ভ্রম ভালোবাসা
বাসে সেদিন রাতে কোনো সিট না পেয়ে দাড়িয়ে আছি শেষের দিকে..পাশের সিট থেকে এক বৃদ্ধা নেমে গেলেন,তার পাশে এক পিচ্চি বাচ্চা কোলে নিয়ে এক মেয়ে বসে আছে আসলে মেয়ে বললে ভুল হবে,বোঝা যাচ্ছিলো না মুখ ওড়না দিয়ে ঢাকা,বাচ্চাটার বয়স ১বছর হয়নি মনে হচ্ছে,আমি অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি তারপর সে আমাকে বসতে বললো, যদিও অস্বস্তি লাগছিলো,কিন্ত আরো চার ঘন্টা এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা মোটেও সম্ভব না..কণ্ঠটা অনেক বছরের পরিচিত মনে হলো,আমি একটু ঘুম ঘুম চোখে গা এলিয়ে দিলাম..তারপর অপ্রত্যাশিত কিছু..!!
মেয়েটার ঠোঁট ছুঁয়ে আছে আমার চোখ..এরপর আমার আমার কপালের ডান সাইড,তারপর আমার ঠোঁট...সবকিছুই ঘটছে আমি যেনো বুঝতে না পারি এতটা সন্তর্পনে..নিশ্বাস টাও খুব কাছের,মনে হলো কতবার যে এই নিশ্বাস আমার মুখে পড়েছে..স্পর্শটা এতটাই পরিচিত যে মনে হলো এক্ষুনি চোখটা খুলে আবিষ্কার করি এই অপরিচিতাকে,পরক্ষনেই মনে হলো না,ও নিজেই রহস্য উন্মোচন করুক...!
-"স্যরি অনু,কি করবো বলো আমি কি খুব বড় দোষ করেছিলাম,তুমি যেমনটা চেয়েছিলে আমিতো তেমনটাই তোমাকে উপহার দিয়েছিলাম,তেমন হয়েই ছিলাম..তবুও তোমার স্বীকৃতি পাইনি..আজ তোমার থেকে এত দূরে আমি,জানি তোমার কোনো অনুভূতি নেই আমাকে ঘিরে..কিন্তু বিধাতার কি চাওয়া দ্যাখো আজ আমরা একই সিটে পাশাপাশি বসে,জানো যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে সে একদম তোমার মত না,আমাকে মাথায় তুলে রাখে,কিন্তু আমি একটুও ভুলতে পারিনা তোমাকে..ইচ্ছে করেই ওর সাথে ঝগড়া করি,আজও ঝগড়া করে এসেছি ও ঠিকই জানে আমি কোথায় যাবো,তুমিও তো জানো আমার রাগ হলে আমি কি করি,ওইতো এক জিনিষপত্র ভাঙচুর, আর স্লিপিং পিল,জানো এখন অভ্যেসটা চেঞ্জ করেছি,এখন রাগ হলে ঘুরতে চলে যাই,বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতেও পারিনা,ওকে ফোনে বলে দিয়েছি আমি সিলেট যাচ্ছি জাফলং...ও পিছু নিয়ে নিয়েছে অলরেডি...যাই হোক..তোমার কথা খুব মনে পড়ে আজকাল...
তোমার কাছে কখনো ভালোবাসা পাইনি সেভাবে,তবে যতটুকু পেয়েছি তা আর অন্য কারোও মাঝে দেখিনি.."
আমি উঠে গেলাম,অরনি আগের মতই আছে,চঞ্চল,সেই আমাকে খুব করে চাওয়ার ইচ্ছা কোনোটাই কমেনি..ও আবার মুখ ওড়না দিয়ে ঢেকে রেখেছে,সিলেটে আমরা একসাথেই নামলাম,আমি ওকে না জানাচেনার ভান করেই চলে গেলাম..
পরদিন অফিসে বসে আছি,কিছুই ভালো লাগছেনা,ভাবলাম জাফলং যাবো..যা ভাবা তাই কাজ,খুব অপূর্ণ লাগছে হঠাৎ আজ..ভাবছি কাল রাতের কথা,আমার চোখ ঠোট অরনির নেশায় ডুবে আছে..আমার তো কখনো এরকম লাগেনি তবে আজ এতবছর পরে ক্যানো হঠাৎ??!
হোটেলে উঠেই একটা সিংগেল রুম নিলাম,ফ্রেশ হয়ে সেদিন রাতে ছাদে গিয়েছি,দূর থেকে পাহাড়ি পাখির ডাক ভেসে আসছে,অনেক কাপল,চোখ আটকে গেল একজায়গায়,অপূর্ব সুন্দরী এক মেয়ে নীল শাড়িতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,হাত ভর্তি নীল আর কালো চূড়ী,তার পাশেই এক ভদ্রলোক.. বুঝতে বাকি থাকলোনা কে এই জোছনাবিলাসী..খুব করে অধিকার নিয়ে সামনে গেলাম,এমন ভাব যেনো কাল রাতে বাসের কথা আমি কিছুই জানিনা..
-"ক্যামন আছো??অনু এতদিন পর??" ওর স্বামীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো,রাশেদ এ হচ্ছে অনু আমার ফ্রেন্ড,অনু এ হচ্ছে আমার হাজব্যান্ড রাশেদ..
তারপর কি খবর কোথায় ছিলে এতদিন এসব কথাবার্তা চলছিলো,ওর চোখ অন্য কথা বলছিলো যা আমি পড়তে পারছিলাম,কতই না কষ্ট দিয়েছি মেয়েটাকে..আমি কথা বলতে শুরু করলাম,ও একনজরে তাকিয়েই ছিলো...
-তোমরা কত ফ্লোরে আছো?চলো একসাথে ডিনার করি?
-আমরা ৩য় ফ্লোরে ২০৬ নাম্বার রুম..না খাওয়া সেরেই এখানে আসলাম..
-ও আচ্ছা,২০৬ তো আমার পাশেই আমি ২০৭ এ..
আইস্ক্রিম ওর খুব পছন্দ,সবার জন্যই নিয়ে আসলাম,খাওয়া শেষে ও চলে গ্যালো.যতক্ষন পারলো এদিকেই তাকিয়ে ছিলো..
রাত ১টা বাজে,
আমার সিগারেট শেষ,এত রাতে শপ তো সবই বন্ধ..মাথাটা খুব ধরেছিলো..
হঠাত করেই খুব ইচ্ছে হলো অরনিকে দেখবো,মাথা আর কাজ করছেনা,তখনই গেটে শব্দ..এতরাতে কে আসবে,হাতে সুইচগিয়ার টা রেডি করে দরজা খুলে দিয়ে আশ্চর্য হলাম ও অরনি..সাথে সাথে সুইচগিয়ারের কোণা ঠোঁটের সাইডে লেগে রক্ত বের হলো একটু...
-এত রাতে তুমি এখানে ক্যানো?মানুষ জানলে কি বলবে?তোমার হাজব্যান্ড জানলে কি হবে?
-ওরা ঘুমিয়েছে,এত কথা শুনতে আসিনি,আমার অধিকার নিতে এসেছি..
-কিসের অধিকার চাও তুমি?তোমার সব অধিকার তোমার স্বামীর উপর এখন..প্লিজ তুমি যাও..
-যাওয়ার জন্য আসিনি, বলে ও আমার ঠোঁট মেঘ করলো রক্তগুলো ঠোঁটে লেগে এক অদ্ভুত কিছু খুঁজে পেলাম..একটা বহু পুরোনো হাহাকার..এতক্ষনে ও বিছানার সাথে মিশে গেছে,আজকের পূর্ণিমাও ওর কাছে হার মানতে বাধ্য..ওর নিজেকে সম্পূর্ণটা আমার হাতে তুলে দিলো,
-অনু,অনেক ভালোবাসি তোমাকে,আজ আমাকে একটুও নিরাশ করবেনা প্লিজ..ওর হাতের বন্ধনটা খুলতেই পারছিলামনা..আমার ভিতরেই বোধয় আজ ও ঢুকে যাবে সব শক্তি দিয়ে..হঠাত ওকে ঘুরাতে গিয়ে মাথায় সজোরে টেবিলের করণার লেগে আমি সেন্সলেস হতে লাগলাম...
এক ঝাটকায় বিছানা থেকে উঠে টেবিলল্যাম্প জালালাম,মাধবী আমাকে পানি এগিয়ে দিলো??
-কি হলো গো??খারাপ স্বপ্ন দেখছো???পানিটা খাওতো..পাগল একটা..আসো ঘুমিয়ে দিচ্ছি..
অবাক হবার বিষয়,
আমার হাতের পাশেই সুইচগিয়ারটা পড়ে আছে তাতে হালকা রক্তের দাগ...মাধবীর হাতের স্পর্শে ঘুম আসতে কতক্ষন...! ভালোবাসি..!!
অনেক...!!!
মেয়েটার ঠোঁট ছুঁয়ে আছে আমার চোখ..এরপর আমার আমার কপালের ডান সাইড,তারপর আমার ঠোঁট...সবকিছুই ঘটছে আমি যেনো বুঝতে না পারি এতটা সন্তর্পনে..নিশ্বাস টাও খুব কাছের,মনে হলো কতবার যে এই নিশ্বাস আমার মুখে পড়েছে..স্পর্শটা এতটাই পরিচিত যে মনে হলো এক্ষুনি চোখটা খুলে আবিষ্কার করি এই অপরিচিতাকে,পরক্ষনেই মনে হলো না,ও নিজেই রহস্য উন্মোচন করুক...!
-"স্যরি অনু,কি করবো বলো আমি কি খুব বড় দোষ করেছিলাম,তুমি যেমনটা চেয়েছিলে আমিতো তেমনটাই তোমাকে উপহার দিয়েছিলাম,তেমন হয়েই ছিলাম..তবুও তোমার স্বীকৃতি পাইনি..আজ তোমার থেকে এত দূরে আমি,জানি তোমার কোনো অনুভূতি নেই আমাকে ঘিরে..কিন্তু বিধাতার কি চাওয়া দ্যাখো আজ আমরা একই সিটে পাশাপাশি বসে,জানো যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে সে একদম তোমার মত না,আমাকে মাথায় তুলে রাখে,কিন্তু আমি একটুও ভুলতে পারিনা তোমাকে..ইচ্ছে করেই ওর সাথে ঝগড়া করি,আজও ঝগড়া করে এসেছি ও ঠিকই জানে আমি কোথায় যাবো,তুমিও তো জানো আমার রাগ হলে আমি কি করি,ওইতো এক জিনিষপত্র ভাঙচুর, আর স্লিপিং পিল,জানো এখন অভ্যেসটা চেঞ্জ করেছি,এখন রাগ হলে ঘুরতে চলে যাই,বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতেও পারিনা,ওকে ফোনে বলে দিয়েছি আমি সিলেট যাচ্ছি জাফলং...ও পিছু নিয়ে নিয়েছে অলরেডি...যাই হোক..তোমার কথা খুব মনে পড়ে আজকাল...
তোমার কাছে কখনো ভালোবাসা পাইনি সেভাবে,তবে যতটুকু পেয়েছি তা আর অন্য কারোও মাঝে দেখিনি.."
আমি উঠে গেলাম,অরনি আগের মতই আছে,চঞ্চল,সেই আমাকে খুব করে চাওয়ার ইচ্ছা কোনোটাই কমেনি..ও আবার মুখ ওড়না দিয়ে ঢেকে রেখেছে,সিলেটে আমরা একসাথেই নামলাম,আমি ওকে না জানাচেনার ভান করেই চলে গেলাম..
পরদিন অফিসে বসে আছি,কিছুই ভালো লাগছেনা,ভাবলাম জাফলং যাবো..যা ভাবা তাই কাজ,খুব অপূর্ণ লাগছে হঠাৎ আজ..ভাবছি কাল রাতের কথা,আমার চোখ ঠোট অরনির নেশায় ডুবে আছে..আমার তো কখনো এরকম লাগেনি তবে আজ এতবছর পরে ক্যানো হঠাৎ??!
হোটেলে উঠেই একটা সিংগেল রুম নিলাম,ফ্রেশ হয়ে সেদিন রাতে ছাদে গিয়েছি,দূর থেকে পাহাড়ি পাখির ডাক ভেসে আসছে,অনেক কাপল,চোখ আটকে গেল একজায়গায়,অপূর্ব সুন্দরী এক মেয়ে নীল শাড়িতে চাঁদের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,হাত ভর্তি নীল আর কালো চূড়ী,তার পাশেই এক ভদ্রলোক.. বুঝতে বাকি থাকলোনা কে এই জোছনাবিলাসী..খুব করে অধিকার নিয়ে সামনে গেলাম,এমন ভাব যেনো কাল রাতে বাসের কথা আমি কিছুই জানিনা..
-"ক্যামন আছো??অনু এতদিন পর??" ওর স্বামীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো,রাশেদ এ হচ্ছে অনু আমার ফ্রেন্ড,অনু এ হচ্ছে আমার হাজব্যান্ড রাশেদ..
তারপর কি খবর কোথায় ছিলে এতদিন এসব কথাবার্তা চলছিলো,ওর চোখ অন্য কথা বলছিলো যা আমি পড়তে পারছিলাম,কতই না কষ্ট দিয়েছি মেয়েটাকে..আমি কথা বলতে শুরু করলাম,ও একনজরে তাকিয়েই ছিলো...
-তোমরা কত ফ্লোরে আছো?চলো একসাথে ডিনার করি?
-আমরা ৩য় ফ্লোরে ২০৬ নাম্বার রুম..না খাওয়া সেরেই এখানে আসলাম..
-ও আচ্ছা,২০৬ তো আমার পাশেই আমি ২০৭ এ..
আইস্ক্রিম ওর খুব পছন্দ,সবার জন্যই নিয়ে আসলাম,খাওয়া শেষে ও চলে গ্যালো.যতক্ষন পারলো এদিকেই তাকিয়ে ছিলো..
রাত ১টা বাজে,
আমার সিগারেট শেষ,এত রাতে শপ তো সবই বন্ধ..মাথাটা খুব ধরেছিলো..
হঠাত করেই খুব ইচ্ছে হলো অরনিকে দেখবো,মাথা আর কাজ করছেনা,তখনই গেটে শব্দ..এতরাতে কে আসবে,হাতে সুইচগিয়ার টা রেডি করে দরজা খুলে দিয়ে আশ্চর্য হলাম ও অরনি..সাথে সাথে সুইচগিয়ারের কোণা ঠোঁটের সাইডে লেগে রক্ত বের হলো একটু...
-এত রাতে তুমি এখানে ক্যানো?মানুষ জানলে কি বলবে?তোমার হাজব্যান্ড জানলে কি হবে?
-ওরা ঘুমিয়েছে,এত কথা শুনতে আসিনি,আমার অধিকার নিতে এসেছি..
-কিসের অধিকার চাও তুমি?তোমার সব অধিকার তোমার স্বামীর উপর এখন..প্লিজ তুমি যাও..
-যাওয়ার জন্য আসিনি, বলে ও আমার ঠোঁট মেঘ করলো রক্তগুলো ঠোঁটে লেগে এক অদ্ভুত কিছু খুঁজে পেলাম..একটা বহু পুরোনো হাহাকার..এতক্ষনে ও বিছানার সাথে মিশে গেছে,আজকের পূর্ণিমাও ওর কাছে হার মানতে বাধ্য..ওর নিজেকে সম্পূর্ণটা আমার হাতে তুলে দিলো,
-অনু,অনেক ভালোবাসি তোমাকে,আজ আমাকে একটুও নিরাশ করবেনা প্লিজ..ওর হাতের বন্ধনটা খুলতেই পারছিলামনা..আমার ভিতরেই বোধয় আজ ও ঢুকে যাবে সব শক্তি দিয়ে..হঠাত ওকে ঘুরাতে গিয়ে মাথায় সজোরে টেবিলের করণার লেগে আমি সেন্সলেস হতে লাগলাম...
এক ঝাটকায় বিছানা থেকে উঠে টেবিলল্যাম্প জালালাম,মাধবী আমাকে পানি এগিয়ে দিলো??
-কি হলো গো??খারাপ স্বপ্ন দেখছো???পানিটা খাওতো..পাগল একটা..আসো ঘুমিয়ে দিচ্ছি..
অবাক হবার বিষয়,
আমার হাতের পাশেই সুইচগিয়ারটা পড়ে আছে তাতে হালকা রক্তের দাগ...মাধবীর হাতের স্পর্শে ঘুম আসতে কতক্ষন...! ভালোবাসি..!!
অনেক...!!!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
কামরুজ্জামান সাদ ১৯/০২/২০১৮মোটামুটি ধরনের লেগেছে।আরও ভাল নিশ্চয়ই লেখেন।সেগুলোর প্রতীক্ষা থাকলাম...শুভেচ্ছা প্রিয়।