www.tarunyo.com

সাম্প্রতিক মন্তব্যসমূহ

এসো কল্যান ও ভালবাসার জন্যে

যে কাজে কল্যানের বিন্দু মাত্র ও আশা আছে সে রাস্তায় ব্যয় করো বা লোকজনকে তা করতে উৎসাহিত- অনুপ্রাণিত করো। মনীষীদের চিন্তা-চেতনা সার্বজনীন ও বড় মাপের হয়, অকল্যাণের নয়। কারন তারা বিশ্বাস করে জাত, বর্ণ ভেদাভেদ ভুলে পীড়িত, অসহায়, দুঃস্থদের প্রতি দয়া-করুণা, ভালবাসা প্রভৃতি প্রদর্শনের ফলে পৃথিবীময় শান্তি বিরাজ করে।
বিষয়শ্রেণী: অভিজ্ঞতা
ব্লগটি ১০২৯ বার পঠিত হয়েছে।
প্রকাশের তারিখ: ২১/০৯/২০১৭

মন্তব্য যোগ করুন

এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।

Use the following form to leave your comment on this post.

মন্তব্যসমূহ

  • ভালোবাসা শুধু ভালোবাসা হোক আলোময় ।
    হোক সবার জীবন মধুময় এর সুখময় ।
  • প্রিয় ২৩/০৯/২০১৭
    👍👍👍👍👍👍👍👍
  • এম এম মেহেরুল ২৩/০৯/২০১৭
    সুন্দর অভিব্যাক্তি
  • এম এম মেহেরুল ২৩/০৯/২০১৭
    ভালোই হয়েছে
  • সাঁঝের তারা ২১/০৯/২০১৭
    ভাল কথা
  • অভিজ্ঞতা চাই তথ্যনির্ভর!পরেরবার ঠিকঠাক লিখবেন আশা রাখি।
    • রেজাউল আবেদীন ২১/০৯/২০১৭
      ধন্যবাদ আপনাকে। জেন রাখুন, যারা কম জানে তারাই তথ্যবহুল রেফারেন্স চায়, যাদের সত্য পথের ইলম কামাইয়ের সময় কম বা ইচ্ছা নেই। আশাকরি নিম্মের তথ্য জেনে খুশী হবেন। আপনার জন্য নিম্মে কিছু গ্রহণ করার মত দলীল পেশ করছি - দলীল :
      দান সম্পদকে বৃদ্ধি করে: পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাক এরশাদ করেন:
      مَثَلُ الَّذِينَ يُنفِقُونَ أَمْوَالَهُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ كَمَثَلِ حَبَّةٍ أَنْبَتَتْ سَبْعَ سَنَابِلَ فِي كُلِّ سُنْبُلَةٍ مِائَةُ حَبَّةٍ وَاللَّهُ يُضَاعِفُ لِمَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ
      “যারা আল্লাহর রাস্তায় সম্পদ ব্যয় করে তার উদাহরণ হচ্ছে সেই বীজের মত যা থেকে সাতটি শীষ জন্মায়। আর প্রতিটি শীষে একশতটি করে দানা থাকে। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা অতিরিক্ত দান করেন। আল্লাহ সুপ্রশস্ত সুবিজ্ঞ।” (সূরা বাকারা-২৬১)।

      রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
      “যে ব্যক্তি নিজের হালাল কামাই থেকে- আল্লাহ হালাল কামাই ছাড়া দান কবুল করেন না- একটি খেজুর ছাদকা করে, আল্লাহ উহা ডান হাতে কবুল করেন অতঃপর তা বৃদ্ধি করতে থাকেন- যেমন তোমরা ঘোড়ার বাচ্চাকে প্রতিপালন করে থাক- এমনকি উহা একটি পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়।” (বুখারী ও মুসলিম)।

      গোপনে দান করার ফযীলতঃ গোপন-প্রকাশ্যে যে কোনভাবে দান করা যায়। সকল দানেই ছওয়াব রয়েছে। আল্লাহ বলেন:
      إِنْ تُبْدُوا الصَّدَقَاتِ فَنِعِمَّا هِيَ وَإِنْ تُخْفُوهَا وَتُؤْتُوهَا الْفُقَرَاءَ فَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَيُكَفِّرُ عَنْكُمْ مِنْ سَيِّئَاتِكُمْ
      ”যদি তোমরা প্রকাশ্যে দান-খয়রাত কর, তবে তা কতই না উত্তম। আর যদি গোপনে ফকীর-মিসকিনকে দান করে দাও, তবে এটা বেশী উত্তম। আর তিনি তোমাদের পাপ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন।” (সূরা বকারা- ২৭১)।

      দান-ছাদকা গুনাহ মাফ করে ও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচায়:
      নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
      “হে কা‘ব বিন উজরা! ছালাত (আল্লাহর) নৈকট্য দানকারী, ছিয়াম ঢাল স্বরূপ এবং দান-ছাদকা গুনাহ মিটিয়ে ফেলে যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে ফেলে।” (আবু ইয়ালা, সনদ ছহীহ) রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন:
      اتَّقُوا النَّارَ وَلَوْ بِشِقِّ تَمْرَةٍ
      “খেজুরের একটি অংশ দান করে হলেও তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা কর।” (বুখারী ও মুসলিম)।

      *** আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন,
      ‘আল্লাহ নিষেধ করেন না ওই লোকদের সঙ্গে সদাচার ও ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করতে যারা তোমাদের সঙ্গে ধর্মকেন্দ্রিক যুদ্ধ করে নি এবং তোমাদের আবাসভূমি হতে তোমাদের বের করে দেয় নি। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদের পছন্দ করেন। [সূরা আল-মুমতাহিনা, আয়াত: ৮]

      *** একাধিক সাহাবী থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
      "সাবধান! যদি কোনো মুসলিম কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর নিপীড়ন চালিয়ে তার অধিকার খর্ব করে, তার ক্ষমতার বাইরে কষ্ট দেয় এবং তার কোনো বস্তু জোরপূর্বক নিয়ে যায়, তাহলে কিয়ামতের দিন আমি তার পক্ষে আল্লাহর দরবারে অভিযোগ উত্থাপন করব।" [আবূ দাউদ: ৩০৫২]

      *** ‘তারা আল্লাহ তা‘আলার বদলে যাদের ডাকে, তাদের তোমরা কখনো গালি দিয়ো না, নইলে তারাও শত্রুতার কারণে না জেনে আল্লাহ তা‘আলাকেও গালি দেবে, আমি প্রত্যেক জাতির কাছেই তাদের কার্যকলাপ সুশোভনীয় করে রেখেছি, অতঃপর সবাইকে একদিন তার মালিকের কাছে ফিরে যেতে হবে, তারপর তিনি তাদের বলে দেবেন, তারা দুনিয়ার জীবনে কে কী কাজ করে এসেছে’। {সূরা আল আন‘আম, আয়াত : ১০৮}

      ***** অমুসলিমদের কি ভিক্ষা অথবা সাহায্য করা যাবে?
      কোনো কোনো মানুষ মনে করেন, বিধর্মী ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেওয়া যাবে না বা বিধর্মী ব্যক্তিকে দান করা যাবে না। তাদের এ ধারণা ভুল। বিধর্মী ভিক্ষুককে যেমন ভিক্ষা দেওয়া যাবে, তেমনি বিধর্মী দরিদ্র ব্যক্তিকে দানও করা যাবে। কারণ, নফল ছদকা এবং সাধারণ দান অমুসলিমকেও দেওয়া যায়।

      ##### তাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যারা সদকা বণ্টন সম্পর্কে তোমাকে দোষারোপ করে। অতঃপর এর কিছু অংশ তাদের দেওয়া হলে তারা পরিতুষ্ট হয়, আর এর কিছু অংশ তাদের না দেওয়া হলে তৎক্ষণাৎ তারা বিক্ষুব্ধ হয়। (সুরা তাওবা, আয়াত : ৫৮)

      ### সুরা তাওবা, আয়াত : ৫৮ এর তাফসির : মুনাফিকদের বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার ধারাবাহিকতায় এই আয়াতে তাদের অর্থলিপ্সা বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। দুর্দিনে মুনাফিকদের সহযোগিতা পাওয়া না গেলেও সুদিনে তারা বিভিন্ন দান-অনুদানের ক্ষেত্রে মুসলমানদের সঙ্গে ভাগ বসায়। মুসলমানরা বৈষয়িক যেসব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে, সেগুলো পাওয়ার জন্য তারা অধীর অপেক্ষায় থাকে। এক দিন রাসুলুল্লাহ (সা.) সদকার কিছু সম্পদ বণ্টন করছিলেন, তখন জুল খুওয়াইসারা নামের এক ইহুদি এসে বলতে লাগল, ‘হে মুহাম্মদ! ইনসাফের সঙ্গে বণ্টন করুন। ’ তার কথায় মর্মাহত হয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘এ কেমন কথা, আমি যদি ইনসাফের সঙ্গে বণ্টন না করি, তাহলে আর কে ইনসাফের সঙ্গে বণ্টন করবে?’ (বুখারি, নাসায়ি) এই প্রেক্ষাপটে আলোচ্য আয়াত অবতীর্ণ হয়। তবে আয়াতের বক্তব্য সব যুগের সব মুনাফিকের জন্য প্রাসঙ্গিক। মুনাফিকরা অন্তরে কুফরির কথা লুকিয়ে রাখলেও মুসলমানরা সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও বৈষয়িক যেসব সুবিধা ভোগ করে, তা গ্রহণে তারা কার্পণ্য করে না। এমনকি এগুলো হারানোর ভয়েই তারা নিজেদের কুফরির কথা প্রকাশ করে না।

      ###অমুসলিমদের দান-সদকা করার বিধান###

      আলোচ্য আয়াত থেকে প্রতীয়মান হয়, মুনাফিকরাও সদকার অংশ পেত।

      তবে তাদের মনমতো অর্থ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তারা নানা আপত্তি করত। সদকা শব্দটি সাধারণত নফল দান-অনুদান বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সেই অর্থে যেকোনো অমুসলিমকে দান করা সব আলেমের ঐকমত্যে বৈধ। অমুসলিম প্রতিবেশী আক্রান্ত হলে, তারা বিপদগ্রস্ত হলে মুসলমানদের উচিত তাদের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়া।
      • সম্মানিত ব্লগার,

        আপনার সাথে তর্কে লিপ্ত হওয়া আমার কাজ নয়। আমি নিতান্ত কম জানি।আর আপনি যে ইলমের কথা গ্রন্থ রেফারেন্সে দিলেন সেটা আমার জানা নেই বললেই চলে।শূণ্যের কোঠায় বলতে পারেন।সেই যে সকাল বেলা মক্তবে যেতাম সেটুকুই।প্রিয় ব্লগার,আপনি হয়তো খেয়াল করেছেন আমাদের ব্লগে যখন নতুন ব্লগ লিখতে চান তখন একটা কলাম আসে বিষয় নির্বাচন করুন।সেখানে ক্রমান্বয়ে কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে যেমন, গল্প,কবিতা,প্রবন্ধ, .... অন্যান্য।আপনি সম্মানের সাথে যে ক্যাটাগরি বাছাই করেছেন সেটা হলো অভিজ্ঞতা।আপনি যেটা লিখেছেন সেটা যে কেউ ব্যক্তিজীবনে অভিজ্ঞতা হিসেবে অর্জন করতে পারে তা জানা ছিলো না।ওই যে বললাম,আমি নিতান্ত কম জানি।অভিজ্ঞতাগুলো কখনো গল্প আকারে পড়েছি কখনো লেখকের তীব্র আকাঙ্ক্ষাকে জেগে তুলেছি,আবার কখনো তিক্ততা নিয়ে পড়েছি।কিন্তু এরকমটি আর পড়িনি।আপনার নতুন সংযোজন নিঃসন্দেহে ভাল কিছুর দাবী রাখে।আমার মতো কম জানা লোক আপনার এই লেখার সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেনি।তাই বলে আপনি থেমে থাকবেন কেনো?লিখে যান এমন অভিজ্ঞতাগুলো আরো বৃহৎ পরিসরে।একটা কথা মনে রাখবেন বাঙালিরা তর্কে লিপ্ত হতে চাইলে ধর্মগ্রন্থকে টেনে আনে।কেনো জানেন?কারণ আমরা প্রকৃতিগতভাবে ধর্মের ব্যাপারে দূর্বল।আপনি নিঃসন্দেহে জ্ঞানী লোক।আপনি নিশ্চিত আমার মতো কম জানা লোকের সাথে তর্কে লিপ্ত হবেন না।কারণ জ্ঞানীরা তর্কে লিপ্ত হয়না।সহল ইবনে আবদুল্লাহ বলেছেন,মুর্খতার চেয়ে বড় পাপ নেই।আমি যেহেতু মুর্খ সুতরাং আমি পাপী।ধর্ম নিয়ে আমি কথা বলবো না কারণ এ বিষয়ে জানি না।আপনার কলম আরো ধারালো হোক এই কামনা।আরও ভালো লেখা উপহার দিবেন এই কামনা।ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
        • রেজাউল আবেদীন ২২/০৯/২০১৭
          জনাব কামরুজ্জামান সাদ ভাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্যে। আমরা জানি- "জ্ঞানীর কলমের কালি শহীদের রক্তের চেয়ে ও পবিত্র"। আর সক্রেটিস বলেছেন, "Know thyself" মানে নিজেকে জানো। আমরা সব মানুষ যদি এই এক বাক্য ও মানি তাহলে আমাদের মাঝের ভুল ভ্রান্তি চিরতরে মুছে যেতে বাধ্য। আর আল হাদিসে ও রয়েছে নিজেকে চেনা ও জানার ব্যাপারে অনেক নসিহ্ত। আর মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছু শেখে, জানে, নতুন করে ভাবে ও সেই ভাবনার সাথে মিলায়। মুলত যা সত্য ও সুন্দরের তাই মানবজাতীর কল্যানের জন্য শেয়ার করে। যে সত্য পথে চললে আল্লাহ ও রাসুল (সাঃ) কে পাওয়া যাবে ও অন্তরে তাদের জন্য মহব্ব্ত পয়দা হবে আমাদের পথচ্লা হোক সেই পথে। মহান আল্লাহ আমাদের সঠিক কল্যানের পথে কামিয়াবী দান করুন, জীবন পরিচালনার হেদায়াত নসীব করুন। আমিন। ভালো থাকুন সবসময়। খোদা সহায় হোক আপনার।
 
Quantcast