জয়া ও পুশি
জয়া ও পুশি
---রেজাউল রেজা---
_____________________
পুশি।
জয়ার প্রিয় বিড়ালের নাম।জয়া আর পুশির মাঝে এমন ভাব যেন তারা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড।
পুশি ও জয়া কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারত না।জয়া যেখানে যেত পুশিও সেখানে যেত।
জয়ার মা পুশিকে খুব একটা সহ্য করতে পারত না কিন্তু পুশি কোনসময় জয়ার পিছু ছাড়ত না।
পুশির যখন ক্ষুধা লাগত তখন জয়ার কাছে এসে বিভিন্ন ইঙ্গিতে বুঝাত যে তার ক্ষুধা লেগেছে।তখন জয়া তাকে খাবার দিত।
জয়া তাঁর মায়ের কাছে ঘুমাত।
পুশি জয়ার পাশে ঘুমাতে যেত কিন্তু জয়ার মা পুশিকে তাড়িয়ে দিত।
তখন পুশি একটু দূরে গিয়ে জয়ার মায়ের ঘুমানোর অপেক্ষায় থাকত।
এদিকে পুশিকে ছাড়া জয়ারও ঘুম আসত না।জয়ার মা ঘুমালে পুশি ধীরে ধীরে জয়ার পাশে এসে শুয়ে পড়ত।
জয়া পুশিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতো।
জয়া যখন স্কুলে যেত,পুশিও জয়ার পিছু পিছু স্কুলে যেত।জয়া ক্লাসের ভিতরে ক্লাস করত আর পুশি স্কুল মাঠে বসে-শুয়ে জয়ার জন্য অপেক্ষা করত।
ক্লাস শেষে দুজনে বাড়ি ফিরত।
এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো জয়া ও পুশির দিন।
একদিন জয়া বেশ কিছুদিনের জন্য তাঁর ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেল।
পুশিকে নিয়ে যায়নি কারণ গ্রামের মানুষ বিড়াল খুব একটা সহ্য করেনা।
তাই জয়ার কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও পুশিকে বাড়িতে রেখে গেল।
কিছুদিন পর জয়া বাড়িতে ফিরে এসে দেখল তাঁর প্রিয় পুশি নেই।
জয়াকে না পেয়ে অভিমানী পুশি চলে গেছে অনেক দূরে।
পুশিকে না পেয়ে জয়া খুব কান্না শুরু করল।খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিল।
রাগ-অভিমান আর কষ্টে ছোট্ট জয়া তাঁর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল।
পরে জয়ার বাবা তাঁর একমাত্র মেয়ে জয়ার খুশির কথা চিন্তা করে পুশিকে খুঁজতে শুরু করল কিন্তু কোথাও খুঁজে পেল না।
অবশেষে,জয়ার বাবা নতুন একটা বিড়াল ছানা কিনে নিয়ে আসল।
নতুন পুশিকে পেয়ে ছোট্ট জয়া মহা খুশি হলো।।
__________________
লেখা-১৯ মে,২০১৮
---রেজাউল রেজা---
_____________________
পুশি।
জয়ার প্রিয় বিড়ালের নাম।জয়া আর পুশির মাঝে এমন ভাব যেন তারা বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড।
পুশি ও জয়া কেউ কাউকে ছাড়া থাকতে পারত না।জয়া যেখানে যেত পুশিও সেখানে যেত।
জয়ার মা পুশিকে খুব একটা সহ্য করতে পারত না কিন্তু পুশি কোনসময় জয়ার পিছু ছাড়ত না।
পুশির যখন ক্ষুধা লাগত তখন জয়ার কাছে এসে বিভিন্ন ইঙ্গিতে বুঝাত যে তার ক্ষুধা লেগেছে।তখন জয়া তাকে খাবার দিত।
জয়া তাঁর মায়ের কাছে ঘুমাত।
পুশি জয়ার পাশে ঘুমাতে যেত কিন্তু জয়ার মা পুশিকে তাড়িয়ে দিত।
তখন পুশি একটু দূরে গিয়ে জয়ার মায়ের ঘুমানোর অপেক্ষায় থাকত।
এদিকে পুশিকে ছাড়া জয়ারও ঘুম আসত না।জয়ার মা ঘুমালে পুশি ধীরে ধীরে জয়ার পাশে এসে শুয়ে পড়ত।
জয়া পুশিকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাতো।
জয়া যখন স্কুলে যেত,পুশিও জয়ার পিছু পিছু স্কুলে যেত।জয়া ক্লাসের ভিতরে ক্লাস করত আর পুশি স্কুল মাঠে বসে-শুয়ে জয়ার জন্য অপেক্ষা করত।
ক্লাস শেষে দুজনে বাড়ি ফিরত।
এভাবেই কেটে যাচ্ছিলো জয়া ও পুশির দিন।
একদিন জয়া বেশ কিছুদিনের জন্য তাঁর ফুফুর বাড়িতে বেড়াতে গেল।
পুশিকে নিয়ে যায়নি কারণ গ্রামের মানুষ বিড়াল খুব একটা সহ্য করেনা।
তাই জয়ার কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও পুশিকে বাড়িতে রেখে গেল।
কিছুদিন পর জয়া বাড়িতে ফিরে এসে দেখল তাঁর প্রিয় পুশি নেই।
জয়াকে না পেয়ে অভিমানী পুশি চলে গেছে অনেক দূরে।
পুশিকে না পেয়ে জয়া খুব কান্না শুরু করল।খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিল।
রাগ-অভিমান আর কষ্টে ছোট্ট জয়া তাঁর বাবা-মায়ের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিল।
পরে জয়ার বাবা তাঁর একমাত্র মেয়ে জয়ার খুশির কথা চিন্তা করে পুশিকে খুঁজতে শুরু করল কিন্তু কোথাও খুঁজে পেল না।
অবশেষে,জয়ার বাবা নতুন একটা বিড়াল ছানা কিনে নিয়ে আসল।
নতুন পুশিকে পেয়ে ছোট্ট জয়া মহা খুশি হলো।।
__________________
লেখা-১৯ মে,২০১৮
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পবিত্র চক্রবর্তী ২২/০৫/২০১৮খুব ভালো