ভূত
ভোর হয়েছে। সকলে ঘুম থেকে উঠেছে। রেণুকাদের ঘুম ভাঙল একটু দেরিতে। ‘রেণুকাদের’ বললাম মানে রেণুকা তার স্বামী আর তার ছেলে রোমান। রোমানের বয়স সাত –আট বছর হবে।একটু অলসে ছেলে। তাই দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে। আর যখন রেণুকার ঘুম ভাঙল তখন প্রায় নয়টা বাজে। রেণুকা ঘুম থেকে উঠেই চলে গেল রোমান কে ডাকতে।
-রোমান। এই রোমান, বাবা, ওঠ না রে তাড়াতাড়ি....
রোমানের শরীরে হাত দিতেই দেখে ওর শরীর পুরো ঠান্ডা শক্ত হয়ে রয়েছে। রোমান মারা গেছে! রেণুকা চিৎকার দিয়ে ওঠে। পাশের ঘর থেকে ছুটে আসে ওর স্বামী বিপ্লব। সব কিছু দেখার পর সেও নিশ্চুপ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর রেণুকা দেখে রোমানের মতোনই হুবহু দেখতে একটা ছেলে সাদা পোশাক পড়ে রোমানের পাশে বসে আছে। সেই ছেলেটি বলছে
-মা, কাঁদছ কেন তুমি
-রোমান, তুই....
-আরে হ্যাঁ, আমিই তো। আর বলো না মা রাতে যেনো কোন পাজি এসে আমাকে টেনে আমার শরীর থেকে বাইরে বের করে এনেছে। এখন দেখ তো দেখি কান্ড, আমি তো আর ভেতরে ঢুকতেই পারছি না।
-অ্যাঁ..!
বিপ্লব কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলে রেণুকা তুমি কার সাথে কথা বলছ। রেণুকা ভেবে পায় না যে সে কী উত্তর দেবে। সে কী করে তাকে বলবে যে, আমি আমাদের ছেলের আত্নার সাথে কথা বলছি। তাই সে তার প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকে। এদিকে রোমান তার মাকে জিজ্ঞেস করে,
-আচ্ছা, মা আমি কেন আবার আমার এই শরীরটার ভেতর ঢুকতে পারছি না ? আচ্ছা, আমি এ রকম সাদা পোশাক পড়ে আছি কেন? আচ্ছা আত্না ছাড়া কী দেহ চলতে পারে না? তোমরা এখন আমার এই দেহটা কী করবে?
রেণুকা শুধু ওর ছেলের কথা শোনে, কোনো উত্তর দেয় না। দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। লাশের গোসল করানো থেকে শুর” করে যাবতীয় কার্যাবলি শেষ এবার শুধু দাফন করবার পালা। বাড়িতে প্রচুর লোকসমাগম ঘটেছে।যে খাটিয়ায় লাশ রাখা হয়েছিল তা চারজন কাঁধে তুলে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে থাকে। রোমান রেণুকাকে জিজ্ঞেস করছে, মা ওরা আমার দেহটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমিও গেলাম ওদের সাথে। এই বলে রোমানের আত্নাটাও চলতে লাগল কবরের দিকে। লাশ কবরে রাখা হলো। একজন একজন করে মাটি দিতে থাকল এক সময় মাটি দেয়ার কাজও শেষ হয়ে গেল। রোমানের আত্নাটাও অদৃশ্য হয়ে গেল। হঠাৎ রেণুকা বিছানা থেকে লাফ দিয়ে ওঠে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখে মধ্যে রাত্রি। এবার ও বুঝতে পারে ও স্বপ্ন দেখেছে। বিপ্লপও উঠে বসে।
-কী হলো? এ রকম উঠে বসলে যে। নিশ্চয় কোনো বাজে স্বপ্ন দেখছ। কতবার না তোমাকে বলেছি রাতে ঘুমানোর আগে দোয়া পড়ে ঘুমাবা।
-হে তা ঘুমাবো। আগে তুমি বল কাল একটা খাসি জবাই করে গবির মিসকিনদের খাওয়াবা।
-ঠিক আছে খাওয়াব।(মৃদু হেসে)
-রোমান। এই রোমান, বাবা, ওঠ না রে তাড়াতাড়ি....
রোমানের শরীরে হাত দিতেই দেখে ওর শরীর পুরো ঠান্ডা শক্ত হয়ে রয়েছে। রোমান মারা গেছে! রেণুকা চিৎকার দিয়ে ওঠে। পাশের ঘর থেকে ছুটে আসে ওর স্বামী বিপ্লব। সব কিছু দেখার পর সেও নিশ্চুপ হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর রেণুকা দেখে রোমানের মতোনই হুবহু দেখতে একটা ছেলে সাদা পোশাক পড়ে রোমানের পাশে বসে আছে। সেই ছেলেটি বলছে
-মা, কাঁদছ কেন তুমি
-রোমান, তুই....
-আরে হ্যাঁ, আমিই তো। আর বলো না মা রাতে যেনো কোন পাজি এসে আমাকে টেনে আমার শরীর থেকে বাইরে বের করে এনেছে। এখন দেখ তো দেখি কান্ড, আমি তো আর ভেতরে ঢুকতেই পারছি না।
-অ্যাঁ..!
বিপ্লব কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বলে রেণুকা তুমি কার সাথে কথা বলছ। রেণুকা ভেবে পায় না যে সে কী উত্তর দেবে। সে কী করে তাকে বলবে যে, আমি আমাদের ছেলের আত্নার সাথে কথা বলছি। তাই সে তার প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকে। এদিকে রোমান তার মাকে জিজ্ঞেস করে,
-আচ্ছা, মা আমি কেন আবার আমার এই শরীরটার ভেতর ঢুকতে পারছি না ? আচ্ছা, আমি এ রকম সাদা পোশাক পড়ে আছি কেন? আচ্ছা আত্না ছাড়া কী দেহ চলতে পারে না? তোমরা এখন আমার এই দেহটা কী করবে?
রেণুকা শুধু ওর ছেলের কথা শোনে, কোনো উত্তর দেয় না। দুপুর গড়িয়ে যাচ্ছে। লাশের গোসল করানো থেকে শুর” করে যাবতীয় কার্যাবলি শেষ এবার শুধু দাফন করবার পালা। বাড়িতে প্রচুর লোকসমাগম ঘটেছে।যে খাটিয়ায় লাশ রাখা হয়েছিল তা চারজন কাঁধে তুলে কবর দেওয়ার জন্য নিয়ে যেতে থাকে। রোমান রেণুকাকে জিজ্ঞেস করছে, মা ওরা আমার দেহটাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে আমিও গেলাম ওদের সাথে। এই বলে রোমানের আত্নাটাও চলতে লাগল কবরের দিকে। লাশ কবরে রাখা হলো। একজন একজন করে মাটি দিতে থাকল এক সময় মাটি দেয়ার কাজও শেষ হয়ে গেল। রোমানের আত্নাটাও অদৃশ্য হয়ে গেল। হঠাৎ রেণুকা বিছানা থেকে লাফ দিয়ে ওঠে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখে মধ্যে রাত্রি। এবার ও বুঝতে পারে ও স্বপ্ন দেখেছে। বিপ্লপও উঠে বসে।
-কী হলো? এ রকম উঠে বসলে যে। নিশ্চয় কোনো বাজে স্বপ্ন দেখছ। কতবার না তোমাকে বলেছি রাতে ঘুমানোর আগে দোয়া পড়ে ঘুমাবা।
-হে তা ঘুমাবো। আগে তুমি বল কাল একটা খাসি জবাই করে গবির মিসকিনদের খাওয়াবা।
-ঠিক আছে খাওয়াব।(মৃদু হেসে)
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
০।।০ ১৯/০৪/২০১৭
-
মোনালিসা ১৩/০২/২০১৭ভাল
-
মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) ১১/০২/২০১৭ওরে বাবা:::::::::::: ভূত
পালাই..... পালাই
ও হ্যাঁ, পালানোর আগে ধন্যবাদ
গল্পকারকে
ভালো থাকুন সর্বদা ।। শুভ কামনা নিরন্তর...