আমার গাঁ
কবিতাঃ “আমার গাঁ”
কবিঃ বর্ণ
তারখঃ২৩/০৭/২০২১ইং
সময়ঃ০৬:০০ঘটিকা
আমার গ্রামে বাঁশ বাগানের সবুজ শ্যামলিমায়,
টুনটুনি ও দোয়েল দিনেই ঘুমের ঘোরে ঝিমায়।
রাতের বেলা তাল-শিমুলের ঝোলা বাদুড়গুলো,
রোজ আকাশে ভাসে ও সে যেন কালো তুলো।
ভোর না হতেই চড়ুইপাখি বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে,
ধানের মাচায় ইঁদুর ছানায় কিচ্ কিচি্য়ে ডাকে।
মোদের গায়ের মানুষ গুলো কাদার মতই নরম,
শাওন-আষাঢ়ে জলে ভাসে জৈষ্ঠে ভীষণ গরম।
গাঁয়ের পুবে বিশাল ডাঙা পশ্চিমে তার দোলায়,
এই গেরামের কৃষক শ্রেণী নানান ফসল ফলায়।
একপাশে তার বুল্লাইবিল এক ফসলের আধার,
যে যার মতো তুলছে ফসল নেইক সময় সাধার।
হাজার জাতের মাছ বিলেতে বান ফুরোলে পড়ে,
মালকোঁচা দেয় লুঙ্গিতে তার দাঁড়কি হাতে করে।
মাছ ধরে ফের ফেরে ঘরে সাঁঝের আগে আগে,
এক’দো করে বেশ পড়ে মাছ সবার ভাগে ভাগে।
মোদের গ্রামের পশ্চিমে এক তিস্তা নদীর খালের,
বইছে মৃদু স্রোতেই যেনো হালকা হাওয়া পালের।
সময় সময় মাছ পড়ে তার বাইন ফলি আর পুঁটি,
সন্ধ্যা বেলায় হাট বসে যায় কিশোর যুবক জুটি।
আমার গায়ে ইস্কুল আছে আরেক ধারে মাদ্রাসা,
মুসলিম আছে হিন্দু নেইকো কেহোই কোণঠাসা।
আমরা সবাই ভায়ের মতোন থাকছি মিলে মিশে,
এই গায়ে কেউ ঘোর বিপদে পায় না যখন দিশে।
সবাই তখন হাত মেলে দেয় আপন লোকের মত,
সকল মিলেই দেয় মুছে তার মনের বিশাল ক্ষত।
জুম্মা আছে নামাজ পড়ার মন্দির আছে পুজোর,
দোকান আছে চা বিস্কুটের সস্তা জুতোর মুজোর।
হাট আছে এক নিত্য বসে হরেক মালের দোকান,
গুড় জিলিপি ছড়িয়ে কতোই জুড়ে এখান ওখান।
কতো দেশের কতোই যে গ্রাম ভরা মানিক রতন।
হয়না কোথাও আমার প্রিয় ছোট্ট গাঁ'টির মতোন।
---------******--------
কবিঃ বর্ণ
তারখঃ২৩/০৭/২০২১ইং
সময়ঃ০৬:০০ঘটিকা
আমার গ্রামে বাঁশ বাগানের সবুজ শ্যামলিমায়,
টুনটুনি ও দোয়েল দিনেই ঘুমের ঘোরে ঝিমায়।
রাতের বেলা তাল-শিমুলের ঝোলা বাদুড়গুলো,
রোজ আকাশে ভাসে ও সে যেন কালো তুলো।
ভোর না হতেই চড়ুইপাখি বেড়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে,
ধানের মাচায় ইঁদুর ছানায় কিচ্ কিচি্য়ে ডাকে।
মোদের গায়ের মানুষ গুলো কাদার মতই নরম,
শাওন-আষাঢ়ে জলে ভাসে জৈষ্ঠে ভীষণ গরম।
গাঁয়ের পুবে বিশাল ডাঙা পশ্চিমে তার দোলায়,
এই গেরামের কৃষক শ্রেণী নানান ফসল ফলায়।
একপাশে তার বুল্লাইবিল এক ফসলের আধার,
যে যার মতো তুলছে ফসল নেইক সময় সাধার।
হাজার জাতের মাছ বিলেতে বান ফুরোলে পড়ে,
মালকোঁচা দেয় লুঙ্গিতে তার দাঁড়কি হাতে করে।
মাছ ধরে ফের ফেরে ঘরে সাঁঝের আগে আগে,
এক’দো করে বেশ পড়ে মাছ সবার ভাগে ভাগে।
মোদের গ্রামের পশ্চিমে এক তিস্তা নদীর খালের,
বইছে মৃদু স্রোতেই যেনো হালকা হাওয়া পালের।
সময় সময় মাছ পড়ে তার বাইন ফলি আর পুঁটি,
সন্ধ্যা বেলায় হাট বসে যায় কিশোর যুবক জুটি।
আমার গায়ে ইস্কুল আছে আরেক ধারে মাদ্রাসা,
মুসলিম আছে হিন্দু নেইকো কেহোই কোণঠাসা।
আমরা সবাই ভায়ের মতোন থাকছি মিলে মিশে,
এই গায়ে কেউ ঘোর বিপদে পায় না যখন দিশে।
সবাই তখন হাত মেলে দেয় আপন লোকের মত,
সকল মিলেই দেয় মুছে তার মনের বিশাল ক্ষত।
জুম্মা আছে নামাজ পড়ার মন্দির আছে পুজোর,
দোকান আছে চা বিস্কুটের সস্তা জুতোর মুজোর।
হাট আছে এক নিত্য বসে হরেক মালের দোকান,
গুড় জিলিপি ছড়িয়ে কতোই জুড়ে এখান ওখান।
কতো দেশের কতোই যে গ্রাম ভরা মানিক রতন।
হয়না কোথাও আমার প্রিয় ছোট্ট গাঁ'টির মতোন।
---------******--------
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
অভিজিৎ হালদার ২৩/০৭/২০২১সুন্দর
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ২৩/০৭/২০২১কবিতা শৈলী দেখে একদম মুগ্ধ।
-
ভাস্কর অনির্বাণ ২৩/০৭/২০২১দারুন কাব্যশৈলী
-
ফয়জুল মহী ২৩/০৭/২০২১চমৎকার প্রকাশ।
পড়ে খুব ভালো লাগলো।