সাবা মনির প্রিয় বন্ধু মাকু
সাবা মনির প্রিয় বন্ধু মাকু
---রেজাউল রেজা---
------------------------------------
সাবা মনির প্রিয় বিড়াল মাকু।
সাবা মনি সব সময় মাকু কে নিয়ে খেলা করে।
মাকুই তার খেলার সাথী।
সাবা মনি তার প্রিয় মাকু কে ছাড়া থাকতেই পারেনা।কিছুক্ষণের জন্য মাকু কে না দেখলে শুরু হয় সাবা মনির কান্না।যতক্ষণ সাবা বাসায় থাকে ততক্ষণ তার প্রিয় মাকু তার কোলেই থাকে।একটু খুশিতে বার বার মাকু কে চুমুতে ভরিয়ে দেয় ছোট্ট সাবা।
সাবাকে ওর মা খেতে দিলে তার কিছু অংশ সে মাকুর জন্য রেখে দেয়,নিজ হাতে খাওয়ায় তার বন্ধু মাকু কে।
এজন্য সাবার মা সাবাকে অনেক বকাবকি করত।
এখন আর করেনা।
মেয়ের পাগলামী উপভোগ করে সাবার মা।
মাকুও বন্ধু সাবার দেওয়া খাবার ছাড়া অন্য কিছু খায়না।
মাকু কখনই নিজে থেকে খাদ্য খায়না।
সাবা নিজ হাতে না খাওয়ালে,না খেয়েই থাকে মাকু।
খাওয়াতে দেরী হলে অভিমান করে সাবা উপর।
সাবা খেতে বসলে অভিমান করে সাবার কাছ থেকে দূরে থাকে।
তখন সাবা বুঝতে পারে,তার মাকু রাগ করেছে।
তখন,মাকুকে আরও বেশি আদর করে খাওয়ায়।
দিন দিন মাকুর পেটটা বড় হচ্ছে।
মাকুর পেট বড় দেখে সাবার মাথায় অনেক চিন্তা।
তার প্রিয় মাকুর আবার কোন রোগ হলোনা তো!!
সাবা তার মা কে বলল,মা মাকুর পেট কেন জানি বড় হয়েছে!
ওর অসুখ করেছে মনে হয়।
সাবার কথা শুনে ওর মা মনে মনে হাসে।তারপর সাবাকে বলে,আরে পাগলী,ওর অসুখ নয়,ওর পেটে বাবু এসেছে।
এই কথা শুনের সাবা খুশিতে আত্মহারা।তার প্রিয় মাকুর পেটে বাচ্চা!
মাকু মা হবে,সাবা পাবে নতুন খেলার সাথী।
এখন সাবার ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেছে।তার বন্ধু মাকুকে নিয়ে তার ভাবনার শেষ নেই।সবসময় মাকুর খেয়াল রাখে ছোট্ট সাবা।মাকুর যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যপারে যথেষ্ট সচেতন সাবা মনি।
এখন মাকুর জন্য ভালো ভালো খাবার রাখে সে।দুধ,ডিম,কলা, মাছের মাথা এনে নেয় তার বাবার কাছে।
সবগুলো যত্ম করে খাওয়ায় মাকুকে।
ধীরে ধীরে দিন ঘনিয়ে আসছে মাকুর বাচ্চা প্রসবের।
সাবার চিন্তাও বেড়ে গেছে।
হঠাৎ একদিন মাকু কিছু খাচ্ছেনা।
সবসময় শুয়ে থাকছে।
এসব দেখে খুব চিন্তায় পরে গেল সাবা মনি।
তার মা কে বলল সব কথা।
তার মা বলল,আজ মাকুর বাচ্চা হবে।
সাবা দারুণ খুশি হলো।একটু চিন্তাও কাজ করছে সাবার মাথায়।
অবশেষে,মাকু দুটি সাদা রঙের সুন্দর বাচ্চা জন্ম দিল।
বাচ্চা এবং মাকু সবাই সুস্থ্য আছে।
আজ সাবা অনেক খুশি।
খুশিতে ছোট্ট সাবা তার পাড়ার সব শিশু বন্ধুকে ডাক দিল।সবাইকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করল।
তার খেলনা হাড়ি-পাতিলে নিজেই ভাত তরকারি রান্না করে সবাইকে খাওয়ালো।
সবাইকে বলল,আমার মাকুর বাচ্চার নাম রাখব।
তোমরা সবাই একটা করে নাম বল।
সবাই নাম বলল।
মহা ধুমধামে সবাই মিলে বাচ্চা দুটির নাম রাখল-শুক ও তারা।
সাবা মনি এখন অনেক ব্যস্ত তার প্রিয় মাকু ও তার বাচ্চা শুক-তারা কে নিয়ে।।
_______________________
গল্পটি যেসব পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে-
★★দৈনিক যুগের আলো-১২/০৭/১৮
★★দৈনিক আজকের কুমিল্লা-১২/০৭/১৮
★★সাপ্তাহিক চরকা-১৫/০৭/১৮
★★দৈনিক মাথাভাঙ্গা-২৪/০৭/২৮
★★দৈনিক বায়ান্নর আলো-২৪/০৭/১৮
---রেজাউল রেজা---
------------------------------------
সাবা মনির প্রিয় বিড়াল মাকু।
সাবা মনি সব সময় মাকু কে নিয়ে খেলা করে।
মাকুই তার খেলার সাথী।
সাবা মনি তার প্রিয় মাকু কে ছাড়া থাকতেই পারেনা।কিছুক্ষণের জন্য মাকু কে না দেখলে শুরু হয় সাবা মনির কান্না।যতক্ষণ সাবা বাসায় থাকে ততক্ষণ তার প্রিয় মাকু তার কোলেই থাকে।একটু খুশিতে বার বার মাকু কে চুমুতে ভরিয়ে দেয় ছোট্ট সাবা।
সাবাকে ওর মা খেতে দিলে তার কিছু অংশ সে মাকুর জন্য রেখে দেয়,নিজ হাতে খাওয়ায় তার বন্ধু মাকু কে।
এজন্য সাবার মা সাবাকে অনেক বকাবকি করত।
এখন আর করেনা।
মেয়ের পাগলামী উপভোগ করে সাবার মা।
মাকুও বন্ধু সাবার দেওয়া খাবার ছাড়া অন্য কিছু খায়না।
মাকু কখনই নিজে থেকে খাদ্য খায়না।
সাবা নিজ হাতে না খাওয়ালে,না খেয়েই থাকে মাকু।
খাওয়াতে দেরী হলে অভিমান করে সাবা উপর।
সাবা খেতে বসলে অভিমান করে সাবার কাছ থেকে দূরে থাকে।
তখন সাবা বুঝতে পারে,তার মাকু রাগ করেছে।
তখন,মাকুকে আরও বেশি আদর করে খাওয়ায়।
দিন দিন মাকুর পেটটা বড় হচ্ছে।
মাকুর পেট বড় দেখে সাবার মাথায় অনেক চিন্তা।
তার প্রিয় মাকুর আবার কোন রোগ হলোনা তো!!
সাবা তার মা কে বলল,মা মাকুর পেট কেন জানি বড় হয়েছে!
ওর অসুখ করেছে মনে হয়।
সাবার কথা শুনে ওর মা মনে মনে হাসে।তারপর সাবাকে বলে,আরে পাগলী,ওর অসুখ নয়,ওর পেটে বাবু এসেছে।
এই কথা শুনের সাবা খুশিতে আত্মহারা।তার প্রিয় মাকুর পেটে বাচ্চা!
মাকু মা হবে,সাবা পাবে নতুন খেলার সাথী।
এখন সাবার ব্যস্ততা আরো বেড়ে গেছে।তার বন্ধু মাকুকে নিয়ে তার ভাবনার শেষ নেই।সবসময় মাকুর খেয়াল রাখে ছোট্ট সাবা।মাকুর যাতে কোন ক্ষতি না হয় সে ব্যপারে যথেষ্ট সচেতন সাবা মনি।
এখন মাকুর জন্য ভালো ভালো খাবার রাখে সে।দুধ,ডিম,কলা, মাছের মাথা এনে নেয় তার বাবার কাছে।
সবগুলো যত্ম করে খাওয়ায় মাকুকে।
ধীরে ধীরে দিন ঘনিয়ে আসছে মাকুর বাচ্চা প্রসবের।
সাবার চিন্তাও বেড়ে গেছে।
হঠাৎ একদিন মাকু কিছু খাচ্ছেনা।
সবসময় শুয়ে থাকছে।
এসব দেখে খুব চিন্তায় পরে গেল সাবা মনি।
তার মা কে বলল সব কথা।
তার মা বলল,আজ মাকুর বাচ্চা হবে।
সাবা দারুণ খুশি হলো।একটু চিন্তাও কাজ করছে সাবার মাথায়।
অবশেষে,মাকু দুটি সাদা রঙের সুন্দর বাচ্চা জন্ম দিল।
বাচ্চা এবং মাকু সবাই সুস্থ্য আছে।
আজ সাবা অনেক খুশি।
খুশিতে ছোট্ট সাবা তার পাড়ার সব শিশু বন্ধুকে ডাক দিল।সবাইকে নিয়ে পিকনিকের আয়োজন করল।
তার খেলনা হাড়ি-পাতিলে নিজেই ভাত তরকারি রান্না করে সবাইকে খাওয়ালো।
সবাইকে বলল,আমার মাকুর বাচ্চার নাম রাখব।
তোমরা সবাই একটা করে নাম বল।
সবাই নাম বলল।
মহা ধুমধামে সবাই মিলে বাচ্চা দুটির নাম রাখল-শুক ও তারা।
সাবা মনি এখন অনেক ব্যস্ত তার প্রিয় মাকু ও তার বাচ্চা শুক-তারা কে নিয়ে।।
_______________________
গল্পটি যেসব পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে-
★★দৈনিক যুগের আলো-১২/০৭/১৮
★★দৈনিক আজকের কুমিল্লা-১২/০৭/১৮
★★সাপ্তাহিক চরকা-১৫/০৭/১৮
★★দৈনিক মাথাভাঙ্গা-২৪/০৭/২৮
★★দৈনিক বায়ান্নর আলো-২৪/০৭/১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২২/০৮/২০১৮বেশ সুন্দর।