হ্যাপিনেজ উইথ হ্যাপি
কয়েকদিন যাবৎ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় রুবেল হোসেনের সাথে মডেল/অভিনেত্রী হ্যাপির সম্পর্কের বিচ্ছেদ এবং মামলা নিয়ে ফেসবুক, পত্রিকা, টিভি চ্যানেল গুলোর সেইরাম মাতামাতি । হ্যাপি নিজের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় গুলো মিডিয়াকে জানাচ্ছে, মিডিয়া আমাদেরকে জানাচ্ছে, আর আমরা মজা নিচ্ছি !
কেউ হ্যাপিকে গালি দিচ্ছে, কেউ রুবেলকে গালি দিচ্ছে, রুবেলের গুষ্ঠি উদ্ধার করতেছে ! কেউ কেউ আবার এদের পক্ষ নিয়ে সাফাই গাচ্ছে ! আবার কেউ কেউ হ্যাপির সাথে, হ্যাপি হওয়ার হ্যাপিলি কর্ম সাধনের জন্য হ্যাপির কাছে সুযোগ চাচ্ছে ! সবমিলিয়ে বিনোদনের উপকরনের শেষ নাই ! হ্যাপিকে ঘিরে এখন সবাই বেশ হ্যাপি !
এত সব হ্যাপির মাঝে, হ্যাপির ভক্তদের মাঝে সবচেয়ে বেশি হ্যাপিনেজ সৃষ্টি করেছে একাত্তর টেলিভিশন । তারা হ্যাপির হ্যপি হওয়ার গোপন কথোপকথন সম্প্রচারিত করে হ্যাপির সকল ভক্তকুলের মাঝে হ্যাপির জোয়ার সৃষ্টি করেছে ।
এজন্য একাত্তর টিভিকে একটা আন্তরিক ধন্যবাদ দেওয়া যেতেই পারে ! কারন তাদের সম্প্রচারের কারনেই আজ হ্যাপির হ্যাপি হওয়ার সিক্রেট শুধু ভক্তকুলদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের সকল পর্যায়ের সকল শ্রেণীর নারী পুরুষ এবং শিশুদের কাছে পৌঁছে গেছে । হ্যাপির ভক্তরা এখন সকল বয়সের মানুষে মিলে মিশে একাকার ।
হ্যাপি এবং একাত্তর টিভির কল্যানেই এখনকার উঠতি বয়সী ছেলেরা যারা জানতো না কিভাবে হ্যাপিদের সাথে কথা বলতে হয়, কিভাবে হ্যাপিদেরকে পটাতে হয়, কিভাবে হ্যাপিদেরকে বিছানায় নিয়ে হ্যাপি করতে হয় এবং হ্যাপিনেজ হয়ে গেলে চম্পট দিতে হয় ! সেটা জানার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারলো !
অপরপক্ষে হ্যাপির মত অন্যান্য হ্যাপিরা জানতে পারলো কিভাবে রুবেলের মতো ছেলেদেরকে হ্যাপি করার মোহ দেখিয়ে, যৌবনের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে ব্লাকমেইল করতে !
ছেলেমেয়েরা একাত্তর টিভির প্রোগ্রাম দেখে অনুপ্রাণিত হল এই ভেবে যে, তারাও যখন বড় হবে, তাদের যখন মোবাইল থাকবে তখন তারাও হ্যাপি এবং রুবেলের মতো রাতের বেলা ফোনালাপে এভাবেই হ্যাপিনেজ পাবে, ফ্ল্যাটে গিয়ে হ্যাপিনেজ হ্যাপিনেজ ফ্যান্টাসি খেলা খেলবে ।
হ্যাপির দর্শক ডিমান্ড এবং চাহিদা তো বলেতে গেলে এখন আকাশচুম্বী । অনেক আশা নিয়ে ভক্তরা এখন হ্যাপির দিকে আশার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে যে, আগামি হ্যাপি নিউ ইয়ারকে সামনে রেখে হ্যাপি বেগম এবার তার এবং রুবেলের সচিত্র রোমান্সের ভিডিও প্রকাশ করবে ।
একাত্তর টিভির সম্প্রচারের মাধ্যমে এই ভিডিও পৌঁছে যাবে দেশের আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি টিভিতে, প্রত্যেকটি ঘরে ! প্রতিটা ছেলে মেয়ের মোবাইলে মোবাইলে ! সবাই দেখবে আর বলবে - দ্যাখ দ্যাখ এই সিনটায় হ্যাপির এক্সপ্রেশন যা হইছে না ! চরম লাগতেছে ! ভক্তদের শুভেচ্ছা আর ভালবাসায় সিক্ত হবে হ্যাপি ।
আর একাত্তর টিভির টিআরপি বাড়তেই থাকবে, বাড়তেই থাকবে এবং ব্যবসা হবে রমরমা !
● রুবেল এবং হ্যাপির প্রেম এবং প্রেমের মাঝে রোমান্স ! হতেই পারে । সেটা নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার ! এ কারনে রুবেল কিংবা হ্যাপির নামের সাথে আমি কখনোই চরিত্রহীনতার ট্যাগ ঝুলিয়ে দিবো না !
কিন্তু যখন রুবেল কিংবা হ্যাপি তাদের ফোনালাপ নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে দেশবাসীকে শুনিয়ে বেড়াবে তখন রুবেল/হ্যাপির নৈতিকতা এবং চরিত্রহীনতা নিয়ে অবশ্যই আমার সন্দেহ থাকবে এবং আমি তাকে অবশ্যই চরিত্রহীন বলবো । দুঃখজনক হলেও সত্যি এই কাজটাই করেছে হ্যাপি ! সত্যিই আমি খুব অবাক হইছি । এতোটা অবাক হতাম না, যদি এই কাজটা রুবেল করতো !
একজন নারী যখন নিজের গোপনীয়তা নিজেই রক্ষা করতে পারে না, নিজের সন্মান নিজেই মিডিয়ার কাছে, সমাজের কাছে বিলিয়ে দেয় ! তখন তাকে চরিত্রহীন না বলার তো কোন কারনই থাকে না ! হ্যাপির চরিত্রহীনতা নিয়ে আরও স্পষ্ট হওয়া যায় যখন পত্রিকার নিউজে আরও দেখি "জাতীয় দলের আরো দুই ক্রিকেটারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে হ্যাপীর!"
● তাহলে কি আমি বলতে পারি না যে, প্রেমের জালে রুবেল কে ফাঁসানোই ছিল হ্যাপির পরিকল্পিত উদ্দেশ্য । তা না হলে প্রেমিকের সাথে ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করে সংগ্রহ করে রাখার তো কোন যৌক্তিকতাই থাকতে পারে না ! আর রুবেল ও যে নিরাপরাধ ভদ্রলোক সেকথাও আমি বলবো না !
● কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলা, সনি টিভি ইত্যাদি চ্যানেল বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছিলো । আমিও এই সব চ্যানেল বন্ধের পক্ষপাতী । কারন এসব চ্যানেলর প্রোগ্রাম দেখে দেখে আমাদের সংস্কৃতি সবাই ভুলতে শুরু করেছে । সবাই এখন পাখি ড্রেস পড়তে চায়, পাখির মতো হতে চায় । ড্রেস না পেলে এবার আত্মহত্যাও করে ! ওদের সিরিয়ালের সাংসারিক কুটনামি দেখে আমাদের দেশের সংসার গুলোতে অশান্তির বীজ বুনা শুরু হয় !
এখন তো দেখতেছি ভারতীয় চ্যানেল নয়, সবার আগে আমাদের দেশীয় চ্যানেল গুলোকেই বন্ধ করার জন্য আহবান জানানো উচিত । কারন বাংলাদেশি চ্যানেল গুলো তো এর চেয়েও খারাপ এবং বিকৃত মানসিকতার । নারী পুরুষের ব্যক্তিগত গোপন সম্পর্ক এরা যেভাবে প্রচার করা শুরু করছে তাতে আমাদের দেশি চ্যানেল দেখলে তো ছেলে-মেয়েরা কোন গঠনমূলক নৈতিক শিক্ষা পাবেই না ! বরং যৌনতা সম্পর্কে দক্ষতা লাভ করবে । আর যাই হোক, আমরা তো আমাদের দেশের বাচ্চা-কাচ্চদের টিভিতে যৌন শিক্ষা দেখতে দিতে পারি না !
ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের দেশের সাংবাদিকতার মান এতোটা নিচু পর্যায়ে নেমে গেছে ! আরোও কতোটা নিচে এরা নামতে পারে এখন শুধু সেটাই দেখার অপেক্ষা !
এই নিকৃষ্ট নৈতিকতার বাংলাদেশি চ্যানেলের চেয়ে ভারতীয় চ্যানেলের সিরিয়াল দেখা অনেক ভালো ।
কেউ হ্যাপিকে গালি দিচ্ছে, কেউ রুবেলকে গালি দিচ্ছে, রুবেলের গুষ্ঠি উদ্ধার করতেছে ! কেউ কেউ আবার এদের পক্ষ নিয়ে সাফাই গাচ্ছে ! আবার কেউ কেউ হ্যাপির সাথে, হ্যাপি হওয়ার হ্যাপিলি কর্ম সাধনের জন্য হ্যাপির কাছে সুযোগ চাচ্ছে ! সবমিলিয়ে বিনোদনের উপকরনের শেষ নাই ! হ্যাপিকে ঘিরে এখন সবাই বেশ হ্যাপি !
এত সব হ্যাপির মাঝে, হ্যাপির ভক্তদের মাঝে সবচেয়ে বেশি হ্যাপিনেজ সৃষ্টি করেছে একাত্তর টেলিভিশন । তারা হ্যাপির হ্যপি হওয়ার গোপন কথোপকথন সম্প্রচারিত করে হ্যাপির সকল ভক্তকুলের মাঝে হ্যাপির জোয়ার সৃষ্টি করেছে ।
এজন্য একাত্তর টিভিকে একটা আন্তরিক ধন্যবাদ দেওয়া যেতেই পারে ! কারন তাদের সম্প্রচারের কারনেই আজ হ্যাপির হ্যাপি হওয়ার সিক্রেট শুধু ভক্তকুলদের মাঝেই সীমাবদ্ধ না থেকে দেশের সকল পর্যায়ের সকল শ্রেণীর নারী পুরুষ এবং শিশুদের কাছে পৌঁছে গেছে । হ্যাপির ভক্তরা এখন সকল বয়সের মানুষে মিলে মিশে একাকার ।
হ্যাপি এবং একাত্তর টিভির কল্যানেই এখনকার উঠতি বয়সী ছেলেরা যারা জানতো না কিভাবে হ্যাপিদের সাথে কথা বলতে হয়, কিভাবে হ্যাপিদেরকে পটাতে হয়, কিভাবে হ্যাপিদেরকে বিছানায় নিয়ে হ্যাপি করতে হয় এবং হ্যাপিনেজ হয়ে গেলে চম্পট দিতে হয় ! সেটা জানার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারলো !
অপরপক্ষে হ্যাপির মত অন্যান্য হ্যাপিরা জানতে পারলো কিভাবে রুবেলের মতো ছেলেদেরকে হ্যাপি করার মোহ দেখিয়ে, যৌবনের জোয়ারে ভাসিয়ে নিয়ে ব্লাকমেইল করতে !
ছেলেমেয়েরা একাত্তর টিভির প্রোগ্রাম দেখে অনুপ্রাণিত হল এই ভেবে যে, তারাও যখন বড় হবে, তাদের যখন মোবাইল থাকবে তখন তারাও হ্যাপি এবং রুবেলের মতো রাতের বেলা ফোনালাপে এভাবেই হ্যাপিনেজ পাবে, ফ্ল্যাটে গিয়ে হ্যাপিনেজ হ্যাপিনেজ ফ্যান্টাসি খেলা খেলবে ।
হ্যাপির দর্শক ডিমান্ড এবং চাহিদা তো বলেতে গেলে এখন আকাশচুম্বী । অনেক আশা নিয়ে ভক্তরা এখন হ্যাপির দিকে আশার দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে যে, আগামি হ্যাপি নিউ ইয়ারকে সামনে রেখে হ্যাপি বেগম এবার তার এবং রুবেলের সচিত্র রোমান্সের ভিডিও প্রকাশ করবে ।
একাত্তর টিভির সম্প্রচারের মাধ্যমে এই ভিডিও পৌঁছে যাবে দেশের আনাচে-কানাচে প্রত্যেকটি টিভিতে, প্রত্যেকটি ঘরে ! প্রতিটা ছেলে মেয়ের মোবাইলে মোবাইলে ! সবাই দেখবে আর বলবে - দ্যাখ দ্যাখ এই সিনটায় হ্যাপির এক্সপ্রেশন যা হইছে না ! চরম লাগতেছে ! ভক্তদের শুভেচ্ছা আর ভালবাসায় সিক্ত হবে হ্যাপি ।
আর একাত্তর টিভির টিআরপি বাড়তেই থাকবে, বাড়তেই থাকবে এবং ব্যবসা হবে রমরমা !
● রুবেল এবং হ্যাপির প্রেম এবং প্রেমের মাঝে রোমান্স ! হতেই পারে । সেটা নিতান্তই তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার ! এ কারনে রুবেল কিংবা হ্যাপির নামের সাথে আমি কখনোই চরিত্রহীনতার ট্যাগ ঝুলিয়ে দিবো না !
কিন্তু যখন রুবেল কিংবা হ্যাপি তাদের ফোনালাপ নিজেদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে দেশবাসীকে শুনিয়ে বেড়াবে তখন রুবেল/হ্যাপির নৈতিকতা এবং চরিত্রহীনতা নিয়ে অবশ্যই আমার সন্দেহ থাকবে এবং আমি তাকে অবশ্যই চরিত্রহীন বলবো । দুঃখজনক হলেও সত্যি এই কাজটাই করেছে হ্যাপি ! সত্যিই আমি খুব অবাক হইছি । এতোটা অবাক হতাম না, যদি এই কাজটা রুবেল করতো !
একজন নারী যখন নিজের গোপনীয়তা নিজেই রক্ষা করতে পারে না, নিজের সন্মান নিজেই মিডিয়ার কাছে, সমাজের কাছে বিলিয়ে দেয় ! তখন তাকে চরিত্রহীন না বলার তো কোন কারনই থাকে না ! হ্যাপির চরিত্রহীনতা নিয়ে আরও স্পষ্ট হওয়া যায় যখন পত্রিকার নিউজে আরও দেখি "জাতীয় দলের আরো দুই ক্রিকেটারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে হ্যাপীর!"
● তাহলে কি আমি বলতে পারি না যে, প্রেমের জালে রুবেল কে ফাঁসানোই ছিল হ্যাপির পরিকল্পিত উদ্দেশ্য । তা না হলে প্রেমিকের সাথে ফোনের কথোপকথন রেকর্ড করে সংগ্রহ করে রাখার তো কোন যৌক্তিকতাই থাকতে পারে না ! আর রুবেল ও যে নিরাপরাধ ভদ্রলোক সেকথাও আমি বলবো না !
● কিছুদিন আগে বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস, জি বাংলা, সনি টিভি ইত্যাদি চ্যানেল বন্ধ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানানো হচ্ছিলো । আমিও এই সব চ্যানেল বন্ধের পক্ষপাতী । কারন এসব চ্যানেলর প্রোগ্রাম দেখে দেখে আমাদের সংস্কৃতি সবাই ভুলতে শুরু করেছে । সবাই এখন পাখি ড্রেস পড়তে চায়, পাখির মতো হতে চায় । ড্রেস না পেলে এবার আত্মহত্যাও করে ! ওদের সিরিয়ালের সাংসারিক কুটনামি দেখে আমাদের দেশের সংসার গুলোতে অশান্তির বীজ বুনা শুরু হয় !
এখন তো দেখতেছি ভারতীয় চ্যানেল নয়, সবার আগে আমাদের দেশীয় চ্যানেল গুলোকেই বন্ধ করার জন্য আহবান জানানো উচিত । কারন বাংলাদেশি চ্যানেল গুলো তো এর চেয়েও খারাপ এবং বিকৃত মানসিকতার । নারী পুরুষের ব্যক্তিগত গোপন সম্পর্ক এরা যেভাবে প্রচার করা শুরু করছে তাতে আমাদের দেশি চ্যানেল দেখলে তো ছেলে-মেয়েরা কোন গঠনমূলক নৈতিক শিক্ষা পাবেই না ! বরং যৌনতা সম্পর্কে দক্ষতা লাভ করবে । আর যাই হোক, আমরা তো আমাদের দেশের বাচ্চা-কাচ্চদের টিভিতে যৌন শিক্ষা দেখতে দিতে পারি না !
ভাবতেই অবাক লাগে আমাদের দেশের সাংবাদিকতার মান এতোটা নিচু পর্যায়ে নেমে গেছে ! আরোও কতোটা নিচে এরা নামতে পারে এখন শুধু সেটাই দেখার অপেক্ষা !
এই নিকৃষ্ট নৈতিকতার বাংলাদেশি চ্যানেলের চেয়ে ভারতীয় চ্যানেলের সিরিয়াল দেখা অনেক ভালো ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
ইঞ্জিনিয়ার সজীব ইমাম ২১/১২/২০১৪বাহ। সত্যি অনেক সুন্দর লিখছেন। খুব ভালো লাগলো পড়ে...........।