দাদু- বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গকন্যা
ছোট বেলায় দাদুর পত্রিকা পড়ার নেশা আমাকে অনেক ভাবাতো...!
মনে মনে ভাবছিলাম, পরে দাদুকে জিজ্ঞাসা করতাম, "দাদু খেয়ে দেয়ে আকাইম্মার মতো পত্রিকা পড় কেন..? বাড়ির আশেপাশের কোন দাদু, এমনকি উঁচু শিক্ষিত ভদ্রদেরও খুব একটা পত্রিকা প্রেম দেখি না।
তুমি এতো আসক্ত কেন..?"
দাদু হাসতো...! আ হা হা হা হা আ আ হা....
আমি অবাক দৃষ্টিতে হাসিতে নিষাণা গাঁথি!
.
এভাবে হরেক রকম প্রশ্ন করতে করতে একদিন দাদু বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার গল্প শুনান।
গল্পটা চা'য়ের আড্ডায় এতো সুন্দর করে দাদু ফুটিয়েছিলেন যে সেদিনের সেই শৈসবকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রেমে হৃদয়কে গেঁথে ফেলেছি। যার মেয়াদ আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।
.
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম সবগুলো আমার রক্তের শিরায় শিরায় দাদু আত্মবোধের ইঞ্জেকশন দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলেন যা আজও রক্তের সাথে চলাচল করছে... চলাচল করবে।
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার প্রতিও দাদুর ভালোবাসা ছিল অগাধ, অগণিত।
.
দারিদ্র সংসারে প্রতিদিন ৫৳ দিয়ে পত্রিকা কেনা তখন খুবই দামি ছিল। একটু টাকাওয়ালা মানুষদেরই পত্রিকা কেনা মানাতো ।
দাদুকে এসব কথা বললে দাদু বলতো, "অর্থে হয় না যোগ্যতা, অক্ষরজ্ঞান এই সভ্যতা"
দাদু বিটিশ আমলের ৮ম শ্রেণি পাশ করা ৯ম শ্রেণির অধ্যয়নরত ছাত্র ছিলেন।
সুযোগ পেলে উচিতে ইংলিশ স্পিকিং -এর ঝড় বহাতেন!
.
তখন মানুষ "বিটিভি"র উপর ভড়সা করে চলতেন।
রাত ৮ বাজলেই দাদু ছুটতেন টিভির পর্দার সামনে।
একটি চোখ দাদুর দুর্বল ছিলো বলে টিভির খুব কাছে দাড়িয়ে খবর শুনতেন।
১০টার ইংরেজী সংবাদ শুনে ঘুমানও দাদুর স্বভাবতই ছিল।
.
আমি বলতাম শুধুই কি দেশপ্রেম...???
দাদু বলতো, "দেশ নির্মাতা প্রেমও আমার শিরায়"!
.
দাদু মারা গেছে তিন বছর হতে চললো.....
কতো না ভালোবাসতেন "শেখ হাসিনা" কে।
দাদু ওনাকে নিজ বোন দাবি করতেন, আর আমরা করতাম উপহাস!
দাদুর খুব শখ ছিলো, একটিবার শেখ হাসিনা কে চোখের দেখা দেখবেন।
হয় নি....!
.
সামনের মাসে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঠাকুরগাঁও-এ আসছেন!
আজ যদি দাদু বেঁচে থাকতেন...!
আমি চেষ্টা করতাম, দাদুকে শেখ হাসিনার পাশে নিয়ে যেতে।
হয়তো আমি মঞ্চে থাকবো শেখ হাসিনার পিঁছনে দাঁড়িয়ে রোভার স্কাউট দায়িত্বে।
থাকলে থাকবো দাদুর অন্তরের বেসে...।
মনে মনে ভাবছিলাম, পরে দাদুকে জিজ্ঞাসা করতাম, "দাদু খেয়ে দেয়ে আকাইম্মার মতো পত্রিকা পড় কেন..? বাড়ির আশেপাশের কোন দাদু, এমনকি উঁচু শিক্ষিত ভদ্রদেরও খুব একটা পত্রিকা প্রেম দেখি না।
তুমি এতো আসক্ত কেন..?"
দাদু হাসতো...! আ হা হা হা হা আ আ হা....
আমি অবাক দৃষ্টিতে হাসিতে নিষাণা গাঁথি!
.
এভাবে হরেক রকম প্রশ্ন করতে করতে একদিন দাদু বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার গল্প শুনান।
গল্পটা চা'য়ের আড্ডায় এতো সুন্দর করে দাদু ফুটিয়েছিলেন যে সেদিনের সেই শৈসবকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রেমে হৃদয়কে গেঁথে ফেলেছি। যার মেয়াদ আমার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।
.
বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম সবগুলো আমার রক্তের শিরায় শিরায় দাদু আত্মবোধের ইঞ্জেকশন দিয়ে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছিলেন যা আজও রক্তের সাথে চলাচল করছে... চলাচল করবে।
বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার প্রতিও দাদুর ভালোবাসা ছিল অগাধ, অগণিত।
.
দারিদ্র সংসারে প্রতিদিন ৫৳ দিয়ে পত্রিকা কেনা তখন খুবই দামি ছিল। একটু টাকাওয়ালা মানুষদেরই পত্রিকা কেনা মানাতো ।
দাদুকে এসব কথা বললে দাদু বলতো, "অর্থে হয় না যোগ্যতা, অক্ষরজ্ঞান এই সভ্যতা"
দাদু বিটিশ আমলের ৮ম শ্রেণি পাশ করা ৯ম শ্রেণির অধ্যয়নরত ছাত্র ছিলেন।
সুযোগ পেলে উচিতে ইংলিশ স্পিকিং -এর ঝড় বহাতেন!
.
তখন মানুষ "বিটিভি"র উপর ভড়সা করে চলতেন।
রাত ৮ বাজলেই দাদু ছুটতেন টিভির পর্দার সামনে।
একটি চোখ দাদুর দুর্বল ছিলো বলে টিভির খুব কাছে দাড়িয়ে খবর শুনতেন।
১০টার ইংরেজী সংবাদ শুনে ঘুমানও দাদুর স্বভাবতই ছিল।
.
আমি বলতাম শুধুই কি দেশপ্রেম...???
দাদু বলতো, "দেশ নির্মাতা প্রেমও আমার শিরায়"!
.
দাদু মারা গেছে তিন বছর হতে চললো.....
কতো না ভালোবাসতেন "শেখ হাসিনা" কে।
দাদু ওনাকে নিজ বোন দাবি করতেন, আর আমরা করতাম উপহাস!
দাদুর খুব শখ ছিলো, একটিবার শেখ হাসিনা কে চোখের দেখা দেখবেন।
হয় নি....!
.
সামনের মাসে প্রধানমন্ত্রী আমাদের ঠাকুরগাঁও-এ আসছেন!
আজ যদি দাদু বেঁচে থাকতেন...!
আমি চেষ্টা করতাম, দাদুকে শেখ হাসিনার পাশে নিয়ে যেতে।
হয়তো আমি মঞ্চে থাকবো শেখ হাসিনার পিঁছনে দাঁড়িয়ে রোভার স্কাউট দায়িত্বে।
থাকলে থাকবো দাদুর অন্তরের বেসে...।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
০।।০ ১৮/০৪/২০১৭খুবই সুন্দর গল্প ।। অনেক ভাল লাগা
-
আব্দুল হক ২৬/০৩/২০১৭সুন্দর ! ধন্যবাদ
-
মোনালিসা ২৩/০৩/২০১৭ভাল
-
মধু মঙ্গল সিনহা ২৩/০৩/২০১৭ভালো।
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২২/০৩/২০১৭আপনার দাদুর দেশপ্রেম স্মরণযোগ্য। তাঁকে আমার শ্রদ্ধা।
-
মোঃআব্দুল্লাহ্ আল মামুন ২২/০৩/২০১৭মহান ছিলেন আপনার দাদু।এটাই কালের নিয়ম।কিছু
মহান ব্যক্তিকে সবাই চিনে না