মধ্যবিত্তের কান্না
মধ্যবিত্তের কান্না
---রেজাউল রেজা---
=================
মধ্যবিত্ত!
সংগ্রামের আরেক নাম।
প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবার এক একটা যুদ্ধক্ষেত্রের মত।
ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির যুদ্ধ,রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের যুদ্ধ থেকে এই যুদ্ধ বেশ আলাদা।
এখানে যুদ্ধ চলে প্রতিনিয়ত।
এখানে যুদ্ধ চলে জীবনের সাথে।
মধ্যবিত্ত নামক যুদ্ধের যোদ্ধারা যুদ্ধ করে জীবনের সাথে,বেঁচে থাকার যুদ্ধ।
ধনীরা ভালোভাবেই জীবন পার করে,গরীবরা অন্যের জমিতে কিংবা দিনমজুরের কাজ করে জীবন পার করে।
গরীবদের কাছে কারো চাওয়া পাওয়াও থাকেনা।
কিন্তু মধ্যবিত্তের কাছে ধনীদের মতই অনেকে অনেক কিছু আশা করে।
ধনীদের কাছে মানুষ যা আশা করে,তারা ইচ্ছে করলেই সেই আশা পূরণ করতে পারে কিন্তু মধ্যবিত্তের কাছে যখন সেই আশা ব্যক্ত করে তখন তারা ভ্যাবাচ্যাকায় পড়ে যায়।
অন্যের সেই চাওয়া পূরণ করতে গেলে নিজেকে সমস্যায় পরতে হয় আবার কাউকে ফিরিয়ে দিলেও সেটা হয় দোষ!
গরীবরা নিজে রোজগার করে ভালোভাবেই জীবন চালিয়ে যায়।
বলতে গেলে তারাও নিজ অবস্থান থেকে সুখী।
কিন্তু মধ্যবিত্তদের জীবনটা পুরাই আলাদা।
একটা কথা আছে-বুক ফাটে তো মুখ ফোটেনা।
মধ্যবিত্তের জীবন ঠিক এরকম।
এরা পারেনা গরীবদের মত অন্যের কাজ করে জীবন চালাতে।
কারণ,সমাজ সেটাকে খারাপ চোখে দেখে।
আবার,পারেনা ধনীদের মত ভালোভাবে সংসার চালাতে।
যা আয় হয় নিজের জমি-জায়গা চাষাবাদ করে কিংবা ছোটখাটো চাকরি করে।
তা দিয়ে আসলেই তাদের সংসার চলেনা।
ভালোভাবে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারেনা।
পারেনা ভালো কাপড়-চোপর ব্যবহার করতে।
কিন্তু সমাজের মানুষ ভাবে চাকরি করছে,জমিজমাও আবাদ করছে ভালোই আছে!
সমাজের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে মধ্যবিত্তদেরকে ধনীদের কাতারে রেখেই হিসেব করে সবাই।
আর সমস্যাটা মূলত এখানেই,মধ্যবিত্তরা ধনীদের সাথে তাল মিলাতে যথারীতি হিমশিম খেয়ে বসে কিন্তু সামাজিক মর্যাদা রক্ষার্থে কষ্ট হলেও সেটা সামলিয়ে নিতে হয়।
এটাও তাদের যুদ্ধ।
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানকে বন্ধুদের সাথে মিশতে হলেও দোটানায় পড়তে হয়,না মিশলেও সমাজের চোখে খারাপ হতে হয়।
এরা সবসময় দোটানার উপর থাকে।এরা নয় গরীব নয় ধনী,এদের নাম মধ্যবিত্ত।
এক অদ্ভুদ রকমের যুদ্ধের নাম!
একটা ব্যাঙের এক পা যখন চিল ধরে টানে আর এক পা সাপ ধরে টানে তখন ব্যাঙের যা অবস্থা হয়,মধ্যবিত্তের অবস্থা ঠিক সেরকম।
এরা না পারে সইতে না পারে কইতে।
এরা নীরবে নিভৃতে চোখের জল ফেলে।
এদের কান্না কেউ দেখেনা।
মধ্যবিত্তের কান্না চলে দিনের পর দিন।।
________________________________
লেখা-২৪ মে,২০১৮
প্রবন্ধটি যেসব পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে-
★দৈনিক যুগের আলো-২৯/০৭/২০১৮
---রেজাউল রেজা---
=================
মধ্যবিত্ত!
সংগ্রামের আরেক নাম।
প্রতিটি মধ্যবিত্ত পরিবার এক একটা যুদ্ধক্ষেত্রের মত।
ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির যুদ্ধ,রাষ্ট্রের সাথে রাষ্ট্রের যুদ্ধ থেকে এই যুদ্ধ বেশ আলাদা।
এখানে যুদ্ধ চলে প্রতিনিয়ত।
এখানে যুদ্ধ চলে জীবনের সাথে।
মধ্যবিত্ত নামক যুদ্ধের যোদ্ধারা যুদ্ধ করে জীবনের সাথে,বেঁচে থাকার যুদ্ধ।
ধনীরা ভালোভাবেই জীবন পার করে,গরীবরা অন্যের জমিতে কিংবা দিনমজুরের কাজ করে জীবন পার করে।
গরীবদের কাছে কারো চাওয়া পাওয়াও থাকেনা।
কিন্তু মধ্যবিত্তের কাছে ধনীদের মতই অনেকে অনেক কিছু আশা করে।
ধনীদের কাছে মানুষ যা আশা করে,তারা ইচ্ছে করলেই সেই আশা পূরণ করতে পারে কিন্তু মধ্যবিত্তের কাছে যখন সেই আশা ব্যক্ত করে তখন তারা ভ্যাবাচ্যাকায় পড়ে যায়।
অন্যের সেই চাওয়া পূরণ করতে গেলে নিজেকে সমস্যায় পরতে হয় আবার কাউকে ফিরিয়ে দিলেও সেটা হয় দোষ!
গরীবরা নিজে রোজগার করে ভালোভাবেই জীবন চালিয়ে যায়।
বলতে গেলে তারাও নিজ অবস্থান থেকে সুখী।
কিন্তু মধ্যবিত্তদের জীবনটা পুরাই আলাদা।
একটা কথা আছে-বুক ফাটে তো মুখ ফোটেনা।
মধ্যবিত্তের জীবন ঠিক এরকম।
এরা পারেনা গরীবদের মত অন্যের কাজ করে জীবন চালাতে।
কারণ,সমাজ সেটাকে খারাপ চোখে দেখে।
আবার,পারেনা ধনীদের মত ভালোভাবে সংসার চালাতে।
যা আয় হয় নিজের জমি-জায়গা চাষাবাদ করে কিংবা ছোটখাটো চাকরি করে।
তা দিয়ে আসলেই তাদের সংসার চলেনা।
ভালোভাবে সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারেনা।
পারেনা ভালো কাপড়-চোপর ব্যবহার করতে।
কিন্তু সমাজের মানুষ ভাবে চাকরি করছে,জমিজমাও আবাদ করছে ভালোই আছে!
সমাজের বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠানে মধ্যবিত্তদেরকে ধনীদের কাতারে রেখেই হিসেব করে সবাই।
আর সমস্যাটা মূলত এখানেই,মধ্যবিত্তরা ধনীদের সাথে তাল মিলাতে যথারীতি হিমশিম খেয়ে বসে কিন্তু সামাজিক মর্যাদা রক্ষার্থে কষ্ট হলেও সেটা সামলিয়ে নিতে হয়।
এটাও তাদের যুদ্ধ।
একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানকে বন্ধুদের সাথে মিশতে হলেও দোটানায় পড়তে হয়,না মিশলেও সমাজের চোখে খারাপ হতে হয়।
এরা সবসময় দোটানার উপর থাকে।এরা নয় গরীব নয় ধনী,এদের নাম মধ্যবিত্ত।
এক অদ্ভুদ রকমের যুদ্ধের নাম!
একটা ব্যাঙের এক পা যখন চিল ধরে টানে আর এক পা সাপ ধরে টানে তখন ব্যাঙের যা অবস্থা হয়,মধ্যবিত্তের অবস্থা ঠিক সেরকম।
এরা না পারে সইতে না পারে কইতে।
এরা নীরবে নিভৃতে চোখের জল ফেলে।
এদের কান্না কেউ দেখেনা।
মধ্যবিত্তের কান্না চলে দিনের পর দিন।।
________________________________
লেখা-২৪ মে,২০১৮
প্রবন্ধটি যেসব পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে-
★দৈনিক যুগের আলো-২৯/০৭/২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সেখ আক্তার হোসেন ১৫/০৮/২০১৮বাস্তবতা
-
ন্যান্সি দেওয়ান ১৫/০৮/২০১৮Excellent.
-
সামিন শুভ ০৮/০৮/২০১৮Hmm
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৭/০৮/২০১৮খুব ভাল লাগল।শুভেচ্ছা জানবেন।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ০৬/০৮/২০১৮বাস্তব।
-
সুলতান মাহমুদ ০৬/০৮/২০১৮reality