সবাই স্বার্থপর
অরনি আমাকে আজও অনেকগুলো প্রশ্নের মুখোমুখি করে চলে গেল,আমার উত্তর দেবার মত কিছুই ছিলোনা..সিগারেট জ্বালিয়ে রুমে এসে বসলাম..সারারাত আজ আবার ঘুম হবেনা..
অরনির প্রশ্নের উত্তর গুলো বারবার গুছিয়ে নেই বলে দেবার জন্য কিন্তু তা হচ্ছেনা একদিনও..ওকে কিভাবে বোঝাবো যে আমার দ্বারা এসব ভালোবাসা সম্ভব নয়,কিন্তু ওর সাথে এটাচ্ড না হয়েও থাকতে পারছিনা..আমি ধীরেধীরে মাইন্ড ক্যান্সারে চলে যাচ্ছি..!
আজ খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো,ওর কাজ শেষে ওকে রাখতে গেলাম বাসায়,রেখে চলে আসতেই ও হাতটা টেনে ভিতরে রুমে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেডে ফেলে দিলো,ভেজা চুলে খুব সুন্দর লাগছিলো নীল শাড়িতে,আর কাজল গুলো যেনো আমাকে সর্বস্ব দিয়ে আবেদন করছিলো,আমি ওর হাত দুটো চেপে ধরে ওর ঠোঁটের অনেক কাছে পৌছে গেলাম,ওকে বুঝতে পারছিলাম,ওর প্রশ্বাস আমার মুখে পড়ছিলো,ও চোখ বন্ধ করে এক অজানা অপূর্ণতায় হাহাকার করছিলো পূর্ণতা পাবার জন্য,আমি ওর ঠোঁটের অনেক কাছাকাছি গিয়েও ছিটকে সরে আসলাম..নাহ্ আমি কিছুতেই পারবোনা...
- অনু?এসবের মানে কি??আর কতদিন তুমি এভাবে দূরে থাকবা??আমার কিসে কমতি আছে??কেন তুমি আমাকে ইগনোর করতেছো সবসময়??উত্তর দাও?ক্যানো তোমাকে ভালোবাসার তোমাকে ছোঁয়ার অধিকার নেই আমার??
-আমি তোমাকে ইগনোর করিনি,দ্যাখো,আমি তোমাকে আগেও বলছি আমার পক্ষে ভালোবাসা সম্ভব নয়..! ক্যানো আমরা এতদিন ধরে তো অনেক ভালো ফ্রেন্ডশিপের মধ্যেই আছি,ক্যানো এটাকে এত কমপ্লিকেটেড করছো??প্লিজ লাভ দ্যা ওয়ে আই এ্যাম..! প্লিজ অরনি..
ওর চোখে রাগ কষ্ট সব একসাথে দেখতে পেলাম,
-ছিহ্ অনু তুমি এটা বলতে পারলা?আমি জটিল করতেছি?? না তুমি???ক্যানো তুমি আমাকে তাহলে এতদিন একসাথে বেধে রাখলা??ক্যানো অন্য ছেলেদের সাথে কথা বললে তুমি রাগ কর তাহলে??আমি কি তোমার খেলার পুতুল??যা ইচ্ছে করতে বলবে,নিষেধ করবে.. এখন যখন তোমাকে মনের ভিতরে নিলাম,তোমার কাছে আমার কিছুই ক্যানো চাওয়ার নেই??ক্যানো তোমার ঠোঁট আমি ছুতে পারিনা?একটাবার তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারিনা??ক্যানো আমার সাথে এরকম করতেছো তুমি??আমি কি রাস্তার মেয়ে তোমার কাছে??যা ইচ্ছে করবে আর আমার কিছু চাওয়ার থাকবেনা??বলো???উত্তর আজ দিতেই হবে তোমাকে..
কাজল পড়া চোখগুলো ভিজে মেয়েটা অদ্ভুত সুন্দর হয়ে গেছে..! কথাগুলো বলতে বলতেই ও আমার মাথার পিছনে হাত দিয়ে ঠোঁটের কাছাকাছি আসতেই ওকে একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে আমি চলে আসলাম..জানি আজ কাল ও কিচ্ছু খাবেনা,স্লিপিং পিল খাবে,হাত কাটবে,কিন্তু আমার কিছুই করার নেই..!
নিজেকে খুব জল্লাদ মনে হচ্ছে,একটা মেয়েকে তিন বছর ধরে এরকম কষ্ট দিয়ে যাচ্ছি আমি,কিভাবে ওকে বোঝাবো আমি এখন একটা পাথর,আবেগের এক শতাংশও অবশিষ্ট নেই আমার মাঝে,রক্তমাংসের মানুষ নেই আমি...!
আমার মনুষ্যত্ব সেদিনই হারিয়ে গেছে যখন আমার আট বছর বয়সে বাবা ও অন্য এক মহিলার অপবিত্র দেহকসরত দেখতে হয় এবং তা বাবার নির্দেশে ক্যামেরায় ধারণ করতে হয়..আমার ছোট্ট মন তখন কিছু না বুঝলেও অজানা কষ্টে হাহাকার করে অন্ধকার ঘরে কাঁদতো..তারপর বাবা মারা যায় ক্যান্সারে,আমি অনেক খুশি হই এটা ভেবে যে আর ওই খারাপ দৃশ্যগুলো দেখতে হবেনা,অনেকদিন খুশি ছিলাম,কিন্তু আমার খুশি সৃষ্টিকর্তার খাতায় লিখা ছিলোনা,যার ফল আমার মা প্রতি সপ্তাহে একজন নতুন নতুন বাবা আমার সামনে নিয়ে আসতেন,তারা আমাকে অনেক আদর করতো,কিন্তু আমার ক্যানো যেনো খুব কষ্ট হত মায়ের পাশে প্রতিবার নতুন নতুন বাবা দেখতে,মা শেষমেশ একজন বাবাকে নতুন করে বিয়ে করলো,মাকে দেখে মনে হচ্ছিলো রূপকথার গল্পের ডাইনি বুড়ি,আমি মায়ের বিয়েতে থাকতে পারিনি,কোনো এক অজানা কারণে বাসা থেকে বেড়িয়ে আমার জীবনের চাকা একা ঘোরাতে শুরু করি..খুব কষ্ট হচ্ছিলো,তবে খুব খুশি ছিলাম যে আমাকে আর বাবা আর মা নামক নোংরা কীটগুলোকে আর দেখতে হবেনা,আমি স্বাধীন হয়ে গিয়েছিলাম,তারপর সেই আমি আজ কালো কাঁচের গাড়িতে ঘুরে বেড়াই এই অপবিত্র শহরে..!
আজও মাঝেমাঝে রাতে সেই দুঃস্বপ্ন গুলো দেখি,তাই ঘুমানোই বাদ দিয়ে দিয়েছি..তখন থেকেই আমার আর ভালোবাসা ভালো লাগেনা,ভালোবাসা বলতে কিছু নেই পৃথিবীতে..এটাই চরম এবং পরম সত্য,বেনেফিট ছাড়া কেউ তোমাকে ভালোবাসবেনা পৃথিবীতে...
এ পৃথিবী টাকার,
এ পৃথিবী দেহের...
এ পৃথিবী অপবিত্রের....!!
ভালো থেকো অরনি..আমার সত্যকে তোমার কাছে লুকোনোর জন্য আমি দোষী নই..
অরনির প্রশ্নের উত্তর গুলো বারবার গুছিয়ে নেই বলে দেবার জন্য কিন্তু তা হচ্ছেনা একদিনও..ওকে কিভাবে বোঝাবো যে আমার দ্বারা এসব ভালোবাসা সম্ভব নয়,কিন্তু ওর সাথে এটাচ্ড না হয়েও থাকতে পারছিনা..আমি ধীরেধীরে মাইন্ড ক্যান্সারে চলে যাচ্ছি..!
আজ খুব বৃষ্টি হচ্ছিলো,ওর কাজ শেষে ওকে রাখতে গেলাম বাসায়,রেখে চলে আসতেই ও হাতটা টেনে ভিতরে রুমে নিয়ে গিয়ে আমাকে বেডে ফেলে দিলো,ভেজা চুলে খুব সুন্দর লাগছিলো নীল শাড়িতে,আর কাজল গুলো যেনো আমাকে সর্বস্ব দিয়ে আবেদন করছিলো,আমি ওর হাত দুটো চেপে ধরে ওর ঠোঁটের অনেক কাছে পৌছে গেলাম,ওকে বুঝতে পারছিলাম,ওর প্রশ্বাস আমার মুখে পড়ছিলো,ও চোখ বন্ধ করে এক অজানা অপূর্ণতায় হাহাকার করছিলো পূর্ণতা পাবার জন্য,আমি ওর ঠোঁটের অনেক কাছাকাছি গিয়েও ছিটকে সরে আসলাম..নাহ্ আমি কিছুতেই পারবোনা...
- অনু?এসবের মানে কি??আর কতদিন তুমি এভাবে দূরে থাকবা??আমার কিসে কমতি আছে??কেন তুমি আমাকে ইগনোর করতেছো সবসময়??উত্তর দাও?ক্যানো তোমাকে ভালোবাসার তোমাকে ছোঁয়ার অধিকার নেই আমার??
-আমি তোমাকে ইগনোর করিনি,দ্যাখো,আমি তোমাকে আগেও বলছি আমার পক্ষে ভালোবাসা সম্ভব নয়..! ক্যানো আমরা এতদিন ধরে তো অনেক ভালো ফ্রেন্ডশিপের মধ্যেই আছি,ক্যানো এটাকে এত কমপ্লিকেটেড করছো??প্লিজ লাভ দ্যা ওয়ে আই এ্যাম..! প্লিজ অরনি..
ওর চোখে রাগ কষ্ট সব একসাথে দেখতে পেলাম,
-ছিহ্ অনু তুমি এটা বলতে পারলা?আমি জটিল করতেছি?? না তুমি???ক্যানো তুমি আমাকে তাহলে এতদিন একসাথে বেধে রাখলা??ক্যানো অন্য ছেলেদের সাথে কথা বললে তুমি রাগ কর তাহলে??আমি কি তোমার খেলার পুতুল??যা ইচ্ছে করতে বলবে,নিষেধ করবে.. এখন যখন তোমাকে মনের ভিতরে নিলাম,তোমার কাছে আমার কিছুই ক্যানো চাওয়ার নেই??ক্যানো তোমার ঠোঁট আমি ছুতে পারিনা?একটাবার তোমাকে জড়িয়ে ধরতে পারিনা??ক্যানো আমার সাথে এরকম করতেছো তুমি??আমি কি রাস্তার মেয়ে তোমার কাছে??যা ইচ্ছে করবে আর আমার কিছু চাওয়ার থাকবেনা??বলো???উত্তর আজ দিতেই হবে তোমাকে..
কাজল পড়া চোখগুলো ভিজে মেয়েটা অদ্ভুত সুন্দর হয়ে গেছে..! কথাগুলো বলতে বলতেই ও আমার মাথার পিছনে হাত দিয়ে ঠোঁটের কাছাকাছি আসতেই ওকে একটা ধাক্কা দিয়ে ফেলে আমি চলে আসলাম..জানি আজ কাল ও কিচ্ছু খাবেনা,স্লিপিং পিল খাবে,হাত কাটবে,কিন্তু আমার কিছুই করার নেই..!
নিজেকে খুব জল্লাদ মনে হচ্ছে,একটা মেয়েকে তিন বছর ধরে এরকম কষ্ট দিয়ে যাচ্ছি আমি,কিভাবে ওকে বোঝাবো আমি এখন একটা পাথর,আবেগের এক শতাংশও অবশিষ্ট নেই আমার মাঝে,রক্তমাংসের মানুষ নেই আমি...!
আমার মনুষ্যত্ব সেদিনই হারিয়ে গেছে যখন আমার আট বছর বয়সে বাবা ও অন্য এক মহিলার অপবিত্র দেহকসরত দেখতে হয় এবং তা বাবার নির্দেশে ক্যামেরায় ধারণ করতে হয়..আমার ছোট্ট মন তখন কিছু না বুঝলেও অজানা কষ্টে হাহাকার করে অন্ধকার ঘরে কাঁদতো..তারপর বাবা মারা যায় ক্যান্সারে,আমি অনেক খুশি হই এটা ভেবে যে আর ওই খারাপ দৃশ্যগুলো দেখতে হবেনা,অনেকদিন খুশি ছিলাম,কিন্তু আমার খুশি সৃষ্টিকর্তার খাতায় লিখা ছিলোনা,যার ফল আমার মা প্রতি সপ্তাহে একজন নতুন নতুন বাবা আমার সামনে নিয়ে আসতেন,তারা আমাকে অনেক আদর করতো,কিন্তু আমার ক্যানো যেনো খুব কষ্ট হত মায়ের পাশে প্রতিবার নতুন নতুন বাবা দেখতে,মা শেষমেশ একজন বাবাকে নতুন করে বিয়ে করলো,মাকে দেখে মনে হচ্ছিলো রূপকথার গল্পের ডাইনি বুড়ি,আমি মায়ের বিয়েতে থাকতে পারিনি,কোনো এক অজানা কারণে বাসা থেকে বেড়িয়ে আমার জীবনের চাকা একা ঘোরাতে শুরু করি..খুব কষ্ট হচ্ছিলো,তবে খুব খুশি ছিলাম যে আমাকে আর বাবা আর মা নামক নোংরা কীটগুলোকে আর দেখতে হবেনা,আমি স্বাধীন হয়ে গিয়েছিলাম,তারপর সেই আমি আজ কালো কাঁচের গাড়িতে ঘুরে বেড়াই এই অপবিত্র শহরে..!
আজও মাঝেমাঝে রাতে সেই দুঃস্বপ্ন গুলো দেখি,তাই ঘুমানোই বাদ দিয়ে দিয়েছি..তখন থেকেই আমার আর ভালোবাসা ভালো লাগেনা,ভালোবাসা বলতে কিছু নেই পৃথিবীতে..এটাই চরম এবং পরম সত্য,বেনেফিট ছাড়া কেউ তোমাকে ভালোবাসবেনা পৃথিবীতে...
এ পৃথিবী টাকার,
এ পৃথিবী দেহের...
এ পৃথিবী অপবিত্রের....!!
ভালো থেকো অরনি..আমার সত্যকে তোমার কাছে লুকোনোর জন্য আমি দোষী নই..
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
রুবাইয়াত মাহমুদ ১৬/০৬/২০১৯অনেক সুন্দর লিখেছেন
-
মোঃআরাফাত হোসাইন ২৩/০২/২০১৮supper
-
এস এম সাফায়েত ২২/০২/২০১৮World is your ..... when you will realize !!
-
অভি রহমান ২১/০২/২০১৮এ পৃথিবী কার ?