থেকে ওর হাতে যখন হুট করে একটা ব্রেসলেট পড়ে দেখতে বললাম কেমন লাগে, পরে এতটাই মানালো যে আর খুলতে দিলামনা..!
আমি ওর কথা না শুনলে ওর রাস্তাঘাটে হুট করে দাঁড়িয়ে পড়া,ওর ক্যাম্পাসে আসার আগে স্টপেজে ওয়েট করা আর সারাটাদিন ঘুরে শেষ বেলায় ওর গাড়িতে ওঠা পর্যন্ত ওর একাকিত্বের সঙ্গী হওয়া, ওর বাচ্চামিকে সায় দেয়া অভ্যেস হয়ে গিয়েছিলো..!
আরো অনেক অনেক স্মৃতি আছে যেগুলো বর্ণনা করা এত সংক্ষিপ্ত শব্দে সম্ভব নয়..!
কিন্তু কি জানেন? এতকিছুর পরেও আমাদের মধ্যে কিছুই ছিলোনা,ওর ভাষায় প্যারালাল লাইন কখনো ছেদ করেনা,ওর ভাষায় এই সম্পর্কের কোনো নাম নেই,
তবে নিয়তির লিখা আমার ক্ষেত্রে সবসময়ই বিপক্ষে যায়,ওর স্ট্যাটাসের সাথে এই ক্যাম্পাস যায় না..! ও চলে গেলো অন্য ক্যাম্পাসে..তারপর আমার কাছেও এতজনের ক্যাম্পাস ফাকা ফাকা মনে হতে লাগলো,ডিসিশান নিয়ে চলে গেলাম আমিও ক্যাম্পাস ছেড়ে..!
ওই স্মৃতিগুলো নিয়ে ওখানে থাকাটা খুব কষ্টকর হয়ে যাচ্ছিলো,ওকে বলেছিলাম ও যেমন আমার ফোন থেকে ওর সাথে কনভার্সেশন গুলো ডিলেট করে দিত তেমনি আমাকেও ডিলেট করে দিতে ওর লাইফ থেকে,এটাতে খুব রাগ করতো ও..জানিনা শেষমেষ এটাই হয়তো হয়েছিলো..
আজ হঠাত এতদিন পর হুট করে ওকে দেখে পুরোনো আবেগ গুলো আকাশ ভেঙে আসছিলো..! আমি কোনোমত সামলে রুমে আসলাম,ইতিমধ্যেই ক্যান্সারের লাস্ট স্টেজে চলে এসেছি,রিপোর্ট হাতে..জীবনের এই মুহূর্তে এসে কিছু আবেগের বৈধতার খুবই প্রয়োজন বোধ করছি...!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রবিউল আলম ১১/০৫/২০২০Onobodo, khub sundor
-
নাসরীন আক্তার রুবি ১৯/০৫/২০১৯উফ কি মিস্টি আর রোমাঞ্চকর লেখা।খুব ভালো লাগলো,লেখনী চলুক অবিরম গতিতে।
-
পরিতোষ ভৌমিক ২ ১৩/০৫/২০১৯একটা সুন্দর রোমান্টিক গল্প । কিন্তু পড়তে পড়তে মনে হল, একশ্বাসে হরহর করে স্ব বলে যাচ্ছেন । বিষয়, আবেগ, অনুভুতি সবগুলো সুন্দর তবুও কোথায় যেন একটা খামতি, হয়তো বা সেটা "সাহিত্য" ।
লিখতে থাকুন, অনেক শুভেচ্ছা রইল বন্ধু । -
সুপ্রিয় কুমার চক্রবর্তী ০৫/০৫/২০১৯চমৎকার গল্প ! আমি মুগ্ধ !
-
সৌবর্ণ বাঁধন ০৫/০৫/২০১৯চমৎকার
-
সিন্ধু সেঁচে মুক্তা-আব্দুল কাদির মিয়া ২২/০৪/২০১৯khube...nice
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৭/০৪/২০১৯Khub sundor.
-
রনোজিত সরকার(বামুনের চাঁদ) ১৭/০৪/২০১৯খুব সুন্দর👌
-
আশা মনি ১৭/০৪/২০১৯দারুন লিখেছেন!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৬/০৪/২০১৯ভালো।