www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা

ভ্যাটের ওপর জোর দাও
দেশের উন্নয়নে শরীক হও
. বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৭২ সালের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ৭৬ দ্বারা জাতীয় রাজস্ব র্বোড গঠিত হয়েছে। জারাবোর প্রধান দায়িত্ব হলো কাস্টমস, আয়কর ও মূল্য সংযোজন কর সংক্রান্ত বিধিÑবিধান তৈরী এবং রাজস্ব আদায় করা।
আমাদের রাজ¯¦ আয়ের সিংহভাগ আসে আয়কর ও ভ্যাট থেকে। অতএব বাজেটের সাফল্য এবং ব্যর্থতার মূল কেন্দ্র বিন্দু হলো আয়কর ও ভ্যাট। অর্থমন্ত্রনালয়ের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত কিভাবে সর্বোচ্চ পরিমাণ আয়কর ও ভ্যাট লাভ করা যায়।
ভ্যাট হলো পরোক্ষ কর যা জাতীয় রাজস্বের দ্বিতীয় প্রধান উৎস। একটি দেশের উন্নতি বুঝা যায় সে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের চিত্র দেখে।

“সুনাগরিক হওয়ার স্বার্থে নিয়মিত ভ্যাট দেব,
সেই সাথে শপথ করলাম সোনার বাংলা গড়ব।”

ভ্যাট: মূসক বা ভ্যাট একটি স্ব-নির্ধারণী কর ব্যবস্থা। বিংশ শতাব্দীতে উদ্ভাবিত একটি আধুনিক কর যা যে কোন ব্যবসায়ের মাধ্যমে সৃষ্ট মূল্য সংযোজনের ওপর আরোপ করা হয়ে থাকে। ভ্যাট বলতে বোঝায় ভোক্তার নিকট থেকে আদায় যোগ্য একটি পরোক্ষ কর যা সরকারের রাজস্বকে বৃদ্ধি করে। সরকারি অর্থায়নের ক্ষেত্রে আয়করের পরই ভ্যাট সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মূসক হচ্ছে কোনো পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে তার উৎপাদন ও বন্টনের প্রতিটি পর্যায় শেষে সংযোজিত মূল্যের ওপর শতকরা হারের কর।

ভ্যাট এর উৎস :
 দেশীয় পন্য উৎপাদন,বিপণন ও বিক্রয়।
 বিদেশী পণ্য আমদানী ও রপ্তানী,
 দেশাভ্যন্তরে সেবা বা পরিসেবার উৎপাদন সরবরাহকৃত বা আমদানীকৃত সকলপন্য ও সেবার উপর মূসক প্রযোজ্য।
মূসককে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়:-
১. স্থুল জাতীয় উৎপাদন ধরণ।
২. আয় ধরণ
৩. ভোগ ধরণ।
ভোগ ধরণের মূসক একটি পরোক্ষ কর কিন্তু উৎপাদন এবং আয় ধরণের মূসককে প্রত্যক্ষ কর মনে করা হয়।
দেশকে উন্নতির শিখরে পৌছে দিতে সময় মতো আয়করের পরই ভ্যাট প্রদান করতে হবে। ভ্যাট হচ্ছে সুন্দর জীবনের প্রতিশ্রুতি।
“ হাসি খুশি ভ্যাট দেব
সবাই মিলে দেশ গড়ব ।”
ভ্যাট হলো সুন্দর ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি। আমরা যে ভ্যাট দেই তা সরকার দেশের উন্নয়নের কাজেই ব্যবহার করছে। নিন্মে কয়েকটি উন্নয়নের তালিকা সংক্ষেপে দেয়া হলো:
 বৃদ্ধাশ্রম
 কিশোর ,কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র
 বিনামূল্যে পাঠ্য-পুস্তক বিতরণ ও মেধাবৃত্তি।
 নদী ভাঙ্গন রোধ , রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মন্দির, ব্রিজ-কালভার্ট ইত্যাদি নির্মাণ এবং বিভিন্ন দূর্যোগে দুস্থ ও অসহায়দের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ ছাড়াও হাসপাতাল সমাজ সেবার মাধ্যমে দুস্থ ও গরিবদের চিকিৎসা প্রদান করা হয় মূলত রাজস্ব টাকা দিয়েই।
আমার মতে সরকার নি¤েœর পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করলে দেশ স্বনির্ভর ও সাবলম্বি হবে বলে আমি মনে করি।
১. দেশের উন্নয়নের স¦াথের্ সরকারী রাজস্ব বাড়াতে হবে।
২. রাজস্ব যখন বাড়বে দেশের উন্নয়নের ধারা আপনা আপনিই গতিশীল হবে।
৩. রাজস্ব বৃদ্ধি করতে হলে গনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
৪. রাজস্ব বাড়াতে চাইলে ভ্যাটের উপর নজর দিতে হবে।।
৫.ভ্যাট আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারকে কড়াকড়ি ভাবে আইন পাশ করাতে হবে। এতে করে, কোনো নিবন্ধিত করদাতা যদি কর ফাঁকি দেয় তবে জেনো সে এর জন্য যথাযথ শাস্তি পায়।এতে করে নিবন্ধিত করদাতাগন নিজ উদ্যোগেই ভ্যাট প্রদান করবে।
আর যখন আমাদের সরকার এসব কিছু বাস্তবায়ন করতে পারবে তখনই উন্নত, স্বনির্ভর, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রকল্পে আমরা সকলে শরিক হতে পারব।
মূসক ফাঁকি দিব না ,দেশের উন্নয়নের গতি রোধ করব না।পরিশেষে এই কথাটুকু বলা যায় যে, ভ্যাট প্রদানের মাধ্যমে আমরা আমাদেরই উন্নয়নের ধারাকে গতিশীল রাখি।
তাই,

“ভ্যাটের আয়ে প্রবৃদ্ধি
দেশ ও জনগনের সমৃদ্ধি।”
বিষয়শ্রেণী: প্রবন্ধ
ব্লগটি ১৯৬৮ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ১৩/০২/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

 
Quantcast