আজ স্বার্থের জয়
১৯৪৫ এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ৫১ টা দেশের সাক্ষরের ভিত্তিতে জাতিসংঘ গঠিত হয়। পর পর দুইটা বিশ্বযুদ্ধ বিশ্বনেতাদের ভাবিয়ে তুলেছিলো। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে যেনো এমন সংঘাত না হয় তাই জাতিসংঘ গঠন করা হয়। জাতিসংঘ এর মূল লক্ষ্য ছিলো আইন, নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং মানবাধিকার।
জাতিসংঘ গঠনের পূর্বে একই প্রয়োজনে গঠিত হয়েছিলো ‘লীগ অব নেশন্স’। কিন্তু আমরা সবাই জানি, শক্তিধর রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থচিন্তায় যা পরবর্তীতে ব্যার্থ ও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
আমার মতে ঠিক সেইম জিনিসটা জাতিসংঘের ক্ষেত্রে হচ্ছে। যুদ্ধ নিরসন ও মানবাধিকার রক্ষার যেই মূল ভিত্তির উপর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত তা আজ নেই। কেননা ক্ষমতাধর স্থায়ী ৫ রাষ্ট্রের কেউ একজন ভেটো দিয়ে দিলেই উধুর পিন্ডি ভুদুর ঘাড়ে।
ধরেন এমন একটা সময় আসলো যে, সাধারণ পরিষদে সদস্য ১৯৩ টা দেশের মধ্যে ১৭০ টি দেশ তাদের সম্মিলিত একটি প্রয়োজনীয়তার কথা জানালো। তখন যদি ভেটো প্রদানকারী ৫ রাষ্ট্রের ৪ জন রাজি থাকে কিন্তু শুধু মাত্র একজন ভেটো দেয় তাহলে পুরো প্রস্থাবনা বাতিল হয়ে যাবে। তাহলে তারা কিভাবে যুদ্ধ নিরসন কিংবা জাতি বৈষম্য ও মানবাধিকার রক্ষা করবে?
এই কারণেই ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘ কিছুই করতে পারছে না দুই একটা তথাকথিত বৈঠক ছাড়া ঠিক যেমন নিরব ছিলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়। অর্থাৎ বলা যায়, জাতিসংঘ তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে!
ভাই স্বার্থ কাকে বলে আরেকটা দিক দেখাই। জো বাইডেন নির্বাচন পূর্ববর্তী তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলো সে ক্ষমতায় আসলে মুসলিমরাও তাদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু আজকের নিউজ দেখেন ইসরায়েলের কাছে ৭৩৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে বাইডেন প্রশাসন। ধর্মীয় দিক বাদ দিলেও মানবিক দিক থেকে তারা এরকম একটা পরিস্থিতিতে কিভাবে অস্ত্র বিক্রি করে?
এদিকে বাইতুল মুকাদ্দাস বা আল আকসায় ইসরায়েল এর অগ্নিকান্ডের পর ১৯৬৯ এ মুফতি আমিন আল হুসাইনির জাগরণ ও পরবর্তীকালে মুসলিম উম্মার শান্তি ও এসব স্পর্শ কাতর স্থাপনা বাঁচাতে মুসলিম বিশ্বনেতাদের নিয়ে ওআইসি (OIC) গঠন হয়। কিন্তু তারাও আজ কেমন নিরব। অথচ যেখানে ৫৭ টা দেশ একত্রে জোট বাঁধা এবং তাদের প্রতিষ্ঠাও ছিল অগ্নিদগ্ধ আল আকসা থেকে।
এ সবই স্বার্থ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক স্বার্থে তারা চুপ। আজ এই মজলুম ফিলিস্তিনিদের বাঁচতে হলে নিজেদেরই প্রতিরক্ষায় অংশ নিতে হবে। নিজেদের নিজে বাঁচাতে হবে, জাহেলি ভাবে কেউ তাদের পাশে দাঁড়াতে আসবে না। শুধু রহমত হিসেবে পাশে পাবে একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালেকে। আর হয়তো দূর থেকে করা আমাদের দোয়া।
মুসলিমদের বিজয় সুনিশ্চিত
বিজয় নিশ্চিত সত্য ও সুন্দরের।
৫ মে ২০২১, মঙ্গলবার
নারায়ণগঞ্জ।
#savepalestine
#GazaUnderAttack
#WestandwithPalestine
জাতিসংঘ গঠনের পূর্বে একই প্রয়োজনে গঠিত হয়েছিলো ‘লীগ অব নেশন্স’। কিন্তু আমরা সবাই জানি, শক্তিধর রাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থচিন্তায় যা পরবর্তীতে ব্যার্থ ও অকার্যকর হয়ে পড়ে।
আমার মতে ঠিক সেইম জিনিসটা জাতিসংঘের ক্ষেত্রে হচ্ছে। যুদ্ধ নিরসন ও মানবাধিকার রক্ষার যেই মূল ভিত্তির উপর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত তা আজ নেই। কেননা ক্ষমতাধর স্থায়ী ৫ রাষ্ট্রের কেউ একজন ভেটো দিয়ে দিলেই উধুর পিন্ডি ভুদুর ঘাড়ে।
ধরেন এমন একটা সময় আসলো যে, সাধারণ পরিষদে সদস্য ১৯৩ টা দেশের মধ্যে ১৭০ টি দেশ তাদের সম্মিলিত একটি প্রয়োজনীয়তার কথা জানালো। তখন যদি ভেটো প্রদানকারী ৫ রাষ্ট্রের ৪ জন রাজি থাকে কিন্তু শুধু মাত্র একজন ভেটো দেয় তাহলে পুরো প্রস্থাবনা বাতিল হয়ে যাবে। তাহলে তারা কিভাবে যুদ্ধ নিরসন কিংবা জাতি বৈষম্য ও মানবাধিকার রক্ষা করবে?
এই কারণেই ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘ কিছুই করতে পারছে না দুই একটা তথাকথিত বৈঠক ছাড়া ঠিক যেমন নিরব ছিলো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়। অর্থাৎ বলা যায়, জাতিসংঘ তার মূল লক্ষ্য থেকে সরে এসেছে!
ভাই স্বার্থ কাকে বলে আরেকটা দিক দেখাই। জো বাইডেন নির্বাচন পূর্ববর্তী তার নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলো সে ক্ষমতায় আসলে মুসলিমরাও তাদের পূর্ণাঙ্গ অধিকার ফিরে পাবে। কিন্তু আজকের নিউজ দেখেন ইসরায়েলের কাছে ৭৩৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করছে বাইডেন প্রশাসন। ধর্মীয় দিক বাদ দিলেও মানবিক দিক থেকে তারা এরকম একটা পরিস্থিতিতে কিভাবে অস্ত্র বিক্রি করে?
এদিকে বাইতুল মুকাদ্দাস বা আল আকসায় ইসরায়েল এর অগ্নিকান্ডের পর ১৯৬৯ এ মুফতি আমিন আল হুসাইনির জাগরণ ও পরবর্তীকালে মুসলিম উম্মার শান্তি ও এসব স্পর্শ কাতর স্থাপনা বাঁচাতে মুসলিম বিশ্বনেতাদের নিয়ে ওআইসি (OIC) গঠন হয়। কিন্তু তারাও আজ কেমন নিরব। অথচ যেখানে ৫৭ টা দেশ একত্রে জোট বাঁধা এবং তাদের প্রতিষ্ঠাও ছিল অগ্নিদগ্ধ আল আকসা থেকে।
এ সবই স্বার্থ। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক স্বার্থে তারা চুপ। আজ এই মজলুম ফিলিস্তিনিদের বাঁচতে হলে নিজেদেরই প্রতিরক্ষায় অংশ নিতে হবে। নিজেদের নিজে বাঁচাতে হবে, জাহেলি ভাবে কেউ তাদের পাশে দাঁড়াতে আসবে না। শুধু রহমত হিসেবে পাশে পাবে একমাত্র আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালেকে। আর হয়তো দূর থেকে করা আমাদের দোয়া।
মুসলিমদের বিজয় সুনিশ্চিত
বিজয় নিশ্চিত সত্য ও সুন্দরের।
৫ মে ২০২১, মঙ্গলবার
নারায়ণগঞ্জ।
#savepalestine
#GazaUnderAttack
#WestandwithPalestine
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
গাজী মনোয়ার হোসাইন সজিব ১৮/০৭/২০২১সুন্দর চিন্তা
-
মোহাম্মদ মাইনুল ১২/০৬/২০২১ধন্যবাদ।
-
সুয়েল হক ২১/০৫/২০২১❤️❤️
-
শ.ম.ওয়াহিদুজ্জামান ১৯/০৫/২০২১সুন্দর ভাবনা।
-
ফয়জুল মহী ১৯/০৫/২০২১Wonderful writen
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১৮/০৫/২০২১সুন্দর, সাধুবাদ।