ঈদের দিনে তোহার পরিকল্পনা
ঈদের দিনে তোহার পরিকল্পনা
---রেজাউল রেজা---
===================
ঈদ মানে খুশি।
ঈদ মানে আনন্দ আর আনন্দ!
শিশু-কিশোর,বৃদ্ধ-যুবা সবার মনই সেদিন খুশি থাকে।
ঈদ নিয়ে কিংবা ঈদের দিনটি নিয়ে সবারই থাকে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা।
ছোট্ট শিশু তোহা।
ক্লাস ফাইভে পড়ে।
তোহা এবার সব রোযাই করেছে।তোহা যেমন মেধাবী তেমন ধার্মিকও বটে।
ঈদের দুদিন আগে তোহার মামা তোহাদের বাসায় আসল ঈদের সেমাই,কাপড়সহ আরো নানা ধরনের জিনিস নিয়ে।
বাড়ির সামনে এসে বাইকের হর্ণ বাজাতেই তোহা দৌড়ে গেল,দেখল তার মামা এসেছে।
সাথে ভারী ব্যাগও আছে।
তোহা দৌড়ে গেল তার মায়ের কাছে।
মা,মামা এসেছে, মামা এসেছে বলে চিল্লাতে লাগল।
মামাকে পেয়ে তার খুশি আর আটকায় কে!
এবার শুরু হলো মামা ভাগনের গল্প-
তোহার মামা তোহাকে বলল-তোহা আব্বু,তুমি ঈদের দিন কি কি করবা?
মানে তোমার ঈদের দিনের পরিকল্পনা কি?
মহা আনন্দে বলতে শুরু করল ছোট্ট তোহা-এই ধর মামা,খুব ভোরে উঠব,ব্রাশ করে ওজু করে বাবাসহ ফজরের নামাজ পড়তে যাব।
নামাজ পড়ে সোজা দাদু-দাদীমার কবর যিয়ারত করতে যাব।
তারপর বাড়িতে ফিরেই মায়ের হাতের রান্না করা নানান ধরণের সেমাই,ফিরনী,ক্ষীর খাব।
তারপর,কিছু সেমাই,মুড়ি আশে-পাশের বাড়িগুলোতে দিয়ে আসব।
গরগর করে সব বলল তোহা।
একটা নিঃশ্বাস নিয়ে আবার বলা শুরু করল,তারপর গোসল সেরে প্রস্তুতি নিব ঈদের মাঠে যাওয়ার।
নতুন পাঞ্জাবী-পায়জামা পড়েই চাচা-চাচী,বড় ভাইয়া,আপু সবার কাছে সালামী নিতে যাব।
মামা,এবার আমি ৫০ টাকার কম সালামী নিবনা।
এবার আমার অনেক টাকা লাগবে।
কেন বাবা?বলল তোহার মামা।
এই ধর,ঈদের মাঠে যাওয়ার সময় পথে পথে অনেক গরীব ছোট বাচ্চা থাকে-ওদেরকে টাকা দিতে হবে,আমাদের গ্রামে ঢাঙ্গীবুড়ি নামে একজন খুবই গরীব মহিলা আছে ওকে টাকা দিতে হবে,ঈদের মাঠে ভিক্ষুকদের লাইন বসে ওদের সবাইকেই টাকা দিতে হবে।
আচ্ছা বাবা, ঠিক আছে দিও।বলল,তোহার মামা।
তো বাবা,তারপর কি করবা?
মামা,সালামী নেওয়া শেষ করেই ঈদের মাঠের দিকে হাটা শুরু করব বাবাসহ।
রাস্তায় গরীব শিশুদেরকে টাকা দিতে হবে তাই আগেই বের হব।
তারপর,মাঠে গিয়ে সবার সাথে কোলাকুলি করব।
নামাজ পড়ে বাবাসহ বাড়িতে আসব।
আচ্ছা মামা,ঈদের দিন একটা দোয়া পড়তে হয় সবসময়,সেটা তুমি জানো?
দাঁড়াও আমি তোমাকে শিখিয়ে দিচ্ছি।
পড় আমার সাথে-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।
এটা ঈদের দিন সবসময় পড়বা।
বিকেলে বাবা-মা সহ তিস্তা ব্যারেজে ঘুরতে যাব।
অনেক সুন্দর একটা জায়গা,অনেক লোক আসে দূর-দূরন্ত থেকে তিস্তা ব্যারেজ দেখতে।
মামা,এই হলো আমার ঈদের দিনের পরিকল্পনা।
সাব্বাস বাবা! তুমি দারুণ একটা পরিকল্পনা করেছ ঈদের দিনের জন্য।
সব শিশুরই এমন মহৎ কাজের পরিকল্পনা থাকা উচিত।বলেই,আলতো করে তোহার কপালে একটা চুমু দিল তোহার মামা।
মনের কথাগুলো,নিজের পরিকল্পনা তার মামার কাছে প্রকাশ করতে পেরে খুব খুশি হলো ছোট্ট তোহা।।
-------------------------------------------
08/06/2018
11:06 am
★★দৈনিক বায়ান্নর আলোতে প্রকাশ-১২/০৬/১৮ তারিখ।
★★দৈনিক যুগের আলোতে প্রকাশ হয়-২৮/০৬/২০১৮ তারিখ,বৃহঃপতিবার।।
---রেজাউল রেজা---
===================
ঈদ মানে খুশি।
ঈদ মানে আনন্দ আর আনন্দ!
শিশু-কিশোর,বৃদ্ধ-যুবা সবার মনই সেদিন খুশি থাকে।
ঈদ নিয়ে কিংবা ঈদের দিনটি নিয়ে সবারই থাকে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা।
ছোট্ট শিশু তোহা।
ক্লাস ফাইভে পড়ে।
তোহা এবার সব রোযাই করেছে।তোহা যেমন মেধাবী তেমন ধার্মিকও বটে।
ঈদের দুদিন আগে তোহার মামা তোহাদের বাসায় আসল ঈদের সেমাই,কাপড়সহ আরো নানা ধরনের জিনিস নিয়ে।
বাড়ির সামনে এসে বাইকের হর্ণ বাজাতেই তোহা দৌড়ে গেল,দেখল তার মামা এসেছে।
সাথে ভারী ব্যাগও আছে।
তোহা দৌড়ে গেল তার মায়ের কাছে।
মা,মামা এসেছে, মামা এসেছে বলে চিল্লাতে লাগল।
মামাকে পেয়ে তার খুশি আর আটকায় কে!
এবার শুরু হলো মামা ভাগনের গল্প-
তোহার মামা তোহাকে বলল-তোহা আব্বু,তুমি ঈদের দিন কি কি করবা?
মানে তোমার ঈদের দিনের পরিকল্পনা কি?
মহা আনন্দে বলতে শুরু করল ছোট্ট তোহা-এই ধর মামা,খুব ভোরে উঠব,ব্রাশ করে ওজু করে বাবাসহ ফজরের নামাজ পড়তে যাব।
নামাজ পড়ে সোজা দাদু-দাদীমার কবর যিয়ারত করতে যাব।
তারপর বাড়িতে ফিরেই মায়ের হাতের রান্না করা নানান ধরণের সেমাই,ফিরনী,ক্ষীর খাব।
তারপর,কিছু সেমাই,মুড়ি আশে-পাশের বাড়িগুলোতে দিয়ে আসব।
গরগর করে সব বলল তোহা।
একটা নিঃশ্বাস নিয়ে আবার বলা শুরু করল,তারপর গোসল সেরে প্রস্তুতি নিব ঈদের মাঠে যাওয়ার।
নতুন পাঞ্জাবী-পায়জামা পড়েই চাচা-চাচী,বড় ভাইয়া,আপু সবার কাছে সালামী নিতে যাব।
মামা,এবার আমি ৫০ টাকার কম সালামী নিবনা।
এবার আমার অনেক টাকা লাগবে।
কেন বাবা?বলল তোহার মামা।
এই ধর,ঈদের মাঠে যাওয়ার সময় পথে পথে অনেক গরীব ছোট বাচ্চা থাকে-ওদেরকে টাকা দিতে হবে,আমাদের গ্রামে ঢাঙ্গীবুড়ি নামে একজন খুবই গরীব মহিলা আছে ওকে টাকা দিতে হবে,ঈদের মাঠে ভিক্ষুকদের লাইন বসে ওদের সবাইকেই টাকা দিতে হবে।
আচ্ছা বাবা, ঠিক আছে দিও।বলল,তোহার মামা।
তো বাবা,তারপর কি করবা?
মামা,সালামী নেওয়া শেষ করেই ঈদের মাঠের দিকে হাটা শুরু করব বাবাসহ।
রাস্তায় গরীব শিশুদেরকে টাকা দিতে হবে তাই আগেই বের হব।
তারপর,মাঠে গিয়ে সবার সাথে কোলাকুলি করব।
নামাজ পড়ে বাবাসহ বাড়িতে আসব।
আচ্ছা মামা,ঈদের দিন একটা দোয়া পড়তে হয় সবসময়,সেটা তুমি জানো?
দাঁড়াও আমি তোমাকে শিখিয়ে দিচ্ছি।
পড় আমার সাথে-লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু,আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।
এটা ঈদের দিন সবসময় পড়বা।
বিকেলে বাবা-মা সহ তিস্তা ব্যারেজে ঘুরতে যাব।
অনেক সুন্দর একটা জায়গা,অনেক লোক আসে দূর-দূরন্ত থেকে তিস্তা ব্যারেজ দেখতে।
মামা,এই হলো আমার ঈদের দিনের পরিকল্পনা।
সাব্বাস বাবা! তুমি দারুণ একটা পরিকল্পনা করেছ ঈদের দিনের জন্য।
সব শিশুরই এমন মহৎ কাজের পরিকল্পনা থাকা উচিত।বলেই,আলতো করে তোহার কপালে একটা চুমু দিল তোহার মামা।
মনের কথাগুলো,নিজের পরিকল্পনা তার মামার কাছে প্রকাশ করতে পেরে খুব খুশি হলো ছোট্ট তোহা।।
-------------------------------------------
08/06/2018
11:06 am
★★দৈনিক বায়ান্নর আলোতে প্রকাশ-১২/০৬/১৮ তারিখ।
★★দৈনিক যুগের আলোতে প্রকাশ হয়-২৮/০৬/২০১৮ তারিখ,বৃহঃপতিবার।।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১৩/০৬/২০১৮তোহার গল্প।
-
সাইদ খোকন নাজিরী ১৩/০৬/২০১৮বেশ ভালো।
-
মোঃ নূর ইমাম শেখ বাবু ১২/০৬/২০১৮খুব ভাল লাগল।