করোনায় বিপর্যস্ত পৃথিবীতে একাকী বসবাস
একবিংশ শতাব্দীর এক কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে কোভিড-১৯ এর প্রকোপ। বর্হিবিশ্বের মতো এর প্রকোপ আমাদের দেশে দেখা না গেলেও তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়াতে এই পেন্ডামিক ইতিমধ্যেই আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি করে ফেলেছে।
প্রথমবারের মতো আমরা লকডাউন শব্দটির সাথে পরিচিত হই গত বছরের মার্চের ১৭ তারিখ থেকে। এরপর ধাপে ধাপে লকডাউনের পরিবর্তন হলো-আমরাও হাজার ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছিলাম। একদিকে আমরা ছিলাম বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে অন্যদিকে পড়াশোনার মাথায় পা। কিন্তু এই পুরোটা সময় আমাদের কাটাতে হয়েছে ঘরে বসে। জীবন চালানোর মৌলিক উপাদান গুলো তো আর ঘরে বসে পাওয়া যায় না। তাই জীবন বাজি রেখেই বড়দের ছুটতে হয়েছে জীবন বাঁচানোর তাগিদে।
এই ঘরবন্দি জীবনের সাথে আমরা পরিচিত ছিলাম না। তাই সারাদিন ঘরে বসে জীবন যাপন করা আমাদের কাছে এক বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছিলো। যানবাহন,অফিস,কারখানা সব কিছু বন্ধ থাকার কারণে মানুষের চলমান জীবন একদম থমকে গিয়েছিলো। এর মধ্যেই অর্থকষ্ট মানুষকে ভুগিয়েছে প্রচুর।সবচেয়ে বেশি অর্থকষ্টে পীড়িত হয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত পরিবার গুলো। কাজ না থাকায় মাসের পর মাস টানা লকডাউন এক কথায় বলতে গেলে তাদের পথে বসিয়ে ছেড়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার নানামুখী গুজব ছিলো ভয়ের আরেক অগ্নিকুন্ড। করোনা পীড়িত মানুষের আর্তনাদও দেখেছি এইসব সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণেই। একদিকে গুজব একদিকে মানুষের পীড়িত অবস্থা ধুকে ধুকে পুড়িয়েছে আমাদের।
করোনা কালীন সময়টাতে মানসিক ভাবে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো তরুণ-তরুণীরা। নানামুখী মানসিক চাপ এতোটাই প্রকোপ হয়ে উঠেছিলো যে কেউ কেউ বেঁছে নিয়েছে আত্মহননের পথ। এক জাতীয় দৈনিকের করা রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।
কিন্তু কোভিড-১৯ এর সময়টাতে দীর্গকালীন ক্ষতি্র সম্মুখীন হয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একই সাথে এর অন্তর্ভুক্ত শিক্ষার্থীরা। কেননা করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসলেও বছরের শেষদিকেও যখন সরকার পরীক্ষা নিতে পারেনি তখন ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সকল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হলো অটোপাশ। এটা অনেকটা অপবাদের মতোই গ্রহন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে জীবন মরণের কাছে এটা তেমন কিছুই ছিলো না।
এবছরের শুরু দিকে এসে জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছিলো। দেশের মানুষ অনেকটাই অর্থকষ্ট গুছিয়ে আনতে শুরু করেছিলো। এবং পাশাপাশি দেশে ভ্যাক্সিন আশা শুরু করলে সকলেই আশার আলো দেখতে শুরু করে। কিন্তু আমাদের সুখ বেশিদিন সইলো না। দেশের করোনা পরিস্থিতি আবার নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করেছে। আবার বেড়েছে দৈনিক করোনায় মৃত্যুর হার। গত ০৫ এপ্রিল থেকে শিথিল ভাবে চলছে লকডাউন। তবুও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। গত বছরও ঠিক এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়ে শুরু হয়েছিলো। এখন দেখবার বিষয় এবার কি হয়? আমরা সকলে এবং সরকার পক্ষ থেকে সম্মিলিত ভাবে সতর্ক না হলে হয়তো আবার একটা বছর ঘরে বসেই কাটিয়ে দিতে হবে।
প্রথমবারের মতো আমরা লকডাউন শব্দটির সাথে পরিচিত হই গত বছরের মার্চের ১৭ তারিখ থেকে। এরপর ধাপে ধাপে লকডাউনের পরিবর্তন হলো-আমরাও হাজার ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে এক নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করছিলাম। একদিকে আমরা ছিলাম বাঁচা মরার সন্ধিক্ষণে অন্যদিকে পড়াশোনার মাথায় পা। কিন্তু এই পুরোটা সময় আমাদের কাটাতে হয়েছে ঘরে বসে। জীবন চালানোর মৌলিক উপাদান গুলো তো আর ঘরে বসে পাওয়া যায় না। তাই জীবন বাজি রেখেই বড়দের ছুটতে হয়েছে জীবন বাঁচানোর তাগিদে।
এই ঘরবন্দি জীবনের সাথে আমরা পরিচিত ছিলাম না। তাই সারাদিন ঘরে বসে জীবন যাপন করা আমাদের কাছে এক বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছিলো। যানবাহন,অফিস,কারখানা সব কিছু বন্ধ থাকার কারণে মানুষের চলমান জীবন একদম থমকে গিয়েছিলো। এর মধ্যেই অর্থকষ্ট মানুষকে ভুগিয়েছে প্রচুর।সবচেয়ে বেশি অর্থকষ্টে পীড়িত হয়েছে মধ্যবিত্ত ও নিন্মবিত্ত পরিবার গুলো। কাজ না থাকায় মাসের পর মাস টানা লকডাউন এক কথায় বলতে গেলে তাদের পথে বসিয়ে ছেড়েছে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার নানামুখী গুজব ছিলো ভয়ের আরেক অগ্নিকুন্ড। করোনা পীড়িত মানুষের আর্তনাদও দেখেছি এইসব সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণেই। একদিকে গুজব একদিকে মানুষের পীড়িত অবস্থা ধুকে ধুকে পুড়িয়েছে আমাদের।
করোনা কালীন সময়টাতে মানসিক ভাবে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলো তরুণ-তরুণীরা। নানামুখী মানসিক চাপ এতোটাই প্রকোপ হয়ে উঠেছিলো যে কেউ কেউ বেঁছে নিয়েছে আত্মহননের পথ। এক জাতীয় দৈনিকের করা রিপোর্ট অনুযায়ী গত বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার।
কিন্তু কোভিড-১৯ এর সময়টাতে দীর্গকালীন ক্ষতি্র সম্মুখীন হয়েছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা একই সাথে এর অন্তর্ভুক্ত শিক্ষার্থীরা। কেননা করোনার প্রকোপ কিছুটা কমে আসলেও বছরের শেষদিকেও যখন সরকার পরীক্ষা নিতে পারেনি তখন ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সকল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হলো অটোপাশ। এটা অনেকটা অপবাদের মতোই গ্রহন করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে জীবন মরণের কাছে এটা তেমন কিছুই ছিলো না।
এবছরের শুরু দিকে এসে জনজীবন অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়া শুরু করেছিলো। দেশের মানুষ অনেকটাই অর্থকষ্ট গুছিয়ে আনতে শুরু করেছিলো। এবং পাশাপাশি দেশে ভ্যাক্সিন আশা শুরু করলে সকলেই আশার আলো দেখতে শুরু করে। কিন্তু আমাদের সুখ বেশিদিন সইলো না। দেশের করোনা পরিস্থিতি আবার নাগালের বাইরে চলে যেতে শুরু করেছে। আবার বেড়েছে দৈনিক করোনায় মৃত্যুর হার। গত ০৫ এপ্রিল থেকে শিথিল ভাবে চলছে লকডাউন। তবুও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় আজ সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন। গত বছরও ঠিক এক সপ্তাহের লকডাউন দিয়ে শুরু হয়েছিলো। এখন দেখবার বিষয় এবার কি হয়? আমরা সকলে এবং সরকার পক্ষ থেকে সম্মিলিত ভাবে সতর্ক না হলে হয়তো আবার একটা বছর ঘরে বসেই কাটিয়ে দিতে হবে।
মন্তব্য যোগ করুন
এই লেখার উপর আপনার মন্তব্য জানাতে নিচের ফরমটি ব্যবহার করুন।
মন্তব্যসমূহ
-
মোঃ বুলবুল হোসেন ১০/০৬/২০২১সুন্দর
-
দীপঙ্কর বেরা ২৫/০৪/২০২১ঠিক কথা বলেছেন
-
এম এম হোসেন ১৫/০৪/২০২১সুন্দর
-
মাহতাব বাঙ্গালী ১৩/০৪/২০২১করোনা অতঃপর লোকডাউন! আর আমরা পৃথিবাসী এক রহস্যময় ভুতুড়ে পরিবেশে; আছি মর্মন্তুদে!
-
সাইয়িদ রফিকুল হক ১২/০৪/২০২১করোনা নিপাত যাক।
-
স্বপন রোজারিও (মাইকেল) ১২/০৪/২০২১হায়রে করোনা
তুমি কেন যাও না?
তোমার চিন্তায়
জীবন সঙ্কায়। -
আব্দুর রহমান আনসারী ১২/০৪/২০২১সুন্রতম লেখা
-
ফয়জুল মহী ১২/০৪/২০২১ভালোবাসা রইলো অফুরান।