হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি
সে রাতটি ছিল পহেলা বৈশাখের আগের রাত। তখন প্রায় রাত দুইটা তিনটা বাজে। আমি জানলার ধারে খাটের ওপর বসে চাঁদের অফুরন্ত যৌবনা শক্তি দেখছিলাম। তবে তা দেখতেও একসময় কেমন যেন বিরক্তি ভাব চলে এলো। মনে মনে ভাবলাম আমি এত রাতে কিসের জন্য জেগে বসে আছি। পর মূহূর্তেই বিছায় নিজের শরীরটা ছড়িয়ে দিলাম। বড্ড বেশি ঘুম পাচ্ছিল। এমন সময় এলো সেই প্রতীক্ষিত ক্ষণ যার জন্য এত রাত অবধি আমি অপেক্ষা করেছিলাম। সুভার ফোন করেছে। হঠাৎ করে মোবাইলটা বেজে ওঠার শব্দ শুনেই আমি তা আন্দাজ করতে পেরেছিলাম। ফোনটা মুখের সামনে ধরে দেখলাম, আমার আন্দাজ ঠিকই আছে। তবে ফোন বাজার সঙ্গে সঙ্গেই রিসিভ করলাম না। ভাবলাম যে আমাকে এত অপেক্ষা করিয়েছে তাকেও তো একটু ধৈর্য্যরে পরীক্ষা দিতেই হয়। পর পর পাঁচবার ফোন দেয়ার পর ফোনটা রিসিভ করলাম।
: এতক্ষণ ফোন ধরো নি কেন? ( বিরক্তির সুরে )
: আমার মন চায়নি তাই ফোন ধরিনি।
: ও আচ্ছা তাই ( ব্যঙ্গ করে )
: তুমি তো মাত্র পাঁচবার ফোন করেছ। আর আমি যে তোমার জন্য এতগুলা ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম তার বেলায় বেলায় কিছুই না তাই না।
: আরে আমি কী ইচ্ছে করে তোমাকে অপেক্ষা করাইছি না কি! আমি তো আরও আগেই ফোন করতাম।
: হুম! তাহলে করলানা কেন?
: আরে বাড়ির সবাই ঘুমাইলো তারপর না তোমাকে ফোন করতে পারলাম। আর তুমি তো জানই আমার সাথে আমার ছোট বোনটা থাকে। ও জেগে থাকা অবস্থায় তোমাকে ফোন করলে ও তো আবার আব্বু আম্মুকে গিয়ে বিচার দেবে। বোঝনা কেন তুমি?
: আচ্ছা বুঝেছি।
: এই যে তুমি যে আমাকে বলছিলা কালকে আমাকে নিয়ে তুমি ঘুরতে যাবে সে কথা তোমার মনে আছে তো।
: আরে তা আবার ভুলে যাই কী করে বল?
: তাহলে কালকে আমরা ঘুরতে যাচ্ছি ( উচ্ছাসিত কণ্ঠে )
: জ্বী রাজকুমারি। তাহলে এখন ফোনটা কাটি। সকাল সকাল বের হতে হবে যে।
: শুভ রাত্রি.
: শুভ রাত্রি।
পরদিনের প্ল্যান ছিল খুব সকালে দু জনে ঘুরতে বের হব। কিন্তু তা আর হলো কই সেই আবারও দেরি করে ফেললাম। যার ফলস্বরূপ আমাকে সুভার ঝারি খেতে হলো। আমার বাইক ছিল। তাই ঘুরতে বেড় হলে যে তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হবে না তা আমার জানাই ছিল। আমরা দু জন চৌরাস্তা থেকে বাইকে করে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে। আমি দ্র”ত গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছি আর সুভা শক্ত করে আমায় ধরে বসে আছে। ওর হাতের শীতল স্পর্শ আমার মনে যেন বারে বারে দোলা দিয়ে যায়। যখন আমরা মাষ্টার বাড়ির রাস্তার ওপর দিয়ে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনি দেখি রং সাইড দিয়ে একটা ট্রাক দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি ব্রেক চেপে ধরলাম। আর দ্রুত গতিতে সাইড কেটে বেরিয়ে এলাম। রাস্তার পাশে বাইক সাইড করানো সাথে সাথে আমি বুঝতে পারলাম যে শীতল হাতটি এতক্ষণ আমার শরীরটা ধরে ছিল তার স্পর্শ আর পাচ্ছি না। পেছনে ঘুরেই দেখি বাইকের পেছনের সিটটা খালি। তখন আমার দৃষ্টি চলে যায় রাস্তার ওপর। যেই রাস্তায়র পড়ে ছিল আমার সুভার নিথর রক্ত মাখা দেহটি। দেহ তো আর বলা চলে না কয়েকখন্ড মাংস পিন্ড। কিছু মূহূর্তের জন্য আমার এমন মনে হচ্ছিল যেন আমি আর বেঁচে নেই। অথবা বেঁচে থেকেও মরে গেছি। সব কিছু শেষ হয়েও যেন শেষ হতে চাচ্ছিল না। আজ দু’বছর কেটে গেছে। এখনও যখন পহেলা বৈশাখ আসে আমার বারে বারে শুধু সুভার কথাই মনে পড়ে। আর মনে মনে ভাবি
বিরহের বেদনায়,
আজ আমার মন পুড়ে যায়।
আজ আবার মনে পড়ে
তোমাকে দেখার সেই প্রথম দিনটার কথা।
কেন আবার আজকে
যেন বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে,
তোমার সঙ্গে কাটানো গোধূলী লগ্নের কথা,
আবার মনে পড়ে যাচ্ছে
তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতি গুলোর কথা।
একজন মানুষকে ভুলে যাওয়াটা সহজ কিন্তু তার সাথে কাটানো মূহূর্তগুলোর কথা ভুলে যাওয়া কঠিন, অনেক কঠিন.....
: এতক্ষণ ফোন ধরো নি কেন? ( বিরক্তির সুরে )
: আমার মন চায়নি তাই ফোন ধরিনি।
: ও আচ্ছা তাই ( ব্যঙ্গ করে )
: তুমি তো মাত্র পাঁচবার ফোন করেছ। আর আমি যে তোমার জন্য এতগুলা ঘণ্টা অপেক্ষা করলাম তার বেলায় বেলায় কিছুই না তাই না।
: আরে আমি কী ইচ্ছে করে তোমাকে অপেক্ষা করাইছি না কি! আমি তো আরও আগেই ফোন করতাম।
: হুম! তাহলে করলানা কেন?
: আরে বাড়ির সবাই ঘুমাইলো তারপর না তোমাকে ফোন করতে পারলাম। আর তুমি তো জানই আমার সাথে আমার ছোট বোনটা থাকে। ও জেগে থাকা অবস্থায় তোমাকে ফোন করলে ও তো আবার আব্বু আম্মুকে গিয়ে বিচার দেবে। বোঝনা কেন তুমি?
: আচ্ছা বুঝেছি।
: এই যে তুমি যে আমাকে বলছিলা কালকে আমাকে নিয়ে তুমি ঘুরতে যাবে সে কথা তোমার মনে আছে তো।
: আরে তা আবার ভুলে যাই কী করে বল?
: তাহলে কালকে আমরা ঘুরতে যাচ্ছি ( উচ্ছাসিত কণ্ঠে )
: জ্বী রাজকুমারি। তাহলে এখন ফোনটা কাটি। সকাল সকাল বের হতে হবে যে।
: শুভ রাত্রি.
: শুভ রাত্রি।
পরদিনের প্ল্যান ছিল খুব সকালে দু জনে ঘুরতে বের হব। কিন্তু তা আর হলো কই সেই আবারও দেরি করে ফেললাম। যার ফলস্বরূপ আমাকে সুভার ঝারি খেতে হলো। আমার বাইক ছিল। তাই ঘুরতে বেড় হলে যে তেমন কোনো ভোগান্তিতে পড়তে হবে না তা আমার জানাই ছিল। আমরা দু জন চৌরাস্তা থেকে বাইকে করে বেরিয়ে পড়লাম ঘুরতে। আমি দ্র”ত গতিতে বাইক চালিয়ে যাচ্ছি আর সুভা শক্ত করে আমায় ধরে বসে আছে। ওর হাতের শীতল স্পর্শ আমার মনে যেন বারে বারে দোলা দিয়ে যায়। যখন আমরা মাষ্টার বাড়ির রাস্তার ওপর দিয়ে যাচ্ছিলাম ঠিক তখনি দেখি রং সাইড দিয়ে একটা ট্রাক দ্রুত আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমি ব্রেক চেপে ধরলাম। আর দ্রুত গতিতে সাইড কেটে বেরিয়ে এলাম। রাস্তার পাশে বাইক সাইড করানো সাথে সাথে আমি বুঝতে পারলাম যে শীতল হাতটি এতক্ষণ আমার শরীরটা ধরে ছিল তার স্পর্শ আর পাচ্ছি না। পেছনে ঘুরেই দেখি বাইকের পেছনের সিটটা খালি। তখন আমার দৃষ্টি চলে যায় রাস্তার ওপর। যেই রাস্তায়র পড়ে ছিল আমার সুভার নিথর রক্ত মাখা দেহটি। দেহ তো আর বলা চলে না কয়েকখন্ড মাংস পিন্ড। কিছু মূহূর্তের জন্য আমার এমন মনে হচ্ছিল যেন আমি আর বেঁচে নেই। অথবা বেঁচে থেকেও মরে গেছি। সব কিছু শেষ হয়েও যেন শেষ হতে চাচ্ছিল না। আজ দু’বছর কেটে গেছে। এখনও যখন পহেলা বৈশাখ আসে আমার বারে বারে শুধু সুভার কথাই মনে পড়ে। আর মনে মনে ভাবি
বিরহের বেদনায়,
আজ আমার মন পুড়ে যায়।
আজ আবার মনে পড়ে
তোমাকে দেখার সেই প্রথম দিনটার কথা।
কেন আবার আজকে
যেন বারবার মনে পড়ে যাচ্ছে,
তোমার সঙ্গে কাটানো গোধূলী লগ্নের কথা,
আবার মনে পড়ে যাচ্ছে
তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতি গুলোর কথা।
একজন মানুষকে ভুলে যাওয়াটা সহজ কিন্তু তার সাথে কাটানো মূহূর্তগুলোর কথা ভুলে যাওয়া কঠিন, অনেক কঠিন.....
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
পরশ ০৬/০৫/২০১৭ভাল লাগল
-
মধু মঙ্গল সিনহা ০৬/০৫/২০১৭সত্যি চোখে জল এসে যায়,
প্রেমিক হৃদয় কেঁদে উঠে;
আপন প্রেমিকার খোঁজে।