নাফির বাইসাইকেল
নাফির ইসাইকেল
***রেজাউল রেজা***
=================
ছোট্ট শিশু নাফি।
সবেমাত্র ক্লাস ওয়ানে পড়ে।
এই বয়সেই বেশ দুরন্ত ও চঞ্চল!
সবসময় টই টই করে ঘুরে বেড়ায়।
ঘুম থেকে ওঠে সবার আগে।
উঠেই তার ঘুরাঘুরি শুরু!
নাস্তা খাওয়ার সময়টুকুও যেন নেই তার।মায়ের সাথে স্কুলে গিয়েও সে চুপচাপ থাকার পাত্র নয়।
সব ক্লাসরুম যেন তার নিজের!
সব ক্লাস রুমেও চলে তার দুষ্টুমি।
সব শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যমনি এই ছোট্ট নাফি।
যেমন দুষ্টু তেমন চঞ্চল!
হেটে টই টই করতে আর ভালো লাগেনা নাফির।
টিভিতে দুরন্ত বাইসাইকেলের বিজ্ঞাপন দেখেছে।
একদিন তার বাবার কাছে বায়না ধরল,তার বাইসাইকেল লাগবে।
নাছোরবান্দা নাফি সাইকেল কিনে নিয়েই ছাড়ল।
তাও আবার বাবার সাথে নিজে গিয়ে পছন্দের লাল রংয়ের গিয়ার ওয়ালা দুরন্ত বাই সাইকেল।
এখন তার চাঞ্চল্যতা আরো বেড়ে গেছে।
সবসময় সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়।
প্রিয় সাইকেলটিকে রেখে যখন স্কুলে যায় তখন তার মন ছটফট কনে সাইকেল চালানোর জন্য।
বাড়িতে ফিরেই খাওয়া-নাওয়া বাদ দিয়ে সাইকেল চালাতে শুরু করে।
ধীরে চলেনা নাফির সাইকেল।
মনেহয় যেন,একাই সে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তার কোন ক্লান্তি নেই।
মাঝে মাঝে ওর দাদু যখন মটর বাইক নিয়ে বাজারে যায় তখন নাফিও তার দাদুর পিছু পিছু সাইকেল মেরে ধাওয়া করে দাদুকে।
যেন,দাদুর সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
একদিন,ওর বাবাসহ স্কুল থেকে ফেরার পথে ওর বাবা দোকানে কিছু খরচ কিনতে চাইল কিন্তু নাফি খরচ কিনতে দিবেনা,কিছুতেই দিবেনা।
তার কথা-এখন খরচ কিনতে হবেনা,আমি বাড়িতে গিয়ে সাইকেল নিয়ে বাজারে এসে খরচ নিয়ে যাব।
নাছোরবান্দা তাই করল।
তার বাবাকে খরচ কিনতেই দিলনা।
পরে সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে খরচ নিয়ে আসল।
ভর দুপুরে প্রচণ্ড রোদে সব মানুষ যখন একটু ছায়ায় বসতে চায়,দুরন্ত নাফি তখন রোদের মধ্যেই সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়।
কারো কোন বাধা সে মানেনা।
তার প্রিয় দুরন্ত বাইসাইকেলই যেন তার সব।।
_________________________
★★গল্পটি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে ৩০/০৬/২০১৮ তারিখ,শনিবার।
★★মাসিক ইস্টিশন-জুলাই,১৮ সংখ্যা।
★★মাসিক কিশোর পাতা-আগষ্ট,১৮ সংখ্যা।
***রেজাউল রেজা***
=================
ছোট্ট শিশু নাফি।
সবেমাত্র ক্লাস ওয়ানে পড়ে।
এই বয়সেই বেশ দুরন্ত ও চঞ্চল!
সবসময় টই টই করে ঘুরে বেড়ায়।
ঘুম থেকে ওঠে সবার আগে।
উঠেই তার ঘুরাঘুরি শুরু!
নাস্তা খাওয়ার সময়টুকুও যেন নেই তার।মায়ের সাথে স্কুলে গিয়েও সে চুপচাপ থাকার পাত্র নয়।
সব ক্লাসরুম যেন তার নিজের!
সব ক্লাস রুমেও চলে তার দুষ্টুমি।
সব শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যমনি এই ছোট্ট নাফি।
যেমন দুষ্টু তেমন চঞ্চল!
হেটে টই টই করতে আর ভালো লাগেনা নাফির।
টিভিতে দুরন্ত বাইসাইকেলের বিজ্ঞাপন দেখেছে।
একদিন তার বাবার কাছে বায়না ধরল,তার বাইসাইকেল লাগবে।
নাছোরবান্দা নাফি সাইকেল কিনে নিয়েই ছাড়ল।
তাও আবার বাবার সাথে নিজে গিয়ে পছন্দের লাল রংয়ের গিয়ার ওয়ালা দুরন্ত বাই সাইকেল।
এখন তার চাঞ্চল্যতা আরো বেড়ে গেছে।
সবসময় সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়।
প্রিয় সাইকেলটিকে রেখে যখন স্কুলে যায় তখন তার মন ছটফট কনে সাইকেল চালানোর জন্য।
বাড়িতে ফিরেই খাওয়া-নাওয়া বাদ দিয়ে সাইকেল চালাতে শুরু করে।
ধীরে চলেনা নাফির সাইকেল।
মনেহয় যেন,একাই সে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তার কোন ক্লান্তি নেই।
মাঝে মাঝে ওর দাদু যখন মটর বাইক নিয়ে বাজারে যায় তখন নাফিও তার দাদুর পিছু পিছু সাইকেল মেরে ধাওয়া করে দাদুকে।
যেন,দাদুর সাথে প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
একদিন,ওর বাবাসহ স্কুল থেকে ফেরার পথে ওর বাবা দোকানে কিছু খরচ কিনতে চাইল কিন্তু নাফি খরচ কিনতে দিবেনা,কিছুতেই দিবেনা।
তার কথা-এখন খরচ কিনতে হবেনা,আমি বাড়িতে গিয়ে সাইকেল নিয়ে বাজারে এসে খরচ নিয়ে যাব।
নাছোরবান্দা তাই করল।
তার বাবাকে খরচ কিনতেই দিলনা।
পরে সাইকেল চালিয়ে বাজারে গিয়ে খরচ নিয়ে আসল।
ভর দুপুরে প্রচণ্ড রোদে সব মানুষ যখন একটু ছায়ায় বসতে চায়,দুরন্ত নাফি তখন রোদের মধ্যেই সাইকেল চালিয়ে বেড়ায়।
কারো কোন বাধা সে মানেনা।
তার প্রিয় দুরন্ত বাইসাইকেলই যেন তার সব।।
_________________________
★★গল্পটি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক করতোয়া পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে ৩০/০৬/২০১৮ তারিখ,শনিবার।
★★মাসিক ইস্টিশন-জুলাই,১৮ সংখ্যা।
★★মাসিক কিশোর পাতা-আগষ্ট,১৮ সংখ্যা।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
দীপঙ্কর রায় ০৬/০৭/২০১৮ভালো লাগলো পড়ে।
-
ন্যান্সি দেওয়ান ০১/০৭/২০১৮Good
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ৩০/০৬/২০১৮বেশ লাগল
-
অধীতি ৩০/০৬/২০১৮বেশ ভাল লাগার, শৈশবের দুরন্তপনা