Rezaul Islam
মা ও তার বিশ্বাস
জন্মের পর থেকেই নাকি আমি খুব কাঁদতাম,
মা বলে, " সেই যে তোর কান্নার শুরু; তা আর কিছুতেই থামলো না।
সকাল, দুপুর কিংবা মধ্যরাত,তোর কান্নার ইস্টিশন নেই-সারাদিন,ভ্যাঁ,ভ্যাঁ আর ভ্যাঁ।
জীবনটা জ্বালিয়ে একেবারে মাটি করে দিয়েছিস, একবিন্দু শান্তি মেলা ভার; আরো ও তো মানুষ করেছি....."
মায়ের এ অভিযোগ অবশ্য সর্বাংশে মিথ্যা নয়;খালা, ফুফু আর চাচীরাও তাই বলে।
আমারও তাই মনে হয়; না হলে ভরা যৌবনেও ভাইয়ের
টিটকারিতে কেঁদে ফেলি?
বড়চাচার আদরের ডাক 'মামু, ভ্যাঁ' শুনেও কেঁদে ফেলি?
সিনেমার কৃত্রিম সংলাপ শুনেই বা কেন কাঁদি?
দাদী নাকি বলতো," দেখিস সামিরূন, একদিন তোর এই
ছেলে মস্তবড় জ্ঞানী হবে;এই চৌচালা মাটির ঘর আলোয়
ভরিয়ে দেবে,এ আমি একদম নিশ্চিত"।
তাইনা শুনে মা আমার বাড়তি যত্ন নিত,পরম মমতায়
আমাকে ছেড়া চাদরে স্নেহ মিশিয়ে জড়িয়ে রাখতো
পৌষ ও মাঘের কনকনে শীতে।
আমার সেই হতভাগী মা আজোও আমার যত্ন নেয়,
পরম স্নেহে আমার মাথায় দশ আঙুলের পরশ বুলিয়ে দেয়।
এলোমেলো ঘুমের মাঝে হারিয়ে যাওয়া কাঁথাটা গাঁয়ে জড়িয়ে দেয় অসম্ভব ভালোবাসায়।
মায়ের অনঢ় হৃদয়ে গেড়ে বসা বিশ্বাসটা এখনও তাকে
আশাবাদী করে; এই যাবার বেলায় ও!
সব সম্মন্ধ বিশ্বাস হারিয়ে কেটে পড়ে,
থেকে যায় মা, তার বিশ্বাস ও ভালোবাসা।
কাঁথাটা জড়িয়ে দিয়ে মা ধীর পায়ে বেরিয়ে গেলে,
সহসাই গাঢ় ঘুমটা ভেঙে যায়; চোখ বেয়ে নেমে আসে
কান্নার ঢল- যে কান্না কেউ দেখে না, হয়তোবা বোঝেও না।
মা শুধু জানে আজ তার ছেলে কাঁদে না, জ্বালায় ও না।
কিন্তু মা, আমি আজোও কাঁদি, তোমাকেও কাঁদায়,
তুমি মোটেও তা বুঝোনা ।
জন্মের পর থেকেই নাকি আমি খুব কাঁদতাম,
মা বলে, " সেই যে তোর কান্নার শুরু; তা আর কিছুতেই থামলো না।
সকাল, দুপুর কিংবা মধ্যরাত,তোর কান্নার ইস্টিশন নেই-সারাদিন,ভ্যাঁ,ভ্যাঁ আর ভ্যাঁ।
জীবনটা জ্বালিয়ে একেবারে মাটি করে দিয়েছিস, একবিন্দু শান্তি মেলা ভার; আরো ও তো মানুষ করেছি....."
মায়ের এ অভিযোগ অবশ্য সর্বাংশে মিথ্যা নয়;খালা, ফুফু আর চাচীরাও তাই বলে।
আমারও তাই মনে হয়; না হলে ভরা যৌবনেও ভাইয়ের
টিটকারিতে কেঁদে ফেলি?
বড়চাচার আদরের ডাক 'মামু, ভ্যাঁ' শুনেও কেঁদে ফেলি?
সিনেমার কৃত্রিম সংলাপ শুনেই বা কেন কাঁদি?
দাদী নাকি বলতো," দেখিস সামিরূন, একদিন তোর এই
ছেলে মস্তবড় জ্ঞানী হবে;এই চৌচালা মাটির ঘর আলোয়
ভরিয়ে দেবে,এ আমি একদম নিশ্চিত"।
তাইনা শুনে মা আমার বাড়তি যত্ন নিত,পরম মমতায়
আমাকে ছেড়া চাদরে স্নেহ মিশিয়ে জড়িয়ে রাখতো
পৌষ ও মাঘের কনকনে শীতে।
আমার সেই হতভাগী মা আজোও আমার যত্ন নেয়,
পরম স্নেহে আমার মাথায় দশ আঙুলের পরশ বুলিয়ে দেয়।
এলোমেলো ঘুমের মাঝে হারিয়ে যাওয়া কাঁথাটা গাঁয়ে জড়িয়ে দেয় অসম্ভব ভালোবাসায়।
মায়ের অনঢ় হৃদয়ে গেড়ে বসা বিশ্বাসটা এখনও তাকে
আশাবাদী করে; এই যাবার বেলায় ও!
সব সম্মন্ধ বিশ্বাস হারিয়ে কেটে পড়ে,
থেকে যায় মা, তার বিশ্বাস ও ভালোবাসা।
কাঁথাটা জড়িয়ে দিয়ে মা ধীর পায়ে বেরিয়ে গেলে,
সহসাই গাঢ় ঘুমটা ভেঙে যায়; চোখ বেয়ে নেমে আসে
কান্নার ঢল- যে কান্না কেউ দেখে না, হয়তোবা বোঝেও না।
মা শুধু জানে আজ তার ছেলে কাঁদে না, জ্বালায় ও না।
কিন্তু মা, আমি আজোও কাঁদি, তোমাকেও কাঁদায়,
তুমি মোটেও তা বুঝোনা ।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
টি এম আমান উল্লাহ ১৯/১০/২০১৭আঁধারের কোনায় কোনায় লুকিয়ে আছে আলোকচ্ছটা!
-
আজাদ আলী ১৯/১০/২০১৭বেশ সুন্দর। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন প্রিয় কবি।
-
মধু মঙ্গল সিনহা ১৯/১০/২০১৭বেশ ভালো
-
সাঁঝের তারা ১৮/১০/২০১৭ভালো