ভালোবাসার ঘর
বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল, মানুষ যে ব্যাকুলতা নিয়ে
কোনো উৎসবের ক্ষণ গণনা করে, সেভাবে গণনা
গণনা করছে লাশের সংখ্যা; উত্তর গোলার্ধ থেকে
দক্ষিণ গোলার্ধ কিংবা হ্যামারফ্যাস্ট থেকে পুয়ের্তো
উইলিয়ামস, সবখানেই সেই মৃত্যুর টিকেট মিলছে।
এ এক অনিঃশেষ দুর্দশার গল্প; মানুষ মরছে, মন্ত্রী
থেকে নাপিত, কামার থেকে শিল্পপতি, সব শ্রেণীর,
সব জাতির,সব গোত্রের, সব বর্ণের, সব ধর্মের, সব
মতের মানুষ। মানুষের এই দীর্ঘ মরণযাত্রায় কোনো
বৈষম্য নেই, কোনো বৈপরীত্য নেই, নেই কোনো দ্বন্দ্ব!
আমি ইতালির রোমের কথা শুনছি, বলা হচ্ছে, সেখানে
মানুষ পাখির মতো মরছে, বড় বড় ধনকুবের, বাঘা বাঘা
মন্ত্রী, সাংসদ আর শিল্প-সংস্কৃতি-ক্রীড়া জগতের দ্যুতিময়
তারকারা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। ইরানে ধর্মগুরু থেকে
সৈনিক, সবাই সেই মিছিলে আছড়ে পড়ছে। কি ভয়াবহ!
করোনার এই বিভৎস দিনগুলোতে আমি তোমাকে রেখে
এই কুঁড়েঘরে সঙ্গবিহীন দিন কাটাচ্ছি; করোনাই সেদিন
আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল, উড়ন্ত ঘুড়ির টানটান
করা সুতোই ছুরি চালালে যেমন হয় তেমন করে দু'জন
আছড়ে পড়েছিলাম দু'ধারে। সেই যে চলে গেলে....
করোনার এই মৃত্যুর দিনগুলোতে কেউ যেন আমাকে
বলছে, বিচ্ছিন্ন হইনি, আমরা এখনো একই সাগরের
ঢেউ হয়ে মিশে আছি, আছি একই আকাশ, একই চন্দ্র
সূর্যের আলোর নিচে- যেখানে বিচ্ছিন্নতা আর বিচ্ছেদ
নীড় বাঁধে না, সবাই ঘুরে এসে ভালোবাসার ঘর বাঁধে!
কোনো উৎসবের ক্ষণ গণনা করে, সেভাবে গণনা
গণনা করছে লাশের সংখ্যা; উত্তর গোলার্ধ থেকে
দক্ষিণ গোলার্ধ কিংবা হ্যামারফ্যাস্ট থেকে পুয়ের্তো
উইলিয়ামস, সবখানেই সেই মৃত্যুর টিকেট মিলছে।
এ এক অনিঃশেষ দুর্দশার গল্প; মানুষ মরছে, মন্ত্রী
থেকে নাপিত, কামার থেকে শিল্পপতি, সব শ্রেণীর,
সব জাতির,সব গোত্রের, সব বর্ণের, সব ধর্মের, সব
মতের মানুষ। মানুষের এই দীর্ঘ মরণযাত্রায় কোনো
বৈষম্য নেই, কোনো বৈপরীত্য নেই, নেই কোনো দ্বন্দ্ব!
আমি ইতালির রোমের কথা শুনছি, বলা হচ্ছে, সেখানে
মানুষ পাখির মতো মরছে, বড় বড় ধনকুবের, বাঘা বাঘা
মন্ত্রী, সাংসদ আর শিল্প-সংস্কৃতি-ক্রীড়া জগতের দ্যুতিময়
তারকারা পর্যন্ত রেহাই পাচ্ছে না। ইরানে ধর্মগুরু থেকে
সৈনিক, সবাই সেই মিছিলে আছড়ে পড়ছে। কি ভয়াবহ!
করোনার এই বিভৎস দিনগুলোতে আমি তোমাকে রেখে
এই কুঁড়েঘরে সঙ্গবিহীন দিন কাটাচ্ছি; করোনাই সেদিন
আমাদের বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছিল, উড়ন্ত ঘুড়ির টানটান
করা সুতোই ছুরি চালালে যেমন হয় তেমন করে দু'জন
আছড়ে পড়েছিলাম দু'ধারে। সেই যে চলে গেলে....
করোনার এই মৃত্যুর দিনগুলোতে কেউ যেন আমাকে
বলছে, বিচ্ছিন্ন হইনি, আমরা এখনো একই সাগরের
ঢেউ হয়ে মিশে আছি, আছি একই আকাশ, একই চন্দ্র
সূর্যের আলোর নিচে- যেখানে বিচ্ছিন্নতা আর বিচ্ছেদ
নীড় বাঁধে না, সবাই ঘুরে এসে ভালোবাসার ঘর বাঁধে!
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ হাবিবুল হক চয়ন (নিরব নির্বাসন) ২৬/০৩/২০২০ভালবাসা চিরন্তন। মনের মাঝে হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলোর চিহ্ন থেকে যায় মৃত্যুর শেষ ক্ষণ পর্যন্ত।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৩/০৩/২০২০ভালো
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ২৩/০৩/২০২০ভালো।
-
মোহন দাস (বিষাক্ত কবি) ২৩/০৩/২০২০Good
-
হুসাইন দিলাওয়ার ২৩/০৩/২০২০বাহ
-
ফয়জুল মহী ২৩/০৩/২০২০কমনীয় ভাবনা। সৃজনশীল ও মননশীল লেখা।